ঢাকা ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

টাইম ম্যাগাজিনে ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. ইউনূস

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৪ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৮ পিএম
টাইম ম্যাগাজিনে ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. ইউনূস
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও সামাজিক উদ্যোক্তা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদ সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও সামাজিক উদ্যোক্তা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বিশ্বের প্রভাবশালীদের তালিকায় ‘লিডার্স’ ক্যাটাগরিতে ছয় নম্বরে রয়েছে ড. ইউনূসের নাম। এই তালিকায় শুরুর দিকে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া সেইনবোম এবং বিশ্বের সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি মাস্কের নাম।

প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় স্থান পাওয়া ড. ইউনূসকে নিয়ে টাইম ম্যাগাজিনকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ও সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, ‘ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানে গত বছর বাংলাদেশের স্বৈরশাসক প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর, একজন চেনা নেতা নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস দেশকে গণতন্ত্রের দিকে নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে আসেন।’

“কয়েক দশক আগে, ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ক্ষমতায়ন করতে ইউনূস বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। যা কয়েক লাখ মানুষকে নিজস্ব ব্যবসা শুরু, তাদের পরিবারকে টিকিয়ে রাখতে এবং তাদের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করেছে। এই ক্ষুদ্র ঋণের সুবিধা নেওয়া ৯৭ শতাংশই নারী।”

হিলারি ক্লিনটন টাইমের জন্য লেখা এক প্রবন্ধে ইউনূসের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘তিনি শুধু অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটাননি, বরং বিশ্বের প্রান্তিক মানুষের জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছেন। এখন তিনি আবার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।’

হিলারি লেখেন, এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য যেমন গর্বের, তেমনি ভবিষ্যতের জন্য এক অনুপ্রেরণাও বটে।

তিনি আরও বলেন, ‘এখন ড. ইউনূস তার দেশের ডাকে আরেকবার সাড়া দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে মুক্ত করতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, মানবাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করছেন, জবাবদিহিতার দাবি জানাচ্ছেন এবং একটি ন্যায়বিচার ও মুক্ত সমাজের ভিত্তি স্থাপন করছেন।’

প্রতিবছর বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির এই তালিকা প্রকাশ করে বিখ্যাত সাময়িকীটি। ১৯৯৯ সাল থেকে প্রতিবছর এই তালিকা প্রকাশিত হচ্ছে। টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে ড. ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংকের ভূমিকা, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তার ক্ষুদ্রঋণ মডেলের বিস্তার ও নারীর ক্ষমতায়নে তার অনন্য অবদান বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সূত্র: টাইম ম্যাগাজিন

এমএ/

মামলা হলেই গ্রেপ্তার নয়: আইজিপি

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫১ পিএম
মামলা হলেই গ্রেপ্তার নয়: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, ‘মামলা হলেই গ্রেপ্তার করা যাবে না। তদন্তে যার বিরুদ্ধে দায়ভার পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। 

মামলা দিয়ে নিরীহ মানুষকে হয়রানির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘মামলা মিথ‍্যা না, মামলা সত‍্যই। তবে আসামির সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া-এই জায়গাটা আমরা বন্ধ করতে পারছি না। আইনেও আমাদের এই সীমাবদ্ধতা রয়েছে। নিরীহ কাউকে যেন গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা না হয়, পুলিশের সব স্তরে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ 

আইজিপি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর দেখা গেছে, অপরাধ হয়তো করেছেন পাঁচজন কি দশজন। কিন্তু অসৎ উদ্দেশ্যে, অর্থ আদায় বা কাউকে হয়রানি করার জন‍্য ভয় দেখিয়ে ৩০০ লোকের নামে মামলা দিয়ে দিয়েছে।’

পুলিশপ্রধান বলেন, ‘মামলা দিয়ে কাউকে হয়রানির জায়গাটা আমরা বন্ধ করতে চাই। এ জন্য আমিও অনেক সময় থানায় ফোন দিয়ে কথা বলছি।’ 

আসামি করে কাউকে হয়রানি করা হলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ করেন তিনি।

আইজিপি বলেন, ‘আমি প্রায়ই অন্যায় আবদারের মুখোমুখি হই। অমুককে বদলি করে দিন, অমুককে ছেড়ে দিন, অমুককে পদক দিন- এমন আবদার আসে। আমি দেশবাসীর কাছে বিনীত অনুরোধ জানাই, আমাকে যেন বিধি-বিধান মেনে পুলিশ বাহিনী পরিচালনার সুযোগ দেওয়া হয়। অন্যায় আবদার যতটুকু সম্ভব কমানো হোক।’

