ঢাকা ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

গুজবে সেনাবাহিনী বিচলিত নয়: সেনা সদর

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৭ পিএম
গুজবে সেনাবাহিনী বিচলিত নয়: সেনা সদর
ছবি: সংগৃহীত

গুজব তো সব সময়ই গুজব। ফলে কোনো রকম গুজবে সেনাবাহিনী বিচলিত নয়। বরং সেনাবাহিনী আরও একতাবদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতির পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। সেনাবাহিনী সততা, ন্যায়-নীতির সঙ্গে প্রত্যয় ও সহনশীলতার সঙ্গে দেশ ও জাতির স্বার্থে কাজ করছে, ভবিষ্যতেও করবে। 

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংকালে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সেনাবাহিনী সদর দপ্তরের মিলিটারি অপারেশনস পরিদপ্তরের কর্নেল স্টাফ মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী সরকারের নির্দেশে এই মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিয়োজিত রয়েছে। সেনাবাহিনী সরকার নির্দেশিত যেকোনো দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে এবং পালন করে যাবে।’

ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে আয়োজিত সেনাসদরের প্রেস ব্রিফিংকালে (৫ম) আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর বিগত দুই মাসের কার্যক্রম তুলে ধরেন কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম। 

তিনি এ সময় বলেছেন, বিগত দুই মাসে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অন্যান্য সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বিত উদ্যোগে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ২ হাজার ৪৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া ৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ৭ হাজার ৮২২ জনকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। যাদের মাঝে কিশোর গ্যাং, তালিকাভুক্ত অপরাধী, মাদক ব্যবসায়ী, অপহরণকারী, চোরাচালানকারী, প্রতারক ও দালাল চক্র, চাঁদাবাজ, ডাকাত, ছিনতাইকারী ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এরই ধারাবাহিকতায় গত দুই মাসে সেনাবাহিনী ৩২০টি অবৈধ অস্ত্র ও ৫৬৪ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করে। এ ছাড়া এই পর্যন্ত সর্বমোট ৯ হাজার ৩৭০টি অবৈধ অস্ত্র ও ২ লাখ ৮৫ হাজার ৫২ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে বলেও জানান তিনি।

কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে ও সুশৃঙ্খলভাবে যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী ঈদের আগে ও পরে মিলে ২ সপ্তাহের বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করে। এর অংশ হিসেবে জাতীয় মহাসড়কগুলোতে নির্বিঘ্নে যান চলাচল নিশ্চিত করতে ঢাকাসহ দেশের সব জেলার বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন এবং লঞ্চ টার্মিনাল ও মহাসড়কে দিন-রাত টহল পরিচালনা, স্পর্শকাতর স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় যা মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ফলে সড়ক দুর্ঘটনাসহ অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড গত বছরের তুলনায় বহুলাংশে হ্রাস পায় যা জনসাধারণকে নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছানোসহ পরিবার-পরিজনের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘনভাবে ঈদ উদযাপনে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতায় কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কাজ করতে গিয়ে কোনো বাধা পাচ্ছি না। আমরা যেকোনো অপরাধীকে গ্রেপ্তারের পর অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে থাকি। পরবর্তী আইনি বিচারকাজটি সেনাবাহিনীর দায়িত্বের বহির্ভূত। ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতায় সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে, যেখানে যতটুকু ব্যবহার করার দরকার, ততটুকুই ব্যবহার করা হচ্ছে।’ 

বৈষয়িক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সুপার পাওয়ারদের কেন্দ্রবিন্দু এমন প্রসঙ্গের জবাবে কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, বন্ধুপ্রতিম দেশের সঙ্গে সব সময় সুসম্পর্ক বজায় রয়েছে। সম্প্রতি সেনাপ্রধানের রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া সফর এমনই একটি নিয়মিত কার্যক্রম। এই সফরে সেনাপ্রধান বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শন করেন। এর ফলে সামরিক সহযোগিতা আরও প্রসার হবে। 

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে ও আগে কয়েকটি জায়গায় নিষিদ্ধ সংগঠনের পতাকা হাতে নিয়ে মিছিল করার প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা প্রশ্ন তুললে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘মার্চ ফর গাজার বিক্ষোভে সেনাবাহিনী কালো পতাকাধারীদের রহিত করেছে। কালো পতাকাধারী হলেই যে সে জঙ্গি সংগঠনের এটির কোনো প্রমাণ আমরা এখনো পাইনি।’ তবে এ বিষয়ে সেনাবাহিনী সোচ্চার রয়েছে। গোয়েন্দা বাহিনীও তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। 

