ঢাকা ১০ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১০:১০ পিএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ১০:১৪ পিএম
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনের গাজায় ট্রাম্পের মদদে ইসরায়েলের বর্বর হামলা ও ভারতে মুসলমানদের নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর। ছবি: খবরের কাগজ

গাজায় ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের নির্মম গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল করেছে হেফাজতে ইসলামী, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিসহ (সিপিবি) বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। 

শুক্রবার (২১ মার্চ) বাদ জুমা অবিলম্বে গাজায় হামলা বন্ধের দাবিতে পৃথকভাবে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে দল ও সংগঠনগুলো। এ ছাড়া বিবৃতিতে হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি।

মিছিল থেকে জাতিসংঘ, আবর লিগ, ওআইসি, কমনওয়েলথসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ফিলিস্তিনে গণহত্যার দায়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অবিলম্বে হামলা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। 

বিশ্ব সম্পদ্রায়কে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান বিএনপির
গাজা উপত্যকায় নির্মম হত্যা ও রক্তপাত বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের সম্প্রসারণবাদী আগ্রাসন বন্ধ করে সেখানে জনগণের জানমালের নিরাপত্তাসহ শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বিশ্বসম্প্রদায়কে আরও বেশি সোচ্চার হতে হবে।’ গাজায় ইসরায়েল সেনাদের হামলায় অসংখ্য ফিলিস্তিনি জনগণ ও শিশু হতাহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ এবং তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এই বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব। 

জাতিসংঘ থেকে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে
বায়তুল মোকাররমের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে আমরা জাতিসংঘের কাছ থেকে নিষেধাজ্ঞার দাবি জানাচ্ছি। মুসলিম রাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠনগুলো ফিলিস্তিন রক্ষায় এগিয়ে আসুন।’ 

তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের পাশাপাশি ভারতেও মুসলমানদের ওপর দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। আওরঙ্গজেবের সমাধিতে ভারত যদি কোনো আঘাত করে, তাহলে এ দেশের মানুষ তা মেনে নেবেন না। ভারত ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং পাসপোর্টে আবার এক্সেপ্ট ইসরায়েল শব্দ পুনর্বহাল করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের মদদে ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে
খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের মদদে ইসরায়েল যুগের পর যুগ ধরে গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক বিশ্ব ইসরায়েলকে যুদ্ধ বন্ধে বাধ্য করতে ব্যর্থ হয়েছে। গণহত্যার দায়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আন্তর্জাতিক আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করতে জাতিসংঘের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।’ উদ্বাস্তুদের মানবিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান আহমদ আলী কাসেমী। খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন যুগ্ম মহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম।

ইসরায়েল হামলায় সরকারের প্রতিবাদ দায়সারা 
ইসরায়েল সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনজুড়ে যে বর্বর হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করছে, তার প্রতিবাদে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ‘দায়সারা’ বিবৃতি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রিন্স বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ছিল অত্যন্ত কড়া ভাষায় এই হামলার প্রতিবাদ করা। কিন্তু কার্যত সেটি হয়েছে অত্যন্ত দায়সারা প্রকৃতির।’ সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরীও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।

খনিজ সম্পদ দখলে ইসরায়েলকে ব্যবহার করছে আমেরিকা
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে সমাবেশ করে দলটি। এতে বক্তব্য রাখেন দলের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জান রতন, সদস্য জুলফিকার আলী ও নগর কমিটি সদস্য খালেকুজ্জামান লিপন। সমাবেশে বাসদ নেতারা বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের তেল ও খনিজসম্পদের দখল এবং ওই অঞ্চলে সামরিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য ইসরায়েলকে ব্যবহার করছে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা। সে জন্য অস্ত্র-অর্থসহ সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে দেশটি।

এই সংকট গোটা ইসলামি বিশ্বের
ফিলিস্তিনের সংকট কেবল ফিলিস্তিনের জনগণের সংকট নয়, এটা গোটা ইসলামি বিশ্বের সংকট। তাই বিশ্বের সব মুসলমানকে এই সংকট নিরসনে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আন্তর্জাতিক আল-কুদস দিবস উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কুদস ও ফিলিস্তিনের মুক্তি: অব্যাহত প্রতিরোধের অনিবার্যতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। আল-কুদস কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের মুজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাকিব মুহাম্মাদ নাসরুল্লাহ, বিশেষ অতিথি ইরান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. শাহ কাউছার মুস্তাফা আবুলউলায়ী।

ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর
চট্টগ্রাম: ফিলিস্তিনের গাজায় ট্রাম্পের মদদে ইসরায়েলের বর্বর হামলা ও ভারতে মুসলমানদের নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর। সমাবেশে ইসরায়েলের পণ্য বয়কট করার আহ্বান জানান হেফাজত নেতারা। বাদ জুমা আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদের উত্তর গেটে সমাবেশটি হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের নায়েব আমির মাওলানা আলী ওসমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা নাসির উদ্দিন মনির, সহ-প্রচার সম্পাদক মাওলানা সায়েমউল্লাহ, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা কামরুল ইসলাম, সহ-অর্থ সম্পাদক মাওলানা ফয়সাল প্রমুখ। এ ছাড়া একই দাবিতে মিরসরাই উপজেলায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 
যশোর: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টি বিক্ষোভ মিছিল করে। দুপুরে শহরের রেলগেট মডেল মসজিদ থেকে মিছিল শুরু হয়ে দড়াটানা ভৈরব চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘পশ্চিমা মানবতাবাদীরা সব জায়গায় মানবতার ফাঁকা বুলি ওড়ান। অথচ ফিলিস্তিনের বেলায় তাদের মানবতা কাজ করে না।’ বিশ্বের সব দেশকে তাদের নীরবতা ভেঙে মজলুম ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

নোয়াখালী: বাদ জুমা জেলার জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন? জাতিসংঘ জবাব দে’, ‘ইসরায়েল নিপাত যাক ফিলিস্তিন মুক্তি পাক’, ‘বিশ্বের মুসলিম এক হও লড়াই করো’, ‘বদরের হাতিয়ার গর্জে ওঠো আরেক বার’, ‘গাজায় হামলা কেন? স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত করে তোলেন। মিছিলে অংশ নেন শিবিরের কেন্দ্রীয় শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পাদক হাফেজ আবু মূসা, নোয়াখালী শহর সভাপতি হাবিবুর রহমান আরমান, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম, নোয়াখালী জেলা (উত্তর) সভাপতি মো. দাউদ ইসলাম, জেলা (দক্ষিণ) সভাপতি মো. সাইফুর রসূল ফুয়াদ প্রমুখ।

লক্ষ্মীপুর: ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্রশিবির। এতে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা নাসির উদ্দিন মাহমুদ, শহর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট আবুল ফারাহ নিশান, শহর শিবিরের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, সেক্রেটারি আবদুল আউয়াল হামদু প্রমুখ।

মাদারীপুর: শান্তিচুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নারী ও শিশুসহ নিরীহ নিরস্ত্র মুসলিম হত্যা ও ভারতের নাগপুরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন শিবচর উপজেলা। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েল ও ভারতকে কটাক্ষ করে বিভিন্ন স্লোগান দেন ও মুসলিমদের ওপর হামলা এবং নির্যাতন বন্ধের আহ্বান জানান। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শিবচর শাখার সভাপতি মাওলানা জাফর আহমেদ, মাওলানা রফিকুল ইসলাম মোল্লা, বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিনসহ ছাত্ররা।

নাটোর: ইসরায়েল বাহিনীর চলমান গণহত্যা এবং ভারতের নাগপুরে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে নাটোরে পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম নাটোর ও সিংড়া উপজেলা এবং লালপুর উপজেলা। মিছিলে অংশ নেন সিংড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুফতি জাকারিয়া মাসউদ, পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা সাদরুল উল্লাহ, জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আফছার আলী, হেফাজতে ইসলামের অর্থ সম্পাদক মুফতি রুহুল আমিন প্রমুখ।
এ ছাড়া ফিলিস্তিনে ইসরায়লে গণহত্যার প্রতিবাদে গোপালগঞ্জ ও পিরোজপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মাহফুজ/

