ঢাকা ১১ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৮ পিএম
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে সুষ্ঠুভাবে উত্তরণ নিশ্চিত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সম্প্রতি সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে জাতীয় সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ২০২৬ সালের নভেম্বরে স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায় থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের বিভিন্ন দিক এবং পরবর্তী সময়ে এ ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে তিনি এ কথা বলেন।

২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায় থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের অভিমত সম্পর্কে তিনি প্রশ্ন তোলেন যে বেসরকারি খাত কেন বছরের পর বছর ধরে এই বিষয়টি নিয়ে নীরব ছিল এবং জোরালো কোনো আওয়াজ তোলেনি?

বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা যদি তাদের (বেসরকারি খাত) সঙ্গে একমত হই, তাহলে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো আবার ঘুমিয়ে পড়বে। উত্তরণ বিলম্বিত করা মোটেও সরকারের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে না। তাদের এটি মেনে নিতে হবে।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের তিনটি মানদণ্ডেই উত্তীর্ণ হয়েছে। যদিও এটি একটি ভিন্ন যুক্তি যে সেগুলো সঠিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নাকি ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে।
 
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের অনিয়মের কারণে সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আমাদের টিমের সদস্যরা আন্তরিকতা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইনশাআল্লাহ আশা করি আমরা দেশের জন্য একটি কল্যাণকর পরিস্থিতিতে পৌঁছাতে সক্ষম হব।’

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যদিও সব সংস্কার করা সম্ভব নয়, তবে অবশ্যই কিছু বাস্তবায়ন করা হবে। বাকিগুলো গতিশীলভাবে এগিয়ে যাবে।’

এদিকে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের একটি অংশসহ অনেকেই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়া কয়েক বছর পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে। 

তারা যুক্তি দিচ্ছেন, অর্থনীতির ক্ষেত্রে করোনা মহামারির তীব্র প্রভাব, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং কয়েক বছর ধরে বিদ্যমান উচ্চ বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবিলার জন্য সময়ের প্রয়োজন।

মাহফুজ/

দুবাইয়ে অর্থ পাচার ৪৫৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান, ৭০ জনের কর নথি তলব

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩০ এএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৪ এএম
৪৫৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান, ৭০ জনের কর নথি তলব
খবরের কাগজ ইনফোগ্রাফিকস

গোল্ডেন ভিসার সুবিধা নিয়ে দুবাইয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন ৪৫৯ বাংলাদেশি। তাদের নামে দোকান, ফ্ল্যাট, বাড়িসহ ৯৭২টি সম্পত্তি কেনার তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ বিষয়ে ২০২৩ সালে ১৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের নির্দেশে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এ জন্য ওই বছর ১০ এপ্রিল গঠন করা হয় তিন সদস্যের বিশেষ অনুসন্ধান কমিটি। একই বছর ১৬ এপ্রিল ৪৫৯ জনের তথ্য-উপাত্ত চেয়ে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আলাদা চিঠি দেয় দুদকের মানি লন্ডারিং শাখা। দুই দপ্তর থেকে তথ্য পেয়ে দুবাইয়ে অর্থ পাচারকারী ৭০ জনকে ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছে দুদক। ফলে, তাদের কর নথি চেয়ে সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চিঠি পাঠিয়েছেন দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা।

অনুসন্ধানকারী দলের প্রধান ও দুদকের উপপরিচালক রাম প্রসাদ মণ্ডলের পাঠানো চিঠিতে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের ই-টিআইএন, আয়কর রিটার্নসহ সংশ্লিষ্ট সব তথ্য সরবরাহের অনুরোধ জানানো হয়েছে। তালিকায় শুধু নাম ব্যবহার করা হলেও তাদের পূর্ণাঙ্গ পরিচিতি প্রকাশ করা হয়নি। তবে তালিকায় ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সাবেক মন্ত্রী, এমপি, আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে চিহ্নিত ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম রয়েছে। তাদের নামে সুইস ব্যাংকসহ বিভিন্ন বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে পাচার করা টাকায় দুবাইয়ে সম্পত্তি কেনা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

