অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও সামাজিক উদ্যোক্তা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদ সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও সামাজিক উদ্যোক্তা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বিশ্বের প্রভাবশালীদের তালিকায় ‘লিডার্স’ ক্যাটাগরিতে ছয় নম্বরে রয়েছে ড. ইউনূসের নাম। এই তালিকায় শুরুর দিকে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া সেইনবোম এবং বিশ্বের সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি মাস্কের নাম।
প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় স্থান পাওয়া ড. ইউনূসকে নিয়ে টাইম ম্যাগাজিনকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ও সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, ‘ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানে গত বছর বাংলাদেশের স্বৈরশাসক প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর, একজন চেনা নেতা নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস দেশকে গণতন্ত্রের দিকে নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে আসেন।’
“কয়েক দশক আগে, ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ক্ষমতায়ন করতে ইউনূস বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। যা কয়েক লাখ মানুষকে নিজস্ব ব্যবসা শুরু, তাদের পরিবারকে টিকিয়ে রাখতে এবং তাদের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করেছে। এই ক্ষুদ্র ঋণের সুবিধা নেওয়া ৯৭ শতাংশই নারী।”
হিলারি ক্লিনটন টাইমের জন্য লেখা এক প্রবন্ধে ইউনূসের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘তিনি শুধু অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটাননি, বরং বিশ্বের প্রান্তিক মানুষের জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছেন। এখন তিনি আবার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।’
হিলারি লেখেন, এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য যেমন গর্বের, তেমনি ভবিষ্যতের জন্য এক অনুপ্রেরণাও বটে।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন ড. ইউনূস তার দেশের ডাকে আরেকবার সাড়া দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে মুক্ত করতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, মানবাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করছেন, জবাবদিহিতার দাবি জানাচ্ছেন এবং একটি ন্যায়বিচার ও মুক্ত সমাজের ভিত্তি স্থাপন করছেন।’
প্রতিবছর বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির এই তালিকা প্রকাশ করে বিখ্যাত সাময়িকীটি। ১৯৯৯ সাল থেকে প্রতিবছর এই তালিকা প্রকাশিত হচ্ছে। টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে ড. ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংকের ভূমিকা, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তার ক্ষুদ্রঋণ মডেলের বিস্তার ও নারীর ক্ষমতায়নে তার অনন্য অবদান বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সূত্র: টাইম ম্যাগাজিন
এমএ/