এর আগে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ সংক্রান্ত পরিকল্পনা তুলে ধরেন আইজিপি। এ ছাড়া তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

এ সময় আরও ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, এআইজি (মিডিয়া) এনামুল হক সাগর এবং পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ কে এম কামরুল আহছান।

ইশরাকের গেজেট মন্ত্রণালয়ের মতামত ছাড়াই হয়েছে: আইন উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৪ পিএম
ইশরাকের গেজেট মন্ত্রণালয়ের মতামত ছাড়াই হয়েছে: আইন উপদেষ্টা
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের নাম ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গেজেট নোটিফিকেশনে আমাদের মতামতের জন্য অপেক্ষা করেনি কমিশন। তারা নিজেরা গেজেট নোটিফিকেশন করেছে। এখানে আমার বলার কিছু নেই।’

এই ঘোষণার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আমলের নির্বাচনকে ‘লিগ্যালাইজ’ করা হলো কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই।’

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘ইশরাক হোসেনের গেজেট নোটিফিকেশন হবে কি না, এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিল। নির্বাচন কমিশন তো আসলে একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। আমাদের মতামত জানার প্রয়োজন ছিল না। এ জন্য তাদের সিদ্ধান্ত তাদের-ই নেওয়ার কথা। আমাদের কাছে যখন মতামত নিতে পাঠিয়েছিল তখন আমরা সংশ্লিষ্ট আইন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। এতে আমরা জানতে পেরেছি নির্বাচনি যে প্লেইন্ট (আরজি) আছে সেটা নাকি পরিবর্তন করা যায় না।’ কারণ সেখানে নাকি হাইকোর্টের রায় রয়েছে।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘ইশরাক সাহেব নাকি পরবর্তী সময়ে প্লেইন্ট পরিবর্তন করেছিলেন। সে জন্য আমরা দ্বিধান্বিত ছিলাম, এটা কি গেজেট নোটিফিকেশন হবে নাকি আপিল করতে হবে। তবে নির্বাচন কমিশন আমাদের মতামতের জন্য অপেক্ষা করেনি। ওনারা নিজেরা গেজেট নোটিফিকেশন করেছেন। এখানে আমার বলার কিছু নেই।’

অনেকে বলেছেন, এর মধ্যমে আওয়ামী লীগ আমলের নির্বাচনকে লিগ্যালাইজ করা হলো- এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। এভাবে যারা মামলা করে বা প্লেইন্ট পরিবর্তন করে বিজয়ী হতে চাচ্ছেন, এটা তাদের জিজ্ঞেস করতে পারেন।’

উপকূলবাসীর কাছে দুঃসহ স্মৃতির দিন ২৯ এপ্রিল

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৪ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৫ পিএম
উপকূলবাসীর কাছে দুঃসহ স্মৃতির দিন ২৯ এপ্রিল
ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে নিস্তব্ধ হয়ে যাওয়া এক শিশু। ছবি: সংগৃহীত

সময়টা ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল। সেদিনে ‘ম্যারি এন’ নামে এক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের পুরো উপকূলে ভয়াল ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল। রাতের নিস্তব্ধতা ও নিকষ কালো অন্ধকার ভেদ করে মুহূর্তের মধ্যে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় উপকূলের জনপদ, জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা।

প্রকৃতির ভয়াবহ এই তাণ্ডব সেদিন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার উপকূলীয় এলাকা- ছনুয়া, গন্ডামারা, বাহারছড়া, খানখানাবাদ, প্রেমাশিয়া, সাধনপুর, পুকুরিয়ায় ভয়ংকর রূপে আঘাত হেনেছিল। মাইলের পর মাইল পড়েছিল মানুষ ও গবাদি পশুর মরদেহ। 

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২৯ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড়ে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৮২ জন প্রাণ হারান। নিঃস্ব হয়ে যায় হাজারো পরিবার। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে ছিল চট্টগ্রামের বাঁশখালী। সেখানে ৩০ হাজার মানুষ প্রাণ হারান।

দেশে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে নিহতের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। সেদিন রাতে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার। 

ঘূর্ণিঝড় ও এর প্রভাবে সৃষ্ট ৬ মিটার বা ২০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে প্রথম ধাক্কায় মৃতের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৬৬ জন। মারা যায় ২০ লাখের অধিক গবাদি পশু। গৃহহারা হয়েছিল প্রায় অর্ধ লাখ মানুষ।

ম্যারি এন ঘূর্ণিঝড়ে আনুমানিক প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ নিহত হয়েছিলেন।