চিহ্নিত ৭০ বাংলাদেশি হলেন- সাইফুজ্জামান চৌধুরী, চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, এম এ হাশেম, সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান ওরফে সৈয়দ কামরুজ্জামান, আহসানুল করীম, আনজুমান আরা শহীদ, হেফজুল বারী মোহাম্মদ ইকবাল, মোহাম্মদ ইমদাদুল হক ভরসা, হুমায়রা সেলিম, জুরান চন্দ্র ভৌমিক, মো. রাব্বী খান, মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, মোহাম্মদ অলিউর রহমান, এস এ খান ইখতেখারুজ্জামান, সৈয়দ ফাহিম আহমেদ, সৈয়দ হাসনাইন, সৈয়দ মাহমুদুল হক, সৈয়দ রুহুল হক, গোলাম মোহাম্মদ ভূঁইয়া, হাজী মোস্তফা ভূঁইয়া, মনজ কান্তি পাল, মো. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, মো. মাহবুবুল হক সরকার, মো. সেলিম রেজা, মোহাম্মদ ইলিয়াস বজলুর রহমান, এস ইউ আহমেদ, শেহতাজ মুন্সী খান, এ কে এম ফজলুর রহমান, আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহ, গুলজার আলম চৌধুরী, হাসান আশিক তাইমুর ইসলাম, হাসান রেজা মহিদুল ইসলাম, খালেদ মাহমুদ, এম সাজ্জাদ আলম, মোহাম্মদ ইয়াসিন আলী, মোস্তফা আমির ফয়সাল, রিফাত আলী ভূঁইয়া, সালিমুল হক ঈসা ওরফে হাকিম মোহাম্মদ ঈসা, সৈয়দ সালমান মাসুদ, সৈয়দ সাইমুল হক, আবদুল হাই সরকার, আহমেদ সামীর পাশা, ফাহমিদা শবনম চৈতি, মো. আবুল কালাম, ফাতেমা বেগম কামাল, মোহাম্মদ আল রুমান খান, মায়নুল হক সিদ্দিকী, মুনিয়া আওয়ান, সাদিক হোসেন মো. শাকিল, আবদুল্লাহ মামুন মারুফ, মোহাম্মদ আরমান হোসেন, মোহাম্মদ শওকত হোসেন সিদ্দিকী, মোস্তফা জামাল নাসের, আহমেদ ইমরান চৌধুরী, বিল্লাল হোসেন, মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন চৌধুরী, নাতাশা নূর মুমু, সৈয়দ মিজান মোহাম্মদ আবু হানিফ সিদ্দিকী, সায়েদা দুররাক সিনদা জারা, আহমেদ ইফজাল চৌধুরী, ফারহানা মোনেম, ফারজানা আনজুম খান, কে এইচ মশিউর রহমান, এম এ সালাম, মো. আলী হোসেন মোহাম্মদ ইমরান, মোহাম্মদ রোহেন কবীর, মনজিলা মোর্শেদ, মোহাম্মদ সানাউল্যাহ চৌধুরী, মোহাম্মদ সরফুল ইসলাম, সৈয়দ রফিকুল আলম ও আনিসুজ্জামান চৌধুরী।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে দুদকের মুখপাত্র ও মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন খবরের কাগজকে জানান, ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট যেকোনো নথি তলব করতে পারেন। বিদ্যমান আইন অনুসরণ করে দালিলিক প্রমাণের ভিত্তিতে দুদকের সব অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজ সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি’ এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ‘সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজ’র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দুবাইয়ে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৪৫৯ বাংলাদেশির কেনা সম্পত্তির কাগজে-কলমে মূল্য ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার (৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বেশি)।

সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের ২০২২ সালের মে মাসে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে উপসাগরীয় দেশগুলোতে পাচার করা অর্থ দিয়ে আবাসন সম্পদ কেনার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, তথ্য গোপন করে ৪৫৯ বাংলাদেশি দুবাইয়ে দোকান, ফ্ল্যাট, বাড়িসহ ৯৭২টি সম্পদের মালিক হয়েছেন। এ জন্য তারা ব্যয় করেছেন অন্তত ৩১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এ সম্পদের মধ্যে রয়েছে দুবাইয়ের অভিজাত এলাকা মেরিনায় ৬৪টি ও পাম জুমেইরাহতে ১৯টি। সেখানে অন্তত ১০০টি ভিলা ও কমপক্ষে পাঁচটি ভবনের মালিকরা বাংলাদেশি। এর মধ্যে চার-পাঁচজন বাংলাদেশি প্রায় ৪৪ মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তির মালিক। তবে, প্রতিবেদনে সম্পত্তি মালিকদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

এসএ গেমসের ২৬ ডিসিপ্লিনে অংশ নেবে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪০ পিএম
এসএ গেমসের ২৬ ডিসিপ্লিনে অংশ নেবে বাংলাদেশ
ছবি: সংগৃহীত

আগামী বছর জানুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য ১৪তম এসএ গেমসে ২৬ ডিসিপ্লিনে দল প্রেরণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)। প্রতিযোগিতাটিতে সেফ দ্য মিশন নিযুক্ত করা হয়েছে বিওএর সদস্য সিরাজউদ্দিন মো. আলমগীরকে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিওএর কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিওএ সভাপতি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

এসএ গেমস ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে সভায়। নভেম্বরে সৌদি আরবের বিয়াদে অনুষ্ঠিতব্য ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে ১১টি ডিসিপ্লিনে দল পাঠানোর প্রথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর অক্টোবরের এশিয়ান ইয়্যুথ গেমসের জন্য ডিসিপ্লিন নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩টি। এ ছাড়া দশম বাংলাদেশ গেমস আগামী বছরের মার্চে আয়োজনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। ময়মনসিংহের ত্রিশালে একটি মাল্টি স্পোর্টস অলিম্পিক কমপ্লেক্স তৈরির সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে সভায়।

এসএ গেমসে যে সব ডিসিপ্লিনে খেলবে বাংলাদেশ:

আর্চারি, অ্যাথলেটিকস, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল, বক্সিং, ক্রিকেট, ফেন্সিং, ফুটবল, গলফ, হ্যান্ডবল, হকি, জুডো, কাবাডি, কারাতে, শুটিং, স্কোয়াশ, সুইমিং, টেবিল টেনিস, তায়কোয়ান্দো, টেনিস, ভলিবল, ভারোত্তোলন, রেসলিং, উশু, রাগবি, বিলিয়ার্ড অ্যান্ড স্নুকার।

ইসলামিক সলিডারিটি গেমসের ডিসিপ্লিন সমুহ:

অ্যাথলেটিকস, ফেন্সিং, কারাতে, সুইমিং, টেবিল টেনিস, ভারোত্তোলন, রেসলিং, উশু, বাস্কেটবল ৩*৩, জুডো ও তায়কোয়ানদো।

তোফায়েল/মাহফুজ

বিএফডিসির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: তথ্য উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪৬ পিএম
বিএফডিসির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: তথ্য উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকার বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে বিএফডিসির উদ্যোগে ফোকাস গ্রুপ আলোচনায় এ কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।

দেশের চলচ্চিত্রের বৃহৎ বাজারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পের এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। এজন্য বিএফডিসিসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের কাজ করতে হবে।

মাহফুজ আলম বলেন, বিএফডিসির অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা উন্নয়নেও কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, কবিরপুরে নির্মাণাধীন ফিল্ম সিটিকে ঘিরে চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্টদের আগ্রহ রয়েছে। তিনি কবিরপুরে অত্যাধুনিক ফিল্ম সিটি নির্মাণ কাজ এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান। 

