
এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠেয় বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক আয়োজনের উদ্দেশ্যে নয়াদিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ঢাকা।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ভারতের সংবাদমাধ্যম এএনআই এ তথ্য জানিয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এএনআইকে বলেন, ‘বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে আমাদের দুই নেতার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে আমরা ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ করেছি।’
কিন্তু ওই সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে সাইডলাইনে কোনো বৈঠক হবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি নয়াদিল্লি। ওই বৈঠক নিয়ে এক ধরনের দ্বিধায় রয়েছে মোদি প্রশাসন।
শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে ভারতের রাজধানীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি বলেছেন, ‘যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা আপনারা জানতে চাইছেন, সে ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমার কাছে শেয়ার করার মতো কোনো আপডেট নেই।’
আগামী ২ থেকে ৪ এপ্রিল ব্যাংককে বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর জোট বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, এখনই দুই দেশের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের মধ্যে মুখোমুখি বৈঠক করাটা ঠিক হবে কি না, তা নিয়ে ভারত সরকারের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে স্পষ্টতই দ্বিধাবিভক্তি রয়েছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকেও ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদির বৈঠক আয়োজনের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু ভারত তাতে সাড়া দেয়নি এবং সেই বৈঠকও হয়নি। দুই নেতার মধ্যে অবশ্য মাঝে টেলিফোনে সরাসরি কথাবার্তা হয়েছে।
সর্বোচ্চ পর্যায়ে মুখোমুখি বৈঠক না হলেও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর একাধিকবার বৈঠকে বসেছেন। নিউইয়র্কে তাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। বৈঠক হয়েছে ওমানের রাজধানী মাস্কটেও। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি গত ডিসেম্বরে ঢাকায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন তার প্রতিপক্ষ জসীমউদ্দিনের সঙ্গেও।
সাউথ ব্লকের সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্তার বক্তব্য উদ্ধৃত করে আনন্দবাজার জানিয়েছে, ‘এখন পর্যন্ত এই বৈঠক হওয়া খুবই কঠিন বলে মনে হচ্ছে। তবে এখনো দুই সপ্তাহ বাকি। এর মধ্যে অনেক কিছু ঘটতে পারে। এখনই চূড়ান্ত কথা বলা যাচ্ছে না।’