ঢাকা ১০ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

গাজার শিশুদের স্মরণে ঢাকায় শিশুদের সংহতি সমাবেশ

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৭:১৪ পিএম
গাজার শিশুদের স্মরণে ঢাকায় শিশুদের সংহতি সমাবেশ
ছবি: খবরের কাগজ

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, যার ১৭ হাজারই শিশু। ফিলিস্তিনের সেই শিশুদের আর্তনাদের নানা মুহূর্ত এখন ভাসছে অন্তর্জালে। সেসব মর্মন্তুদ দৃশ্য হৃদয় এফোঁড়-ওফোঁড় করে। তবু স্বাধীন ভূখণ্ড পেতে লড়াই করছে ফিলিস্তিন। 

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সেসব মানুষের সঙ্গে সংহতি জানাতে সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে আয়োজন করা হয় সংহতি সমাবেশ। দৃক পিকচার লাইব্রেরির আয়োজনে এই সমাবেশে শিশু-কিশোর সংগঠন ‘শিশুদের জন্য আমরা’-এর সদস্যরা অংশ নেয়।

মূলত ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধ ও চলমান গণহত্যার প্রতিবাদ জানাতে আয়োজন করা হয় এই সমাবেশ। সকাল ৯টায় ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে শুরু হয় এই সমাবেশ। সমাবেশে আগত শিশুদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড, তাতে ছিল গাজায় নিহত কয়েকজন শিশুর ছবি, সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বার্তাও লেখা ছিল। এ সময় গাজার শিশুদের নিয়ে শিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ানে একটি কবিতা শোনান। 

একুশে পদকজয়ী আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেন, ‘আজকে যেমন বাচ্চারা এই সরোবর মঞ্চে খেলে বেড়াচ্ছে, তেমনি পৃথিবীর সব শিশুর খেলে বেড়ানোর কথা। এমন এক পরিবেশেই তাদের লালনপালন করার কথা আমাদের। কিন্তু ইসরায়েলি আগ্রাসন, যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা এই বাস্তবতা বদলে দিয়েছে।’ 

ফিলিস্তিনের গণহত্যার প্রতিবাদ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের প্রতি আমাদের সমর্থন এবং তাদের মুক্তির জন্য আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। ফিলিস্তিন যুদ্ধ নিয়ে ভবিষ্যতে শিশুরা যখন আমাদের প্রশ্ন করবে, তখন আমরা যেন তাদের সদুত্তর দিতে পারি।’

দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার: চিফ প্রসিকিউটর

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৭ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৭ পিএম
দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার: চিফ প্রসিকিউটর
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলা। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য দ্বিতীয় আরেকটি ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

চিফ প্রসিকিউটর জানান, এ বিষয়ে এখন কাজ চলমান রয়েছে। এখন একটি ট্রাইব্যুনালে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। নতুন আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে বিচার কার্যক্রম আরো তরান্বিত হবে।

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারিক কার্যক্রম এখন চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। যেখানে প্রসিকিউশন টিমে চিফ প্রসিকিউটরসহ মোট ১৭ জন প্রসিকিউটর রয়েছেন। আর ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায়  মোট তদন্তকারী কর্মকর্তার সংখ্যা বর্তমানে ২৪ জন।

প্রসিকিউশনের দেওয়া গত ১০ এপ্রিলের তথ্য অনুযায়ী জুলাই আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধসহ মোট ৩ শতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। যেখানে ৩৯টির তদন্ত কার্যক্রম (কমপ্লেইন্ট রেজিস্টার অনুসারে) চলমান। তদন্তের প্রাথমিক সত্যতার আলোকে মিস কেইস হয়েছে ২২টি। এইসব মিস কেইসে সর্বমোট অভিযুক্ত ব্যক্তি ১৪১ জন।

যাদের মধ্যে গ্রেপ্তার রয়েছেন ৫৪ জন আর ওয়ারেন্ট ভুক্ত পলাতক আসামী ৮৭ জন।

চারটি মামলার তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। মামলাগুলো হলো আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনা, চানখারপুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনা, রামপুরা কার্নিশে ঝুলে থাকা গুলির ঘটনা ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘এ সকল মামলায় স্বল্পতম সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হতে পারে। তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক গৃহীত হওয়ার সাথে সাথেই আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।’

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে আন্দোলন শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের এক রায়কে কেন্দ্র করে ফুঁসে ওঠে ছাত্র সমাজ। এক পর্যায়ে তা গণআন্দোলনে রূপ নেয়। এ আন্দোলন নির্মূলে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে হত্যা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে।

টানা ৩৬ দিনের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন হয়। আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। সূত্র: বাসস

রাজধানীতে আ.লীগ-ছাত্রলীগের ১০ জন গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৯ এএম
রাজধানীতে আ.লীগ-ছাত্রলীগের ১০ জন গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন যুবলীগের সহ-সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন তোফায়েল (৪৬), ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক মো. ফয়সাল হোসেন রকি (১৯), হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন মিয়াজী (৬৩), বংশাল থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. চাঁন মিয়া (৬০), উত্তরখান থানা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক জয়দেব চন্দ্র দাস (৫০), উত্তরখান থানা আওয়ামী লীগের কর্মী মো. শিপন সরকার (৩৩), ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. আবু হানিফ (৪৫), কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী হক (৫১), যাত্রাবাড়ী থানা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মো. তাওহিদুল ইসলাম (২৯) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬১ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি রবিন শিকদার (৩০)।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আসছিলেন। গত সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি সারা দেশে ক্লাস বর্জনের ডাক, রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ আজ

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৫ এএম
সারা দেশে ক্লাস বর্জনের ডাক, রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ আজ
সারা দেশে আজ ক্লাস বর্জনের ডাক শিক্ষার্থীদের। ছবি: সংগৃহীত

