ঢাকা ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

এক সপ্তাহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ৩৯০

প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫০ পিএম
এক সপ্তাহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ৩৯০
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

যৌথ বাহিনীর অভিযানে গত এক সপ্তাহে সারা দেশে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৩৯০ জনকে আটক করা হয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) এ তথ্য জানানো হয়। ১০ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত তাদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিদের মধ্যে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চিহ্নিত দুর্বৃত্ত, ডাকাত, চাঁদাবাজ, একাধিক মামলার পলাতক আসামি, ছিনতাইকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য, মাদক ব্যবসায়ী, মাদকাসক্ত ও দালালচক্রের সদস্যরা রয়েছে।

এতে বলা হয়, সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিটগুলো এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যৌথ অভিযান চালানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১০টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৪৬টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের দেশি অস্ত্র, চোরাই মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, বৈদেশিক মুদ্রা ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে বৈশাখী উৎসব ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত উৎসবকে ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী বিভিন্ন এলাকায় টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম চালায়।

বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনী। পাশাপাশি, চলমান এসএসসি এবং সমমান পরীক্ষার বিভিন্ন কেন্দ্রের নিরাপত্তা বিধান করতে দেশব্যাপী টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে সেনাবাহিনী। বাসস।

সাংবাদিকতার দায়িত্ব ও নৈতিকতা বিষয়ক আইন হওয়া প্রয়োজন: তথ্য উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২০ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৪ পিএম
সাংবাদিকতার দায়িত্ব ও নৈতিকতা বিষয়ক আইন হওয়া প্রয়োজন: তথ্য উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, সাংবাদিকদের জন্য সুরক্ষা আইনের পাশাপাশি সাংবাদিকতার দায়িত্ব ও নৈতিকতা বিষয়ক আইন হওয়া প্রয়োজন। কোনো সাংবাদিক দায়িত্বশীল ও পেশাদার না হলে তিনি আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন না।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ফ্যাসিবাদের ১৫ বছরে গণমাধ্যমের বাস্তবতা’-শীর্ষক মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে গণমাধ্যমের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ওই সময় অনেক সাংবাদিক ভয়ে নয়, বরং লোভে পড়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন। তারা সাংবাদিকতার চেয়ে শেখ পরিবারের ভাবমূর্তি রক্ষায় অনেক বেশি তৎপর ছিলেন। ফ্যাসিবাদী সরকারের দালালি করে অনেক সাংবাদিক বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।

সাংবাদিকদের আদর্শিক পরিবর্তন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, দীর্ঘদিন ফ্যাসিবাদের মধ্যে থাকার ফলে অনেক সাংবাদিকের মাঝে এক ধরনের সেলফ-সেন্সরশিপ কাজ করছে। এই অবস্থা দ্রুত পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন।

সমাজে গণমাধ্যমের প্রভাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের অনেক সতর্ক থাকা প্রয়োজন। অসত্য সংবাদ প্রকাশের ফলে অনেকের জীবন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে।

মাহফুজ আলম বলেন, গণমাধ্যমে বিদ্যমান সংকট সমাধানে সরকার কাজ করছে। রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া গণমাধ্যমের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি গণমাধ্যমে ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ আল মামুন। মূল প্রবন্ধে তিনি বিগত সরকারের আমলে গণমাধ্যমের অপেশাদার আচরণের চিত্র তুলে ধরেন।

মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে সাংবাদিকরা ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরেন। তারা গণমাধ্যমকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. নিজামূল কবীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের সাংবাদিক এবং সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: ইউএনবি

এমএ/

সেবার মানসিকতা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩২ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৭ পিএম
সেবার মানসিকতা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, সেবা নিতে গিয়ে সাধারণ মানুষ যেন কোনোরকম হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার না হয়-সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যদের ব্যবহার, সেবার মানসিকতা ও আন্তরিকতা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে হবে। এর মাধ্যমে পুলিশের প্রতি জনগণের দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে।

উপদেষ্টা মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ উপলক্ষ্যে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কারো কাছ থেকে কোনো বিশেষ সুবিধা নেয়া যাবে না। ঘুষ ও দুর্নীতি থেকে নিজেদের দূরে রাখতে হবে।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের পর আমি পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও থানা পরিদর্শন করেছি। পরিদর্শনকালে পুলিশের বিভিন্ন সমস্যা আমার নজরে এসেছে। এরমধ্যে সবচেয়ে প্রকট সমস্যা হচ্ছে অধস্তন ফোর্সদের থাকা ও খাওয়ার সমস্যা।’

