ঢাকা ১০ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

এখন কেউ কেউ নৈতিক খবরদারির দায়িত্ব নিয়েছেন: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৭ পিএম
এখন কেউ কেউ নৈতিক খবরদারির দায়িত্ব নিয়েছেন: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ছবি: সংগৃহীত

সিটিজেনস প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘আমরা সম্প্রতি দেখেছি, সরকার যে কথা বলে বাস্তবতার মধ্যে তার পার্থক্য রয়ে গেছে। আগে দেখা না গেলেও এখন কেউ কেউ নৈতিক খবরদারি করার দায়িত্ব নিয়েছেন। তারা সংখ্যায় বেশি না। কিন্তু তাদের কণ্ঠস্বর উচ্চ। তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।’ 

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ‘জাতীয় এসডিজি রিপোর্ট (ভিএনআর) ২০২৫: পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রত্যাশার অন্তর্ভুক্তি’ শিরোনামে এক সংলাপে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। 

ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে সংস্কারের বিষয়ে কয়েকটি কমিশন গঠন করা হয়েছে। পরিতাপের ব্যাপার হলো, যতগুলো কমিশন গঠন হয়েছে সেখানে পার্বত্য বা সমতলের কোনো প্রতিনিধি ছিল? স্বৈরতন্ত্রের বা একনায়কতন্ত্রের কারণে আমাদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর টুঁটি চেপে ধরা হয়েছে। অর্থের সমস্যা হয়েছে। কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে অনেককে হেনস্তার শিকার করা হয়েছে।’ 

তিনি বলেন, ‘সরকার বদল হলেও মানুষ কাঠামোগত বৈষম্য থেকে মুক্তি পায় না। এ সময়কালে আমরা সবচেয়ে বড় আন্দোলন করলাম দেশ বৈষম্যবিরোধী হবে। কিন্তু আমরা কি সব বৈষম্যের কথা বলি? আমরা তো সব বৈষম্যের কথা বলি না। নারীর সব সুরক্ষার কথা কি আমরা বলি? তার আইনি সুরক্ষা বা আইনি উত্তরাধিকার বিষয়ে কি আমরা সমানভাবে উচ্চারণ করতে পারি? কারণ হলো, যে জিনিসটা আগে সে রকমভাবে ছিল না, এখন এসেছে। এক ধরনের নৈতিক খবরদারি করার দায়িত্ব কেউ কেউ নিয়েছেন। ঘরে নিরাপদে বসে থেকে অন্য কেউ পরিবর্তন নিয়ে আসবে, এমন ভাবনা বোকামির নামান্তর।’ 

জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি হুমা খান বলেন, ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সমস্যা সমাধানে আরও কৌশলী হতে হবে। আমাদের চিহ্নিত করতে হবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী আসলে কারা। কোনো মানুষকে লিঙ্গ, ধর্ম, আয়ের দিক, ধর্মীয় দিক থেকে পরিচয় দিয়ে বলি, এরা হলো পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে হবে।’ 

সংলাপে আরও অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টার এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলি, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশ আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ও নাগরিক প্ল্যাটফর্মের কোর সদস্য ড. মোস্তাফিজুর রহমান। 

মাহফুজ/
  

২০২৫ সালে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ: আইএমএফ

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৮ এএম
২০২৫ সালে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ: আইএমএফ

চলতি বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তবে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে প্রবৃদ্ধি বেড়ে সাড়ে ৬ শতাংশ হওয়ার কথাও বলা হয়েছে সংস্থাটির পূর্বাভাসে। 

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতে প্রকাশিত আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকের সর্বশেষ সংস্করণে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বসন্তকালীন যৌথ সভার দ্বিতীয় দিনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। আইএমএফ সাধারণত পঞ্জিকাবর্ষ ধরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিয়ে থাকে।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকের প্রাপ্ত উপাত্ত ধরে দেশভিত্তিক তথ্যও হালনাগাদ করেছে আইএমএফ। সেখানে বাংলাদেশের জন্য ২০২৫ সালের জিডিপির নতুন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর প্রবৃদ্ধি বেড়ে সাড়ে ৬ শতাংশ হওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

তবে বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয় কিছুদিন আগে চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য সংশোধন করে ৫ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছে।

কয়েক দিন আগে আরেক দাতা সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলেছিল, বাংলাদেশের চলতি অর্থবছরে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে। আইএমএফ জিডিপির প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস আরও কমিয়ে দিল। 

