ঢাকা ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫
English

হাতে পলিথিন থাকলেই জরিমানা

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৭ পিএম
হাতে পলিথিন থাকলেই জরিমানা
ছবি: খবরের কাগজ

পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতির আওতায় হাতে পলিথিন থাকলেই জরিমানা করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০০২ সালে পলিথিন নিষিদ্ধ করেছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এ মন্ত্রণালয়ের কাজ না হলেও তার অব্যবস্থাপনার জন্য নদী-নালা, খাল-বিল দূষণ ও ভরাট হচ্ছে। এমনকি তা মাইক্রো প্লাস্টিক আকারে মানব দেহে প্রবেশ করে মানুষের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ করছে। আপনারা ফ্রিতে ক্যান্সার খাচ্ছেন। এটা না করে ক্রেতা ও ব্যবহারকারীকে পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। পলিথিন ব্যবহার বন্ধে আমরা শুধু এডভোকেসি করব, এটা হবে না। এখন থেকে আমরা আমরা এনফোর্সমেন্টে যাবো।’ 

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় সিলেট জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগন, বাজার মনিটরিং কমিটি, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।।  

এসময় ড. ফারহিনা আহমেদ আরও বলেন, পলিথিন ফ্রি মনে হলেও এর মূল্য দিচ্ছে রাষ্ট্র। এর মূল্য দিচ্ছে আপনার সন্তান, বাবা, মা ও দেশের পরিবেশ। পলিথিনের অধিক ব্যবহারের কারণে বায়োডাইভারসিটি নষ্ট হচ্ছে। তাই বিকল্পের চিন্তা বাদ দিয়ে ব্যক্তি পর্যায়ে ব্যবহার বন্ধ করেন। না হলে পরের জেনারেশন আমাদেরকে শুধু গালি দেবে।

তিনি বলেন, যখন পলিথিন ছিল না তখন কি বাজার বন্ধ ছিল। ক্রেতাকে ব্যাগ পরিবহন করতে হবে। বাজারে পলিথিন না থাকলে এর বিকল্পও তৈরি হবে। তাই এনফোর্সমেন্ট ছাড়া উপায় নাই। সিলেটে একটি ট্রাকও যেন পলিথিন নিয়ে ঢুকতে না পারে এটা পুলিশবাহীনি নিশ্চিত করবেন। আমরা পলিথিন উৎপাদন বন্ধে কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, সিলেট অঞ্চল প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য বিখ্যাত। এখানে অনেক পর্যটন স্পট রয়েছে। সিলেটে আগত পর্যটকদের প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি লাঘবের জন্য সামাজিক সংগঠনকে সম্পৃক্ত করে স্পটভিত্তিক কমিটি গঠনের অনুরোধ করেন। উক্ত কমিটি পর্যটন স্পটের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে করবে। 

সচিব বাজার কমিটি ও সরকারি দপ্তরের সমন্বয়ে পলিথিন মুক্ত একটি মডেল বাজারের প্রস্তাবকে স্বাগত জানান এবং এক্ষেত্রে বাজার কমিটিকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, পরিবেশ সুরক্ষায় আগে নিজে বদলাবো, পরে সমাজ বদলাবো। সরকারি পর্যায়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, সমাজ সেবা অধিদপ্তর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, পাট অধিদপ্তর, বিআরডিবি ইত্যাদি দপ্তরকে সম্পৃক্ত করে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিষিদ্ধ পলিথিন সম্পর্কে সচেতন ও পলিথিনের বিকল্প পণ্য বাজারজাতকরণে সহায়তার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে মর্মে সবাইকে অবহিত করেন।

সভায় সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক ও রাজস্ব) দেবজিৎ সিংহ। সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জনাব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে সরকারী উদ্যোগ, আইনগত বিধি-নিষেধ নিয়ে বিস্তারিত প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন। 