সিলেট-রিয়াদ ফ্লাইট চালুর দাবি

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২১ পিএম
সিলেট-রিয়াদ ফ্লাইট চালুর দাবি
ছবি: খবরের কাগজ

সাত লাখ সিলেটি প্রবাসী ও বৈদেশিক বাণিজ্যের স্বার্থে সিলেট-রিয়াদ ফ্লাইট চালুর দাবি জানিয়েছেন রিয়াদ কমিউনিটি নেতারা। 

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন তারা।

এ সময় তারা জানান, শুধুমাত্র সিলেট-রিয়াদ সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় অনেক ধরনের হয়রানি ও বিপুল পরিমাণ আর্থিক লোকসানের শিকার হচ্ছেন প্রবাসী সিলেটিরা।

সংবাদ সম্মেলনে রিয়াদ কমিউনিটি নেতাদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য দেন হাফিজ ফুজায়েল আহমদ।

তিনি জানান, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে প্রায় ৩৫ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছেন। যারা দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রেখে যাচ্ছেন। এর মধ্যে দেশটির রাজধানী রিয়াদে রয়েছেন সিলেট বিভাগের প্রায় ৭ লাখ প্রবাসী। বিপুল সংখ্যক এই প্রবাসীরা নানা ধরনের বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার। রিয়াদের সঙ্গে সিলেট থেকে বাংলাদেশ বিমানের সরাসরি ফ্লাইট না থাকায়, বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বিদেশি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে দেশে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে অর্থনৈতিক আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ।

প্রবাসী নেতারা বলেন, বাংলাদেশ বিমানের সিলেট-রিয়াদ ফ্লাইট চালু হলে সিলেট বিভাগের ৭ লাখ প্রবাসীর দেশে যাতায়াত সুগম হওয়ার পাশাপাশি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের সঙ্গে পুণ্যভূমি সিলেটের সরাসরি সংযোগের ফলে এই অঞ্চলের বাণিজ্যিক প্রবৃদ্ধি দ্রুত বেড়ে যাবে । সিলেটের চা, ফলমূল, শাক-সবজি, মাছ ও কৃষিসহ বিভিন্ন পণ্য সরাসরি রপ্তানি করা যাবে রিয়াদ ও সৌদি আরবে। এটার জন্য সৌদি আরবের কোনো অ্যাজেন্সিও ছাড়াই সিলেটের ব্যবসায়ীরা নিজেরাই রপ্তানি করতে পারবেন। এতে তৃণমূল পর্যায়ের খামারি থেকে নিয়ে রপ্তানিকারক সবাই উপকৃত হবেন।

সংবাদ সম্মেলনে রিয়াদ কমিউনিটি নেতারা আরও জানান, এ বিষয়ে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে দাবি না জানালেও তৎকালীন বিমানমন্ত্রী মির নাসির এবং বিমানের সিলেটের ব্যবস্থাপক সোয়েব আহমদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে তাদেরকে আশ্বস্তও করা হয়েছিল।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশে বাণিজ্যের প্রসার ও বিনিয়োগ বাড়াতে তৎপরতা চালাচ্ছে বিধায় সিলেট- রিয়াদ সরাসরি ফ্লাইট চালু যুগান্তকারী পদক্ষেপ হতে পারে এবং এ বিষয়ে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং সর্বোপরি সরকারের কার্যকর উদ্যোগ নিয়ে দেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর পথকে সুগম করার আহ্বান জানান নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে রিয়াদ কমিউনিটি নেতাদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন সৌদি আরবের সভাপতি কাপ্তান হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বদরুল আলম মুকিত, সিলেট বিভাগ গণদাবি পরিষদ নেতা আব্দুল গফ্ফার, সিলেট সদর উপজেলা বিএনপি সভাপতি আবুল কাশেম ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল আজিজ, রিয়াদ খেলাফত মজলিশ নেতা আলী নূর, সৌদি আরব বিএনপি নেতা জুনেদ আহমদ প্রমুখ।

