ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বাসযোগ্য নগরী গড়তে রাজউকের অভিযান চলবে: রাজউক চেয়ারম্যান

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২৮ পিএম
বাসযোগ্য নগরী গড়তে রাজউকের অভিযান চলবে: রাজউক চেয়ারম্যান
রাজউকের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

বাসযোগ্য নগরী গড়ে তুলতে সারা দেশে ঝুঁকিপূর্ণ ও নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যারা ভবন নির্মাণ করেছেন সেসব ভবনের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল ইসলাম।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে রাজউকের নারায়ণগঞ্জ জোনাল অফিসে (জোন-৮) নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘রাজউক বাসযোগ্য ও নিরাপদ নগরী গড়তে জনগণকে সেবা দিয়ে আসছে। নিয়ম অনুযায়ী ভবন নির্মাণসহ সবাইকে নিয়মের মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ও নকশা বহির্ভূত ভবন চিহ্নিত করার বিষয়ে রাজউকের অভিযান চলবে। নির্মাণাধীন ভবন মালিকরা অনিয়ম করলে ছাড় পাবে না।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘নির্মাণাধীন কোনো ভবনে অনিয়ম পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজউকের কোনো কর্মকর্তা অনিয়মে জড়ালে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। বিগত সময় ভবন নির্মাণে রাজউকের যেসব কর্মকর্তা অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও বাসযোগ্য নগরী গড়তে কোনো প্রভাবশালী বা শক্তিশালী মহলও ছাড় পাবে না।’

এ সময় রাজউকের সদস্য যুগ্মসচিব ড. মো. আলম মোস্তফা ও প্রধান প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম প্রমুখ  উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: বাসস

সুমন/

ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক আস্থা ভোটের পক্ষে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে মতবিরোধ

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১১:০০ পিএম
আস্থা ভোটের পক্ষে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে মতবিরোধ
রাষ্ট্র সংস্কারের প্রশ্নে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের বৈঠক। ছবি: পিআইডি

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের আস্থা ভোটের পক্ষে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বেশির ভাগ দলই ঐকমত্য পোষণ করেছে। এ ছাড়া সংসদ নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চায় বেশির ভাগ দল। তবে দলগুলোর মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন কার অধীনে হবে তা নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে স্থানীয় নির্বাচন চায় না বিএনপি। ঠিক বিপরীত অবস্থানে নিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই স্থানীয় নির্বাচন চায় জামায়াত ও এনসিপি।

মঙ্গলবার (৩ জুন) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রশ্নে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় এ প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। দুপুরে পৌনে ১২টার দিকে আলোচনা শুরু হয়ে শেষ হয় ৬টার দিকে। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল ও দুটি জোট অংশ নেয়। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, নিম্নকক্ষে নারী আসন নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ও কার্যপরিধি নিয়ে আলোচনার কথা থাকলেও সময় স্বল্পতার কারণে আর হয়নি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক পরিস্থিতি ও সংস্কৃতি বিশ্লেষণ করে এবং উপমহাদেশের চর্চা বিবেচনা করে তার দলের পক্ষ থেকে উপযুক্ত মত হচ্ছে, ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আস্থা ভোট না থাকলে সরকার পরিচালনায় স্থায়িত্ব থাকবে না। প্রতিনিয়ত সরকার পরিবর্তিত হতে থাকবে, যা শোভনীয় হবে না। আস্থা ভোট, অর্থবিল এবং সংবিধান সংশোধন এই তিনটি ছাড়া সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে মতামত প্রদান করবেন, এতে বিএনপি একমত। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তা প্রশ্নে এই আস্থা ভোটের বিষয়টি ৭০ অনুচ্ছেদে যুক্ত করতে বিএনপি প্রস্তাব করেছে। যদি কোনো সময় যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়, তাহলে যাতে পার্লামেন্ট মেম্বাররা তার জন্য ভোট দিতে পারেন, সেটা ৭০ অনুচ্ছেদে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।’

