ঢাকা ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

আলীকদমে ‘বৈসাবি’ উদযাপনে আর্থিক সহায়তা বিজিবির

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৮ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৯ পিএম
আলীকদমে ‘বৈসাবি’ উদযাপনে আর্থিক সহায়তা বিজিবির
ছবি: সংগৃহীত

বাংলা নববর্ষ ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের প্রধান উৎসব ‘বৈসাবি’ উদযাপন উপলক্ষে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের আলীকদম এলাকায় আর্থিক অনুদানসহ নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। 

১২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া বাংলা নববর্ষ ও নৃ-গোষ্ঠীদের প্রধান উৎসব ‘বৈসাবি’ উৎসব ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত উদযাপন করা হচ্ছে। সেখানে বিজিবির আলীকদম ব্যাটালিয়নের (৫৭ বিজিবি) উদ্যোগে স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি জনসাধারণকে আর্থিক অনুদানসহ যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিজিবির সংশ্লিষ্টরা জানান, আলীকদম ব্যাটালিয়নের (৫৭ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মেহেদীর দিক-নির্দেশনায় মদক বিওপি কমান্ডার ক্যাপ্টেন জেড এস. নাহিয়ান এবং বুলুপাড়া বিওপির ক্যাপ্টেন আল-শাহরিয়ার সিয়ামের নেতৃত্বে ওই আর্থিক অনুদান এবং বিজিবি টহলদল নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এসময়ে আলীকদম ব্যাটালিয়নের আওতাধীন মদক বিওপির (বর্ডার আউট পোস্ট) দায়িত্বপূর্ণ বড় মদকপাড়া, পাইমং পাড়া, ঊষামং পাড়া, পুসাতং পাড়া ও বুলুপাড়া এবং পানঝিরি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ বিভিন্ন পাড়ায় বসবাসরত স্থানীয় নৃ-গোষ্ঠী জনসাধারণের মাঝে ‘বৈসাবি উৎসব’ উপলক্ষে আলীকদম ব্যাটালিয়ন কর্তৃক আর্থিক অনুদান ও নিরাপত্তা প্রদান করা হয়।

আলীকদম ব্যাটালিয়নের (৫৭ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মেহেদী বুধবার খবরের কাগজকে বলেন, আলীকদম ব্যাটালিয়ন অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষা ছাড়াও চোরাচালান, মাদকদ্রব্য, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং আন্তঃ রাষ্ট্রীয় সীমান্ত অপরাধ দমনে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি ‘অপারেশন উত্তরণ’ এর আওতায় দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় বসবাসরত স্থানীয় নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মাঝে বিভিন্ন সময়ে মানবিক কাজের অংশ হিসেবে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান, নগদ অর্থ, বস্ত্র বিতরণ, শীতকালীন কম্বল বিতরণ, অগ্নিকাণ্ড এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে পাহাড়ী-বাঙ্গালি সম্প্রীতি সুদৃঢ়করণে বিজিবি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১২ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলা নববর্ষ ও নৃ-গোষ্ঠীদের প্রধান উৎসব বৈসাবি উদযাপন উপলক্ষে তাদেরকে আর্থিক অনুদান ও নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।

এই জাতীয় কর্মকাণ্ড পার্বত্য এলাকায় দায়িত্বরত বিজিবি এবং বসবাসরত পাহাড়ী-বাঙালী সম্প্রদায়ের মাঝে পারস্পরিক সু-সম্পর্ক, শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আলমগীর হোসেন/মাহফুজ

 

নির্বাচনে পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪০ পিএম
নির্বাচনে পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজারবাগ পুলিশলাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ উদ্বোধনের সময় এ তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি পুলিশ ও জনগণের মধ্যে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে তা কমিয়ে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।

পুলিশ জনগণের বন্ধু উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘স্বৈরাচারী শাসনের অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা জনরোষের শিকার হয়েছেন। পুলিশ বাহিনীকে সেই ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা। বাসস

অমিয়/

নরসিংদী পলিটেকনিকে ৬ দাবিতে শাটডাউন কর্মসূচি পালন

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৬ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৫ পিএম
নরসিংদী পলিটেকনিকে ৬ দাবিতে শাটডাউন কর্মসূচি পালন
ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নরসিংদী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তালা ঝুলিয়ে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ
চলমান আন্দোলনে ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নরসিংদী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তালা ঝুলিয়ে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
 
