ঢাকা ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

ঢাকা-ইসলামাবাদ সচিব পর্যায়ের বৈঠক বৃহস্পতিবার

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০০ এএম
ঢাকা-ইসলামাবাদ সচিব পর্যায়ের বৈঠক বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘ ১৫ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শুরু হচ্ছে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক (এফওসি)। সর্বশেষ এ বৈঠক হয়েছিল ২০১০ সালে। বৈঠকে অংশ নিতে বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের প্রধান ইশরাত জাহান।

জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন এবং পাকিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন আমনা বালুচ। বৈঠকে বাংলাদেশ পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে সব বিষয়ে আলোচনা করবেন তারা।

এফওসি বৈঠক শেষে আগামী ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। পরদিন দুদেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এ বিষয়ে খবরের কাগজকে বলেন, ‘বাংলাদেশ অতীতের টানাপোড়েন পেছনে ফেলে পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক চায়, তবে মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্ন বাদ দিয়ে নয়।’ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার দায়ে পাকিস্তানের ক্ষমা প্রার্থনার প্রসঙ্গ, আটকে থাকা সম্পত্তি ও ক্ষতিপূরণের দাবি এখনো আলোচনায় আছে। এ বিষয়ে তৌহিদ হোসেন সাফ জানিয়ে দেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে একাত্তরকে উপেক্ষা করা হবে না। সৌজন্য সাক্ষাতে কঠিন প্রসঙ্গ না তুললেও আনুষ্ঠানিক আলোচনায় এসব বিষয় তুলে ধরা হবে।’

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বৈঠকে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়েও ঐকমত্য হয়। আওয়ামী লীগের টানা ১৫ বছরের শাসনামলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক বাস্তবতায় ইসলামাবাদ ও ঢাকার সম্পর্কে ছিল টানাপোড়েন। তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে আসা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্ক স্বাভাবিক ও গভীর করার পথে অগ্রসর হন। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে এখনো আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫০ পিএম
‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে এখনো আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি।

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোন আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, তথাকথিত ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে সরকার কোনো আলোচনা করেনি।’

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কক্সবাজার হয়ে জাতিসংঘের ‘মানবিক করিডোর’ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের অবস্থান হলো, জাতিসংঘের নেতৃত্বে রাখাইনে যদি মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়, তবে বাংলাদেশ লজিস্টিক সহায়তা দিতে আগ্রহী থাকবে।’

তিনি জানান, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) তথ্য অনুযায়ী রাখাইন রাজ্যে তীব্র মানবিক সংকট চলছে।

দুর্যোগকালীন সময়ে বিভিন্ন দেশকে সহায়তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যার সাম্প্রতিক উদাহরণ ভূমিকম্প-পরবর্তী সময়ে মিয়ানমারকে সহায়তা প্রদান করা।

প্রেস সচিব সতর্ক করে বলেন, ‘এছাড়াও, আমরা উদ্বিগ্ন যে এ ধরনের মানবিক সংকট দীর্ঘ হলে রাখাইন থেকে আরও মানুষের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে, যা আমরা সামাল দিতে পারব না।’

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিশ্বাস করে যে জাতিসংঘ-সমর্থিত মানবিক সহায়তা রাখাইনকে স্থিতিশীল করতে এবং শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় রাখাইনে সহায়তা পাঠানোর বাস্তবসম্মত একমাত্র পথ হলো বাংলাদেশ।

শফিকুল আলম বলেন, এই রুট ব্যবহার করে সহায়তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে লজিস্টিক সহায়তা প্রদানে সম্মত রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘তবে, রাখাইনে সহায়তা প্রদানের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যথাসময়ে আমরা বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ করব।’

বাংলাদেশের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিশ্বের বড়ো কোন শক্তি এই করিডোরের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে যে প্রতিবেদন করা হয়েছে, সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও প্রপাগান্ডা বলে তিনি দাবি করেন।

প্রেস সচিব বলেন, ‘বিগত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশকে লক্ষ্য করে একের পর এক বিদ্বেষপূর্ণ বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতে আমরা দেখেছি, যা এখনো চলছে। এ ধরণের প্রচারণাও তার ব্যতিক্রম নয়।’

সূত্র: বাসস

/সিফাত

বাংলা নববর্ষকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে: মোহাম্মদ আজম

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৫ পিএম
বাংলা নববর্ষকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে: মোহাম্মদ আজম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলা নববর্ষকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। 

বুধবার (২৯ এপ্রিল) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। 

সেমিনারটির আয়োজন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারডিসিপ্লিনারি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কনসোর্টিয়াম (আইআরডিসি)।