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে অর্থবিল, আস্থা ভোট ও সংবিধান সংশোধনসংক্রান্ত বিষয় ছাড়া সব বিষয়ে সংসদ সদস্যদের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দেওয়ার পক্ষে আমরা মতামত দিয়েছি।

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সংস্কার সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘অর্থ বিলের পাশাপাশি আস্থা ভোট থাকতে হবে। কারণ সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা যেমন দরকার, তেমনি সরকারের স্থিতিশীলতা দরকার।’

আস্থা ভোট রেখে দিলে প্রধানমন্ত্রী আনচ্যালেঞ্জড থেকে যাবেন, উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী বলেন, ‘এ প্রসঙ্গে কোনো উপায় বের করতে হবে। এক দিনে শেষ না করে আরেকটি আলোচনায় বসে কোথায় ঐকমত্য হলেও তা চূড়ান্ত করতে হবে।’

স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে মতবিরোধ

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার পক্ষে মতামত দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি। তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় না বিএনপি।

জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, আমাদের প্রস্তাব তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন হতে হবে।

অপরদিকে, এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হোক সবাই চায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচনও দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হলে ভালো হবে। কারিগরি দিক নিয়ে আমাদের আরও আলোচনা করতে হবে।’

সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নির্ধারণ

বৈঠক সূত্র জানায়, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদে ৫০ শতাংশ বিরোধী দল থেকে করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এতে বিএনপিসহ সব দলই একমত পোষণ করে। তবে বিএনপি চারটি কমিটির সভাপতি পদে বিশেষ করে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি, পাবলিক আন্ডারটেকিং কমিটি, প্রিভিলেজ ও এস্টিমেট কমিটির ছাড়া বাকিগুলোর ব্যাপারে একমত বিএনপি।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কয়েকটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বিরোধীদলীয় সদস্যদের দেওয়ার ব্যাপারে তখনই প্রায় সব দল একমত হয়েছিল। বিএনপির পক্ষ থেকে আরও কয়েকটি এ জাতীয় সংসদীয় কমিটি দেওয়ার পক্ষে প্রস্তাব করা হয়েছে, যাতে সংসদে জবাবদিহি এবং ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা হয়।’

তিনি বলেন, ‘কয়টি সংখ্যা ও কী কী মন্ত্রণালয় সেটি এখনই নির্ধারণ হবে না। সেটি জাতীয় সংসদে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে এবং সাইজ অব দ্য অপজিশন পার্টি, সেটিও ম্যাটার করে। সেই সংখ্যা তখন নির্ধারণ করা যাবে। কারণ, বিরোধী দলের সদস্য সংখ্যা কম হলে এখনই পার্সেন্টেজ নির্ধারণ করা হলে সেটি প্রশ্নের সম্মুখীন হবে।

জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. তাহের বলেন, ‘স্থায়ী কমিটির বিষয়ে আমরা নীতিগতভাবে একমত হয়েছি মৌলিক চারটি কমিটি- পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি, পাবলিক আন্ডারটেকিং কমিটি, প্রিভিলেজ ও এস্টিমেট কমিটিতে বিরোধী দলের নির্বাচিত এমপিদের পক্ষ থেকে প্রদান করা হবে। আর বাকি যে কমিটিগুলো সেখানে সংখ্যানুপাতিক হারে বিরোধী দল থেকে করা হবে।’

এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম জানান, ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় প্রস্তাবিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বাইরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোর সভাপতি পদ বিরোধী দল থেকে চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি। কারণ সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে সরকার দলের সদস্য সংখ্যাই বেশি থাকে। 

