
গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেস সচিব-১ মুহাম্মদ আশরাফুল আলম খোকন এবং তার স্ত্রী রেজওয়ানা নূরের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলায় তাদের বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ছয়টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে খোকনের বিরুদ্ধে ১৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ৬ কোটি ১২ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে দুদকের মুখপাত্র ও মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
খোকনের বিরুদ্ধে করা মামলায় বলা হয়, তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিবের দায়িত্বে থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ১৩ কোটি ৩৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮২৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি নিজের নামে দেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রেও বাড়ি কিনেছেন। এ ছাড়া তার নিজের তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫৭২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এসব অর্থ-সম্পদ তিনি গোপনে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করেছেন। ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এবং ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আরেক মামলায় খোকনের স্ত্রী রেজওয়ানা নূর স্বামীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩ কোটি ৮ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৬ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তার নিজের তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৬ কোটি ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৮৩৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। তার বিরুদ্ধে এসব অর্থ-সম্পদ গোপনে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করার অভিযোগ আনা হয়েছে, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ মামলায় খোকনকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।