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর থেকে নরসিংদী পুলিশ লাইনস্-সংলগ্ন সাহেপ্রতাব এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
 
কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কর্তৃক ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল থেকে ক্যাম্পাসে আলোচনা সভা ও বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন বিভিন্ন পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠানসহ নরসিংদী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। পরে প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কক্ষ, অফিস কক্ষ, অধ্যক্ষের কক্ষসহ প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু করা হয়। 
 
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে বলে জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
 
তাদের ছয় দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ পদোন্নতি কোটা বাতিল করতে হবে। এ ছাড়া জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতির রায় বাতিল, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চাকরিচ্যুত, ২০২১ সালে নিয়োগ পাওয়া ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।
 
শিক্ষার্থীরা জানান, যত দিন পর্যন্ত তাদের ছয় দফা দাবি আদায় না হবে তত দিন পর্যন্ত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া যেসব বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন না, তাদের নরসিংদী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না।
 
শাহিন/পপি/

 

মামলা হলেই গ্রেপ্তার নয়: আইজিপি

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫১ পিএম
মামলা হলেই গ্রেপ্তার নয়: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, ‘মামলা হলেই গ্রেপ্তার করা যাবে না। তদন্তে যার বিরুদ্ধে দায়ভার পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। 

মামলা দিয়ে নিরীহ মানুষকে হয়রানির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘মামলা মিথ‍্যা না, মামলা সত‍্যই। তবে আসামির সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া-এই জায়গাটা আমরা বন্ধ করতে পারছি না। আইনেও আমাদের এই সীমাবদ্ধতা রয়েছে। নিরীহ কাউকে যেন গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা না হয়, পুলিশের সব স্তরে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ 

আইজিপি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর দেখা গেছে, অপরাধ হয়তো করেছেন পাঁচজন কি দশজন। কিন্তু অসৎ উদ্দেশ্যে, অর্থ আদায় বা কাউকে হয়রানি করার জন‍্য ভয় দেখিয়ে ৩০০ লোকের নামে মামলা দিয়ে দিয়েছে।’

পুলিশপ্রধান বলেন, ‘মামলা দিয়ে কাউকে হয়রানির জায়গাটা আমরা বন্ধ করতে চাই। এ জন্য আমিও অনেক সময় থানায় ফোন দিয়ে কথা বলছি।’ 

আসামি করে কাউকে হয়রানি করা হলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ করেন তিনি।

আইজিপি বলেন, ‘আমি প্রায়ই অন্যায় আবদারের মুখোমুখি হই। অমুককে বদলি করে দিন, অমুককে ছেড়ে দিন, অমুককে পদক দিন- এমন আবদার আসে। আমি দেশবাসীর কাছে বিনীত অনুরোধ জানাই, আমাকে যেন বিধি-বিধান মেনে পুলিশ বাহিনী পরিচালনার সুযোগ দেওয়া হয়। অন্যায় আবদার যতটুকু সম্ভব কমানো হোক।’

এর আগে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ সংক্রান্ত পরিকল্পনা তুলে ধরেন আইজিপি। এ ছাড়া তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

এ সময় আরও ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, এআইজি (মিডিয়া) এনামুল হক সাগর এবং পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ কে এম কামরুল আহছান।

ইশরাকের গেজেট মন্ত্রণালয়ের মতামত ছাড়াই হয়েছে: আইন উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৪ পিএম
ইশরাকের গেজেট মন্ত্রণালয়ের মতামত ছাড়াই হয়েছে: আইন উপদেষ্টা
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের নাম ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গেজেট নোটিফিকেশনে আমাদের মতামতের জন্য অপেক্ষা করেনি কমিশন। তারা নিজেরা গেজেট নোটিফিকেশন করেছে। এখানে আমার বলার কিছু নেই।’

এই ঘোষণার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আমলের নির্বাচনকে ‘লিগ্যালাইজ’ করা হলো কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই।’

