ঢাকা ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

৫ বছর ক্ষমতায় থাকার কথা জনগণ বলেছে, আমি না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫০ পিএম
আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৭ পিএম
৫ বছর ক্ষমতায় থাকার কথা জনগণ বলেছে, আমি না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারকে পাঁচ বছর দেখতে চায়, এমন বক্তব্য আমি দেইনি। সুনামগঞ্জে সাধারণ মানুষ সরকারকে পাঁচ বছর থাকার কথা বলেছেন। সেখানে সবাই এটা শুনেছেন।’

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘মানুষ অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও পাঁচ বছর থাকতে বলছে। এটা আমার কথা না, জনগণের কথা। তবে প্রধান উপদেষ্টা বলেই দিয়েছেন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। এরপর আর কিছু বলার থাকে না।’

এর আগে গত ১০ এপ্রিল সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রচেষ্টা বাড়ানো হয়েছে এবং আরও বাড়বে। রাস্তা থেকে মানুষ বলে যে, আপনারা আরও পাঁচ বছর থাকেন।’

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) প্রধানের পদ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিকের বদলিসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘ডিবি প্রধানকে সরিয়ে দেওয়ার সঙ্গে মডেল মেঘলা আলম ইস্যুর সংশ্লিষ্টতা নেই। এটা রুটিন প্রক্রিয়া। কেউ দায়িত্বে আসবেন, আবার চলেও যাবেন।’

পুলিশের লোগো পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি জানান, পর্যায়ক্রমে পুলিশের পোশাক ও লোগো পরিবর্তন কার্যকর হবে।

 

আগামী বাজেটে কিছু ক্ষেত্রে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫১ পিএম
আগামী বাজেটে কিছু ক্ষেত্রে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান

আগামী বাজেটে কিছু ক্ষেত্রে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তিনি বলেছেন, ‘আগামী বাজেটে একটা সিগনাল পাবেন। আমরা একটু সহনীয় করার চেষ্টা করছি। তবে কিছু ক্ষেত্রে কঠিন পদক্ষেপ নেব।’

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে ‘সামষ্টিক অর্থনীতির দৃষ্টিভঙ্গি এবং রাজস্ব ব্যবস্থা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। 

ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) এবং ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (ফিকি) যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাসরুর রিয়াজ। ইআরএফ সভাপতি দৌলত আক্তার মালার সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ফিকির নির্বাহী পরিচালক নুরুল কবীর প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘অর্থনীতির খারাপ সময়ের মধ্যেও রাজস্ব আদায় বাড়ছে। এপ্রিল শেষে আরও ভালোর দিকে যাবে। আমাদের প্রত্যক্ষ করের পরিমাণ অনেক কম। যেটা সভ্য দেশের লক্ষণ নয়। আমাদের সভ্য হতে হলে প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়াতে হবে। দেশকে বিনিয়োগবান্ধব করতে করের হার অনেক কমিয়েছি। সবার কাছ থেকে যেহেতু কর আদায় করতে পারি না, আবার কর ফাঁকিও যেহেতু হয়, তাই যখনই কোনো পদক্ষেপ নিতে চাই তখন কমপ্লায়েন্ট করদাতারা অভিযোগ করেন।’

তিনি বলেন, ‘যারা কর দেয় না তাদের আমরা নোটিশ করছি। কর আদায়ে ডিজিটালাইজেশন করছি। আগামী বছর থেকে করপোরেট কর অনলাইনে আদায় করব।’

অটোমেশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বন্ডের ক্ষেত্রে পুরোপুরি অটোমেশন করতে পেরেছি। সেন্ট্রাল বন্ডেড হাউসে নানান সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছি। সিঙ্গেল উইন্ডোতে অটোমেশন করছি। এগুলো হলে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন। ব্যবসায়ীরা আমাদের প্রতিনিয়ত কর কমানোর পরামর্শ দেন। তবে আমাদের কর আদায় বাড়াতেই হবে।’ 