নারীদের আসন ১০০ করার ব্যাপারে একমত সব দল, পদ্ধতি নিয়ে দ্বিমত

বৈঠক সূত্র জানায়, সংসদের আসন ৩৫০ থেকে ৪০০ আসনে করার ব্যাপারে সবাই একমত পোষণ করেছে। সে ক্ষেত্রে নারীদের আসন ৫০ থেকে বাড়িয়ে ১০০ আসন করার ব্যাপারে সব দলই নীতিগতভাবে একমত পোষণ করছে। তবে নারীরা কীভাবে নির্বাচিত হবেন, ভোট না বর্তমান পদ্ধতি থাকবে, তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে দলগুলোর মধ্যে। কোনো কোনো দল সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নারী আসন চায়, আবার কোনো কোনো দল চলমান পদ্ধতি চায়। এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে আলোচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সংরক্ষিত আসন বাড়ানো হলেও এটিতে আপাতত মনোনয়নের পক্ষে বিএনপি। আমরা মনে করি, নারীর সংরক্ষিত আসনে এখনই নির্বাচনের সময় হয়নি। তবে এর নির্বাচন পদ্ধতি কী হবে, এ বিষয়ে কোনো ঐক্য এখনো হয়নি। আরও আলোচনা হবে। দেশের নারী সমাজকে আরও বেশি এগিয়ে নেওয়ার জন্য বর্তমান বিধান রাখা উচিত।’

নারী আসন প্রসঙ্গে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসলিম জারা বলেন, ‘আমরা চাই জাতীয় সংসদের ন্যূনতম ২৫ শতাংশ নারী জনপ্রতিনিধি সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচিত হোক। ৩০০ আসন বাড়িয়ে ৪০০ করা হলে ১০০ আসনে নারীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং সেখান থেকেই তৃণমূল নেতৃত্ব উঠে আসবে। তিনি বলেন, নারীরা নিজস্ব আসন থেকে নির্বাচিত হলে তারা নির্বাচনী মাঠ, প্রচারণা, জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি এবং কাজের মধ্য দিয়ে নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ পান।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ৯০ দিন চায় বিএনপি, বিপক্ষে এনসিপি

চার মাস নয়, বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ৯০ দিন রাখা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে শুধু জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে মতামত দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ তিন মাসের বেশি হওয়া উচিত নয়। যদিও কমিশন প্রস্তাব করেছে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ চার মাস হওয়া উচিত।’

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ চার মাসের প্রস্তাবে এনসিপি একমত বলে জানিয়ে সরোয়ার তুষার বলেন, ‘কয়েকটি দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ছয় মাস রাখার পক্ষে। বিষয়টি নিয়ে এখনো আলোচনা হয়নি। মেয়াদ তিন মাস বা চার মাসের বিষয়ে আমরা নমনীয় থাকব। স্থানীয় সরকার নির্বাচন অন্তর্ভুক্ত হলে চার মাস প্রয়োজন হতে পারে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও অংশ নিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, খেলাফত মজলিস, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, এবি পার্টি, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ জাসদ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, গণসংহতি আন্দোলন, জেএসডি, গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২-দলীয় জোট, ইসলামী আন্দোলন, গণফোরাম, সিপিবি, বাসদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, জাকের পার্টি, জাতীয় গণফ্রন্ট, আমজনতার দল, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও ইসলামী ঐক্যজোট।

জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায়

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৯:৪৬ পিএম
জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায়
পুরোনো ছবি

আগামী শনিবার (৭ জুন) উদযাপিত হতে যাওয়া পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে প্রধান জামাত জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (৩ জুন) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিবছরের মতো এবারও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পাঁচটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। বায়তুল মোকাররমে প্রথম জামাত সকাল ৭টায়, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম ও শেষ জামাত পর্যায়ক্রমে সকাল ৮টা, ৯টা, ১০টা এবং ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।

তা ছাড়া, ঢাকা শহরের প্রসিদ্ধ মসজিদগুলোর ঈদ জামাত ও বৃহত্তর জেলাগুলোর প্রধান জামাতের সময়সূচি ঈদের আগের দিন শুক্রবার বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে জানানো হবে।

