
জাতীয় সনদ জনগণের রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সময় আমরা টেবিলের দু’প্রান্তে বসলেও আমরা দুই পক্ষ নই। আমরা একপক্ষ, আমাদের লক্ষ্য এক। আমরা রাষ্ট্র সংস্কারের সুনির্দিষ্ট পথ খুঁজে বের করে একটি জাতীয় সনদ তৈরির চেষ্টা করছি।’
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকায় সংসদ ভবন এলাকার এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (বাংলাদেশ)- এনডিএমের আলোচনার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ আরও বলেন, ‘আমাদের পথের ক্ষেত্রে সামান্য ভিন্নতা আছে। আলোচনার মাধ্যমে এই মত ভিন্নতা দূর করা যাবে। যে ঐক্যের মাধ্যমে আমরা একটা ফ্যাসিবাদী শাসনকে পরাস্ত করতে পেরেছি, সেই ঐক্যের জায়গাকে অব্যাহত রেখে তা আরও সুদৃঢ় করতে পারব।’
আলোচনায় এনডিএম-বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদলে আরো ছিলেন দলটির মহাসচিব মোমিনুল আমিন, ভাইস-চেয়ারম্যান ফারুক উজ জামান চৌধুরী, যুগ্ন-মহাসচিব সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার সাহিদুল আজমসহ প্রমুখ।
এদিকে প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৪টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে এবং এ প্রেক্ষিতে ৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে কমিশন।
আগামী ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
এলিস/তাওফিক/