ফোকাস গ্রুপ আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, শুটিংয়ের জন্য বিএফডিসির বিদ্যমান অবকাঠামোর সংস্কার করতে হবে। তিনি কবিরপুরে নির্মাণাধীন ফিল্ম সিটির সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সভায় বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুমা রহমান তানি বলেন, বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে বিএফডিসি কাজ করছে। বিএফডিসির সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে তিনি সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

ফোকাস গ্রুপ আলোচনায় চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রগ্রাহকসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

আনিসুর রহমান তপন/এমএ/

দেশের সীমানা পুরোপুরি রক্ষিত আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০১ পিএম
দেশের সীমানা পুরোপুরি রক্ষিত আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: খবরের কাগজ

স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আমাদের দেশের সীমান্ত পুরোপুরি রক্ষিত আছে। আরাকান বর্ডার ডিফিকাল্ট বর্ডার। আমরা মায়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। কিন্তু বর্ডারটি দখল করে আছে আরাকান আর্মি। এখন মায়ানমার থেকে কিছু আমদানি-রপ্তানি করতে হলে মায়ানমার সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয়, আবার আরাকান আর্মিতে যারা আছে তারাও পয়সা নিচ্ছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিভাগের সকল জেলা প্রশাসক, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, এখানে একটা সমস্যা আছে আপনাকে বুঝতে হবে। এটা সমাধানের চেষ্টা চলছে। আর আমাদের সীমান্ত পুরোভাবে রক্ষিত আছে।

তিনি বলেন, এখন আমাদের দেখতে হবে আরাকান আর্মি ফাইট করতেছে অনেকদিন ধরে। এদের অনেকে এপারে বিয়ে করে ফেলছে, এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। কিন্তু যে হারে ভিডিওতে আসছে বিষয়টা আসলে তা নয়। টিকটক ভিডিওতো অনেকভাবে করা যায়। সবটা যে সত্য তা না আবার সবটা যে মিথ্যা তা-ও না। এটার ক্ষেত্রে আপনাকে ব্যালেন্স করতে হবে।

এসময় তিনি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় বেড়ে যাওয়া হত্যাকাণ্ড নিয়ে বলেন, ফটিকছড়ি, রাউজান, পটিয়া ও সাতকানিয়া এলাকাগুলো হলো পাহাড় ও সমতলের সংমিশ্রণ। এখানকার সমস্যা অন্যান্য এলাকার চেয়ে ভিন্ন। আমরা এই ব্যাপারে আলাপ করছি, এখানে সন্ত্রাসীরা অপকর্ম করে পাহাড়ের দিকে চলে যায়। প্রকাশ্যে কেউ যদি করে থাকে আমি আপনাদের সামনে বলে গেলাম আইনানুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যৌথবাহিনীর অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যৌথবাহিনীর অভিযান কোনো অবস্থায় কমেনি। বরং আপনাদের সাহায্য সহযোগিতায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে।

গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যে ঘটনা ঘটে, সত্যি ঘটনা আপনারা অবশ্যই প্রকাশ করে দিবেন। তখন আমাদের কাজ করতে সুবিধা হয়। কিন্তু অনেক সময় ঘটনা সত্যি না হলেও কিন্তু কেউ কেউ প্রকাশ করে দেয়। সেসময় ইনভেস্টিগেশন করে দেখা যায় যে, ঘটনা সত্যি নয় তখন অসুবিধা হয়। পাশ্ববর্তী দেশের সাংবাদিকরা এর সুবিধাটা নেয়। যেহেতু জানেন যে তারা মিথ্যা সংবাদ বেশি পরিবেশন করে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি পাহাড়ে তিনবার চাকরি করেছি। ক্যাম্প কমান্ডার ছিলাম, সিও ছিলাম ও বিগ্রেড কমান্ডার ছিলাম। পাহাড়ে অশান্ত তো আপনারা দেখেনই। এখন ওই তুলনা করতে গেলে পাহাড় এখন পুরোটাই শান্ত। এই ছোটখাটো অপহরণ আমাদের প্লেইন ল্যান্ডেও (সমতল) তো হচ্ছে। খালি পাহাড়ের কেন দোষ দেন। পাহাড় আগের থেকে অনেক ভালো অবস্থায় আছে, অনেক শান্ত আছে। আমি বাঘাইহাটে ছিলাম। সেখানে ল্যান্ডমাইন দিয়ে একসঙ্গে পিকআপ উড়াই দিছে। তিনজন, চারজন করে মারা গেছে। সেসময় এই খবরগুলো আসেও নাই প্লাস ওই এলাকায় এক্সেসেবিলিটিও ছিল না। কিন্তু এখন তো পাহাড়ের অবস্থা এতো ভালো-আল্লাহ দিলে ওই রাস্তা দিয়ে আপনারা সাজেক চলে যাচ্ছেন।