এদিকে আইএমএফ আরও বলছে, চলতি বছরে বাংলাদেশে গড় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ হবে। গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে আছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, গত মার্চে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এক বছর ধরে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২৬ শতাংশ।

আইএমএফের নতুন পূর্বাভাস অনুসারে বৈশ্বিক গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ২ দশমিক ৮ শতাংশ। আর এশিয়ার গড় জিডিপি হতে পারে সাড়ে ৪ শতাংশ।

ইসিটি ধর্মীয় ঐক্য, সামাজিক উন্নয়ন ও গবেষণার এক অনন্য যাত্রা

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪২ পিএম
আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৭ পিএম
ধর্মীয় ঐক্য, সামাজিক উন্নয়ন ও গবেষণার এক অনন্য যাত্রা
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের খ্রিস্টান সমাজের অন্যতম উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান ইক্যুমেনিক্যাল খ্রিস্টান ট্রাস্ট (ইসিটি)। ১৯৮৬ সালে ট্রাস্ট আইনের অধীনে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠন চার দশকেরও বেশি সময় ধরে ধর্মীয় সহনশীলতা, সমাজসেবা এবং শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য ও সহাবস্থান তৈরি করাই ছিল এই ট্রাস্টের মূল লক্ষ্য, যা সময়ের সঙ্গে বহুমাত্রিক রূপ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি রাজধানী ঢাকার মিরপুর-১০ এ অবস্থিত।

গবেষণা ও জ্ঞানের পরিসর

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ‘ইসিটি’ শুরু করেছে এক যুগান্তকারী গবেষণা প্রকল্প-‘জাতীয় জীবনে খ্রিস্টানমণ্ডলীর অবদান’। পাঁচ বছর মেয়াদি এই গবেষণার বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৭৫ লাখ টাকা, যা সংগঠনের নিজস্ব তহবিল এবং দেশের বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে। এই গবেষণা শুধু খ্রিস্টানদের ঐতিহাসিক অবদান তুলে ধরবে না, বরং জাতীয় পরিচয়ে খ্রিস্টানদের অবিচ্ছেদ্য অংশীদারত্বের দিকগুলোও তুলে ধরবে।

সাংগঠনিক কাঠামো ও নেতৃত্ব

‘ইসিটি’র বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটিতে রয়েছেন শিক্ষাবিদ, ধর্মীয় নেতা এবং সমাজকর্মী। নেতৃত্বে আছেন বোর্ড চেয়ারম্যান রেভারেন্ড ইম্মানুয়েল মল্লিক, সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস, এবং ট্রেজারার জন সুশান্ত বিশ্বাস। কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন বিশপ সাইমন বাড়ৈ, তন্দ্রা রাণী সরকার এবং মোহাম্মদ আফিজুর রহমান। এই বহুমাত্রিক নেতৃত্বই ইসিটিকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, দায়িত্বশীল ও প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে।

সামাজিক কর্মকাণ্ড ও সম্প্রসারণ

‘ইসিটি’ কেবল গবেষণা নয়, সামাজিক উন্নয়নেও সক্রিয়। স্কলারশিপ ফান্ডের মাধ্যমে প্রতি মাসে বিশ (২০) জন দরিদ্র ও প্রান্তিক খ্রিস্টান শিক্ষার্থীকে সহায়তা প্রদান করা হয়, যার মধ্যে নার্সিংয়ে অধ্যয়নরত নারী শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদের জন্য কাউন্সেলিং সেশন, আদিবাসী শিক্ষার্থীদের নিয়ে গ্রুপ ওয়ার্কিং এবং ধর্মীয় সচেতনতামূলক সেমিনারের আয়োজন নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ।

২০২৩-২৫ সময়কালে সংগঠনের উল্লেখযোগ্য কিছু কার্যক্রম

সেমিনার ও আলোচনা সভা: প্রায় আড়াই বছরে অনুষ্ঠিত হয়েছে দশের অধিক সেমিনার ও আলোচনা সভা। যার মধ্যে ‘শান্তি, সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ’, ‘বিচারহীনতা’ এবং ‘নির্যাতিতদের করণীয়’-এই বিষয়ে আয়োজন বিশেষভাবে গুরুত্ববহ। খ্রিস্টান পালক-পুরোহিতদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্যও ‘ইসিটি’ নিয়মিত সেমিনারের আয়োজন করে থাকে। তবে বর্তমান যুবসমাজের উন্নয়নই তাদের মূল লক্ষ্য।