খাগড়াছড়িতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণের প্রসঙ্গে জানতে তিনি বলেন, অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর অবস্থান কিছুটা শনাক্ত করা গেছে। এ বিষয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভালো, নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। 

এ সময় তিনি রাজধানীতে বিভিন্ন ধরনের অবরোধ মোকাবিলায় কার্যকরী পদক্ষেপ, মায়ানমার সীমান্তে আরাকান আর্মিদের বাংলাদেশের জেলেদের ও মাছভর্তি ট্রলার ধরে নিয়ে যাওয়া ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, বিগত সময়ে শিল্পাঞ্চলগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৩৭টি ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং ৩১ বার বিভিন্ন মূল সড়ক অবরোধ থেকে অবমুক্ত করাসহ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। এ ছাড়া সম্প্রতি সাতক্ষীরার আশাশুনিতে খোলাপেটুয়া নদীর প্রায় ৩০০ মিটার বাঁধ ভেঙে গেলে আশপাশের প্রায় ৯টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনীর ত্রাণসহ মানবিক সহায়তা এবং মায়ানমারে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে মানবিক বিপর্যয়ে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা উল্লেখ করেন। 

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮তম বর্ষ উদযাপিত

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৮ পিএম
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮তম বর্ষ উদযাপিত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) ২৮তম বর্ষ উদযাপিত হয়েছে। জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা ওড়ানো, বর্ণাঢ্য র‌্যালি, গবেষণা মঞ্জুরি প্রদান, পূবালী ব্যাংকের সৌজন্যে দুটি নতুন স্টাফ বাসের উদ্বোধন, আলোচনা সভা, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী ইত্যাদি নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বুধবার (৩০ এপ্রিল) দিবসটি উদযাপিত হয়। 

দিবসটির থিম ছিল ‘ইনোভেট-এডুকেট-এলিভেট ড্রিমস টু দ্য রিয়েলিটি।’ এই উদযাপনের অংশ হিসেবে ৫৬ শিক্ষক-চিকিৎসককে গবেষণা অনুদান প্রদান করা হয়।

এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও কর্মচারীরা তাদের জন্য আপ্যায়ন বাবদ বরাদ্দ করা অর্থ সাধারণ রোগী ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য উৎসর্গ করেন। এই অর্থ দিয়ে গণ-অভ্যুত্থানে আহত রোগীদের মধ্যে যারা বিএমইউতে চিকিৎসাধীন এবং সাধারণ রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। 

দিবসটি উপলক্ষে দুপুরের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদার অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘গবেষণার জন্য শুধু গবেষণা নয়, গবেষণাকে হতে হবে জনকল্যাণ ও উদ্ভাবনমূলক। নিত্যনতুন জ্ঞানের সৃষ্টি, ওষুধ আবিষ্কার, ভ্যাকসিন আবিষ্কারে অবদান রাখতে হবে। উচ্চতর চিকিৎসাশিক্ষাসহ স্বাস্থ্য খাতে সঠিক নীতিনির্ধারণে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে বিএমইউকে ভূমিকা রাখতে হবে; যা কেবল গবেষণার মাধ্যমেই সম্ভব। বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বাস্থ্য খাতে দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ জনবল তৈরিতে নেতৃত্ব দেওয়ারও আহ্বান জানা তিনি।

ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএমইউর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার প্রমুখ।

 

ডেঙ্গুতে এক নারীর মৃত্যু

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৮ পিএম
ডেঙ্গুতে এক নারীর মৃত্যু
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রাজধানীতে এক নারীর (৪০) মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২৯ জন।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্টোল রুম ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এই ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে বরিশালে ২২, চট্টগ্রামে ১, ঢাকা বিভাগে ১, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৩, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১ এবং ময়মনসিংহে একজন ভর্তি হয়েছেন।

কন্ট্রোল রুম জানায়, চলতি বছরের এ পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে ২ হাজার ৫৭২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে ৩ এবং এপ্রিলে ৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