ঈদে বৃষ্টির আশঙ্কা কম, বাড়তে পারে তাপমাত্রা

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৯:২৯ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৯:৩০ পিএম
ঈদে বৃষ্টির আশঙ্কা কম, বাড়তে পারে তাপমাত্রা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ঈদের দিন এবং ঈদ-পরবর্তী বৃষ্টির আশঙ্কা কম। এ সময়ে কোথাও কোথাও তাপমাত্রা বেড়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। দেশের অধিকাংশ স্থানে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। বৃষ্টির আশঙ্কা কম হলেও এ সময় সিলেট অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। আবহাওয়ার বিভিন্ন মডেল থেকে প্রাপ্ত পূর্বাভাস থেকে এমন তথ্য জানা গেছে। আগামী ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। 

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আগামী শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময়ের পরবর্তী ৫ দিনে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।

সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার (৪ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। 

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।  সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। 

বন্যার অবনতি হতে পারে সিলেটে
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র মঙ্গলবার জানায়, সিলেট জেলার সুরমা, কুশিয়ারা ও মৌলভীবাজার জেলার মনু নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা এসব নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে পারে এবং বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। সারিগোয়াইন, যাদুকাটা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে এবং বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। তবে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার মনু, খোয়াই, সোমেশ্বরী, ধলাই নদীসমূহের পানি কমতে পারে। এই সময়ে সিলেট জেলার প্রধান নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে। 

জানা গেছে, সিলেটে গত দুই দিনে ভারী বৃষ্টিপাত কিছুটা কমলেও ভারতের পাহাড়ি ঢল থামেনি।  ফলে সিলেট জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার চারটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারতের আসাম রাজ্যের বরাক উপত্যকায় কয়েক দিন ধরে টানা ভারী বর্ষণের ফলে দ্রুত বাড়ছে কুশিয়ারার পানি। কুশিয়ারা বয়ে গেছে সিলেটের জকিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলা দিয়ে। এই তিন উপজেলা ইতোমধ্যে পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে। বাঁধ ভেঙে সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার এলাকার লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এই দুই উপজেলার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। ভারতের পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে কুশিয়ারার বাঁধে আরও ভাঙন দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

সুরমা, কুশিয়ারা নদী ছাড়াও সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী সারি, সারিগোয়াইন, ডাউকি, ধলাই ও লোভা নদীতে পানি বাড়ছে। গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট,  কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মানুষ উদ্বেগের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয়ের তথ্যমতে, মঙ্গলবার বেলা ৩টায় কুশিয়ারা নদীর পানি জকিগঞ্জ উপজেলার আমলশিদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯৫ সেন্টিমিটার, বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা পয়েন্টে ৪৮ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদীর পানি  কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস খবরের কাগজকে বলেন, ‘উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯৫ সেন্টিমিটার ও সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ জন্য সিলেটের কয়েকটি উপজেলার মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন।’

 

এমনভাবে আইন সংস্কার করতে চাই যাতে ফ্যাসিবাদ গড়ে ওঠা কঠিন হয় : আইন উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৯:১৯ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৯:২০ পিএম
এমনভাবে আইন সংস্কার করতে চাই যাতে ফ্যাসিবাদ গড়ে ওঠা কঠিন হয় : আইন উপদেষ্টা
আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল

আইন, বিচার ও সংসদ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আইনের এমন সংস্কার করতে সরকার কাজ করছে, যেন আরেকটি ফ্যাসিবাদ গড়ে ওঠা কঠিন হয়ে ওঠে। মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স, ২০২৫’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা আছে এটা করার, আমরা তাদের (স্বৈরশাসকদের) জন্য আইন যতটা সম্ভব কঠিন করে যেতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটা আইন করতে গেলে বিস্তারিত আলোচনা করতে হয়। সংসদে অনেকবার রিভিউ হয়, বারবার খসড়া হয়। তবু আমরা দ্রুত এ কাজগুলো করছি কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর সাধারণত জনকল্যাণমুখী আইন করার ব্যাপারে আগ্রহ থাকে না।’