আইএমএফের ঋণের কিস্তি প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি অনুমোদনের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এই সুযোগ এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আলোচনা চলছে, আমরা আশাবাদী।’

 তিনি জানান, আগামী ৫ মে ওয়াশিংটনে আইএমএফের স্টাফ লেভেল বৈঠকে ঋণের কিস্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। ২৩ মে সংস্থাটির বোর্ড সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আইএমএফের সঙ্গে কিছু বিষয়ে এখনো আলোচনা বা দর-কষাকষি চলছে। বিশেষ করে বিনিময় হার উন্মুক্ত করার বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে।’

ইশরাক হোসেনের মামলা: ইসির ভূমিকা নিয়ে এনসিপির উদ্বেগ

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
ইশরাক হোসেনের মামলা: ইসির ভূমিকা নিয়ে এনসিপির উদ্বেগ
ইশরাক হোসেন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ নিয়ে ইশরাক হোসেনের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের রায়কে ‘একতরফা রায়’ বলে উল্লেখ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের এমন কার্যক্রম ও তৎপরতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে দলটি। 

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়। এ ছাড়া বিবৃতিতে বিচার বিভাগের মর্যাদা রক্ষা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার বিষয়ে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে এনসিপি। 

বিবৃতিতে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা লক্ষ করেছি উল্লেখিত মামলার প্রথম তিন বছর পাঁচ মাসে ৩২টি তারিখ নির্ধারণ করা হলেও, ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে মাত্র চার মাসে ১৭টি তারিখ দিয়ে মামলাটি তড়িঘড়ি করে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। কিন্তু একই সময়ে অন্যান্য মামলার ক্ষেত্রে এত দ্রুততার সঙ্গে তারিখ ধার্য করা হয়নি। ফলে বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল শুধু এই মামলার একটি পক্ষকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে অন্যায্য সুবিধা দিয়েছেন কি না, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। তদুপরি, মামলার গুরুত্বপূর্ণ হলফনামাগুলো বেআইনিভাবে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সম্পাদন ও দাখিল করে আরজি সংশোধন করে ভিন্নধর্মী প্রতিকার চাওয়া হয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল কোনোরূপ বিচার-বিবেচনা ব্যতিরেক তা গ্রহণ ও মঞ্জুর করেছেন। এ ঘটনাগুলো বিচারিক পদ্ধতির স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’

এ মামলায় কমিশনের ভূমিকা রহস্যজনক ছিল বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এই মামলার বিবাদী হওয়া সত্ত্বেও মামলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি; যার ফলে একতরফা রায় দেওয়া হয়েছে। এমনকি রায়ের পর তারা উচ্চ আদালতে প্রতিকার প্রার্থনা না করে মামলার বাদীকে বিশেষ সুবিধা দিয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। কমিশনের এমন তৎপরতা অস্বাভাবিক ও উদ্বেগজনক। এর আগেও আমরা দেখেছি, নির্বাচন কমিশন তার নিরপেক্ষ আচরণ বজায় রাখার পরিবর্তে এমন সব বক্তব্য দিয়েছে, যা একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দিচ্ছে বলে জনগণ মনে করে।’

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সব পলিটেকনিক শাটডাউন

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৯ পিএম
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সব পলিটেকনিক শাটডাউন
রাজধানীর তেজগাঁও পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা ৬ দফা সংস্কার দাবিতে ক্লাসরুমে তালা মেরে দিয়েছেন। ছবি: খবরের কাগজ

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করবে ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন’। 

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্ল্যাটফর্মের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি মাশফিক ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘রূপরেখা কমিটি গঠন করে দিলেও এখন পর্যন্ত মাত্র একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা কোনো ধরনের সফলতা দেখছি না। কোনো প্রকার তথ্য পাচ্ছি না। ভবিষ্যতে আমাদের দাবিগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন হবে তাও জানতে পারছি না, এই কমিটি দ্রুত কাজ করছে না। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আজকে সারা দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট একযোগে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেছি। আমাদের দাবি আদায়ের রূপরেখা প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশে সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একযোগে এভাবে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করা হবে। একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবনেরসহ সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’

কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি শাহজাদ আহমেদ বলেন, ‘আমাদের ৬ দফার আন্দোলন দীর্ঘ ৮ মাস থেকে চলে আসছে। আমরা বিভিন্নভাবে আশ্বস্ত হয়েছি। কিন্তু দাবি বাস্তবায়নে পরিপূর্ণভাবে সমাধানের দিকে যেতে পারছি না। আমরা সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীসমাজ কোনো দুর্ভোগ তৈরি করিনি। আমরা সহিংস কর্মকাণ্ডে যাইনি। জনদুর্ভোগ তৈরি করিনি। আমরা সম্মিলিতভাবে এই সিদ্ধান্তে উপনীতি হয়েছি, আমরা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কোনো দুর্ভোগে যাব না।’ 

পলিটেকনিক্যাল শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি হলো- জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের নিয়োগ বাতিল এবং নিয়োগবিধি সংশোধন করা; ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সকে মানসম্পন্ন করা এবং যেকোনো বয়সে ভর্তির বিধান বাতিল করা; উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমানের পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পরিবর্তে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মনোটেকনোলজি (সার্ভেয়িং) থেকে পাস করাদের নিয়োগ নিশ্চিত করা; কারিগরি সেক্টরে কারিগরি বহির্ভূত নিয়োগ নিষিদ্ধ করা; ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়’ নামে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করা; উন্নতমানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা।

এসব দাবি বাস্তবায়নে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা ব্লকেড, কফিন মিছিল, শাটডাউনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন।

এনবিআরের নীতি ও বাস্তবায়ন আপাতত আলাদা হচ্ছে না

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৪ পিএম
এনবিআরের নীতি ও বাস্তবায়ন আপাতত আলাদা হচ্ছে না
ছবি: খবরের কাগজ

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নীতি ও বাস্তবায়ন বিভাগ পৃথক করার পদক্ষেপ আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের দাবিদাওয়া বিবেচনায় নিয়ে পৃথক করার অনুরোধ করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের কথা বলার পর মৌখিকভাবে এ আদেশ স্থগিত করা হয়েছে বলে এনবিআর চেয়ারম্যান আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের জানিয়েছেন। 

এনবিআর সূত্র জানায়, এনবিআরের সংস্কার কার্যক্রমে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মতামত না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের ছয় হাজারের বেশি নন-ক্যাডার কর্মকর্তা। সংস্কারের সবচেয়ে বড় অংশীদার হওয়া সত্ত্বেও কোনো আলোচনা ছাড়াই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে এমন অভিযোগ তোলে। 

মঙ্গলবার বাংলাদেশ কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাকাএভ) ও আয়কর পরিদর্শকদের বিভিন্ন সংগঠন থেকে বৈঠক করে এনবিআর চেয়ার‌ম্যানের কাছে তাদের মতামত জানান। এনবিআর সংস্কার ও একে দুভাগে বিভক্ত করার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তারা বলেন, মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মতামত উপেক্ষা করা হয়েছে। এনবিআরের বাইরে থেকে অ্যাডমিন ক্যাডার থেকে দুই ভাগের প্রধানদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, যা তারা মানবেন না বলেও জানিয়ে দেন। এনবিআর থেকে আদায় ও নীতি বিভাগের প্রধান হিসাবে নিয়োগ দিতে হবে। 

তারা আরও বলেন, সংস্কার বাস্তবায়ন করবেন মাঠপর্যায়ের কর্মীরা। তাই সংস্কার এবং এনবিআর পৃথক করা হলে তা কীভাবে বাস্তবায়িত হবে বা কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে, তা মাঠপর্যায়ের হাজার হাজার কর্মকর্তার মতামতের ভিত্তিতেই উঠে আসতে পারত। এ ছাড়া এনবিআর পৃথক হলে মাঠপর্যায়ে কী প্রভাব পড়বে, এখন থেকে কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে, রাজস্ব ঝুঁকি কোথায়, কী ধরনের প্রযুক্তি ও সহায়তা প্রয়োজন- এসব বিষয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল।

