ঢাকা ১০ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

পুলিশের আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ১২:০৬ এএম
পুলিশের আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশের বার্ষিক আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতা-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) জুমার নামাজের পর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

তিনি বলেন, ‘পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ধর্মীয় চর্চার অনুশীলনের অংশ হিসেবে প্রতি বছরের মতো এবারও আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এটি আমাদের ধর্মের প্রতি নিষ্ঠা ও একাগ্রতার শিক্ষা দেয়।’

আইজিপি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের প্রশংসা করে বলেন, ‘পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালনের ব্যস্ততার মধ্যেও ধর্মীয় চর্চার প্রতি তাদের আগ্রহ প্রশংসনীয়।’

প্রতিযোগিতার বিভিন্ন বিভাগে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

আজান প্রতিযোগিতায়: প্রথম হয়েছেন- র‍্যাব-৮, বরিশালের এএসআই সিরাজুল ইসলাম; দ্বিতীয় হয়েছেন- রাজশাহী মহানগর পুলিশের এএসআই (সশস্ত্র) মো. ওমর ফারুক এবং তৃতীয় (যৌথভাবে) হয়েছেন- চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের এএসআই (নিরস্ত্র) এম মহিউদ্দিন ও  এপিবিএন-৩ এর শিরোমনি, খুলনার নায়েক আবু মুসা।

কেরাত প্রতিযোগিতায়: প্রথম হয়েছেন- এপিবিএন-৩ এর শিরোমনি, খুলনার নায়েক আবু মুসা; দ্বিতীয় হয়েছেন- পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের নায়েক খান হাসিবুর রহমান; তৃতীয় হয়েছেন- রাজশাহী মহানগর পুলিশের এএসআই (সশস্ত্র) মো. ওমর ফারুক। 

নারী পুলিশ সদস্যদের মধ্যে কেরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন- এপিবিএন-১১ এর( উত্তরা) কনস্টেবল নাদিয়া নাসরিন নূপুর। রচনা প্রতিযোগিতায় (‘ইসলাম ও নাগরিকের অধিকার’ বিষয়ক): প্রথম হয়েছেন- পুলিশ সদরদপ্তরে এএসআই (নিরস্ত্র) মো. মারুফুল ইসলাম; দ্বিতীয় (যৌথভাবে) হয়েছেন- ঢাকা মহানগর পুলিশের কনস্টেবল মেহেদী হাসান ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের উচ্চমান সহকারী শেখ রেজাউল কবীর; তৃতীয় হয়েছেন- এপিবিএন-৩ এর শিরোমনি, খুলনার কনস্টেবল মো. ইনামুল হাসান।

অনুষ্ঠানের শেষে বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও পুরস্কার তুলে দেন আইজিপি। বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে বাছাইকৃত প্রতিযোগিরা চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। আয়োজনে বিজয়ীদের আজান ও কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. মতিউর রহমান শেখ। অনুষ্ঠানে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্য ও মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।

শেখ জাহাঙ্গীর/এমএ/

কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি সারা দেশে ক্লাস বর্জনের ডাক, রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ আজ

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৫ এএম
সারা দেশে ক্লাস বর্জনের ডাক, রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ আজ
সারা দেশে আজ ক্লাস বর্জনের ডাক শিক্ষার্থীদের। ছবি: সংগৃহীত

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের অনশনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বুধবার (২৩ এপ্রিল) সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। 

এ ছাড়া ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও বিকেলে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ পালনের কথা রয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাত সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচি থেকে ওই কর্মসূচি ঘোষণা দেন ঢাবির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক ইবনে মোহাম্মদ। 

তিনি বলেন, ‘কুয়েটের অনশনরত শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর মুখে রেখে আমরা ক্লাস-পরীক্ষায় বসতে চাই না। বুধবার (আজ) সব ক্যাম্পাসে কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল এবং সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুধু ক্লাস বর্জনের কর্মসূচি পালন করা হবে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে রাজু ভাস্কর্যে বিকেল ৩টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।’

রাত ১২টা ৩ মিনিটে কুয়েটে অনশনরত শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল সৈকত ভার্চুয়ালি শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচিতে যুক্ত হন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাদের এক দফা দাবি কুয়েট ভিসি মাসুদের পদত্যাগ। ইতোমধ্যে এ দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সারা দেশে অনেক শিক্ষার্থী অনশনে বসেছেন। এ ছাড়া শাহবাগে যারা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেছেন তারাসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা নেই। এটা ভবিষ্যতে স্বৈরাচারদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা যাতে জুলাইয়ের স্পিরিট ধারণ করে থাকতে পারি। কুয়েট একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবদুন নূর তুষার, চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) শিক্ষার্থী আহনাফ তাহমিদ ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন জাবেদ বক্তব্য রাখেন। তাদের বক্তব্য রাখার পর রাত সোয়া ১২টার দিকে শাহবাগের অবরোধ তুলে নিলে যানচলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এর আগে রাত ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাত সাড়ে ১০টায় শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা। এতে ঢাবি, বুয়েটসহ রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

এদিকে একই দাবিতে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আমরণ অনশনে বসেছেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ১০-১২ জন নেতা-কর্মী। এ ব্যাপারে খবরের কাগজের সঙ্গে কথা হয় অনশনে বসা গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মুখ্য সংগঠক ও ঢাবি শিক্ষার্থী তাহমিদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কুয়েটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিকেল ৫টা থেকে আমাদের প্রতীকী অনশন কর্মসূচি শুরু হয়। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি কুয়েটের অনশনরত শিক্ষার্থীদের অবস্থা বেশ খারাপের দিকে। ইতোমধ্যে ৪ জন হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছেন। দুজনের অবস্থা বেশ গুরুতর। তাই আমরা প্রতীকী অনশনে না থেকে আমরণ অনশনে বসেছি। যতক্ষণ না পর্যন্ত কুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে, আমরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাব।’

