ঢাকা ৪ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

ঢাকার বাতাসের উন্নতি!

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৫ এএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৬ এএম
ঢাকার বাতাসের উন্নতি!
ছবি: সুমন বিশ্বাস, খবরের কাগজ

এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) স্কোরে দূষিত বাতাসের শহরে সারা বিশ্বের মধ্যে ঢাকা আজ নবম স্থানে রয়েছে।

রবিবার (২৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় মিনিটে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ১৫৯। তাই ঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর।

একই সময়ে পাকিস্তানের লাহোর ২৮৪ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, ভারতের দিল্লি ১৮৬ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় এবং থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই ১৮৫ একিউআই স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থান দখল করেছে।

যখন কণাদূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকে, তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘসময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

একিউআই মান ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।

সুমন/

একাত্তরে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বলল বাংলাদেশ

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৯ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৮ পিএম
একাত্তরে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে বলল বাংলাদেশ
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক। ছবি: পিআইডি

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী বাঙালিদের ওপর যে গণহত্যা চালায়, তার জন্য দেশটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে বলেছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া দেশভাগের সময় পাকিস্তানের কাছে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশের পাওনা রয়েছে, তাও দিতে হবে। ১৯৭০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হয়। সেই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বৈদেশিক অনুদান হিসেবে আসা ২০০ মিলিয়ন ডলারও ফেরত চেয়েছে বাংলাদেশ, যা সে সময় পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা ছিল।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে এ বিষয়গুলো উত্থাপন করা হয়েছে। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান পররাষ্ট্রসচিব জসীম উদ্দিন। 

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘ ১৫ বছর পর বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক (এফওসি) অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব জসিম উদ্দিন এবং পাকিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সে দেশের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ। বৈঠকে বিরোধপূর্ণ ইস্যুগুলোর দ্রুত সমাধান করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নেওয়ার লক্ষ্যে সব বিষয়ে আলোচনা হয়। দুই দেশের মধ্যে সর্বশেষ এ বৈঠক হয়েছিল ২০১০ সালে। 

সংবাদ সম্মেলনে জসিম উদ্দিন জানান, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে পাকিস্তানকে জানানো হয়েছে, এসব অমীমাংসিত বিষয় দ্রুত নিষ্পত্তি হলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশের ১৪টি জেলায় আটকে পড়া ৩ লাখ ২৪ হাজার পাকিস্তানি নাগরিককে ফেরত নেওয়ার বিষয়টিও তোলা হয় বৈঠকে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানি নাগরিকদের মধ্যে ১ লাখ ২৬ হাজার ইতোমধ্যে দেশটিতে ফেরত গেছে এবং যারা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে থাকতে চায় তাদেরও সেই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া, ন্যায্য হিস্যা পরিশোধ এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে আগামীতে আরও আলোচনা চালিয়ে যেতে চায় পাকিস্তান। 

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও লাভের দিকটি বিবেচনা করেই আগামীতে এগিয়ে যাবে। এ জন্য দুই দেশের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রাখাই আমাদের লক্ষ্য। অতীতের মতো আলোচনার পথ যাতে আর বন্ধ হয়ে না যায়, সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি বলেন, আলোচনায় সামরিক সহযোগিতা নিয়েও কথা হয়েছে। এ ধরনের সহযোগিতা নতুন নয়। বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের সামরিক কর্মকর্তারা পাকিস্তান সফরে যান এবং যৌথ সামরিক মহড়াও হয়। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, বিশেষ করে সরাসরি বিমান চলাচলের বিষয়টিও আলোচনায় ওঠে। শিগগিরই দুই দেশের মধ্যে ‘ফ্লাই জিন্নাহ’ এয়ারলাইনসের পরিচালনা শুরু হবে এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশের অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের আরেকটি এয়ারলাইনসও বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইট অপারেট করতে চায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ইতোমধ্যে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রসচিব আরও বলেন, এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে ব্যবসা ও বাণিজ্যের ওপর। বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ছাড়া কৃষি, মৎস্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা করা হয়। দুই দেশের মধ্যে লেখক, ক্রীড়াবিদ, শিক্ষাবিদসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদলের যাতায়াত বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। আঞ্চলিক সংস্থা সার্ককে উজ্জীবিত করতে এবং ইসলামি দেশগুলোর সংগঠন ওআইসিতে উভয় দেশের সক্রিয় ভূমিকা রাখার বিষয়েও বৈঠকে একমত হয় দুই দেশ। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১২ লাখ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে পাকিস্তানের সহায়তা কামনা করা হয়। তিনি বলেন, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দুই দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়। 

এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রসচিব জানান, বৈঠকে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের আসন্ন বাংলাদেশ সফরের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। তিনি আগামী ২৭ ও ২৮ এপ্রিল ঢাকা সফর করবেন। এ সময় দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকে বালাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং পা‌কিস্তানের পক্ষ্যে নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।

রবিউল হক/এমএ/

ভারত থেকে স্থলপথে সুতা আমদানির অস্পস্টতা দূর করতে নতুন প্রজ্ঞাপন

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৪ পিএম
ভারত থেকে স্থলপথে সুতা আমদানির অস্পস্টতা দূর করতে নতুন প্রজ্ঞাপন

ভারতের সুতা আমদানি বন্ধের প্রজ্ঞাপনের নতুন ব্যাখ্যা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআরের নতুন ব্যাখ্যা অনুযায়ী গত ১৩ এপ্রিল বা এর আগে ভারত থেকে স্থলপথে সুতা আমদানির জন্য যারা ঋণপত্র খুলেছেন, তারা আগের মতো স্থলবন্দর দিয়ে ওই সুতার চালান খালাস করতে পারবেন। এমনকি ১৩ এপ্রিল বা এর আগে যারা এ সংক্রান্ত ঋণপত্র সংশোধন করেছেন, তারাও একই সুবিধা পাবেন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) এনবিআর এই আদেশ জারি করেছে।

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল এক প্রজ্ঞাপনে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুবিধা বাতিল করে এনবিআর। যারা ১৩ এপ্রিল বা এর আগে ঋণপত্র খুলেছিলেন, তারা কী করবেন, এ নিয়ে মাঠপর্যায়ের অস্পষ্টতা দূর করতে নতুন ব্যাখ্যা দিল এনবিআরের শুল্ক বিভাগ।

এনবিআরের নতুন আদেশে বলা হয়েছে, যেসব আমদানিকারক ১৩ এপ্রিল বা তার আগে সুতা আমদানির ঋণপত্র স্থাপন করেছেন বা ওই তারিখের আগে সুতা আমদানির ঋণপত্র সংশোধন করেছেন, সেসব ঋণপত্রের পণ্য চালান উক্ত প্রজ্ঞাপনের (১৩ এপ্রিলের প্রজ্ঞাপন) আওতায় পড়বে না।

স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করার দাবি দীর্ঘদিন করেছেন দেশীয় স্পিনিং মিলমালিকরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিন মাস আগে সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া শুরু করে। পরে ট্যারিফ কমিশন থেকে এনবিআর চেয়ারম্যানকে চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে দেশীয় টেক্সটাইলশিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণে সব সীমান্তসংলগ্ন সড়ক ও রেলপথ এবং স্থলবন্দর ও কাস্টমস হাউসের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে সুতা কাউন্ট নির্ণয়ে যথাযথ অবকাঠামো প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত আগের মতো সমুদ্রবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুপারিশ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর স্থলপথে সুতা আমদানি বন্ধ করা সংক্রান্ত আদেশ জারি করে।

 

এনবিআরের ২ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৯ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩০ পিএম
এনবিআরের ২ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
ছবি: সংগৃহীত

অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শীর্ষ পর্যায়ের দুই কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। ৭২১ কোটি টাকা চীন থেকে দেশে এনে রেমিট্যান্স হিসেবে প্রদর্শনের ঘটনায় তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। 

অবসরে পাঠানো ওই দুই কর্মকর্তা হলেন আয়কর বিভাগের (ইনকাম ট্যাক্স উইং) কমিশনার গোলাম কবির ও এনবিআরের সদস্য (চলতি দায়িত্ব) আবু সাইদ মোহাম্মদ মোশতাক। বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলেও তারা বিধি মোতাবেক অবসরজনিত সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন।

তাদের দুজনের বিরুদ্ধেই কর অঞ্চল-৫-এ কর্মরত থাকার সময় বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া আলোচিত ৭২১ কোটি টাকা চীন থেকে দেশে এনে রেমিট্যান্স হিসেবে প্রদর্শনের ঘটনায়ও তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ওই সময়ে তারা কর অঞ্চল-৫-এ দায়িত্বে ছিলেন। দুজন কর্মকর্তারই চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। সরকারি চাকরি আইনে এ ধরনের পরিস্থিতিতে সরকার চাইলে যেকোনো কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাতে পারে। সেই বিধান অনুসারেই তাদের অবসর দেওয়া হয়েছে বলে এনবিআর সূত্র নিশ্চিত করেছে।