কর্মকর্তারা রাজস্ব খাতে কর্মরতদের জন্য রেশন, ঝুঁকি ভাতা, আবাসন ও যানবাহনের সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করেন। রাজস্ব বিভাগের নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের অবহেলার বিষয়টিও তুলে ধরেন। আয়কর ও কাস্টমস-ভ্যাট অনুবিভাগের মাঠপর্যায়ের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার সংখ্যা ছয় হাজারের বেশি হলেও সংস্কার কমিশন তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি বলেও অভিযোগ করেন তারা।

সংগঠনের নেতারা বলেন, রাজস্ব রাষ্ট্রের অক্সিজেন। এনবিআর রাষ্ট্রের আয়ের সিংহভাগ জোগান দেয়। অথচ ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার সময় তাদের কথা কেউ মনে রাখে না। মাঠপর্যায়ে সরাসরি রাজস্ব আহরণে নন-ক্যাডার কর্মকর্তারাই দিনরাত পরিশ্রম করেন, কিন্তু লজিস্টিক সাপোর্ট অপ্রতুল। তবুও তারা লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায়ে বদ্ধপরিকর। তারা মনে করেন, যে বিভাগে সরকারের ব্যয় বিনিয়োগের মতো, সেখানে কর্মীদের মতামত উপেক্ষা করে তড়িঘড়ি করে সংস্কার করা কার স্বার্থে, সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া খসড়া অধ্যাদেশের প্রস্তাব গৃহীত মতামতের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় বলেও অভিযোগ করেন কর্মকর্তারা। অন্যান্য সংস্কার কমিশন সংশ্লিষ্টদের মতামতের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করলেও রাজস্ব বোর্ড সংস্কার কমিশন এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বলে মনে করেন তারা।

সব আইন-বিধি যুগোপযোগীকরণ, রেশন, ঝুঁকি ভাতা, আবাসন, যানবাহন, বদলি নীতিমালা, প্রশিক্ষণ, উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার প্ল্যানিংসহ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণে আলোচনা না করে শুধু এনবিআর দুভাগ করার ফলপ্রসূতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন কর্মকর্তারা। তারা মনে করেন, সব পর্যায়ের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই কেবল টেকসই সংস্কার সম্ভব।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০২ পিএম
আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৪ পিএম
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। ছবি: সংগৃহীত

জনমনে উদ্ভূত বিভ্রান্তি ও বিভিন্ন মহলের অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ইফার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পরবর্তী সময়ে বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি পুনরায় প্রকাশ করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘সম্প্রতি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ কিছু গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ও ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, যা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। 

এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে জানানো যাচ্ছে যে, ‘উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পূর্বে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সিলেকশন কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে- প্রতিটি পদে মাদ্রাসা শিক্ষিত, বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস ডিগ্রিধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার সুযোগ রাখা হবে। সরকারের স্বীকৃতি অনুযায়ী, দাওরায়ে হাদিস ডিগ্রি মাস্টার্স (সমমান) হিসেবে গণ্য।’

এতে বলা হয়, ‘কওমি ধারার শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকে এসএসসি, এইচএসসি বা স্নাতক পর্যায়ের কোনো স্বীকৃত সনদ না থাকায়, সার্বিক বিবেচনায় উচ্চ ও নিম্ন উভয় পদে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিজ্ঞপ্তিটি প্রণয়ন করা হয়। এ ধরনের উদ্যোগ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইতিহাসে এই প্রথম। এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ, যার মাধ্যমে সকল কওমি শিক্ষিতদের জন্য অংশগ্রহণের দ্বার উন্মুক্ত করা হয়েছে।’

সবাইকে এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার এবং দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য ইফার পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সূত্র: বাসস

সুমন/