
পাবলিক অডিট বিল ২০২৪-এর খসড়ার সমালোচনা করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘প্রস্তাবিত অধ্যাদেশের ধারা-৭ -এ রাজস্ব নিরূপণের যথার্থতা নিরীক্ষার সুযোগ না রাখার ফলে সরকারি রাজস্ব নিরূপণ ও আদায়-সংক্রান্ত বিষয় জবাবদিহির বাইরে থেকে যাবে।
সোমবার (২৪ মার্চ) এক বিবৃতিতে টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কর ফাঁকির অন্যতম উপায় কর কর্মকর্তাদের একাংশের সঙ্গে অসাধু করদাতাদের যোগসাজশের মাধ্যমে প্রতারণামূলক রাজস্ব নিরূপণ, যার অসংখ্য দৃষ্টান্ত বিভিন্ন সময় অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাতের উদ্বেগজনক পরিস্থিতির অন্যতম কারণ হলো যোগসাজশের কর ফাঁকি। এ থেকে উত্তরণের জন্য রাজস্ব নিরূপণ নিরীক্ষাভুক্ত করা অপরিহার্য।’
অন্তর্বর্তী সরকার কোনো প্রকার অনৈতিক চাহিদা বা চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে এ বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশা করেন তিনি।
পাবলিক অডিট বিল ২০২৪-এর খসড়ায় রাজস্ব নিরূপণ ও আদায়ের নিরীক্ষা এবং সিএজি কার্যালয়ের প্রাধান্য ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে সুপারিশ করেছে টিআইবি। টিআইবির পক্ষ থেকে সুপারিশমালা অন্তর্বর্তী সরকারের বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়। টিআইবির সুপারিশ মূলত রাজস্ব ও প্রাপ্তির নিরীক্ষার এখতিয়ার; নিরীক্ষাধীন সব প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর দায় ও জবাবদিহি; সিএজির নিজস্ব জনবল নিয়োগের এখতিয়ার এবং বিধি প্রণয়নের ওপর।
টিআইবির অন্য সুপারিশমালায় রয়েছে- মহাহিসাব নিরীক্ষক গঠিত স্বতন্ত্র তদারকি কমিটিতে সংশ্লিষ্ট খাতের নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা, এই স্বতন্ত্র তদারকি কমিটি তাদের প্রতিবেদন জাতীয় সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিকে জমা দেবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করবে, মহাহিসাব নিরীক্ষক কার্যালয়ের সব জনবল মহাহিসাব নিরীক্ষক কর্তৃক নিযুক্ত হবেন এবং নিজস্ব মানবসম্পদ নীতিমালা অনুসারে পরিচালিত হবে, এরূপ বিধান নিশ্চিত করা।
বিবৃতিতে সিএজি কার্যালয়ের দায়িত্ব পালনে নিরীক্ষাধীন প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তথ্য দেওয়াসহ সার্বিক সহযোগিতার বাধ্যবাধকতা ও ব্যত্যয়ের ক্ষেত্রে জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং ওই অধ্যাদেশ অনুযায়ী বিধি প্রণয়নের এখতিয়ার সিএজির ওপর দেওয়ার বিধান সংযুক্ত করার আহ্বান জানায় টিআইবি।