
ব্রিটেনের লেবারদলীয় এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতি মামলার শুনানিতে ধার্য তারিখে আদালতে হাজির না হলে তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি সূত্র ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলকে এ তথ্য জানিয়েছে। সে ক্ষেত্রে দুদক তাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইতে পারে।
প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে করা মামলায় গত ১৩ এপ্রিল টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে বাংলাদেশের একটি আদালত। আগামী ২৭ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে হাজির হয়ে তাকে জামিন চাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
টিউলিপ সিদ্দিক অতি সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন যে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তার বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে অপপ্রচার’ চালাচ্ছে। এই অভিযোগের পর দুদকের তরফ থেকে ওই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
কেবল টিউলিপ সিদ্দিক নন, ওই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন ও টিউলিপের মা শেখ রেহানার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মামলায় লেবার দলের সাবেক সিটি মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার) টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, তিনি তার খালা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার মা, বড় ভাই ও ছোট বোনকে তিনটি প্লট বরাদ্দ দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেছিলেন। তারা তিনজনই এখন ব্রিটেনে বসবাস করছেন। ঢাকার পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ওই প্লট তিনটি বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ওই তিনজনের বিরুদ্ধেই আদালতে মামলা করা হয়েছে।
দুদকের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ডেইলি মেইলকে বলেন, ‘যদি টিউলিপ সিদ্দিক স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আদালতে আত্মসমর্পণ না করেন, তা হলে দুদক সে ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা অনুসরণ করতে পারে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশের মাধ্যমে তাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে।’
খবরে বলা হয়েছে, ব্রিটেন ১৯২৮ সাল থেকেই ইন্টারপোলের সম্মানিত সদস্য। বাংলাদেশও ওই সংস্থার সদস্য। ফৌজদারি আইনে কেউ আদালতে হাজির না হলে তখন তিনি পলাতক বলে গণ্য হবেন। আর পলাতক ব্যক্তিকে তখন গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড এলার্ট জারি করা যাবে এবং এটি একটি প্রচলিত বৈশ্বিক পদ্ধতি। সেক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পলাতক ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করা সংশ্লিষ্ট দেশের দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায়।
টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের আদালতে তাদের মক্কেলদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। তবে টিউলিপ সিদ্দিক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ দ্ব্যর্থহীনভাবে অস্বীকার করেছেন। স্কাই নিউজিকে বলেছেন, তিনি দুর্নীতি করেছেন এমন কোনো প্রমাণ নেই। সূত্র: ডেইলি মেইল