 

পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২২ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৬ পিএম
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাণিজ্য ও ব্যবসার সম্ভাবনা খুঁজে বের করার লক্ষ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘কিছু বাধা রয়েছে। আমাদের সেগুলো অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার উপায় খুঁজে বের করতে হবে।’ খবর বাসসের।

উল্লেখ্য, গত ১৫ বছর পরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক সভা হচ্ছে ঢাকায়, যেখানে আমনা বালুচ পাকিস্তান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অতীতের কথা উল্লেখ করে আমনা বালুচ বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগানোর উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের মধ্যে বিশাল আঞ্চলিক বাজার রয়েছে। আমাদের এটি কাজে লাগানো উচিত’। আমনা বালুচ বলেন, ‘আমরা প্রতিবারই সুযোগ হারাতে পারি না। দুই দেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে নিয়মিত ব্যবসা-ব্যবসা (বিটুবি) যোগাযোগ এবং সব পর্যায়ে সফর বিনিময় হওয়ার প্রয়োজন।’

২০২৫ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের শীর্ষ ব্যবসায়ী চেম্বার এফপিসিসিআইয়ের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করেছে এবং এ সময় এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আশা প্রকাশ করেন, এপ্রিলের শেষের দিকে দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের আসন্ন সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তিনি বরাবরই পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার পক্ষে ছিলেন, বিশেষ করে সার্ক কাঠামোর আওতায়। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে আরও বেশি যুব বিনিময় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আদান-প্রদান করা উচিত, যাতে জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার হয়। আমরা অনেকদিন ধরে একে অপরকে মিস করেছি, কারণ আমাদের সম্পর্ক হিমায়িত ছিল। আমাদের সেই বাধা অতিক্রম করতে হবে’।

ড. ইউনূস আরও বলেন, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে নিউইয়র্কে এবং ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ডি-৮ সম্মেলনের ফাঁকে কায়রোতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সঙ্গে তার বৈঠক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অগ্রগতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সার্ক, ওআইসি এবং ডি-৮-এর মতো বহুপাক্ষিক ও আঞ্চলিক ফোরামে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাবে।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফসহ অন্যান্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

খিলক্ষেত-কুড়িল সড়ক ২৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৩ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৬ পিএম
খিলক্ষেত-কুড়িল সড়ক ২৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে
ছবি: সংগৃহীত

এমআরটি লাইন-১ এর ইউটিলিটি স্থানান্তর কাজের জন্য ২৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে খিলক্ষেত থেকে কুড়িল-বসুন্ধরামুখী সড়ক। এ সময় বিকল্প পথ ব্যবহার করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অনুরোধ জানান ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-১) প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কাসেম ভূঞা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমআরটি লাইন-১ এর ইউটিলিটি স্থানান্তর কাজের জন্য ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা থেকে ১৮ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত (মোট ২৯ ঘণ্টা) খিলক্ষেত থেকে কুড়িল ও বসুন্ধরা অভিমুখী যান চলাচল বন্ধ থাকবে। এসময় বিকল্প হিসেবে রেডিসন হোটেলের সম্মুখে ইউটার্ন করে কুড়িল ফ্লাইওভার অথবা অন্য বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

এমআরটি লাইন-১ এর ইউটিলিটি স্থানান্তর প্রকল্পের তিতাস গ্যাসের জরুরি লাইন স্থাপনের কাজ চলমান। এ প্রেক্ষিতে, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ রাত ১২টা পর্যন্ত খিলক্ষেত হতে কুড়িল ও বসুন্ধরা অভিমূখী রাস্তায় যানজট হতে পারে। যানজট এড়াতে বামের লেনের খিলক্ষেত কুড়িল ফ্লাইওভার ব্যবহারের পরিবর্তে রেডিসন হোটেলের সম্মুখে ইউটার্ন করে কুড়িল ফ্লাইওভার ব্যবহার করুন অথবা অন্য বিকল্প সড়ক (দিয়াবাড়ি-মিরপুর ১২ সংযোগ সড়ক) ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

জয়ন্ত সাহা/এমএ/