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের অনশনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বুধবার (২৩ এপ্রিল) সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। 

এ ছাড়া ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও বিকেলে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ পালনের কথা রয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাত সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচি থেকে ওই কর্মসূচি ঘোষণা দেন ঢাবির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক ইবনে মোহাম্মদ। 

তিনি বলেন, ‘কুয়েটের অনশনরত শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর মুখে রেখে আমরা ক্লাস-পরীক্ষায় বসতে চাই না। বুধবার (আজ) সব ক্যাম্পাসে কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল এবং সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুধু ক্লাস বর্জনের কর্মসূচি পালন করা হবে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে রাজু ভাস্কর্যে বিকেল ৩টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।’

রাত ১২টা ৩ মিনিটে কুয়েটে অনশনরত শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল সৈকত ভার্চুয়ালি শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচিতে যুক্ত হন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাদের এক দফা দাবি কুয়েট ভিসি মাসুদের পদত্যাগ। ইতোমধ্যে এ দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সারা দেশে অনেক শিক্ষার্থী অনশনে বসেছেন। এ ছাড়া শাহবাগে যারা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেছেন তারাসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা নেই। এটা ভবিষ্যতে স্বৈরাচারদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা যাতে জুলাইয়ের স্পিরিট ধারণ করে থাকতে পারি। কুয়েট একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবদুন নূর তুষার, চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) শিক্ষার্থী আহনাফ তাহমিদ ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন জাবেদ বক্তব্য রাখেন। তাদের বক্তব্য রাখার পর রাত সোয়া ১২টার দিকে শাহবাগের অবরোধ তুলে নিলে যানচলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এর আগে রাত ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাত সাড়ে ১০টায় শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা। এতে ঢাবি, বুয়েটসহ রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

এদিকে একই দাবিতে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আমরণ অনশনে বসেছেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ১০-১২ জন নেতা-কর্মী। এ ব্যাপারে খবরের কাগজের সঙ্গে কথা হয় অনশনে বসা গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মুখ্য সংগঠক ও ঢাবি শিক্ষার্থী তাহমিদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কুয়েটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিকেল ৫টা থেকে আমাদের প্রতীকী অনশন কর্মসূচি শুরু হয়। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি কুয়েটের অনশনরত শিক্ষার্থীদের অবস্থা বেশ খারাপের দিকে। ইতোমধ্যে ৪ জন হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছেন। দুজনের অবস্থা বেশ গুরুতর। তাই আমরা প্রতীকী অনশনে না থেকে আমরণ অনশনে বসেছি। যতক্ষণ না পর্যন্ত কুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে, আমরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাব।’

দূষিত বাতাসের শহরে ঢাকা আজ নবম

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৩ এএম
দূষিত বাতাসের শহরে ঢাকা আজ নবম
ছবি: খবরের কাগজ

এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) স্কোরে দূষিত বাতাসের শহরে সারা বিশ্বের মধ্যে ঢাকা আজ নবম স্থানে রয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ১২৪। 

তাই ঢাকার বাতাস আজ সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর।

একই সময়ে ভারতের দিল্লি ২২৮ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, মিশরের কায়রো ২১৮ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় এবং পাকিস্তানের লাহোর ১৮৯ একিউআই স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থান দখল করেছে।

যখন কণাদূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকে, তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘসময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

একিউআই মান ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।

সুমন/

ধানমন্ডিতে শিশু গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২০ এএম
ধানমন্ডিতে শিশু গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

রাজধানীর পশ্চিম ধানমন্ডিতে আকলিমা আক্তার (১২) নামে এক শিশু গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

গৃহকর্তার দাবি, মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে তার ৯তলার ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে নিচে পড়ে আকলিমার মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সংশ্লিষ্টরা।

আকলিমাকে হাসপাতলে নেওয়া গৃহকর্তা আব্দুর রশিদ জানান, তিনি পশ্চিম ধানমন্ডির ১০/এ নম্বর সড়কে (পুরোনো ১৯ নম্বর রোড) ২২/এ নম্বরের একটি ভবনে ৯তলার ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। ৩-৪ দিন আগে নাজমা বেগম নামে এক পূর্ব পরিচিত নারী শিশু আকলিমাকে তার বাসায় কাজের জন্য নিয়ে আসেন। 

এ সময় শিশুর যেকোনো পরিচয়পত্র চাইলে বেগম তাকে জানান, শিশুটি তিন-চার দিন আগে রায়েরবাজার হাইস্কুলের ঢালে কান্না করছিল। তার কেউ নেই, গ্রামের বাড়িও বলতে পারে না। অসহায় হিসেবে কোনো একটা বাসায় কাজে লাগিয়ে দেওয়ার জন্য নাজমাকে অনুরোধ করেছিল আকলিমা। সেখান থেকে নাজমা তাকে ধানন্ডিতে রশিদের বাসায় নিয়ে আসেন।

আব্দুর রশিদ দাবি করেন, মঙ্গলবার বিকেলের দিকে তার স্ত্রী অন্য আরেকটি কাজের মেয়েকে নিয়ে ঘরে বসে টিভি দেখছিলেন। ওই সময় আকলিমা বারান্দা থেকে নিচে পড়ে যায়। বিষয়টি তার স্ত্রী বা বাসার কেউ টের পায়নি। ভবনের দারোয়ান বিষয়টি জানালে আকলিমাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আকলিমা কীভাবে ওপর থেকে নিচে পড়ে গেল তা নিজেরাও জানেন না বলে দাবি করেন তিনি। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশকে অবগত করা হয়েছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যাশৈনুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তখনও বিষয়টি জানেন না বলে জানান। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেবেন বলে জানান ওসি।