দূষিত বাতাসের শহরে ঢাকা আজ নবম

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৩ এএম
দূষিত বাতাসের শহরে ঢাকা আজ নবম
ছবি: খবরের কাগজ

এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) স্কোরে দূষিত বাতাসের শহরে সারা বিশ্বের মধ্যে ঢাকা আজ নবম স্থানে রয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ১২৪। 

তাই ঢাকার বাতাস আজ সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর।

একই সময়ে ভারতের দিল্লি ২২৮ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, মিশরের কায়রো ২১৮ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় এবং পাকিস্তানের লাহোর ১৮৯ একিউআই স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থান দখল করেছে।

যখন কণাদূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকে, তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘসময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

একিউআই মান ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।

সুমন/

ধানমন্ডিতে শিশু গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২০ এএম
ধানমন্ডিতে শিশু গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

রাজধানীর পশ্চিম ধানমন্ডিতে আকলিমা আক্তার (১২) নামে এক শিশু গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

গৃহকর্তার দাবি, মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে তার ৯তলার ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে নিচে পড়ে আকলিমার মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সংশ্লিষ্টরা।

আকলিমাকে হাসপাতলে নেওয়া গৃহকর্তা আব্দুর রশিদ জানান, তিনি পশ্চিম ধানমন্ডির ১০/এ নম্বর সড়কে (পুরোনো ১৯ নম্বর রোড) ২২/এ নম্বরের একটি ভবনে ৯তলার ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। ৩-৪ দিন আগে নাজমা বেগম নামে এক পূর্ব পরিচিত নারী শিশু আকলিমাকে তার বাসায় কাজের জন্য নিয়ে আসেন। 

এ সময় শিশুর যেকোনো পরিচয়পত্র চাইলে বেগম তাকে জানান, শিশুটি তিন-চার দিন আগে রায়েরবাজার হাইস্কুলের ঢালে কান্না করছিল। তার কেউ নেই, গ্রামের বাড়িও বলতে পারে না। অসহায় হিসেবে কোনো একটা বাসায় কাজে লাগিয়ে দেওয়ার জন্য নাজমাকে অনুরোধ করেছিল আকলিমা। সেখান থেকে নাজমা তাকে ধানন্ডিতে রশিদের বাসায় নিয়ে আসেন।

আব্দুর রশিদ দাবি করেন, মঙ্গলবার বিকেলের দিকে তার স্ত্রী অন্য আরেকটি কাজের মেয়েকে নিয়ে ঘরে বসে টিভি দেখছিলেন। ওই সময় আকলিমা বারান্দা থেকে নিচে পড়ে যায়। বিষয়টি তার স্ত্রী বা বাসার কেউ টের পায়নি। ভবনের দারোয়ান বিষয়টি জানালে আকলিমাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আকলিমা কীভাবে ওপর থেকে নিচে পড়ে গেল তা নিজেরাও জানেন না বলে দাবি করেন তিনি। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশকে অবগত করা হয়েছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যাশৈনুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তখনও বিষয়টি জানেন না বলে জানান। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেবেন বলে জানান ওসি।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস: দেশের ২ অঞ্চলে বয়ে যেতে পারে ঝোড়ো হাওয়া

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৮ এএম
আবহাওয়ার পূর্বাভাস: দেশের ২ অঞ্চলে বয়ে যেতে পারে ঝোড়ো হাওয়া
ছবি: সংগৃহীত

দেশের দুটি অঞ্চলের উপর দিয়ে দুপুরের মধ্যে ৬০ কি.মি. বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

পূর্বাভাসে বলা হয়, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

চলতি সপ্তাহজুড়ে সারা দেশে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় গরম বাড়বে। তবে বিচ্ছিন্নভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।

সুমন/

২০২৫ সালে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ: আইএমএফ

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৮ এএম
২০২৫ সালে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ: আইএমএফ

চলতি বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তবে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে প্রবৃদ্ধি বেড়ে সাড়ে ৬ শতাংশ হওয়ার কথাও বলা হয়েছে সংস্থাটির পূর্বাভাসে। 

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতে প্রকাশিত আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকের সর্বশেষ সংস্করণে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বসন্তকালীন যৌথ সভার দ্বিতীয় দিনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। আইএমএফ সাধারণত পঞ্জিকাবর্ষ ধরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিয়ে থাকে।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকের প্রাপ্ত উপাত্ত ধরে দেশভিত্তিক তথ্যও হালনাগাদ করেছে আইএমএফ। সেখানে বাংলাদেশের জন্য ২০২৫ সালের জিডিপির নতুন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর প্রবৃদ্ধি বেড়ে সাড়ে ৬ শতাংশ হওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

তবে বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয় কিছুদিন আগে চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য সংশোধন করে ৫ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছে।

কয়েক দিন আগে আরেক দাতা সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলেছিল, বাংলাদেশের চলতি অর্থবছরে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে। আইএমএফ জিডিপির প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস আরও কমিয়ে দিল। 

এদিকে আইএমএফ আরও বলছে, চলতি বছরে বাংলাদেশে গড় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ হবে। গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে আছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, গত মার্চে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এক বছর ধরে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২৬ শতাংশ।

আইএমএফের নতুন পূর্বাভাস অনুসারে বৈশ্বিক গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ২ দশমিক ৮ শতাংশ। আর এশিয়ার গড় জিডিপি হতে পারে সাড়ে ৪ শতাংশ।