সভায় আরও বক্তব্য দেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার, পর্যটন পুলিশ এর প্রতিনিধি, সিলেট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) সিলেট এর বিভাগীয় সমন্বয়ক শাহ সাহেদা। এছাড়াও বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, সিলেট জেলার সরকারী দপ্তরসমূহের অফিস প্রধানগণ, বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, হোটেল- রেস্তোরা মালিক সমিতির প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী , স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেছেন।

শাকিলা/সিফাত/

গুমের ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছে সমাজের ভদ্র লোকেরা: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৭:৪৩ পিএম
গুমের ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছে সমাজের ভদ্র লোকেরা: প্রধান উপদেষ্টা
ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গুম সংক্রান্ত প্রতিবেদন ওয়েবসাইট ও বই আকারে প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে। এটি ঘিরে শুধু বাংলাদেশ নয়, বৈশ্বিকভাবেও আগ্রহ রয়েছে।

বুধবার (৪ জুন) বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। কমিশন প্রধান বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘কী ভয়াবহ একেকটি ঘটনা! আমাদের সমাজের ‘ভদ্রলোকেরা’, আমাদেরই আত্মীয়-পরিজনরা এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। আপনারা যা যা কিছু পেয়েছেন তার ভিত্তিতে একটি হরর মিউজিয়াম হওয়া উচিত। গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। এই ধরনের বন্দিশালা কেমন হয়, তিন ফিট বাই তিন ফিট খুপড়ির মধ্যে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস আটকে থাকার যে নির্মমতা, নিষ্ঠুরতার চিত্র মানুষের কাছে তুলে ধরা উচিত।’

ড. মুহাম্মদ ইউনূস কমিশন সদস্যদের কাছে প্রতিবেদনের আশু করণীয়গুলো চিহ্নিত করে কোনটি কোন মন্ত্রণালয়ের আওতায় পড়ছে তা সুনির্দিষ্ট করে দেওয়ার নির্দেশনা দেন, যাতে করে সরকার স্বল্পসময়ের মধ্যে কাজগুলো শুরু করতে পারে।

একজন কমিশন সদস্য প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ‘ঘটনাগুলো এতটাই ভয়াবহ যে, জড়িত অনেক কর্মকর্তা ও অন্যরাও অনুশোচনায় ভোগেন। তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন আত্মশুদ্ধির একটা প্রচেষ্টা হিসেবে। দুজন অফিসার লিখিতভাবে এর থেকে পরিত্রাণ চেয়ে চিঠিও লিখেছিলেন। চিঠিগুলো গণভবনে পাওয়া গেছে। তৎকালীন সেনাপ্রধান জনসম্মুখে এই চিঠির কথা স্বীকারও করেছেন।’

কমিশন সদস্যরা জানান, কমিশনের কাছে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৫০টি অভিযোগ এসেছে এবং তার মধ্যে ১ হাজার ৩৫০টি অভিযোগ যাচাই বাছাই শেষ হয়েছে। অভিযোগের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। গুমের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তিনশতাধিক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানান তারা। নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবার যাতে অন্তত ব্যাংক হিসেবে লেনদেন করতে পারে সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান কমিশন প্রধান।

তিনি বলেন, বিদ্যমান আইনে কেউ সাত বছর নিখোঁজ থাকলে তাকে মৃত বলে ধরে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আইন সংশোধন করে এটিকে পাঁচ বছর করার সুপারিশ করেন তিনি। অতিদ্রুত যাতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে বিষয়ে করণীয় জানাতে কমিশনকে পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।

কমিশন সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা ভয়-ভীতি, নানান রকম হুমকি-ধামকি উপেক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছেন। এদেশের মানুষের জন্য আপনারা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। ভবিষ্যতে যারা মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করবে আপনারা তাদের অনুপ্রেরণা।’

সদস্যদের মধ্যে নূর খান, সাজ্জাদ হোসেন এবং নাবিলা ইদ্রিস উপস্থিত ছিলেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া। সূত্র: বাসস 

