
৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা এবং সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তমাল মনসুরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়া তার নামে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে ১৪টি অ্যাপার্টমেন্টের সন্ধান পেয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা। এসবের বাজারমূল্য প্রায় ৬৩ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুদকের মুখপাত্র ও মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলায় বলা হয়, তমাল মনসুর বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে ৩ কোটি ৩৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তার নিজের তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৩১ হাজার ৫৩৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এসব অর্থ-সম্পদ গোপনে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করা হয়েছে, যা ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এবং ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
মামলায় আরও বলা হয়, নিউইয়র্কের জ্যামাইকা স্ট্রিটে আফতাব স্কাইভিউ টাওয়ারে তমালের ১২টি ফ্ল্যাট ও তিনটি পার্কিং স্পেস রয়েছে, যার মূল্য ৪৯ হাজার ৬০০ মার্কিন ডলার বা ৩৮ কোটি ১৯ লাখ ২০ হাজার টাকা (ফ্ল্যাট কেনার সময়ে ৭৭ টাকা ডলার ধরে)। আছে স্ট্রিট বিটুউইন ও কুইন্স ব্লকে দুটি বহুতল ভবন, যার মূল্য যথাক্রমে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫ কোটি ৯ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ১০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
তমালের বিরুদ্ধে গাজীপুরের শহিদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ১৭৫ কোটি টাকার সরকারি ক্রয়ে নিম্নমানের মালপত্র সরবরাহ করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত বছর ৩ সেপ্টেম্বর অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। সেই অনুসন্ধান চলমান। একই সময়ে তমালের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনেরও অনুসন্ধান করা হয়। অবৈধ সম্পদ-সংক্রান্ত অভিযোগের অনুসন্ধান শেষে বৃহস্পতিবার মামলা করা হলো।
তমাল মনসুর প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের মেজো ছেলে। তিনি মূলত যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন।