ঢাকা ২ শ্রাবণ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে ৩ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিলেন কর্মচারীরা

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৩:২৯ পিএম
অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে ৩ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিলেন কর্মচারীরা
ছবি: সংগৃহীত

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে কলমবিরতি কর্মসূচির পাশাপাশি বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত ঐক্য পরিষদ। বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে তারা খাদ্য উপদেষ্টা, বিদ্যুৎ উপদেষ্টা এবং বন ও পরিবেশ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছেন।

রবিবার (২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় সচিবালয়ের ৩ নম্বর এবং ৬ নম্বর ভবনের মাঝে বাদামতলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের পর মিছিল করে ওই দিনের কর্মসূচি শেষ করেন।

মিছিল নিয়ে তারা খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের কাছে স্মারকলিপি দেন। এরপর তারা বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের কাছে স্মারকলিপি দেন। কিন্তু পরিবশে, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সচিবালয়ের দপ্তরে উপস্থিত না থাকায় তাদের দপ্তরে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন কর্মচারীরা।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (৩১ মে) জাপান সফর শেষে দেশে ফিরে এলে তার সঙ্গে কথা বলে ভূমিসচিব আমাদের একটা ফলাফল দেবেন। রবিবারের (গতকাল) মধ্যে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি প্রসঙ্গে একটা পজিটিভ রেজাল্ট দেওয়ার কথা। এ জন্য আজ কর্মসূচি কিছুটা শিথিল করে স্মারকলিপি দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছি। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদের সঙ্গে বৈঠক হবে।’ বৈঠকের পর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান কর্মচারী নেতারা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার, রবি ও সোমবার পাঁচ উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেন কর্মচারীরা। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ সোমবার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার কাছে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিসংবলিত কর্মচারীদের স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে।

চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে; এমন বিধান রেখে ২৫ মে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়।

উপদেষ্টা পরিষদের ২২ মের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদনের পর ২৪ মে থেকে আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব সংগঠন সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করে আসছে। তারা এই অধ্যাদেশটিকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন হিসেবে অভিহিত করছেন।

গোপালগঞ্জে চলছে ২২ ঘণ্টার কারফিউ, পরিস্থিতি থমথমে

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৪ এএম
গোপালগঞ্জে চলছে ২২ ঘণ্টার কারফিউ, পরিস্থিতি থমথমে
ছবি: খবরের কাগজ

গোপালগঞ্জের এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে দিনভর সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় গোপালগঞ্জে চলছে প্রশাসনের ডাকা ২২ ঘণ্টার কারফিউ। এতে জেলা জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। 

বুধবার (১৬ জুলাই) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও এনসিপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দিনভর সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চারজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

সংঘর্ষ থামাতে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে বুধবার রাত আটটা থেকে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ রয়েছে। কারফিউ চলাকালে গোপালগঞ্জ শহরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে মাইকিং করে জনগণকে বাইরে না আসার ঘোষণা দেওয়া হয়।

এদিকে রণক্ষেত্র স্বাভাবিক হলেও জেলা জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করেছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে।

তবে কারফিউ থাকলেও দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষের পেটের তাগিদে রাস্তায় বেরিয়েছে। সকালে দুএকজন করে বের হয়েছে। এ ছাড়া ২/১টি রিকশা চলতে দেখা গেছে। দিনভর আতঙ্কে থাকা শহরবাসী পরিস্থিতি বুঝতে ঘর থেকে বাইরে বের হয়েছে। আতঙ্কে শহরের সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ব্যবসায়ীরা।

পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেও এ ঘটনায় মামলা অভিযান বা গ্রেপ্তার হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।

নিহতরা হলেন- জেলা শহরের উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে যুবলীগ সদস্য দীপ্ত সাহা (২৫), শহরের থানাপাড়ার কামরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী (২৪), সদর উপজেলার আড়পাড়া এলাকার আজাদ তালুকদারের ছেলে ইমন তালুকদার (১৮) ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ইদ্রিস মোল্যার ছেলে সোহেল মোল্যা।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, বুধবার রাত ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

বাদল/মেহেদী/

গোপালগঞ্জে রণক্ষেত্র, নিহত ৪

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫৭ এএম
আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৯:০০ এএম
গোপালগঞ্জে রণক্ষেত্র, নিহত ৪
ছবি: খবরের কাগজ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল থেকে দফায় দফায় হামলা, সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও গুলিতে গোটা গোপালগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এনসিপির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় যুবলীগ সদস্যসহ চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সাংবাদিক, পুলিশসহ প্রায় ১০০ জন। গুলিবিদ্ধ সুমন বিশ্বাস (২০) নামে এক যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হামলায় যমুনা টিভির স্টাফ রিপোর্টার মোজাম্মেল হোসেন মুন্না, স্টার নিউজের ফয়সাল আহমেদ ও ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক সুব্রত সাহা আহত হন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে পুলিশ, সেনাবাহিনীর পাশাপাশি চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। দুপুরে স্থানীয় প্রশাসন গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করে। পরে রাত ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়। বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

নিহতরা হলেন জেলা শহরের উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে যুবলীগ সদস্য দীপ্ত সাহা (২৫), শহরের থানাপাড়ার কামরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী (২৪), সদর উপজেলার আড়পাড়া এলাকার আজাদ তালুকদারের ছেলে ইমন তালুকদার (১৮) ও টুঙ্গিপাড়ার ইদ্রিস মোল্যা। এরা সবাই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন বলে গোপালগঞ্জ আড়াই শ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শেখ মো. নাবিল জানিয়েছেন।

এদিকে এনসিপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ ছাড়া বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন। পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, এনসিপির কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা মানবাধিকারের ‘লজ্জাজনক লঙ্ঘন’। এ জঘন্য হামলায় জড়িত কেউই শাস্তির বাইরে থাকবে না। অন্যদিকে, গতকাল রাতে খুলনায় সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন।

গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে গত মঙ্গলবার থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গতকাল গোপালগঞ্জে এনসিপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ‘জুলাই পদযাত্রা’ শুরুর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার উলপুর-দুর্গাপুর সড়কের খাটিয়াগড় চরপাড়ায় পুলিশের গাড়িতে হামলা ও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।

আহতরা হলেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (আইসি) আহমেদ বিশ্বাস, কনস্টেবল কাওছার ও মিনহাজ। আহতদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার কংশুরে ইউএনওর গাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় তার গাড়ির চালক আহত হন। ইউএনও এম রাকিবুল হাসান বলেন, ‘এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়িতে হামলার অপ্রীতিকর ঘটনা জানার পর ওই এলাকা পরিদর্শনে যাই। সেখান থেকে ফেরার পথে কংশুরে পৌঁছালে একদল লোক আমাদের গাড়িতে হামলা চালায়। এতে গাড়ির চালক মোহাম্মদ হামিম আহত হন।’

বেলা দেড়টার দিকে একদল লোক (এনসিপির ভাষায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা) মিছিল করে এসে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্ক এলাকায় এনসিপির সমাবেশ মঞ্চে হামলা করেন। তারা সাউন্ড সিস্টেম, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুরের পাশাপাশি স্থানীয় এনসিপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালান। এ সময় মঞ্চের আশপাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে দ্রুত আদালত চত্বরে ঢুকে পড়েন। একই সময় মঞ্চে ও মঞ্চের সামনে থাকা এনসিপির নেতা-কর্মীরাও দৌড়ে সরে যান। একপর্যায়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় এনসিপির নেতা-কর্মীরা এক হয়ে পুলিশসহ ধাওয়া দিলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান।

পরে বেলা ২টা ৫ মিনিটে সমাবেশস্থলে পৌঁছান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। এরপর সমাবেশ শুরু হয়।

বেলা পৌনে ৩টার দিকে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে এনসিপির নেতারা পুলিশি নিরাপত্তায় টেকেরহাট হয়ে মাদারীপুর যাওয়ার পথে শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে হামলার শিকার হন। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মুহুর্মুহু রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছোড়েন। মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ওই এলাকা। সংঘর্ষ সারা শহরে ছড়িয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ জেলা কারাগারে হামলা করে। তারা কারাগারের প্রধান ফটক ভাঙার চেষ্টা করেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের প্রতিহত করেন। এ সময় এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এনসিপির নেতা-কর্মীদের একত্রিত করে সেনা পাহারায় বাগেরহাটের প্রবেশদ্বার মোল্লারহাট সেতু পার করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

এদিকে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেছেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য জেলাজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বুধবার রাত ৮টা থেকে পরের দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

[এ প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন খবরের কাগজের ফরিদপুর, মাদারীপুর, বাগেরহাট ও রাজবাড়ীর প্রতিনিধিরা]

উদীচী সভাপতি বদিউর রহমান আর নেই

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪০ এএম
উদীচী সভাপতি বদিউর রহমান আর নেই
অধ্যাপক বদিউর রহমান

বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর  সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান মারা গেছেন।

বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 

বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে জানান, বুধবার রাত ২টার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে বদিউর রহমানকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়৷ সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

অমিত জানান, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অধ্যাপক বদিউর রহমানের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে। সেখানে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রাখা হবে নাগরিক শ্রদ্ধাঞ্জলির জন্য। পরে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে বরিশালে। সেখানে নিজ বাড়িতে দাফন করা হবে বদিউর রহমানকে।

জয়ন্ত সাহা/অমিয়/

গোপালগঞ্জে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেনি পুলিশ: আইজিপি

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৮:১৫ এএম
গোপালগঞ্জে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেনি পুলিশ: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম

গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেনি বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে খবরের কাগজকে তিনি এ তথ্য জানান। 

আইজিপি বলেন, ‘পুলিশ ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেছে। লেথাল (প্রাণঘাতী অস্ত্র) কোনো কিছু ব্যবহার করেনি। তাই আমাদের একটু সময় লেগেছে।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা টিভি লাইভগুলোতে দেখেছেন পুলিশ চেষ্টা করেছে। প্রাণহানী ঠেকাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। উচ্ছৃঙ্খলতা যা হয়েছে, সেটা যতটুকু সম্ভব আমরা ধৈর্যের সঙ্গে প্রশমন করার চেষ্টা করছি। এখন আরও পুলিশ সদস্য পাঠানো হচ্ছে পুরো জিনিসটা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে গতকাল বুধবার দুপুর থেকে গোপালগঞ্জে উত্তেজনা শুরু হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে যদিও সেনা-পুলিশ পাহারায় এনসিপির নেতা-কর্মীদের গোপালগঞ্জ শহর থেকে বের করে আনা হয়।

জীবন-মৃত্যুর মতো পরিস্থিতি না হলে ঘর থেকে বের হবেন না: আসিফ মাহমুদ

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৬ পিএম
জীবন-মৃত্যুর মতো পরিস্থিতি না হলে ঘর থেকে বের হবেন না: আসিফ মাহমুদ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জবাসীর উদ্দেশে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করা হয়েছে। ‘জীবন-মৃত্যুর মতো পরিস্থিতি না হলে সাধারণ জনগণ কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। 

বুধবার (১৬ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এসব কথা লিখেছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সবকিছু মনিটরিং এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টাসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানগণ।’

এর আগে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে গোপালগঞ্জে বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টা থেকে পর দিন বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকাল ৬টা পর্যন্ত ২২ ঘণ্টার কারফিউ জারি করা হয়।

সুমন/