ঢাকা ১১ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

রাজধানীতে ১৩৩৪টি টহল পরিচালনা, গ্রেপ্তার ৩৯৩

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ০৯:০৩ পিএম
রাজধানীতে ১৩৩৪টি টহল পরিচালনা,  গ্রেপ্তার ৩৯৩
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গত দুই দিনে ১ হাজার ৩৩৪টি টহল পরিচালনা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ সময় বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৩৯৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ১১৬টি মামলা করা হয়েছে।

শনিবার (২২ মার্চ) ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান। 

তিনি জানান, গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুই দিনে এবং রাতে মহানগরের ৫০টি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে ৩৩ জন ডাকাত, ২২ জন পেশাদার সক্রিয় ছিনতাইকারী, ৪ জন চাঁদাবাজ, ১৮ জন চোর, ৫৫ জন মাদক কারবারি, ৭৩ জন পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ অন্য অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

তাদের তল্লাশি করে বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত ১০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, একটি চাপাতি, দুটি চাকু, একটি রামদা, একটি তলোয়ার, একটি কাটার, একটি ক্যারিং ব্যাগ, ২১টি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, দুটি মোটরসাইকেল, একটি প্রাইভেট কার ও নগদ ৫ লাখ ৬২ হাজার ৬০০ টাকা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া ৭ কেজি ২৯০ গ্রাম গাঁজা, ৭৪৯ পিস ইয়াবা, ২০ গ্রাম হেরোইন, ৬ বোতল ফেনসিডিল, ৭ বোতল বিদেশি মদ, ৭ ক্যান বিয়ার ও ১৬টি মদের খালি বোতল জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় ১১৬টি মামলা এবং যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ডিএমপির ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুই দিনে ডিএমপির ৫০টি থানা এলাকায় জননিরাপত্তা বিধানে দুই পালায় ডিএমপির ১ হাজার ৩৩৪টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে। এর মধ্যে রাতে ৬৮০টি ও দিনে ৬৫৪টি টিম দায়িত্ব পালন করে। টহল টিমগুলোর মধ্যে রয়েছে মোবাইল প্যাট্রোল টিম ৯৫৮টি, ফুট প্যাট্রোল টিম ১৪৬টি ও হোন্ডা প্যাট্রোল টিম ২৩০টি। এ ছাড়া মহানগর এলাকার নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে ডিএমপি কর্তৃক ১৪২টি পুলিশি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়।

মাহফুজ/

শিগগিরই সব সরকারি ভূমি অবৈধ দখলমুক্ত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২২ পিএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২৪ পিএম
শিগগিরই সব সরকারি ভূমি অবৈধ দখলমুক্ত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
কক্সবাজারের বাকখালী নদীর তীরের ময়লার ভাগাড় পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি : পিআইডি

শিগগিরই সব সরকারি ভূমি অবৈধ দখলমুক্ত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বৃহস্পতিবার (২৪  এপ্রিল) কক্সবাজারের বাকখালী নদীর তীরে পৌরসভার ময়লার ভাগাড় পরিদর্শনের পর, সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সংস্থার জন্য বরাদ্দকৃত কক্সবাজারের প্রায় ১২ হাজার একর বনভূমি বন বিভাগের কাছে ফেরত দেওয়া হচ্ছে।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘কক্সবাজারের নদী, বনভূমি ও সি-বিচ দখল ও দূষণমুক্ত করা হবে। প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় (ইসিএ) অনুমতি ছাড়া কোনো কিছু নির্মাণ করা যাবে না। পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনো সরকারি বা বেসরকারি নির্মাণ বিবেচনায় নেওয়া হবে না।’

তিনি বলেন, ‘বিধি লঙ্ঘিত হলে তা আইনিভাবে মোকাবিলা করা হবে। সি-বিচ দখল ও দূষণের লাগাম এখনই না টানলে, এটি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তিতে পরিণত হবে। বর্তমান সরকারের সীমিত সময় বিবেচনায় আমরা কয়েকটি কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করছি।’

রিজওয়ানা আরও বলেন, ‘কক্সবাজারের ৭০০ একর বনভূমি ইতোমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে।  ব্যক্তি মালিকানায় নেওয়া ও ফুটবল একাডেমির জন্য বরাদ্দ  জমি ফেরত আনা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর ৫১ একর জমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সোনাদিয়া দ্বীপে বেজার জন্য বরাদ্দকৃত জমিও বন বিভাগের আওতায় ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহণ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাজমুল আহসান ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন প্রমুখ। সূত্র: বাসস

সুমন/

সব সংস্কারের জন্য ইসি ঐকমত্য কমিশনের ওপর নির্ভর করছে না: সিইসি

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১২ পিএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২৫ পিএম
সব সংস্কারের জন্য ইসি ঐকমত্য কমিশনের ওপর নির্ভর করছে না: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন ও অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইলি। ছবি: খবরের কাগজ

রাজনৈতিক বিষয় ছাড়া বাকি সব সংস্কারের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঐকমত্য কমিশনের ওপর নির্ভর করছে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, নিজেদের ক্ষমতার মধ্যে আছে এমন কিছু নির্বাচনি সংস্কার নির্বাচনের আগে করার উদ্যোগ নিয়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাটি। আর যেগুলো রাজনৈতিক বিষয় আছে সেগুলো ঐকমত্য কমিশন করবে।

অন্যদিকে বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইলি বলেন, ‘বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় তার দেশ।’

