ঢাকা ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

ইইউর নতুন তালিকায় নিরাপদ বাংলাদেশ

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫২ এএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৫ এএম
ইইউর নতুন তালিকায় নিরাপদ বাংলাদেশ
খবরের কাগজ

আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কসোভো, বাংলাদেশ, কলম্বিয়া, মিসর, ভারত, মরক্কো ও তিউনিসিয়াকে ‘নিরাপদ উৎস দেশ’ হিসেবে  ঘোষণা করেছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) এ ঘোষণা করা হয়।  এ পদক্ষেপের ফলে ওই দেশগুলোর নাগরিকদের আশ্রয়ের আবেদন গ্রহণযোগ্যতার সম্ভাবনা কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইইউর অভিবাসনবিষয়ক কমিশনার ম্যাগনাস ব্রুনার বলেন, 'অনেক সদস্য রাষ্ট্রেই আশ্রয় আবেদনের একটি বড় ব্যাকলগ রয়েছে। তাই আশ্রয় সিদ্ধান্ত দ্রুত নেওয়ার পক্ষে যা কিছু করা সম্ভব, তা-ই করা এখন অপরিহার্য।'

এদিকে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে এই উদ্যোগটি সমালোচনার মুখে পড়েছে। কারণ, এতে করে অনুমান করা হবে যে এসব দেশের নাগরিকদের আশ্রয়ের আবেদন যথাযথ নয়- এমন একটি পূর্বধারণা থেকেই প্রক্রিয়াটি পরিচালিত হতে পারে। জনমত নেতিবাচক হওয়ার কারণে ইউরোপীয় জনপরিসরে অভিবাসনবিরোধী মনোভাব বাড়ছে। এতে কট্টর-ডানপন্থী দলগুলোর রাজনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে অনিয়মিত প্রবেশ ঠেকানো ও দ্রুত বহিষ্কারের পক্ষে চাপ বেড়েছে।

কমিশন জানায়, যেসব দেশ ইইউ প্রার্থীতার মর্যাদা পায় তারাও নীতিগতভাবে ‘নিরাপদ’ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তবে সংঘর্ষে জর্জরিত দেশগুলোর ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকবে, যেমন ইউক্রেন এই তালিকা থেকে বাদ থাকবে।

২০১৫ সালে ইইউ একটি অনুরূপ তালিকা প্রকাশ করেছিল, কিন্তু তুরস্ককে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে বিতর্কের কারণে সেই পরিকল্পনা পরিত্যক্ত হয়।

কমিশনের মতে, ভবিষ্যতে এই তালিকাটি সম্প্রসারিত বা পর্যালোচিত হতে পারে। তালিকাটি এমন দেশগুলোর ওপর ভিত্তি করে তৈরি যেখান থেকে তুলনামূলকভাবে বেশি সংখ্যক আবেদনকারী আসে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন সদস্য দেশ এরই মধ্যে নিজেদের মতো করে ‘নিরাপদ’ দেশ চিহ্নিত করে থাকে। যেমন ফ্রান্সের তালিকায় রয়েছে মঙ্গোলিয়া, সার্বিয়া ও কেপ ভার্দে।

তবে ইইউয়ের লক্ষ্য হলো একটি সমন্বিত ও অভিন্ন নীতিমালা তৈরি করা। যাতে সব সদস্য রাষ্ট্র একই মানদণ্ড অনুসরণ করে। এক্ষেত্রে সদস্য রাষ্ট্ররা চাইলে অতিরিক্ত দেশ যুক্ত করতে পারবে। তবে তালিকা থেকে কোনো দেশ বাদ দিতে পারবে না।

‘প্রতারণামূলক ও বিপজ্জনক’ পদক্ষেপ বলে অভিযোগ

কমিশন আরও জানায়, প্রত্যেক আশ্রয় আবেদন এখনও পৃথকভাবে পর্যালোচনা করতে হবে এবং আবেদনকারীদের সরাসরি প্রত্যাখ্যান করা যাবে না। এভাবেই বর্তমান সুরক্ষা বিধানগুলো কার্যকর থাকবে। তবে পরিকল্পনাটি কার্যকর করতে হলে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অনুমোদন প্রয়োজন হবে।