তিনি বলেন, পুলিশের যানবাহন সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। থানার জন্য ২০০টি পিক-আপ ভ্যান ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলছে যা আজ ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে উঠবে। এসব সমস্যাসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কাজ করা হচ্ছে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, কাজ করতে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যে বিষয়টি সবচেয়ে আগে প্রয়োজন তা হচ্ছে- পুলিশ সদস্যদের ধৈর্য ধারণ। ধৈর্য ধারণ করে আলোচনার মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব।

তিনি বলেন, অপ্রয়োজনে লাঠিচার্জ বা বলপ্রয়োগ করা যাবে না। পুলিশের সুদূরপ্রসারী কল্যাণে বর্তমান সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, কনস্টেবল থেকে সাব-ইন্সপেক্টরদের ঝুঁকি ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে উচ্চ সীমা (সিলিং) বন্ধ করার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এর ফলে নিচের স্তরের পুলিশ কর্মকর্তারা আগের চেয়ে অধিক হারে ঝুঁকি ভাতা পাবেন।

উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ সদস্যদের মোটরসাইকেল ক্রয়ের জন্য ঋণ প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর ও সহকারী সাব-ইন্সপেক্টরদের এ ঋণ প্রদান করা হবে। সরকার যাতে ঋণের সুদের টাকা পরিশোধ করে-সে বিষয়েও অনুরোধ জানানো হবে।

তিনি আরও বলেন, অধস্তন পুলিশ সদস্যদেরকে নিজেদের বৃহত্তর জেলার মধ্যে পদায়নের চিন্তাভাবনা করছে সরকার। একইভাবে স্বামী-স্ত্রী দুজনে পুলিশ সদস্য হলে তাদেরকে একই জেলায় পদায়নে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের জনবল সংকট রয়েছে। তাই তাদের সাংগঠনিক কাঠামোতে (টিওএন্ডই) জনবল বৃদ্ধি করা দরকার। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে তিনি আইজিপিকে নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ধরন ও মাত্রা দিন দিন পরিবর্তিত হচ্ছে। তাই এসব অপরাধ দমনে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই।

উপদেষ্টা এসময় দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে পদায়নের নির্দেশ দেন। মতবিনিময় সভায় ট্রাফিকদের দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধাসহ ট্রাফিক বক্স/শেলটার স্থাপন, রাতে টহলরত পুলিশ সদস্যদের জন্য তাঁবু স্থাপন, মাদকের মূল হোতাদের ধরতে শক্ত অভিযান পরিচালনা ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা হয়।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন আইজিপি বাহারুল আলম। সভায় বাংলাদেশ পুলিশের সকল ইউনিটের সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন।

পরে উপদেষ্টা প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সূত্র: বাসস

২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে গ্রেপ্তার ১৩৩৯

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৪ পিএম
২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে গ্রেপ্তার ১৩৩৯
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১ হাজার ৩৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ৭৯৯ জন এবং অন্যান্য ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫৪০ জন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার) সারা দেশে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযানে তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি বিদেশি রিভলভার, দুটি দেশীয় তৈরি এলজি, একটি দেশীয় তৈরি, একটি ম্যাগাজিন, ২৪ রাউন্ড গুলি, আট রাউন্ড তাজা কার্তুজ, একটি কার্তুজের খোসা, দুটি ছুরি, একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি বাগ দা, তিনটি চাপাতি, দুটি রামদা, দেশীয় অস্ত্র একটি, একনলা বন্দুক একটি এবং একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযান চলবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের এই কর্মকর্তা।
  

হাতে পলিথিন থাকলেই জরিমানা

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৭ পিএম
হাতে পলিথিন থাকলেই জরিমানা
ছবি: খবরের কাগজ

পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতির আওতায় হাতে পলিথিন থাকলেই জরিমানা করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০০২ সালে পলিথিন নিষিদ্ধ করেছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এ মন্ত্রণালয়ের কাজ না হলেও তার অব্যবস্থাপনার জন্য নদী-নালা, খাল-বিল দূষণ ও ভরাট হচ্ছে। এমনকি তা মাইক্রো প্লাস্টিক আকারে মানব দেহে প্রবেশ করে মানুষের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ করছে। আপনারা ফ্রিতে ক্যান্সার খাচ্ছেন। এটা না করে ক্রেতা ও ব্যবহারকারীকে পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। পলিথিন ব্যবহার বন্ধে আমরা শুধু এডভোকেসি করব, এটা হবে না। এখন থেকে আমরা আমরা এনফোর্সমেন্টে যাবো।’ 