আরিফ সাওন/এমএ/

শ্রম আইন শিগগিরই সংশোধন করা হবে: শ্রম উপদেষ্টা

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৬ পিএম
শ্রম আইন শিগগিরই সংশোধন করা হবে: শ্রম উপদেষ্টা
সচিবালয়ে মহান মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: পিআইডি

শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করে শিগগিরই শ্রম আইন সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) সচিবালয়ে মহান মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

শ্রম উপদেষ্টা জানান, শ্রম আইনে অনেক কিছু পরিবর্তন আসছে। এখনো চূড়ান্ত না হলেও অনেক পরিবর্তন আসছে। কবে নাগাদ আইনের সংশোধনী চূড়ান্ত হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি থাকতে থাকতে একটা শ্রম আইন পাকাপোক্ত করে দিতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে দেখেছি, শ্রমিকদের সঙ্গে সরকারের ও মালিকদের একটা গ্যাপ ছিল এবং আছে। এই গ্যাপ আমরা কমাতে চাচ্ছি। সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে, এর ৯৯ শতাংশ শ্রমিকদের পক্ষেই গেছে। স্টেটমেন্টগুলা শ্রমিকদের পক্ষে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘অনেক ভালো ভালো মালিক আছেন। না হলে আমাদের দেশের শিল্পগুলো এগোত না। সবাই এক রকম না।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা শ্রমিকদের অনেক কিছুই করতে পারিনি। যেমন তাদের স্বাস্থ্যগত বিষয়, তাদের আবাসিক এলাকার বিষয়, যেগুলো হওয়া উচিত, আমরা এখনো করতে পারিনি। তা ছাড়া শ্রম সংস্কার কমিশন কতগুলো প্রস্তাব দিয়েছে, সেগুলোও দেখা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারের প্রচেষ্টা হচ্ছে হিউম্যান রাইটস এবং ওয়ার্কার রাইটস যেন সমানভাবে থাকে। শ্রমিক এবং শ্রম আইন নিয়ে প্রতিদিন কাজ করছি। এ জন্য শ্রমিকদের সহযোগিতা দরকার, মালিকদের সহযোগিতা দরকার। সরকারের পক্ষ থেকে শুধু শ্রম মন্ত্রণালয়ের কাজ না এটা। বেশ কিছু মিনিস্ট্রি আছে। সেখানে কমার্স মিনিস্ট্রি আছে, বিডা আছে, সবাই মিলে কন্ট্রিবিউট করলে শ্রমিকদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বড় প্রশ্ন আসছে অপ্রচলিত শ্রমের কিছু ক্ষেত্রের বিষয়ে। অপ্রচলিত শ্রমিকদের বেশির ভাগ নির্মাণশ্রমিক। এর মধ্যে শিপ বিল্ডিংও আছে, রিয়েল এস্টেটের লোকজন আছে। সরকার সবাইকে একই ফোল্ডের মধ্যে নিয়ে আসতে চাইছে।’

আধুনিক বিমানবাহিনী গড়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১০ পিএম
আধুনিক বিমানবাহিনী গড়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে: প্রধান উপদেষ্টা
রাজধানীর বীর উত্তম এ কে খন্দকার ঘাঁটিতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রতি যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত আধুনিক বিমানবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর বীর উত্তম এ কে খন্দকার ঘাঁটিতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন।

দেশপ্রেম ও পেশাদারত্ব আগামী দিনের নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার মূল ভিত্তি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বিমানবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিমানবাহিনীর সকল সদস্যের প্রতি যুগোপযোগী ক্ষমতা ও দক্ষতা অর্জন এবং পেশাগত ও কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতি অব্যাহত মনোযোগ বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আমরা একটা নিরাপদ, উন্নত ও শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলবো ইনশাল্লাহ।’

তিনি বলেন, বিমানবাহিনীতে ভবিষ্যতে অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান, হেলিকপ্টার পরিবহন বিমান, রাডার সংযোজনের জন্য সরকার বিমানবাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে।