আবহাওয়ার তথ্যমতে, পৃথিবীতে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৮০টি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়। এর অধিকাংশই সমুদ্রে মিলিয়ে যায় কিন্তু যে অল্প সংখ্যক ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানে ভয়াবহ ক্ষতি করে তার একটি ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় ‘ম্যারি এন’। 

দেশ তথা উত্তর ভারত মহাসাগর এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয় না। তার পরিবর্তে আরব সাগর এলাকায় উৎপন্ন ঝড়গুলোকে ‘এ’ ও বঙ্গোপসাগরে উৎপন্ন ঝড়গুলোকে ‘বি’ অক্ষর দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল যে ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আঘাত হেনেছিল তার পরিচয় টিসি-০২বি হিসেবে, তার মানে এটি ছিল ১৯৯১ সালে বঙ্গোপসাগরে উৎপন্ন দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়।

পপি/

বৃষ্টির সম্ভাবনা কম, অপরিবর্তিত থাকতে পারে তাপমাত্রা

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৭ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩৪ পিএম
বৃষ্টির সম্ভাবনা কম, অপরিবর্তিত থাকতে পারে তাপমাত্রা
ছবি: সংগৃহীত

সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম এবং একই সঙ্গে দিন ও রাতের তাপামাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যৌথভাবে কয়রা ও পটুয়াখালীতে ৩৬ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সৈয়দপুরে ১৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে ১১৫ মিলিমিটার বা মিমি।

আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮১ শতাংশ। ঢাকায় বাতাসের গতি দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হতে পারে।

বাসস/তাওফিক/ 

মার্চে নির্যাতনের শিকার ৪৪২ নারী ও কন্যাশিশু

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২২ পিএম
মার্চে নির্যাতনের শিকার ৪৪২ নারী ও কন্যাশিশু
প্রতীকী ছবি

এ বছরের মার্চ মাসে ৪৪২ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১২৫ কন্যাশিশুসহ ১৬৩ জন। দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৮ কন্যাশিশুসহ মোট ৩৬ জন, দুজন কন্যাশিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। দুজন কন্যাশিশু ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে। এ ছাড়া ৫৫ জন কন্যাশিশুসহ ৭০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আন্দোলন সম্পাদক রাবেয়া বেগম শান্তি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাবেয়া বেগম শান্তি বলেন, ‘আমরা লক্ষ করছি, নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার মাত্রা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। ফলে মাত্রা ক্রমবর্ধমান হারে বেড়েই চলেছে। ১৮ বছরের নিচে কন্যাশিশুদের ধর্ষণ ও নারীর প্রতি যৌন সহিংসতার বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা হ্রাসের ক্ষেত্রে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।’

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এই আন্দোলন সম্পাদক বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা কারাগার থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি (আবরার ফাহাদ হত্যা) পালিয়ে যাচ্ছেন, শিশু ধর্ষণের আলোচিত ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন (দিনাজপুরের ঘটনা)। সারা দেশে ছিনতাইসহ অপহরণ, খুন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে নারীসহ সব মানুষ নিরাপত্তাহীন ও বিপন্ন বোধ করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে নারীর জন্য ৬০ শতাংশ কোটা বহাল ছিল। কিন্তু আমরা লক্ষ করছি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ খসড়া প্রজ্ঞাপনে এই বিধান রোহিত করা হয়েছে, যা কিনা নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী শিক্ষাকে অগ্রসর করার জন্য অসংগতিপূর্ণ। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫-এ নারী কোটা রাখার দাবি জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, বর্তমান সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। দীর্ঘদিনের দাবিদাওয়া নিয়ে নারী সমাজের পক্ষ থেকে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বিভিন্ন সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে দিয়েছে। যেখানে এ দেশের গত পাঁচ দশকের নারী আন্দোলনের অবাস্তবায়িত মূল দাবিগুলোর প্রতিফলন ঘটেছে, যা নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখবে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি অতীতের মতো সুপারিশ পেশের সঙ্গে সঙ্গে মৌলবাদী, নারী বিদ্বেষী গোষ্ঠী ধর্মের দোহাই দিয়ে নারীর অধিকার এবং নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে শুরু করেছে। আমরা আশা করব, এই অপতৎপরতা, অপকৌশল রোধে দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীর মানবাধিকার রক্ষা করার ক্ষেত্রে সরকার, সব রাজনৈতিক দল ও সমাজ এগিয়ে আসবে। আমরা সাধারণ জনগণকে নিয়েই এই দাবি পূরণ করব। আমরা সবাইকে নিয়েই আন্দোলন গড়ে তুলব। প্রয়োজন হলে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামব।’