ত্রাণ কার্যক্রম: ২০২৪ সালের আগস্টে নোয়াখালীতে এক হাজার পরিবারকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

প্রযুক্তি শিক্ষা: কম্পিউটার ও আইটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু রয়েছে গরিব খ্রিস্টান যুবসমাজের জন্য।

সামাজিক সমস্যা মোকাবেলায় ক্যাম্প: যৌতুক ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা কর্মসূচি চলমান।

ভবিষ্যত কর্মসূচি: গরিব ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য ‘ইসিটি’ ভবিষ্যতে কৃষিভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণ করবে বলে জানা গেছে। নিম্নবর্গ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণের সিদ্ধান্ত রয়েছে। এসব সেবামূলক কাজে সমাজের উচ্চবর্গ জনগোষ্ঠীর সক্রিয় অংশগ্রহণও প্রত্যাশা করে সংগঠনটি। ‘খ্রিস্টান মণ্ডলীর ইতিহাস’ এবং ‘বাংলাদেশের পালক-পুরোহিতদের জীবনী’ শিরোনামে একাধিক প্রকাশনার পরিকল্পনাও রয়েছে সংগঠনটির।

প্রযুক্তি যুগে সংগঠনটির উপস্থিতিও সুসংহত। ‘ইসিটি’র ওয়েবসাইট (https://ectbd.org) এবং ফেসবুক পেজ নিয়মিত হালনাগাদ করা হয়। ২০২৪ সালে ‘ইসিটি নিউজ’ নামে একটি নিয়মিত প্রকাশনাও চালু করেছে, যা তাদের কার্যক্রম ও দৃষ্টিভঙ্গি দেশের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে দিচ্ছে।

আন্তঃধর্মীয় সংলাপ ও সংস্কৃতি চর্চা

‘ইসিটি’ আন্তঃধর্মীয় সংলাপেও অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। খ্রিস্টানদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সাথে পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধির জন্য সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও সাংস্কৃতিক আয়োজন করে থাকে। খ্রিষ্টীয় ঐতিহ্যকে লালন করে এমন নাটক, সঙ্গীতানুষ্ঠান ও সাহিত্যসভাও তাদের নিয়মিত কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত।

একটি সর্বজনীন চেতনার প্রতীক

‘ইসিটি’ এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা খ্রিস্টানদের মধ্যে বিভাজনের দেয়াল ভেঙে ঐক্যের ভিত্তি গড়ে তুলছে। তারা বিশ্বাস করে—বৈচিত্র্যের মধ্যেই ঐক্য এবং এই মূল্যবোধই বাংলাদেশি সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি সহনশীল, প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখছে।

আজকের বাংলাদেশে যেখানে ধর্মীয় বিভাজন ও অসহিষ্ণুতার শঙ্কা রয়েছে, সেখানে ‘ইসিটি’ এক অনন্য দৃষ্টান্ত। এটি কেবল একটি খ্রিস্টান ট্রাস্ট নয়-একটি আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির প্ল্যাটফর্ম, একটি সামাজিক অঙ্গীকারের প্রতীক এবং একটি গবেষণা-নির্ভর উন্নয়ন চিন্তার বাহক। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে বলা যায়, ‘ইসিটি’ বাংলাদেশের সমাজ কাঠামোতে ইতিবাচক পরিবর্তনের অন্যতম চালিকাশক্তি হয়ে উঠছে।

শাহাদাত/মাহফুজ/

এনআইডি সংশোধন অধিকতর জটিল আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষমতা পাচ্ছেন জেলা কর্মকর্তারা

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৩ পিএম
আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৩ পিএম
অধিকতর জটিল আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষমতা পাচ্ছেন জেলা কর্মকর্তারা
ছবি: সংগৃহীত