এই পরিকল্পনার কড়া সমালোচনা করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। ইউরো-মেড রাইটস নামের একটি ছাতাসংগঠন বলেছে, তালিকাভুক্ত কয়েকটি দেশে নাগরিকদের ও অভিবাসীদের প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার প্রমাণ রয়েছে।

তাদের ভাষায়, 'এই দেশগুলোকে ‘নিরাপদ’ আখ্যায়িত করা প্রতারণামূলক ও বিপজ্জনক।'

ইইউ সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্স জানায়, ২০২৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে অনিয়মিত প্রবেশের সংখ্যা ৩৮ শতাংশ কমে ২,৩৯,০০০-তে দাঁড়ায়। তবে ২০২৩ সালে প্রায় এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবেশের ঘটনা ঘটে।

গত অক্টোবর মাসে ইতালি, ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশের নেতৃত্বে ইইউ নেতারা দ্রুত ফেরত পাঠানোর জন্য নতুন আইন প্রণয়নের আহ্বান জানান এবং অনিয়মিত অভিবাসন প্রতিরোধে ‘উদ্ভাবনী’ পন্থা মূল্যায়নের জন্য কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।

বর্তমানে ইইউ থেকে যারা বহিষ্কারের নির্দেশ পান, তাদের মধ্যে ২০ শতাংশেরও কম ব্যক্তিকে নিজ দেশে ফিরিয়ে পাঠানো সম্ভব হয় বলে ইইউ জানিয়েছে।

গত মাসে ইইউ একটি নতুন ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব দেয়, যাতে সদস্য দেশগুলো ইউরোপের বাইরেই অভিবাসন প্রত্যাবাসন কেন্দ্র স্থাপন করতে পারে।

ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ানতেদোসি বুধবার এই পদক্ষেপকে 'ইতালীয় সরকারের জন্য একটি সাফল্য' বলে অভিহিত করেছেন। সূত্র: বাসস

মেহেদী/

উপকূলবাসীর কাছে দুঃসহ স্মৃতির দিন ২৯ এপ্রিল

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৪ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৫ পিএম
উপকূলবাসীর কাছে দুঃসহ স্মৃতির দিন ২৯ এপ্রিল
ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে নিস্তব্ধ হয়ে যাওয়া এক শিশু। ছবি: সংগৃহীত

সময়টা ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল। সেদিনে ‘ম্যারি এন’ নামে এক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের পুরো উপকূলে ভয়াল ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল। রাতের নিস্তব্ধতা ও নিকষ কালো অন্ধকার ভেদ করে মুহূর্তের মধ্যে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় উপকূলের জনপদ, জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা।

প্রকৃতির ভয়াবহ এই তাণ্ডব সেদিন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার উপকূলীয় এলাকা- ছনুয়া, গন্ডামারা, বাহারছড়া, খানখানাবাদ, প্রেমাশিয়া, সাধনপুর, পুকুরিয়ায় ভয়ংকর রূপে আঘাত হেনেছিল। মাইলের পর মাইল পড়েছিল মানুষ ও গবাদি পশুর মরদেহ। 

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২৯ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড়ে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৮২ জন প্রাণ হারান। নিঃস্ব হয়ে যায় হাজারো পরিবার। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে ছিল চট্টগ্রামের বাঁশখালী। সেখানে ৩০ হাজার মানুষ প্রাণ হারান।

দেশে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে নিহতের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। সেদিন রাতে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার। 

ঘূর্ণিঝড় ও এর প্রভাবে সৃষ্ট ৬ মিটার বা ২০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে প্রথম ধাক্কায় মৃতের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৬৬ জন। মারা যায় ২০ লাখের অধিক গবাদি পশু। গৃহহারা হয়েছিল প্রায় অর্ধ লাখ মানুষ।

ম্যারি এন ঘূর্ণিঝড়ে আনুমানিক প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ নিহত হয়েছিলেন।

আবহাওয়ার তথ্যমতে, পৃথিবীতে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৮০টি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়। এর অধিকাংশই সমুদ্রে মিলিয়ে যায় কিন্তু যে অল্প সংখ্যক ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানে ভয়াবহ ক্ষতি করে তার একটি ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় ‘ম্যারি এন’। 