‘বাংলা নববর্ষ: ইতিহাস, সংস্কৃতি ও উত্তরাধিকার’  শীর্ষক এ সেমিনারে বাংলা নববর্ষের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, সাংস্কৃতিক তাৎপর্য ও সামাজিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘কেবল বাংলা নববর্ষই নয়, যেকোনো উৎসবকে রাজনৈতিক প্রভাবের ঊর্ধ্বে রাখা জরুরি। রাজনীতির সঙ্গে রাষ্ট্র ও সমাজের সম্পর্ক সঠিকভাবে গড়ে উঠলে কোনো উৎসবই নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হয় না। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে সাংস্কৃতিক চিন্তা-চেতনার যে স্বকীয়তা রয়েছে, তা অক্ষুণ্ন রাখাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। বুদ্ধিভিত্তিক ও সচেতন উদ্যোগের মাধ্যমে ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব। বাংলা নববর্ষের প্রতি জনগণের গভীর অনুরাগ রয়েছে, তাই এটিকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে।’

এ সময় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এবং বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফজলে এলাহি চৌধুরী প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন। 

তারা বাংলা নববর্ষের আন্তর্জাতিক ও  সামাজিক সংহতি এবং সাংস্কৃতিক বিকাশের ভূমিকা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন। একই সঙ্গে বাংলা নববর্ষের বহুমাত্রিক তাৎপর্য ও এর প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করেন।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আইআরডিসির সভাপতি ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন। 

অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন আইআরডিসির সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক। 

সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক ও আগ্রহী ব্যক্তিররা অংশ নেন।

মুজাহিদ/পপি/

রাষ্ট্র বিনির্মাণে সবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে: আলী রীয়াজ

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৪ পিএম
রাষ্ট্র বিনির্মাণে সবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে: আলী রীয়াজ
ছবি: ইউএনবি

গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর ঐক্যের ওপরই কমিশনের সফলতা নির্ভর করছে বলে মনে করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক সমাজে মতপার্থক্য থাকবে, ভিন্নমতের চর্চাও হবে, তবে রাষ্ট্র বিনির্মাণে সবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে অভিন্ন লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আলোচনার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।

আলী রীয়াজ বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে  স্বাধীনতার পরে এই প্রথম সবাই মিলে রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে অন্তত ১ হাজার ৪০০ লোকের প্রাণের বিনিময়ে। যাদের প্রাণের বিনিময়ে এই সুযোগ তৈরি হয়েছে, তাদের কাছে আমাদের দায় আছে। এই দায় ও অঙ্গীকার থেকেই যেন আমরা সত্যিকার অর্থে রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে চাই। সে কারণে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর ঐক্যের ওপর নির্ভর করছে আমরা কতটুকু সফলতা অর্জন করতে পারব।’ 

এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের নেতৃত্বে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল এ আলোচনায় অংশ নেন। 

এতে দলটির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মুশতাক, মাহমুদ হোসেন ছাড়াও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাশিদা বেগম, সাইফুল ইসলাম ও শেখ মোহাম্মদ শিমুল উপস্থিত ছিলেন। 

এদিকে, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। 

ইতোমধ্যে সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিসহ এ পর্যন্ত ২১টি রাজনৈতিক দল কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছে। 

সূত্র: ইউএনবি

সিফাত/

নির্বাচনে পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪০ পিএম
নির্বাচনে পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজারবাগ পুলিশলাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ উদ্বোধনের সময় এ তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি পুলিশ ও জনগণের মধ্যে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে তা কমিয়ে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।

পুলিশ জনগণের বন্ধু উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘স্বৈরাচারী শাসনের অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা জনরোষের শিকার হয়েছেন। পুলিশ বাহিনীকে সেই ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা। বাসস

অমিয়/

নরসিংদী পলিটেকনিকে ৬ দাবিতে শাটডাউন কর্মসূচি পালন

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৬ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৭ পিএম
নরসিংদী পলিটেকনিকে ৬ দাবিতে শাটডাউন কর্মসূচি পালন
ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নরসিংদী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তালা ঝুলিয়ে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ
চলমান আন্দোলনে ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নরসিংদী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তালা ঝুলিয়ে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
 
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর থেকে নরসিংদী পুলিশ লাইনস্-সংলগ্ন সাহেপ্রতাব এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
 
কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কর্তৃক ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল থেকে ক্যাম্পাসে আলোচনা সভা ও বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন বিভিন্ন পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠানসহ নরসিংদী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। পরে প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কক্ষ, অফিস কক্ষ, অধ্যক্ষের কক্ষসহ প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু করা হয়। 
 
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে বলে জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
 
তাদের ছয় দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ পদোন্নতি কোটা বাতিল করতে হবে। এ ছাড়া জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতির রায় বাতিল, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চাকরিচ্যুত, ২০২১ সালে নিয়োগ পাওয়া ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।
 
শিক্ষার্থীরা জানান, যত দিন পর্যন্ত তাদের ছয় দফা দাবি আদায় না হবে তত দিন পর্যন্ত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া যেসব বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন না, তাদের নরসিংদী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না।
 
শাহিন/পপি/