আগামী জুনকে সামনে রেখে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তির ‘ক্রাশ প্রোগ্রাম’ হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য অধিকতর জটিল আবেদন (গ ক্যাটাগরি- নাম ও জন্মতারিখ) সংশোধন নিষ্পত্তি করার ক্ষমতা সিনিয়র জেলা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের হাতে দিয়েছে কমিশন। কারণ সম্প্রতি ইসির এক সমন্বয় সভার তথ্য অনুযায়ী, এনআইডি সংশোধনের জন্য ৪ লাখের মতো আবেদন ইসিতে জমা রয়েছে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) ইসি থেকে মাঠপর্যায়ে পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, এনআইডি সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তির বিশেষ কার্যক্রম (ক্রাশ প্রোগ্রাম) পরিচালনার লক্ষ্যে ‘গ’ ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পন্নের জন্য ৬৪ জেলার সব সিনিয়র জেলা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের আবেদন সংখ্যা বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট সিনিয়র জেলা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তাদেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে সংশোধনের আবেদনগুলো ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। তাই অধিকতর জটিল আবেদন (গ ক্যাটাগরি) মাঠপর্যায়ে নিষ্পত্তির জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইসির ‘গ’ ক্যাটাগরির সংশোধনের মধ্যে রয়েছে-পাবলিক পরীক্ষার শিক্ষা সনদের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তন, জন্মতারিখ সংশোধন (৫ বছরের বেশি- তবে চাকরির বয়সসীমা, মুক্তিযোদ্ধা, ভোটার যোগ্যতা, নির্বাচনে প্রার্থীর সীমা, বয়স্কভাতা অর্জনের বয়সসীমা ব্যতীত) প্রভৃতি।

এলিস/মাহফুজ

বৈষম্যহীন সমাজ নির্মাণ সবার দায়িত্ব: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০১ পিএম
বৈষম্যহীন সমাজ নির্মাণ সবার দায়িত্ব: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা
১৮তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। ছবি: সংগৃহীত

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, অটিস্টিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু, কিশোর, যুব এবং প্রাপ্তবয়স্করা আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের প্রতিভা, সৃজনশীলতা ও সক্ষমতা বিকশিত করার জন্য প্রয়োজন সঠিক সহায়তা, উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, এবং সম্মানজনক পরিবেশ। আমাদের দায়িত্ব এমন একটি সমাজ গড়ে তোলা, যেখানে কেউ পেছনে পড়ে থাকবে না, কেউই অবহেলিত হবে না।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় অধীন নিউরো ডেভলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট (এনডিডি) আয়োজিত ১৮তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, অটিস্টিক ব্যক্তি কোনো সমাজের বোঝা নয়, তারা মানুষের জীবনের ভিন্ন বাস্তবতা। তাদের প্রতিভা, সৃজনশীলতা ও সক্ষমতা বিকশিত করার জন্য প্রয়োজন সঠিক সহায়তা, উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ।

অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে আমন্ত্রিত অতিথির মধ্যে বক্তৃতা করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এনডিসি, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ দেবনাথ, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান, অটিস্টিক ব্যক্তি ধ্রুপদ এবং অভিভাবক নকিব খান প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (যুগ্ম সচিব) শামীমা ফেরদৌস।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিগণ, বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিক, অটিস্টিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তি, তাদের পরিবারবর্গ এবং সমাজের সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

তিথি/মাহফুজ

কারিগরি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫২ পিএম
আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৪ পিএম
কারিগরি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত
ছবি: খবরের কাগজ

ছয় দফা দাবিতে কারিগরি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি গঠন ও দাবি পূরণে আশ্বাসের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান প্ল্যাটফর্মটির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি মাশফিক ইসলাম।

এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮টার পর সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করার আহ্বান জানানো হয়।

মাশফিক ইসলাম বলেন, যেহেতু সচিবালয় কর্তৃক বৈঠকের মাধ্যমে এবং অন্যান্য কার্যক্রমের মাধ্যমে দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা গেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে কারিগরি ছাত্র আন্দোলন সাময়িক সময়ের জন্য বর্তমান আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করছে। পরবর্তী নির্দেশনা আমরা পর্যায়ক্রমে দিতে থাকব। আমি সব পলিটেকনিকের ভাইদের অনুরোধ করছি, যেসব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রশাসনিক ভবনে তালাবদ্ধ করেছেন তারা তালা উন্মুক্ত করে দেন এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম চালানোর সুযোগ করে দেন। ক্লাস-পরীক্ষা, ফরম ফিলআপ এসব বিষয়ে এই কমিটি কীভাবে কার্যক্রম করতেছে, পদক্ষেপ নিচ্ছে সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে আমরা পর্যায়ক্রমে সব নির্দেশনা প্রদান করব। আমরা আমাদের বিপ্লবী সরকারকে অবশ্যই যৌক্তিক সময় দেব।

প্রসঙ্গত, ৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক রেলপথ অবরোধ করে। আল্টিমেটাম দিয়ে লংমার্চের কর্মসূচিও ঘোষণা করেছিল।

কবির/এমএ/