মেহেদী/

শব্দদূষণ রোধে চাই সামাজিক আন্দোলন: রিজওয়ানা হাসান

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম
শব্দদূষণ রোধে চাই সামাজিক আন্দোলন: রিজওয়ানা হাসান
আগারগাঁওয়ের পরিবেশ অধিদপ্তরে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের ৩য় সংশোধনীতে উপযুক্ত কার্যক্রম নির্ধারণের লক্ষ্যে’ আয়োজিত পরামর্শমূলক কর্মশালায় বক্তব্য রাখছেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: খবরের কাগজ

শব্দদূষণ রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, ‘শব্দদূষণ রোধে আমাদের ‘লাউড কালচারের’ বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, যেমনটি অন্যান্য সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে গড়ে উঠেছে।’

বুধবার (২৩ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ের পরিবেশ অধিদপ্তরে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের ৩য় সংশোধনীতে উপযুক্ত কার্যক্রম নির্ধারণের লক্ষ্যে’ আয়োজিত পরামর্শমূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথি রিজওয়ানা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘রাস্তার পাশে হঠাৎ করেই কেউ উচ্চস্বরে চিৎকার করে কথা বলা, যানবাহনে অতিরিক্ত হর্ন বাজানো কিংবা মাইক ব্যবহারে সীমালঙ্ঘন-এগুলো শুধু আইন লঙ্ঘন নয়, এগুলো আচরণগত অবক্ষয়ও বটে। আচরণ পরিবর্তনের জন্য গণসচেতনতা সৃষ্টি এখন সময়ের দাবি।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর এলাকা থেকে শুরু করে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ‘নিরব এলাকা’তে শব্দদূষণ রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে জনগণকে জানাতে হবে-শব্দদূষণও এক ধরনের সহিংসতা, যার পরিণতি মারাত্মক।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিটি মোটরসাইকেল, প্রটোকল গাড়ি কিংবা ব্যক্তিগত যানবাহনের ব্যবহারকারীকেই বুঝতে হবে-তার অপ্রয়োজনীয় হর্ন বা গান চালানো অন্যের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। শব্দদূষণ থেকে রেহাই পেতে হলে আমাদেরকে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে।’

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ ও অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. খায়রুল হাসান। কর্মশালায় বিভিন্ন দপ্তরের নীতিনির্ধারক, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধি, পরিবেশবিদ এবং সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু বাস্তবসম্মত পরামর্শ উঠে এসেছে, যা প্রকল্পের পরবর্তী ধাপে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

জয়ন্ত/পপি/

দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার: চিফ প্রসিকিউটর

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৭ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৭ পিএম
দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার: চিফ প্রসিকিউটর
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলা। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য দ্বিতীয় আরেকটি ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

চিফ প্রসিকিউটর জানান, এ বিষয়ে এখন কাজ চলমান রয়েছে। এখন একটি ট্রাইব্যুনালে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। নতুন আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে বিচার কার্যক্রম আরো তরান্বিত হবে।

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারিক কার্যক্রম এখন চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। যেখানে প্রসিকিউশন টিমে চিফ প্রসিকিউটরসহ মোট ১৭ জন প্রসিকিউটর রয়েছেন। আর ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায়  মোট তদন্তকারী কর্মকর্তার সংখ্যা বর্তমানে ২৪ জন।

প্রসিকিউশনের দেওয়া গত ১০ এপ্রিলের তথ্য অনুযায়ী জুলাই আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধসহ মোট ৩ শতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। যেখানে ৩৯টির তদন্ত কার্যক্রম (কমপ্লেইন্ট রেজিস্টার অনুসারে) চলমান। তদন্তের প্রাথমিক সত্যতার আলোকে মিস কেইস হয়েছে ২২টি। এইসব মিস কেইসে সর্বমোট অভিযুক্ত ব্যক্তি ১৪১ জন।

যাদের মধ্যে গ্রেপ্তার রয়েছেন ৫৪ জন আর ওয়ারেন্ট ভুক্ত পলাতক আসামী ৮৭ জন।

চারটি মামলার তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। মামলাগুলো হলো আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনা, চানখারপুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনা, রামপুরা কার্নিশে ঝুলে থাকা গুলির ঘটনা ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘এ সকল মামলায় স্বল্পতম সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হতে পারে। তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক গৃহীত হওয়ার সাথে সাথেই আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।’

