
পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্তমান এক শতাংশ কোটা পদ্ধতি বাড়িয়ে পাঁচ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছেন পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
শনিবার (৫ এপ্রিল) বান্দরবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্লাটিনাম জয়ন্তী অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি জানান।
উপদেষ্টা বলেন, সমতলের সঙ্গে টিকে থাকতে হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে ৫ শতাংশ কোটার কোনো বিকল্প নেই। সেইসঙ্গে এ অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য মানসম্মত শিক্ষাও জরুরি।
সবাইকে সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে বসবাস করতে চাই। কে মারমা, কে ত্রিপুরা, কে বম জাতি-তা বিভেদ না করে, সবাই মানুষ-এইটাকে ধারণ করে সম্প্রীতি বজায় রেখে সহবস্থানের মাধ্যমে বসবাস করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল সাধারণ জনগণের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করা। ঐক্য ও সম্প্রীতির মাধ্যমে পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে।’
পাহাড়ের পরিবেশের বিষয়ে বলতে গিয়ে পার্বত্য উপদেষ্টা বলেন, পাহাড়ের পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হয়ে উঠছে। পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে। এখনই এ বিষয়ের সচেতন না হলে ভবিষ্যতে আরও খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হবে।
পাহাড়ে শান্তি ও উন্নয়নের জন্য স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখা জরুরি উল্লেখ করে পার্বত্য উপদেষ্টা বলেন, বান্দরবানের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অনন্য। এটিকে বজায় রেখে সব জাতি গোষ্ঠীর সাথে সমন্বয় ও আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে।
অনুষ্ঠানে মোজাম্মেল হক লিটনের সভাপতিত্বে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক এস এম মঞ্জুরুল হক, সেনাবাহিনীর সদর জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এস এম মাহামুদুল হাসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ কাওছার, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম, কমিটির সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন তুষার উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত বান্দরবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্লাটিনাম জয়ন্তী উৎসবে প্রায় দুই হাজারের বেশি সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবক অংশ নেন।
রিজভী/সিফাত/