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘ইশরাক হোসেনের গেজেট নোটিফিকেশন হবে কি না, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিল। নির্বাচন কমিশন তো আসলে একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। আমাদের মতামত জানার প্রয়োজন ছিল না। এ জন্য তাদের সিদ্ধান্ত তাদের-ই নেওয়ার কথা। আমাদের কাছে যখন মতামত নিতে পাঠিয়েছিল তখন আমরা সংশ্লিষ্ট আইন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। এতে আমরা জানতে পেরেছি নির্বাচনি যে প্লেইন্ট (আরজি) আছে সেটা নাকি পরিবর্তন করা যায় না।’ কারণ সেখানে নাকি হাইকোর্টের রায় রয়েছে।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘ইশরাক সাহেব নাকি পরবর্তী সময়ে প্লেইন্ট পরিবর্তন করেছিলেন। সে জন্য আমরা দ্বিধান্বিত ছিলাম, এটা কি গেজেট নোটিফিকেশন হবে নাকি আপিল করতে হবে। তবে নির্বাচন কমিশন আমাদের মতামতের জন্য অপেক্ষা করেনি। ওনারা নিজেরা গেজেট নোটিফিকেশন করেছেন। এখানে আমার বলার কিছু নেই।’

অনেকে বলেছেন, এর মধ্যমে আওয়ামী লীগ আমলের নির্বাচনকে লিগ্যালাইজ করা হলো- এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। এভাবে যারা মামলা করে বা প্লেইন্ট পরিবর্তন করে বিজয়ী হতে চাচ্ছেন, এটা তাদের জিজ্ঞেস করতে পারেন।’

উপকূলবাসীর কাছে দুঃসহ স্মৃতির দিন ২৯ এপ্রিল

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৪ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০০ পিএম
উপকূলবাসীর কাছে দুঃসহ স্মৃতির দিন ২৯ এপ্রিল
ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে নিস্তব্ধ হয়ে যাওয়া এক শিশু। ছবি: সংগৃহীত

সময়টা ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল। সেদিনে ‘ম্যারি এন’ নামে এক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পুরো উপকূলে ভয়াল ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল। রাতের নিস্তব্ধতা ও নিকষ কালো অন্ধকার ভেদ করে মুহূর্তের মধ্যে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় উপকূলের জনপদ, জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা।

প্রকৃতির ভয়াবহ এই তাণ্ডব সেদিন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার উপকূলীয় এলাকা- ছনুয়া, গন্ডামারা, বাহারছড়া, খানখানাবাদ, প্রেমাশিয়া, সাধনপুর, পুকুরিয়ায় ভয়ংকর রূপে আঘাত হেনেছিল। মাইলের পর মাইল পড়েছিল মানুষ ও গবাদিপশুর মরদেহ। 

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২৯ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড়ে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৮২ জন প্রাণ হারান। নিঃস্ব হয়ে যায় হাজারও পরিবার। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে ছিল চট্টগ্রামের বাঁশখালী। সেখানে ৩০ হাজার মানুষ প্রাণ হারান।

দেশে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে নিহতের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। সেদিন রাতে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার। 

ঘূর্ণিঝড় ও এর প্রভাবে সৃষ্ট ৬ মিটার বা ২০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে প্রথম ধাক্কায় মৃতের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৬৬ জন। মারা যায় ২০ লাখের অধিক গবাদিপশু। গৃহহারা হয়েছিল প্রায় অর্ধলাখ মানুষ।

ম্যারি এন ঘূর্ণিঝড়ে আনুমানিক প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ নিহত হয়েছিলেন।

আবহাওয়ার তথ্যমতে, পৃথিবীতে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৮০টি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়। এর অধিকাংশই সমুদ্রে মিলিয়ে যায় কিন্তু যে অল্পসংখ্যক ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানে ভয়াবহ ক্ষতি করে তার একটি ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় ‘ম্যারি এন’। 

দেশ তথা উত্তর ভারত মহাসাগর এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয় না। তার পরিবর্তে আরব সাগর এলাকায় উৎপন্ন ঝড়গুলোকে ‘এ’ এবং বঙ্গোপসাগরে উৎপন্ন ঝড়গুলোকে ‘বি’ অক্ষর দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল যে ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আঘাত হেনেছিল তার পরিচয় টিসি-০২বি হিসেবে, তার মানে এটি ছিল ১৯৯১ সালে বঙ্গোপসাগরে উৎপন্ন দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়।

পপি/