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে আন্দোলন শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের এক রায়কে কেন্দ্র করে ফুঁসে ওঠে ছাত্র সমাজ। এক পর্যায়ে তা গণআন্দোলনে রূপ নেয়। এ আন্দোলন নির্মূলে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে হত্যা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে।

টানা ৩৬ দিনের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন হয়। আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। সূত্র: বাসস

রাজধানীতে আ.লীগ-ছাত্রলীগের ১০ জন গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৯ এএম
রাজধানীতে আ.লীগ-ছাত্রলীগের ১০ জন গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন যুবলীগের সহ-সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন তোফায়েল (৪৬), ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক মো. ফয়সাল হোসেন রকি (১৯), হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন মিয়াজী (৬৩), বংশাল থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. চাঁন মিয়া (৬০), উত্তরখান থানা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক জয়দেব চন্দ্র দাস (৫০), উত্তরখান থানা আওয়ামী লীগের কর্মী মো. শিপন সরকার (৩৩), ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. আবু হানিফ (৪৫), কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী হক (৫১), যাত্রাবাড়ী থানা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মো. তাওহিদুল ইসলাম (২৯) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬১ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি রবিন শিকদার (৩০)।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আসছিলেন। গত সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি সারা দেশে ক্লাস বর্জনের ডাক, রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ আজ

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৫ এএম
সারা দেশে ক্লাস বর্জনের ডাক, রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ আজ
সারা দেশে আজ ক্লাস বর্জনের ডাক শিক্ষার্থীদের। ছবি: সংগৃহীত

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের অনশনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বুধবার (২৩ এপ্রিল) সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। 

এ ছাড়া ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও বিকেলে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ পালনের কথা রয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাত সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচি থেকে ওই কর্মসূচি ঘোষণা দেন ঢাবির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক ইবনে মোহাম্মদ। 

তিনি বলেন, ‘কুয়েটের অনশনরত শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর মুখে রেখে আমরা ক্লাস-পরীক্ষায় বসতে চাই না। বুধবার (আজ) সব ক্যাম্পাসে কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল এবং সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুধু ক্লাস বর্জনের কর্মসূচি পালন করা হবে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে রাজু ভাস্কর্যে বিকেল ৩টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।’

রাত ১২টা ৩ মিনিটে কুয়েটে অনশনরত শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল সৈকত ভার্চুয়ালি শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচিতে যুক্ত হন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাদের এক দফা দাবি কুয়েট ভিসি মাসুদের পদত্যাগ। ইতোমধ্যে এ দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সারা দেশে অনেক শিক্ষার্থী অনশনে বসেছেন। এ ছাড়া শাহবাগে যারা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেছেন তারাসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা নেই। এটা ভবিষ্যতে স্বৈরাচারদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা যাতে জুলাইয়ের স্পিরিট ধারণ করে থাকতে পারি। কুয়েট একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবদুন নূর তুষার, চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) শিক্ষার্থী আহনাফ তাহমিদ ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন জাবেদ বক্তব্য রাখেন। তাদের বক্তব্য রাখার পর রাত সোয়া ১২টার দিকে শাহবাগের অবরোধ তুলে নিলে যানচলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এর আগে রাত ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাত সাড়ে ১০টায় শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা। এতে ঢাবি, বুয়েটসহ রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

এদিকে একই দাবিতে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আমরণ অনশনে বসেছেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ১০-১২ জন নেতা-কর্মী। এ ব্যাপারে খবরের কাগজের সঙ্গে কথা হয় অনশনে বসা গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মুখ্য সংগঠক ও ঢাবি শিক্ষার্থী তাহমিদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কুয়েটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিকেল ৫টা থেকে আমাদের প্রতীকী অনশন কর্মসূচি শুরু হয়। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি কুয়েটের অনশনরত শিক্ষার্থীদের অবস্থা বেশ খারাপের দিকে। ইতোমধ্যে ৪ জন হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছেন। দুজনের অবস্থা বেশ গুরুতর। তাই আমরা প্রতীকী অনশনে না থেকে আমরণ অনশনে বসেছি। যতক্ষণ না পর্যন্ত কুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে, আমরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাব।’