ঢাকা ১ শ্রাবণ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
English

এমনভাবে আইন সংস্কার করতে চাই যাতে ফ্যাসিবাদ গড়ে ওঠা কঠিন হয় : আইন উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৯:১৯ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৯:২০ পিএম
এমনভাবে আইন সংস্কার করতে চাই যাতে ফ্যাসিবাদ গড়ে ওঠা কঠিন হয় : আইন উপদেষ্টা
আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল

আইন, বিচার ও সংসদ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আইনের এমন সংস্কার করতে সরকার কাজ করছে, যেন আরেকটি ফ্যাসিবাদ গড়ে ওঠা কঠিন হয়ে ওঠে। মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স, ২০২৫’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা আছে এটা করার, আমরা তাদের (স্বৈরশাসকদের) জন্য আইন যতটা সম্ভব কঠিন করে যেতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটা আইন করতে গেলে বিস্তারিত আলোচনা করতে হয়। সংসদে অনেকবার রিভিউ হয়, বারবার খসড়া হয়। তবু আমরা দ্রুত এ কাজগুলো করছি কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর সাধারণত জনকল্যাণমুখী আইন করার ব্যাপারে আগ্রহ থাকে না।’

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অনেক কিছুই করার চেষ্টা করছি। কাজ করছি। তবু দেখা যাচ্ছে অনেকেই বলছেন কোথায় সংস্কার? আবার বলেন এত দ্রুততা কেন? যারা সমালোচনা করেন তাদের মানসিকতারও একটু সংস্কার প্রয়োজন। এমন অনেক কাজও আমরা করেছি, যা এখন পর্যন্ত কেউ করেনি। কিছুদিন আগে প্রণীত সাইবার সুরক্ষা আইনের সংশোধনের প্রশংসা করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আমরা এটার জন্য অনেক গভীরে গিয়ে কাজ করেছি। আমাদের এই সংস্কার কাজগুলো অব্যাহত থাকবে।’

আগের সময়ের তুলনায় এখন সরকারের বিপক্ষে সমালোচনার অবারিত স্বাধীনতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটিও আমাদের একটা বড় সংস্কার বলে আমরা মনে করছি।’

মামলার জট কমাতে সরকার গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘লিগ্যাল সার্ভিস অ্যাক্টের ভেতর বড় একটা পরিবর্তন আনার চিন্তাভাবনা করছি। এ ক্ষেত্রে পেটি অফেন্স, আপসযোগ্য মামলা, পারিবারিক মামলা, এনআই অ্যাক্টের মামলার ক্ষেত্রে অবশ্যই লিগ্যাল এইডে যেতে হবে, আগে কোর্টে আসা যাবে না।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আইজিপি বাহারুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম, সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মিলন, ব্লাস্টের নির্বাহী পরিচালক ও সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সিনিয়র আইনজীবী শিশির মনির, পাবলিক প্রসিকিউটর মো. ওমর ফারুক ফারুকী, মো. ইকবাল হোসেন ও মো. বোরহান উদ্দিন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন প্রমুখ।

আইজিপি বাহারুল আলম আইন উপদেষ্টাকে এই উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এ ধরনের আলোচনা আগেও হয়েছে কিন্তু সেখানে পুলিশ থেকে কাউকে পক্ষভুক্ত করা হয়নি। এ ধরনের আলোচনায় পুলিশের পক্ষ থেকে কাউকে আমন্ত্রণ জানানোর ব্যাপারে এটিই প্রথম।’

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘খসড়ায় গ্রেপ্তার ব্যক্তির মেডিকেল এক্সামিনেশন কথার উল্লেখ থাকলেও কারা এই মেডিকেল এক্সামিনেশন করতে পারবেন তার উল্লেখ নেই, এটি থাকলে ভালো হতো।’

ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘খসড়ায় ম্যাজিস্ট্রেটের শাস্তি দেওয়ার আওতা বৃদ্ধি করা একটি সময়োপযোগী ব্যাপার। তবে তা করা হলে বর্ধিত আওতার বিচারিক প্রক্রিয়াকে সঞ্চালনা করতে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগের ব্যাপারে চিন্তা করতে হবে। সেই সঙ্গে ‘পুলিশ’ ও ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থা’কে একইভাবে সংজ্ঞায়িত না করে আলাদা আলাদাভাবে সংজ্ঞায়িত করলে বিভিন্ন বিভ্রান্তি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।’

খসড়া অনুযায়ী বেত্রাঘাতের বিধানকে বাতিল করার চিন্তাভাবনাকে স্বাগত জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী সারা হোসেন বলেন, ‘এখানে যেসব চেঞ্জ (সংশোধন) নিয়ে কথা হচ্ছে, সেগুলো যথাযথভাবে করা গেলে আমি মনে করি, ২৫ বছর ধরে যে পরিবর্তনের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি, সেটা আমরা পেয়ে যাব।’

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ অ্যাক্ট, প্রিজন্স অ্যাক্ট, প্রিজনার্স অ্যাক্ট এবং জেল কোড ইত্যাদির ভেতর থেকে ঔপনিবেশিকতা বাদ দিতে হবে।’

বক্তারা তাদের বক্তব্যে প্লি বারগেইনিং প্রণয়নের যৌক্তিকতা, শাস্তি ঘোষণা হওয়ার আগে কনডেম সেলে প্রেরণ না করা, আটক বা গ্রেপ্তারে শুধু ফৌজদারি কার্যবিধির বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ, আটক বা গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিকে থানা ব্যতীত কোথাও নেওয়ার অনুমতি না দেওয়া, মামলাজট থেকে রেহাই পেতে আপসযোগ্য অপরাধের আওতা বৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ের ওপর মতামত ও সুপারিশ তুলে ধরেন।

সমাপনী বক্তব্যে আইন উপদেষ্টা জানান, এ বিষয়ে আরও গভীর আলোচনা সাপেক্ষে ফৌজদারি কার্যবিধির যৌক্তিক ও প্রয়োজনীয় সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

গোপালগঞ্জে হামলাকারীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না: রিজওয়ানা হাসান

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩৪ পিএম
গোপালগঞ্জে হামলাকারীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না: রিজওয়ানা হাসান
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও সৈয়দা রিজওয়ান হাসান বলেছেন, গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে হামলার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা তদন্ত করে দায়িত্বহীনতার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টায় তারা রংপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার প্রাক্কালে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে পৌঁছালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাদের মুখোমুখি হলে তাদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। 

সৈয়দা রিজওয়ান হাসান আরও বলেন, প্রথমত এই হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবশ্যই এর দ্রুত একশন নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টাও নিন্দা জানিয়েছেন এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু এনসিপি নয়, যেকোনো দলের ওপর যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই বরদাস্ত করব না।

তিনি বলেন, এতবড় একটা গণঅভ্যুত্থানের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যতটা অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল তা হয়নি। সারাদেশে সার্বিকভাবে স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। এনসিপি বেশ কয়েক জেলায় তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। এমন ঘটনা কোথাও ঘটেনি। যারাই এই অনাকাঙ্ক্ষিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের অবশ্যই উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

তিনি বলেন, ইতোপূর্বেও আওয়ামী লীগ গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীকে অবরুদ্ধ করে নৈরাজ্য করার অপচেষ্টা চালায়। আসলে আওয়ামী লীগ এখনো প্রশাসনের সর্বস্তরে রয়ে গেছে। গোপালগঞ্জে সন্ত্রাসীরা ঘাঁটি গেড়েছে। এদের কর্মকাণ্ড স্থগিত করা হয়েছে। বিচার কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। দ্রুত আমরা বিচার সম্পন্ন হতে দেখতে পাব। 

জুলাই সনদ সম্পর্কে তিনি বলেন, জুলাই সনদ আমাদেরই বেশি প্রয়োজন। কারণ আমরা থাকব না। এটা মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নির্ভর করছে। সনদের অনেকগুলো বিষয় আছে। এ ব্যাপারে দলগুলোকে ডেকে মতামত নেওয়া হয়েছে। সবার খসড়া একত্রে নিয়ে আমরা খসড়া তৈরি করার চেষ্টা করছি। যত দ্রুত সম্ভব এটা করা হবে। 