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অনেক কিছুই করার চেষ্টা করছি। কাজ করছি। তবু দেখা যাচ্ছে অনেকেই বলছেন কোথায় সংস্কার? আবার বলেন এত দ্রুততা কেন? যারা সমালোচনা করেন তাদের মানসিকতারও একটু সংস্কার প্রয়োজন। এমন অনেক কাজও আমরা করেছি, যা এখন পর্যন্ত কেউ করেনি। কিছুদিন আগে প্রণীত সাইবার সুরক্ষা আইনের সংশোধনের প্রশংসা করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আমরা এটার জন্য অনেক গভীরে গিয়ে কাজ করেছি। আমাদের এই সংস্কার কাজগুলো অব্যাহত থাকবে।’

আগের সময়ের তুলনায় এখন সরকারের বিপক্ষে সমালোচনার অবারিত স্বাধীনতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটিও আমাদের একটা বড় সংস্কার বলে আমরা মনে করছি।’

মামলার জট কমাতে সরকার গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘লিগ্যাল সার্ভিস অ্যাক্টের ভেতর বড় একটা পরিবর্তন আনার চিন্তাভাবনা করছি। এ ক্ষেত্রে পেটি অফেন্স, আপসযোগ্য মামলা, পারিবারিক মামলা, এনআই অ্যাক্টের মামলার ক্ষেত্রে অবশ্যই লিগ্যাল এইডে যেতে হবে, আগে কোর্টে আসা যাবে না।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আইজিপি বাহারুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম, সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মিলন, ব্লাস্টের নির্বাহী পরিচালক ও সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সিনিয়র আইনজীবী শিশির মনির, পাবলিক প্রসিকিউটর মো. ওমর ফারুক ফারুকী, মো. ইকবাল হোসেন ও মো. বোরহান উদ্দিন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন প্রমুখ।

আইজিপি বাহারুল আলম আইন উপদেষ্টাকে এই উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এ ধরনের আলোচনা আগেও হয়েছে কিন্তু সেখানে পুলিশ থেকে কাউকে পক্ষভুক্ত করা হয়নি। এ ধরনের আলোচনায় পুলিশের পক্ষ থেকে কাউকে আমন্ত্রণ জানানোর ব্যাপারে এটিই প্রথম।’

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘খসড়ায় গ্রেপ্তার ব্যক্তির মেডিকেল এক্সামিনেশন কথার উল্লেখ থাকলেও কারা এই মেডিকেল এক্সামিনেশন করতে পারবেন তার উল্লেখ নেই, এটি থাকলে ভালো হতো।’

ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘খসড়ায় ম্যাজিস্ট্রেটের শাস্তি দেওয়ার আওতা বৃদ্ধি করা একটি সময়োপযোগী ব্যাপার। তবে তা করা হলে বর্ধিত আওতার বিচারিক প্রক্রিয়াকে সঞ্চালনা করতে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগের ব্যাপারে চিন্তা করতে হবে। সেই সঙ্গে ‘পুলিশ’ ও ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থা’কে একইভাবে সংজ্ঞায়িত না করে আলাদা আলাদাভাবে সংজ্ঞায়িত করলে বিভিন্ন বিভ্রান্তি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।’

খসড়া অনুযায়ী বেত্রাঘাতের বিধানকে বাতিল করার চিন্তাভাবনাকে স্বাগত জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, ‘এখানে যেসব চেঞ্জ (সংশোধন) নিয়ে কথা হচ্ছে, সেগুলো যথাযথভাবে করা গেলে আমি মনে করি, ২৫ বছর ধরে যে পরিবর্তনের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি, সেটা আমরা পেয়ে যাব।’

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ অ্যাক্ট, প্রিজন্স অ্যাক্ট, প্রিজনার্স অ্যাক্ট এবং জেল কোড ইত্যাদির ভেতর থেকে ঔপনিবেশিকতা বাদ দিতে হবে।’

