
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে রাজধানীতে মালিবাগ প্রথম লেনে ১২৮ নম্বর বাড়ির সামনে এক নারী পথচারীর কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কার, টাকা ও মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এর আগে গত ২৪ মার্চ রাতে প্রথম লেনেরই ১১৯ নম্বর কাজী বাড়িতে পুলিশের এক সিআইডি সদস্যের বাসায় ঘটে চুরির ঘটনা। তবে এসব ঘটনার কোনোটিরই তথ্য জানে না বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
কাজী বাড়ির ঈষিকা নারগীস দৈনিক খবরের কাগজকে বলেন, আমাদের বাড়ির যে ফ্ল্যাটে চুরির ঘটনা ঘটেছে, ওই ফ্ল্যাটে একজন সিআইডি সদস্য পরিবার নিয়ে থাকেন। শিশুদের স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রোজার ছুটির শুরুর দিকেই উনার পরিবার গ্রামে চলে যায়। সেই থেকে সিআইডি সদস্য নিজেও বাসায় অনিয়মিত। তবে যে রাতে চুরির ঘটনা ঘটে, তার আগের বিকালেও তিনি বাসায় ঘুরে গেছেন। সোমবার রাতে তাদের বাসার গ্রিল কেটে চোর ঢোকে। বাসা থেকে তাদের টেলিভিশন, স্বর্ণালঙ্কার, টাকা নিয়ে গেছে। সকালে আমরা বাসার নিচের গেট খুলতে গিয়ে দেখি তাদের বাসার জানালার গ্রিল কাটা। তারপর তাদের খবর দেই।
ঈষিকা বলেন, এই ঘটনায় উনি (সিআইডি সদস্য) সম্ভবত থানায় জিডি করেছেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা মালিবাগ নিয়ে নবগঠিত সামাজিক সংগঠন ‘মালিবাগ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’ (এমডব্লিউএস)। সংগঠনের প্রধান তুষার জোয়ার্দার ১২৮ ও ১১৯ নম্বর বাড়ির সাম্প্রতিক উদাহরণ দিয়ে বলেন, হরহামেশাই চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনার খবর পাচ্ছি। নিজের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘গত রবিবার দিনের বেলায় তিনটার দিকে তিনটা টোকাই চুরির উদ্দেশে আমার এক বিল্ডিংয়ের সানসেড দিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল। চোর চোর বলে চিৎকার করতেই তারা চলে গেছে।’
তিনি বলেন, ঈদ সামনে। অনেকেই এখন বাড়ি যাওয়ার জন্যে ভোররাতে সেহেরী খেয়েই বের হবেন। কিন্তু বাসা থেকে বের হলে আবছা অন্ধকার ওই সময়ে ছিনতাইয়ের আশঙ্কা আরও বেশি।’
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাতে প্রধান সড়কে পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেলেও তারা গলিতে ঢোকেন না, চুরি-ছিনতাইকারীরাও তা পর্যবেক্ষণ করে এবং নিশ্চিন্তে অপকর্ম চালিয়ে যায়।
তারা বলেন, কাজী বাড়ির পশ্চিম পাশে গলির কোনা থেকে পূর্বদিকে গলির প্রান্ত পর্যন্ত এই জায়গায় রাতে তো বটেই, দিন দুপুরেও ছিনতাইয়ের আতঙ্ক নিয়ে চলতে হয়।
মালিবাগের সাম্প্রতিক এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জানতে চাইলে, স্থানীয় শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন- গত এক সপ্তাহেও ওই এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। ভূক্তভোগীকে আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন, আমরা ব্যবস্থা নেব।
মাহমুদুল আলম/মাহফুজ