দেশ তথা উত্তর ভারত মহাসাগর এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয় না। তার পরিবর্তে আরব সাগর এলাকায় উৎপন্ন ঝড়গুলোকে ‘এ’ ও বঙ্গোপসাগরে উৎপন্ন ঝড়গুলোকে ‘বি’ অক্ষর দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল যে ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আঘাত হেনেছিল তার পরিচয় টিসি-০২বি হিসেবে, তার মানে এটি ছিল ১৯৯১ সালে বঙ্গোপসাগরে উৎপন্ন দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়।

পপি/

বৃষ্টির সম্ভাবনা কম, অপরিবর্তিত থাকতে পারে তাপমাত্রা

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৭ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩৪ পিএম
বৃষ্টির সম্ভাবনা কম, অপরিবর্তিত থাকতে পারে তাপমাত্রা
ছবি: সংগৃহীত

সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম এবং একই সঙ্গে দিন ও রাতের তাপামাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যৌথভাবে কয়রা ও পটুয়াখালীতে ৩৬ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সৈয়দপুরে ১৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে ১১৫ মিলিমিটার বা মিমি।

আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮১ শতাংশ। ঢাকায় বাতাসের গতি দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হতে পারে।

বাসস/তাওফিক/ 

মার্চে নির্যাতনের শিকার ৪৪২ নারী ও কন্যাশিশু

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২২ পিএম
মার্চে নির্যাতনের শিকার ৪৪২ নারী ও কন্যাশিশু
প্রতীকী ছবি

এ বছরের মার্চ মাসে ৪৪২ জন নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১২৫ কন্যাশিশুসহ ১৬৩ জন। দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৮ কন্যাশিশুসহ মোট ৩৬ জন, দুজন কন্যাশিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। দুজন কন্যাশিশু ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে। এ ছাড়া ৫৫ জন কন্যাশিশুসহ ৭০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আন্দোলন সম্পাদক রাবেয়া বেগম শান্তি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাবেয়া বেগম শান্তি বলেন, ‘আমরা লক্ষ করছি, নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার মাত্রা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। ফলে মাত্রা ক্রমবর্ধমান হারে বেড়েই চলেছে। ১৮ বছরের নিচে কন্যাশিশুদের ধর্ষণ ও নারীর প্রতি যৌন সহিংসতার বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা হ্রাসের ক্ষেত্রে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।’

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এই আন্দোলন সম্পাদক বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা কারাগার থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি (আবরার ফাহাদ হত্যা) পালিয়ে যাচ্ছেন, শিশু ধর্ষণের আলোচিত ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন (দিনাজপুরের ঘটনা)। সারা দেশে ছিনতাইসহ অপহরণ, খুন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে নারীসহ সব মানুষ নিরাপত্তাহীন ও বিপন্ন বোধ করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে নারীর জন্য ৬০ শতাংশ কোটা বহাল ছিল। কিন্তু আমরা লক্ষ করছি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ খসড়া প্রজ্ঞাপনে এই বিধান রোহিত করা হয়েছে, যা কিনা নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী শিক্ষাকে অগ্রসর করার জন্য অসংগতিপূর্ণ। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫-এ নারী কোটা রাখার দাবি জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, বর্তমান সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। দীর্ঘদিনের দাবিদাওয়া নিয়ে নারী সমাজের পক্ষ থেকে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বিভিন্ন সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে দিয়েছে। যেখানে এ দেশের গত পাঁচ দশকের নারী আন্দোলনের অবাস্তবায়িত মূল দাবিগুলোর প্রতিফলন ঘটেছে, যা নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখবে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি অতীতের মতো সুপারিশ পেশের সঙ্গে সঙ্গে মৌলবাদী, নারী বিদ্বেষী গোষ্ঠী ধর্মের দোহাই দিয়ে নারীর অধিকার এবং নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে শুরু করেছে। আমরা আশা করব, এই অপতৎপরতা, অপকৌশল রোধে দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীর মানবাধিকার রক্ষা করার ক্ষেত্রে সরকার, সব রাজনৈতিক দল ও সমাজ এগিয়ে আসবে। আমরা সাধারণ জনগণকে নিয়েই এই দাবি পূরণ করব। আমরা সবাইকে নিয়েই আন্দোলন গড়ে তুলব। প্রয়োজন হলে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামব।’ 

মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত করল হাইকোর্ট

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৯ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৪ পিএম
মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত করল হাইকোর্ট
ছবি: সংগৃহীত

মেরাদিয়া বাজারের পূর্ব পার্শ্বে খালপাড়ের খালি জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর ইজারা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ওই বিজ্ঞপ্তি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছে উচ্চ আদালত।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী লিটন আহমেদ। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী জহিরুল ইসলাম।

আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান রিটকারী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার খুররাম শাহ মুরাদ। তিনি বলেন, ‘যে স্থানকে চিহ্নিত করে এই হাট বসানোর বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে তা একেবারেই অনভিপ্রেত। কারণ ওই স্থানে হাট বসানোর কোন পর্যাপ্ত খালি জায়গা নেই। এই হাট বসানোর ইজারা গৃহীত হলে ঈদ-উল আযহার সময় আবাসিক এলাকার মানুষের বাসা-বাড়ির গেটের সামনে পশুর হাট বসে যায়। ফলে জনভোগান্তির সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া পশুর হাট বসানো হলে আবাসিক এলাকার কোন মানুষ অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে পারে না। সবকিছু বিবেচনা করে হাইকোর্ট মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসানোর ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।’

গত ২১ এপ্রিল ১১টি স্থানকে চিহ্নিত করে অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর লক্ষ্যে ইজারা বিজ্ঞপ্তি জারি করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন লিগ্যাল রাইটসের পক্ষে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা শাহাবুদ্দিন সিকদার।

বাসস/তাওফিক/

শিক্ষা সংস্কার কমিশন করতে না পারা জাতীয় ব্যর্থতা: ড. দেবপ্রিয়

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৮ পিএম
শিক্ষা সংস্কার কমিশন করতে না পারা জাতীয় ব্যর্থতা: ড. দেবপ্রিয়
ছবি : খবরের কাগজ

অন্তর্বর্তী সরকার ১১টি সংস্কার কমিশন করলেও শিক্ষা সংস্কার কমিশন করতে না পারাকে জাতীয় ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো এবং এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা : বর্তমান পরিস্থিতি ও সংস্কার চিন্তা’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিং-এ তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টচার্য বলেন, ‘সবচেয়ে সংবেদনশীল প্রশ্ন হলো সরকার কেন শিক্ষা সংস্কার কমিশন করল না? তার কারণ হলো শিক্ষা এমন একটা জিনিস এটা টেকনিক্যাল বিষয় নয়, এটার ভেতরে মূল্যবোধ থাকে। এটার ভেতরে বিশ্বদীক্ষা থাকে, পৃথিবী, মানুষ, দেশকে আমরা কীভাবে দেখি এসব বিষয়াদি থাকে। এটার ভেতরে ইতিহাস থাকে। বর্তমান উত্তরণকালীন সময়ে বিষয়গুলো অনেক আলোচিত। কোনো ক্ষেত্রে এটি বিতর্কের জায়গায়ও চলে যায়।’ 

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক শক্তিসম্পন্ন সরকার না হয় এগুলোকে মোকাবিলা করতে অস্বস্তিবোধ করে। কারিকুলাম মূল্যায়ন কমিটি ঘোষণা করে এই কমিটিতে কারা থাকবে কারা থাকতে পারেন না এই আলোচনার কারণে আমরা বড় একটি জিনিস থেকে পিছিয়ে গেছি। সেই জায়গা থেকে আমরা ফেরত আসতে পারিনি। যার ফলে সামগ্রিকভাবে বর্তমান সরকার ১১টি সংস্কার কমিশন করেছে কিন্ত ছাত্র-যুব অভ্যুত্থানের সরকার, বৈষম্যবিরোধী আমার এই সরকার শিক্ষাতে হাত দিতে পারেনি। এটা আমাদের এক ধরনের জাতীয় ব্যর্থতার বিষয়।’

কবির/অমিয়/