মাহফুজ/

 

 

দেশে জিনোম সিকোয়েন্সিং-ভিত্তিক ক্যান্সার নির্ণয় সেবা চালু

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫৯ পিএম
দেশে জিনোম সিকোয়েন্সিং-ভিত্তিক ক্যান্সার নির্ণয় সেবা চালু
ছবি: সংগৃহীত

দেশে শুরু হচ্ছে অত্যাধুনিক নেক্সট-জেনারেশন সিকোয়েন্সিং (এনজিএস)-ভিত্তিক ক্যান্সার নির্ণয় সেবা। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) থেকে রাজধানীর মহাখালী, মিরপুর, মতিঝিল, ধানমন্ডি, উত্তরা, নিকেতন, গুলশান এবং বারিধারায় অবস্থিত আইসিডিডিআরবি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বুথে নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

এ সম্পর্কিত তথ্যের জন্য [email protected] ই-মেইলে, বা (+৮৮০) ১৭১৩২৮৮০৮৬ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে। বুধবার আইসিডিডিআরবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- দেশে সঠিক ও সহজলভ্য ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে এটি একটি বড় অগ্রগতি। দেশের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের দীর্ঘদিনের চাহিদা ছিল বিদেশে না পাঠিয়ে দেশেই যেন অত্যাধুনিক নির্ভরযোগ্য জিনোম সিকোয়েন্সিং-ভিত্তিক ক্যান্সার পরীক্ষা চালু করা সম্ভব হয়। বর্তমানে অনেক রোগীকে ক্যান্সার পরীক্ষার জন্য বিদেশে নমুনা পাঠাতে হয় ও রিপোর্টের জন্য ৪-৫ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হয়, যা অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল। আবার অনেক ক্ষেত্রে ফলাফলও নির্ভরযোগ্য হয় না। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে- দুই সপ্তাহের মধ্যেই মানসম্পন্ন রিপোর্ট প্রদানের মাধ্যমে ব্যক্তিভিত্তিক চিকিৎসা ব্যাবস্থাপনায় চিকিৎসকদেরকে সহায়তা করবে। রিপোর্টে ক্যান্সার আক্রান্তদের চিকিৎসায় সম্ভাব্য কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতির নির্দেশনাও যুক্ত থাকবে। 

আইসিডিডিআরবি এর সংক্রামক রোগ বিভাগের সিনিয়র বিজ্ঞানী ও ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র পরিচালক ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা বাংলাদেশে নির্ভুল ও সহজলভ্য ক্যান্সার নির্ণয়ের লক্ষ্যে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের প্রতিশ্রুতি হলো ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ও রোগীদের জন্য সময়োপযোগী ও নির্ভরযোগ্য ফলাফল প্রদান করা, যা ক্যান্সার চিকিৎসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশাবাদী।

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে প্রতি লাখে ১০০ জনেরও বেশি ক্যান্সারে আক্রান্ত। বিলম্বে নির্ণয় রোগীকে ঝুঁকিতে ফেলে। শুরুতে নির্ণয় হলে সুস্থ হওবার সম্ভাবনা বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে।

আরিফ সাওন/মাহফুজ