পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশু কোরবানি দেওয়া হচ্ছে। ছবি: ইন্দ্রজিৎ কুমার ঘোষ
গত ১২ ঘণ্টার মধ্যেই ৭৫টি ওয়ার্ডের কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করেছে বলে দাবি জানিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
শনিবার (৭ জুন) রাত সাড়ে ৯টার মধ্যে এসব বর্জ্য অপসারন করা হয়েছে বলে ডিএসসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ১২ ঘণ্টার মধ্যেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করেছে। এর আগে শনিবার সকাল ৯টায় বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করে ডিএসসিসি।
এ বারের ইদুল আজহায় ডিএসসিসির ৭৫টি ওয়ার্ডে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩১৭টি পশু কোরবানি করা হয়েছে।
ডিএসসিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোরবানি শেষ করার পর নাগরিক পর্যায় থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করে প্রতিটি ওয়ার্ডের সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে স্থানান্তর করা হয়। পরে ডাম ট্রাকের মাধ্যমে মাতুয়াইল স্যানেটারি ল্যান্ডফিলে চূড়ান্তভাবে ডাম্প করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৩০ হাজার মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে প্রায় ১২ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য মাতুয়াইল স্যানেটারি ল্যান্ডফিলে ডাম্পিং করা হয়েছে।
কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এবার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১০ হাজারের বেশি জনবল মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছে। ২০৭টি ডাম্প ট্রাক, ৪৪টি কম্পেক্টর, ৩৯টি কন্টেইনার ক্যারিয়ার, ১৬টি পে-লোডারসহ বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে ৭৫টি ওয়ার্ডে মোট ২ হাজার ৭৯টি যানবাহন নিয়োজিত রয়েছে। এ ছাড়া নগরবাসীর মধ্যে প্রায় ৪৫ টন ব্লিচিং পাউডার, ৫ লিটার ধারণক্ষমতার ২০৭টি স্যাভলনের গ্যালন এবং ১ লাখ ৪০ হাজার বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে ডিএসসিসির দাবির প্রমাণ মেলেনি সরেজমিনে।
শনিবার রাতে ঢাকার সাতমসজিদ রোড, লালবাগ, হাজারীবাগ ও আজিমপুরের বিভিন্ন অলিগলি ঘুরে দেখেছেন খবরের কাগজের প্রতিবেদকরা।
তারা বলেন, ‘বিভিন্ন অলিগলিতে কোরবানির পশুর নাড়িভুড়ি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ময়লা ফেলতে মাইকিং করা হয়েছিল সিটি করপোরেশন ও পাড়া কমিটির পক্ষ থেকে। তবে সে কথা না শুনে এলাকাবাসী ময়লা-আবর্জনা স্তুপ করে রেখেছেন এলাকার প্রধান সড়কে। অনেকে পশুর উচ্ছিষ্ট ফেলেছেন ড্রেনে। এতে শনিবার দুপুরের বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে পড়েছে এলাকাবাসীর।’
কামরাঙ্গীচর লোহার ব্রিজ এলাকার বাসিন্দা আবদুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, ‘এদিকে সিটি করপোরেশনের কোনো কর্মী কাজ করছেন বলে জানি না। তাদের কাউকে দেখিনি। কোরবানির পশুর নাড়িভুড়ি কোথায় ফেলব, চামড়া কোথায় নিয়ে রাখব জানি না। আপাতত এলাকার একটা ফাঁকা জায়গায় রাখছি। অপেক্ষা করছি, কখন ডাম্পিং ট্রাক এসে ময়লা নেবে।’
জয়ন্ত/পপি/