প্রফেসর ইউনূস বলেন, বর্তমান বিশ্বের দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সঙ্গে তালমিলিয়ে চলার জন্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ ও অনুশীলন অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্যগণ নিয়মিতভাবে বহুমাত্রিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ও অনুশীলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের জ্ঞান দক্ষতাকে যুগোপযোগী করতে সদা সচেষ্ট রয়েছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা স্বাধীনতা যুদ্ধে বিমানবাহিনীর অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। একইসঙ্গে তিনি ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের শহিদদের কথা স্মরণ করে বলেন, শিক্ষার্থী, তরুণ-তরুণী এবং সাধারণ জনগণ যারা দেশের অধিকারের প্রশ্নে জীবন ও রক্ত দিয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তাদেরকে স্মরণ করছি।

তিনি দেশের বিমান বন্দরসমূহের সুষ্ঠু পরিচালনা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বিমানবাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।

মহড়া কেবল একটি সাময়িক অনুশীলনই নয় উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এটি আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিমানবাহিনীর পেশাদারি ও দক্ষতার পরিচয় বহন করে। নিষ্ঠা, শৃঙ্খলা ও পেশাগত উৎকর্ষের জন্য মহড়ায় অংশগ্রহণকারীদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আজকের এই অনুশীলন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর আত্মবিশ্বাস, প্রস্তুতি এবং অর্পিত দায়িত্ববোধের বাস্তব রূপায়ণ।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী সময়োপযোগী পরিকল্পনা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং কার্যকর আকাশ প্রতিরক্ষার পাশাপাশি বিস্তীর্ণ সমুদ্র এলাকায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বিমানবাহিনীর সদস্যদের প্রতি জাতির আস্থা ও ভালবাসা অটুট থাকুক-এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

এর আগে বিমান ঘাঁটিতে এসে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। অনুষ্ঠানস্থলে বিমানবাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল প্রধান উপদেষ্টাকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। এসময় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। সূত্র: বাসস

এমএ/

আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো সরকারকে পাঠানো হচ্ছে: ইসি সানাউল্লাহ

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১২ পিএম
আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম
আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশগুলো সরকারকে পাঠানো হচ্ছে: ইসি সানাউল্লাহ
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ

নির্বাচনের আগেই সংস্কার করা সম্ভব- এমন আশু বাস্তবায়নযোগ্য অন্তত ১০-১২টি সুপারিশ বুধবার (৩০ এপ্রিল) সরকারকে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

বুধবার নির্বাচন ভবনে ‘চতুর্থ কমিশন সভা’ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘রোহিঙ্গারা যেন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে সেজন্য ভোটার তালিকা হালনাগাদের ৫৬টি এলাকা ধরে বিশেষ ব‍্যবস্থা নিয়েছে ইসি। এ ছাড়া সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যাদের দুটি ভোটার আইডিকার্ড রয়েছে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে তাদের একটি কার্ড বাতিল করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আইনি বাধ্যবাধকতায় ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে তাদের গেজেট প্রকাশ করতে হয়েছে। কারণ নির্ধারিত সময়ে আইন মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে তারা মতামত পাননি। এরপর কমিশন বৈঠক করে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের আদেশ বাস্তবায়নে গেজেট প্রকাশ করা হয়।’

ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘আমাদের বাধ্যবাধকতা ছিল ১০ দিনের মধ্যে এটার নিষ্পত্তি করার, আমরা নিষ্পত্তি করেছি। আমরা দ্রুত আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছিলাম। গত ২৭ এপ্রিল বিকেল ৫টা পর্যন্ত অপেক্ষা করি, রিপ্লাই না পেয়ে আমরা কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়ে এটা করেছি। আদালতের আদেশের যেন ব্যত্যয় না ঘটে সেটা (গেজেট প্রকাশ) বাস্তবায়ন করা হয়েছে।’ 

ইসি কেন আপিল করেনি? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন সংক্ষুব্ধ ‘পার্টি’ না হওয়ায় আপিলেও যায়নি। এর আগে ট্রাইব্যুনালের রায়ের কপি পেয়ে ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় ইসি।”

এ সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন, চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির নির্বাচন হয়। বিএনপির ইশরাক হোসেনকে পৌনে দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হন। দেশে কোভিড মহামারি শুরুর পর ১৬ মে দায়িত্ব নেন তাপস। জুনের প্রথম সপ্তাহে প্রথম সভা হয়। সে হিসেবে এই সিটি করপোরেশনের ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা চলতি বছরের জুনে।

এলিস/পপি/