ইশরাকের গেজেট প্রকাশ করে ইসি দায়িত্ব শেষ করেছে: ইসি সানাউল্লাহ

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৭:৩৩ পিএম
ইশরাকের গেজেট প্রকাশ করে ইসি দায়িত্ব শেষ করেছে: ইসি সানাউল্লাহ
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। ছবি: খবরের কাগজ

নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের রায়ে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের গেজেট প্রকাশের মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) তার দায়িত্ব শেষ করেছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

বুধবার (৪ জুন) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির ৬ষ্ঠ কমিশন বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।  

ইসি সানাউল্লাহ জানান, আজ (বুধবার) কমিশন সভায় আদালতের রায় ও অন্যান্য বিষয় পর্যালোচনা করা হয়েছে। আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত এই যে, যেহেতু গেজেট বহাল রয়েছে, শপথের বিষয়টি স্থানীয় সরকারের। সেক্ষেত্রে নতুন কোনো পদক্ষেপ ইসির নেওয়ার প্রয়োজন নেই। শপথের বিষয়টি সরকারের হওয়ায় ইসি আর কোনো আইনি পদক্ষেপ বা মন্ত্রণালয়ে কোনো ধরনের চিঠি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই বলে মনে করে। 

তিনি বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয় নোটিফিকেশনেরর মাধ্যমে তথা তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে এবং সম্পন্ন হয় গেজেট পাবলিকেশনের মাধ্যমে। তাই আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব সম্পন্ন করেছে এবং গেজেট বহাল আছে। নির্বাচন কমিশনের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

এ পর্যায়ে সমাধান কী- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা ইলেকশন কমিশনের পক্ষ থেকে আপনাদেরকে বলতে পারি, নির্বাচন কমিশনের কাজ হচ্ছে গেজেট পর্যন্ত পাবলিশ করা আর শপথের ব্যাপারটি স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন আইনে পরিষ্কারভাবে বলা আছে কারা এটা এডমিনিস্টার করবে। আমরা যেটা বলেছি, আমাদের চিঠির মাধ্যমে যে এখানে যদি আইনি কোনো ধরনের জটিলতা না থাকে বা অপরাপর কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকে, তাহলে আমরা তাদের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেছি। এখন আর কোনো (স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে) চিঠি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছি না।’ 

গত ২৭ এপ্রিল কমিশন ইশরাকের গেজেট করে। গেজেট প্রকাশ করার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইসি সচিবালয় চিঠিও পাঠানো হয়। সেই গেজেট এখনও বহাল রয়েছে।

এলিস/

নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর: গোয়েন লুইস

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৬:২২ পিএম
নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর: গোয়েন লুইস
জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিক্যাব টকে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি ও সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে জাতিসংঘ কোনো ভূমিকা পালন করতে পারে না। নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশে জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত নেবে কখন নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি ও সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।

তিনি বলেন, নির্বাচন আগে না সংস্কার এটা বাংলাদেশের জনগণ, সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো ঠিক করবে। এতে জাতিসংঘের কোনো ভূমিকা নেই।

বুধবার (৪ জুন) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিক্যাব টকে এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি ও সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস।

তিনি আরও বলেছেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন মানে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নয়। জাতিসংঘের সংজ্ঞা মতে সমাজে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণকেই অংশগ্রহণমূলক বলা হয়।

এই সময় ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক অফিস স্থাপনের বিষয়টি চূড়ান্ত জানিয়ে তিনি বলেছেন, শিগগিরই ছোট আকারে অফিস চালু হবে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাজের প্রতি সমর্থন জানিয়ে গোয়েন লুইস বলেছেন, তাদের কাজ খুবই জটিল। জাতিসংঘ মনে করে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিতে এটি সহায়তা করবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুজ্জামান মামুন।

 