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় সিলেট জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগন, বাজার মনিটরিং কমিটি, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।।  

এসময় ড. ফারহিনা আহমেদ আরও বলেন, পলিথিন ফ্রি মনে হলেও এর মূল্য দিচ্ছে রাষ্ট্র। এর মূল্য দিচ্ছে আপনার সন্তান, বাবা, মা ও দেশের পরিবেশ। পলিথিনের অধিক ব্যবহারের কারণে বায়োডাইভারসিটি নষ্ট হচ্ছে। তাই বিকল্পের চিন্তা বাদ দিয়ে ব্যক্তি পর্যায়ে ব্যবহার বন্ধ করেন। না হলে পরের জেনারেশন আমাদেরকে শুধু গালি দেবে।

তিনি বলেন, যখন পলিথিন ছিল না তখন কি বাজার বন্ধ ছিল। ক্রেতাকে ব্যাগ পরিবহন করতে হবে। বাজারে পলিথিন না থাকলে এর বিকল্পও তৈরি হবে। তাই এনফোর্সমেন্ট ছাড়া উপায় নাই। সিলেটে একটি ট্রাকও যেন পলিথিন নিয়ে ঢুকতে না পারে এটা পুলিশবাহীনি নিশ্চিত করবেন। আমরা পলিথিন উৎপাদন বন্ধে কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, সিলেট অঞ্চল প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য বিখ্যাত। এখানে অনেক পর্যটন স্পট রয়েছে। সিলেটে আগত পর্যটকদের প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি লাঘবের জন্য সামাজিক সংগঠনকে সম্পৃক্ত করে স্পটভিত্তিক কমিটি গঠনের অনুরোধ করেন। উক্ত কমিটি পর্যটন স্পটের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে করবে। 

সচিব বাজার কমিটি ও সরকারি দপ্তরের সমন্বয়ে পলিথিন মুক্ত একটি মডেল বাজারের প্রস্তাবকে স্বাগত জানান এবং এক্ষেত্রে বাজার কমিটিকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, পরিবেশ সুরক্ষায় আগে নিজে বদলাবো, পরে সমাজ বদলাবো। সরকারি পর্যায়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, সমাজ সেবা অধিদপ্তর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, পাট অধিদপ্তর, বিআরডিবি ইত্যাদি দপ্তরকে সম্পৃক্ত করে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিষিদ্ধ পলিথিন সম্পর্কে সচেতন ও পলিথিনের বিকল্প পণ্য বাজারজাতকরণে সহায়তার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে মর্মে সবাইকে অবহিত করেন।

সভায় সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক ও রাজস্ব) দেবজিৎ সিংহ। সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জনাব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে সরকারী উদ্যোগ, আইনগত বিধি-নিষেধ নিয়ে বিস্তারিত প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন। 

সভায় আরও বক্তব্য দেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার, পর্যটন পুলিশ এর প্রতিনিধি, সিলেট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) সিলেট এর বিভাগীয় সমন্বয়ক শাহ সাহেদা। এছাড়াও বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, সিলেট জেলার সরকারী দপ্তরসমূহের অফিস প্রধানগণ, বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, হোটেল- রেস্তোরা মালিক সমিতির প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী , স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেছেন।

শাকিলা/সিফাত/

পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগে আর্থিক লেনদেন নয়: পুলিশ সদর দপ্তর

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০৯ পিএম
পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগে আর্থিক লেনদেন নয়: পুলিশ সদর দপ্তর
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও মেধা-যোগ্যতার ভিত্তিতে চলছে। এ নিয়োগে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন বা অসদুপায় অবলম্বন না করতে সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) পুলিশ সদরদপ্তরের গণমাধ্যম শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) ইনামুল হক সাগর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেউ আর্থিক লেনদেন বা অন্য কোন উপায়ে কনস্টেবল পদে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া কেউ যদি কোন প্রতারকের সন্ধান পায় তবে নিকটস্থ থানায় বা পুলিশ সুপারের অফিসে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। 

জাহাঙ্গীর/মেহেদী/