এ সময় সিইসি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আমরা কী প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের প্রস্তুতির কথা বিস্তারিতভাবে তাকে জানিয়েছি। সংস্কারের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন মেজর কি কি বিষয়ে আমরা সংস্কার করতে যাচ্ছি। উনারা বলেছেন আমাদের যদি কোনো সাহায্যের প্রয়োজন হয়, ওনাদের জানাতে বলেছেন। আমি বলেছি ইউএনডিপি আমাদের সহায়তা করছে আপনারা এটা দেখেন। দেখার পরে যদি আপনারা কোনো এরিয়ায় ইনভলব হতে চান, হতে পারেন।’

সংস্কারের বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘আমরা ভোটার রেজিস্ট্রেশনকে মেজর হিসেবে দেখেছি। এটা আমরা অলমোস্ট শেষ পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। কেনাকাটার জন্য টেন্ডারের কাজ চলমান রয়েছে। সীমানা নির্ধারণের বিষয়টি আইন সংশোধনের জন্য পাঠানো হয়েছে। রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য ২ মাস সময় বাড়িয়েছি। আচরণবিধি সংশোধন করার চেষ্টা করছি। পর্যবেক্ষকদের নীতিমালা নিয়েও কাজ চলছে।’ 

নির্বাচনি সংস্কারের জন্য আপনারা কি ঐকমত্য কমিশনের মতামতের অপেক্ষা করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘যেগুলো আমাদের ক্ষমতার মধ্যে আছে সেগুলো ইলেকশনের আগে করে ফেলব। যেগুলো রাজনৈতিক বিষয় আছে, সেগুলো আমাদের হাতে নাই। সেগুলো ঐকমত্য কমিশন করবে।’

বৈঠক সম্পর্কে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইলি বলেন, ‘বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে কথা বলা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন ফ্রি ও ফেয়ার প্রত্যাশা করে। আমাদের খুব ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দিতে চায়।’

এর আগেও ইসির সঙ্গে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা বৈঠক করে সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছে। একইসঙ্গে অনেকে নির্বাচনি সহায়তাও দিতে চেয়েছে। ইতোমধ্যে ইউএনডিপি নির্বাচনি উপকরণ দিয়ে সহায়তা দিচ্ছে।

আগামী ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করার লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছে ইসি।

এলিস/সুমন/

মার্চে ৫৯৩ সড়ক দুর্ঘটনায় ৬১২ নিহত: যাত্রী কল্যাণ সমিতি

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫০ পিএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৫ পিএম
মার্চে ৫৯৩ সড়ক দুর্ঘটনায় ৬১২ নিহত: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি

চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬১২ জন নিহত এবং ১ হাজার ২৪৬ জন আহত হয়েছেন। মার্চ মাসে রেলপথে ৪০টি দুর্ঘটনায় ৩৪ জন এবং নৌ-পথে ৮টি দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন।

এ নিয়ে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৬৪১ টি দুর্ঘটনায় ৬৬৪ জন নিহত এবং ১২৫৩ জন আহত হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২২৭ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৫১ জন নিহত ও ২০৮ জন আহত হয়েছেন; যা মোট দুর্ঘটনার ৩৮ দশমিক ২৭ শতাংশ, নিহতের ৪১ দশমিক ০.১ শতাংশ ও আহতের ১৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মার্চ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৪৮ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫০ জন নিহত ও ৩৬৪ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে বরিশাল বিভাগে। ৩১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৮৬ জন আহত হয়েছেন।

মার্চে সড়ক দুর্ঘটনায় কবলিত ৯১০টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১১ দশমিল ৮৬ শতাংশ বাস, ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৫ দশমিক ১৬ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা;  ১০ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

দুর্ঘটনার ধরণ বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩৪ দশমিক ২৩ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩৭ দশমিক ২৬ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। 

রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে প্রাথমিক উৎস থেকে সড়ক দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ডাটা ব্যাংক চালু করা ও স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

জয়ন্ত সাহা/সুমন/

রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলবিরোধী অভিযান, গ্রেপ্তার ১১

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩১ পিএম
রাজধানীতে ঝটিকা মিছিলবিরোধী অভিযান, গ্রেপ্তার ১১
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের ১১ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  

গ্রেপ্তাররা হলেন- বংশাল থানা ৩৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি আসাদুল্লাহ শিপলু (৪৫), ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাকিল আহমেদ (৫৬), ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মো. হাবিবুর রহমান হাবিব (৪৫), ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আসলাম চৌধুরী ইমন (২৪), যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ নেতা ও অর্থ সরবরাহকারী মোবাশ্বের রহমান (৫৫), ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার কুশঙ্গল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমীন (৫৪), সাবেক মেয়র ও কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. কামাল হোসেন শেখ (৬২), উত্তরা পশ্চিম থানা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল (৫৫), বাংলাদেশ স্থল বন্দর শ্রমিক লীগের সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলার তাহেরপুর থানার বালিজুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আজাদ হোসেন (৫২), শেরেবাংলা নগর থানার ৯৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রেজাউল করিম (রানা) ও মিরপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজালাল (৪৫)। 

পুলিশের উপ-কমিশনার তালেবুর রহমান জানান, বুধবার (২৩ এপ্রিল) থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ঝটিকা মিছিল করে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করা এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

জাহাঙ্গীর/পপি/

কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৫ পিএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২৬ পিএম
কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন
কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস কে শরীফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষার্থীদের অনশন ও আন্দোলনের মুখে অবশেষে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস কে শরীফুল আলম পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে। অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে ১৪ এপ্রিল রাতে সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনার জেরে গত রবিবার (২০ এপ্রিল) উপাচার্যের পদত্যাগে শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগ না করায় গত সোমবার থেকে অনশন চালানোর ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীরা প্রায় ৫৮ ঘণ্টা পর তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। 

সুমন/