বক্তারা তাদের বক্তব্যে প্লি বারগেইনিং প্রণয়নের যৌক্তিকতা, শাস্তি ঘোষণা হওয়ার আগে কনডেম সেলে প্রেরণ না করা, আটক বা গ্রেপ্তারে শুধু ফৌজদারি কার্যবিধির বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ, আটক বা গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিকে থানা ব্যতীত কোথাও নেওয়ার অনুমতি না দেওয়া, মামলাজট থেকে রেহাই পেতে আপসযোগ্য অপরাধের আওতা বৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ের ওপর মতামত ও সুপারিশ তুলে ধরেন।

সমাপনী বক্তব্যে আইন উপদেষ্টা জানান, এ বিষয়ে আরও গভীর আলোচনা সাপেক্ষে ফৌজদারি কার্যবিধির যৌক্তিক ও প্রয়োজনীয় সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সীমান্তে পুশইন বন্ধে দিল্লিকে আবারও চিঠি দেবে ঢাকা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম
সীমান্তে পুশইন বন্ধে দিল্লিকে আবারও চিঠি দেবে ঢাকা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে মানুষকে ঠেলে পাঠানো (পুশইন) অব্যাহত রেখেছে ভারত। এটি বন্ধে ভারত সরকারকে আজ বা আগামীকাল (বুধবার) আরেকটি চিঠি দেবে বাংলাদেশ। এছাড়া এই সমস্যা সমাধানে কনস্যুলার পদ্ধতির (কনস্যুলার ডায়লগ) আওতায় ভারতের সঙ্গে কাজ করতে চায় ঢাকা।

মঙ্গলবার (৩ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

পুশইন ঠেকানো সম্ভব নয় স্বীকার করে তৌহিদ হোসেন বলেন, পুশইন হচ্ছে, ফিজিক্যালি এটি ঠেকানো সম্ভব নয়। এটা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের চিঠি আদান-প্রদান হচ্ছে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা বলেছি, এটা যেন সঠিক পদ্ধতি অনুযায়ী হয়। তারা কিছু ক্ষেত্রে বলেছে, এক্ষেত্রে কিছু জট আছে, তোমরা সেগুলো ঠিকমতো করছ না।  আমরা চেক করে দেখেছি, দীর্ঘদিন আগের তালিকা (ভারতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশি) আছে একটা এবং আমরা পাশাপাশি এটাও দেখেছি যে, আসলে তাদের তালিকা অনুযায়ী আমরা চেকআপ করে অনেককে নিয়েছি।

উপদেষ্টা বলেন, কাজেই দুপক্ষেরই বক্তব্য থাকতে পারে এখানে। আমরা চেষ্টা করছি, কনস্যুলার ইস্যু নিয়ে একটা মেকানিজম আছে, সেটাকে ব্যবহার করে এ জিনিসটাকে একটা নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসার। আমরা চাইলে নিয়মিত পদ্ধতিতে জিনিসটি হতে পারে। নিয়মের বাইরে যেন না যায়।

কনস্যুলার ডায়ালগে বসার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় একটা চিঠি পাঠাব। যেটাতে আমরা কিছু পদ্ধতির কথা আরেকবার উল্লেখ করব এবং আমাদের যে পদ্ধতি আছে, কনস্যুালার আলাপ-আলোচনার, সেটাও আমরা ব্যবহার করার চেষ্টা করব। কনস্যুলার ডায়াগল হতে পারে। যেহেতু এখন একটা ইস্যু আছে। এটাও হতে পারে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভারত এ পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি মানুষকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এসব ব্যক্তি অবৈধভাবে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বসবাস করছিলেন। আর বাংলাদেশ সরকার বলছে, এভাবে পুশইন ঠিক নয়। যদি কোনো অবৈধ বাংলাদেশি ভারতে থেকে থাকে সেটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যেন ফেরত দেওয়া হয়।

সরকারের সংশ্লিষ্টদের তথ্য বলছে, ভারত থেকে পুশ ইন বন্ধে এখন অবধি পাঁচটি চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। এখন আরেকটি চিঠি যাবে দিল্লিতে।