
বাংলা নববর্ষ ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের প্রধান উৎসব ‘বৈসাবি’ উদযাপন উপলক্ষে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের আলীকদম এলাকায় আর্থিক অনুদানসহ নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া বাংলা নববর্ষ ও নৃ-গোষ্ঠীদের প্রধান উৎসব ‘বৈসাবি’ উৎসব ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত উদযাপন করা হচ্ছে। সেখানে বিজিবির আলীকদম ব্যাটালিয়নের (৫৭ বিজিবি) উদ্যোগে স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি জনসাধারণকে আর্থিক অনুদানসহ যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিজিবির সংশ্লিষ্টরা জানান, আলীকদম ব্যাটালিয়নের (৫৭ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মেহেদীর দিক-নির্দেশনায় মদক বিওপি কমান্ডার ক্যাপ্টেন জেড এস. নাহিয়ান এবং বুলুপাড়া বিওপির ক্যাপ্টেন আল-শাহরিয়ার সিয়ামের নেতৃত্বে ওই আর্থিক অনুদান এবং বিজিবি টহলদল নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এসময়ে আলীকদম ব্যাটালিয়নের আওতাধীন মদক বিওপির (বর্ডার আউট পোস্ট) দায়িত্বপূর্ণ বড় মদকপাড়া, পাইমং পাড়া, ঊষামং পাড়া, পুসাতং পাড়া ও বুলুপাড়া এবং পানঝিরি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ বিভিন্ন পাড়ায় বসবাসরত স্থানীয় নৃ-গোষ্ঠী জনসাধারণের মাঝে ‘বৈসাবি উৎসব’ উপলক্ষে আলীকদম ব্যাটালিয়ন কর্তৃক আর্থিক অনুদান ও নিরাপত্তা প্রদান করা হয়।
আলীকদম ব্যাটালিয়নের (৫৭ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মেহেদী বুধবার খবরের কাগজকে বলেন, আলীকদম ব্যাটালিয়ন অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষা ছাড়াও চোরাচালান, মাদকদ্রব্য, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং আন্তঃ রাষ্ট্রীয় সীমান্ত অপরাধ দমনে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি ‘অপারেশন উত্তরণ’ এর আওতায় দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় বসবাসরত স্থানীয় নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মাঝে বিভিন্ন সময়ে মানবিক কাজের অংশ হিসেবে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান, নগদ অর্থ, বস্ত্র বিতরণ, শীতকালীন কম্বল বিতরণ, অগ্নিকাণ্ড এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে পাহাড়ী-বাঙ্গালি সম্প্রীতি সুদৃঢ়করণে বিজিবি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১২ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলা নববর্ষ ও নৃ-গোষ্ঠীদের প্রধান উৎসব বৈসাবি উদযাপন উপলক্ষে তাদেরকে আর্থিক অনুদান ও নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।
এই জাতীয় কর্মকাণ্ড পার্বত্য এলাকায় দায়িত্বরত বিজিবি এবং বসবাসরত পাহাড়ী-বাঙালী সম্প্রদায়ের মাঝে পারস্পরিক সু-সম্পর্ক, শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আলমগীর হোসেন/মাহফুজ