বিআরটিসির ঈদ স্পেশাল সার্ভিসে ৬৩০ বাস

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৫:৪৪ পিএম
আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫, ০৭:১৩ পিএম
বিআরটিসির ঈদ স্পেশাল সার্ভিসে ৬৩০ বাস
মতিঝিল আন্তর্জাতিক বাস ডিপোতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক বিআরটিসির ঈদ স্পেশাল সার্ভিস উদ্বোধন করেন। ছবি: খবরের কাগজ

বিআরটিসি তাদের ৬৩০টি বাস নিয়ে ঈদ স্পেশাল সার্ভিস উদ্বোধন করেছে।

বুধবার (৪ জুন) সকালে  মতিঝিল আন্তর্জাতিক বাস ডিপোতে সড়ক পরিবহ ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক এই সার্ভিসের উদ্বোধন করেন।  

বিআরটিসি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোল্লা এসময় জানান, বিআরটিসির ঈদ স্পেশাল সার্ভিসে ৬৩০টি বাস সংযোজন করা হয়েছে। ঢাকাসহ সারা দেশের ২৬টি স্থান থেকে এই সার্ভিস পরিচালিত হবে। 

তিনি জানান, আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত ঈদ সার্ভিসের বাস চলাচল করবে। এ সার্ভিসের আওতায় ঢাকার মতিঝিল, জোয়ারা সাহারা, কল্যাণপুর, গাবতলী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ও যাত্রাবাড়ী বাস ডিপো থেকে বিভিন্ন রুটের টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ (চাষাড়া), গাজীপুর, নরসিংদী, কুমিল্লা, সিলেট, বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, সোনাপুর, পাবনা ও টুঙ্গিপাড়ার বাস ডিপো থেকেও বিভিন্ন রুটের টিকিট কেনা যাবে।

আব্দুল লতিফ মোল্লা বলেন, ‘বিশেষ করে ঢাকা শহরের গার্মেন্টস শ্রমিক থেকে শুরু করে অন্যান্য যারা শ্রমজীবী মানুষ আছে তাদেরকে সহজে, স্বল্প খরচে ও নিরাপদে আমরা বাড়ি পৌঁছে দেই এবং বাড়ি থেকে আসার ব্যবস্থা করি।’

তিনি জানান, ঈদ স্পেশাল সার্ভিসের প্রতিটি গাড়িতে চালকের নাম, মোবাইলফোন নম্বর, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর, প্রধান কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমের নম্বর সম্বলিত স্টিকার লাগানো হয়েছে। কোনো বাসে কোনো পরিবহনকর্মী যেন অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন না করতে পারে কিংবা যত্রতত্র যাতে যাত্রী উঠানামা করা না হয়- এই বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক, বিআরটিসির পরিচালক (প্রশাসন ও অপারেশন) মো. রাহেনুল ইসলাম, পরিচালক (কারিগরি) কর্নেল কাজী আইয়ুব আলীসহ মতিঝিল বাস ডিপোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ২৪ মে থেকে বিআরটিসির ডিপোগুলোতে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।

জয়ন্ত সাহা/সুমন/

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব ভুল সংবাদ পরিবেশন করলে ব্যবস্থা নেবে সরকার

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম
ভুল সংবাদ পরিবেশন করলে ব্যবস্থা নেবে সরকার
ছবি: সংগৃহীত

এখন থেকে ভুল সংবাদ পরিবেশন করলে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

বুধবার (৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, যারা এখন থেকে ভুল সংবাদ প্রকাশ করবেন বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করবেন, যেগুলো মানুষকে বিভ্রান্ত করবে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।

এরআগে উপ-প্রেস সচিব বলেন, ‘আজকে আপনারা দেখেছেন— একটা সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদসহ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে। এই খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর। এ বিষয়ে যেসব সংবাদমাধ্যম ভুল, বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করেছে, আমরা আশা করবো তারা ভুল সংশোধন করবেন, তাদের পাঠকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করবেন, বাংলাদেশের মানুষ, যাদের বিভ্রান্ত করেছেন তাদের কাছেও দুঃখপ্রকাশ করবেন।’