আসিফ নজরুল বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে একটা ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে গেছে। সেখান থেকে নতুন করে গড়ার কাজ করছি আমরা। প্রশাসনের সকল ক্ষেত্রে তাদের লোক। তাই বেগ পেতে হচ্ছে। পুলিশকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা চলছে। সে পর্যন্ত গোপালগঞ্জের মত ঘটনার মোকাবিলা করতে হবে। 

আজ এনসিপির সঙ্গে যা করা হয়েছে তা মূলত নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে চরম প্রতিবন্ধকতা। আমরা এহেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই বরদাস্ত করব না। পুলিশসহ যাদেরই এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। 

মমিনুর আজাদ/মাহফুজ

 

গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত ৩

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:১৮ পিএম
গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত ৩
ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সাংবাদিক-পুলিশসহ অনেকেই আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন- জেলা শহরের উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে যুবদলকর্মী দীপ্ত সাহা (২৫), শহরের থানাপাড়ার কামরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী (২৪), সদর উপজেলার আড়পাড়া এলাকার আজাদ তালুকদারের ছেলে ইমন তালুকদার (১৮)।

বুধবার (১৬ জুলাই) গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শেখ মো. নাবিল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, তারা সবাই গুলিবিদ্ধ ছিলেন।

এর আগে, আজ দুপুর আড়াইটার দিকে সমাবেশ থেকে ফেরার পথে এনসিপির গাড়িবহরে হামলা করে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোপালগঞ্জ। 

পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়তে দেখা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) চার প্লাটুন সদস্য।

সংঘর্ষের ঘটনায় বিকেলে ১৪৪ ধারা জারি করেন জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।  

এদিকে সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, বুধবার রাত ৮টা থেকে পরবর্তী দিন (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করা হয়েছে। 

বাদল/সালমান/

গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪৯ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে সংঘটিত সংঘর্ষ ও হামলা-পাল্টা হামলার পর জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। 

বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বুধবার রাত ৮টা থেকে পরবর্তী দিন (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। 

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া অস্থিরতা ও সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কারফিউ চলাকালীন জনসাধারণের চলাচল সীমিত থাকবে এবং বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হতে পারবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকবে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে।

এর আগে, বিকেলে ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। এ ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) চার প্লাটুন সদস্য।

এনসিপির সমাবেশস্থল এবং পরে পদযাত্রা ও গাড়িবহরে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোপালগঞ্জ। 

এদিন বিকেল ৫টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাহারায় গোপালগঞ্জ ছাড়েন নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলমসহ দলের শীর্ষ নেতারা।

সালমান/

ডেঙ্গুতে দুই নারীর মৃত্যু, হাসপাতালে ৩২১

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:১৫ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩৯ পিএম
ডেঙ্গুতে দুই নারীর মৃত্যু, হাসপাতালে ৩২১
ছবি: সংগৃহীত

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩২১ জন।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের একজনের বয়স ১৯ বছর। আরেকজনের বয়স ৬৫ বছর। একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং একজন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১১০, চট্টগ্রামে ৩১, ঢাকা বিভাগে ৯, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২৭, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৪৭, খুলনায় ২৭, ময়মনসিংহে ১০, রাজশাহীতে ৫৭, রংপুরে ২ ও সিলেটে একজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৮৮ জন। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ৬০৫ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। 

এদিকে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫ হাজার ৯০৬ জন। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৬০ জনের। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ১০, ফেব্রুয়ারিতে ৩, এপ্রিলে ৭, মে মাসে ৩, জুনে ১৯ জন এবং জুলাইয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

এর আগে, ২০২৪ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৫৭৫ জন। বাকিরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

সাওন/সালমান/

৪৮তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের তিন নির্দেশনা

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:০৩ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
৪৮তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের তিন নির্দেশনা
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন

৪৮তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের যথেষ্ট সময় নিয়ে পরীক্ষার হলে উপস্থিত হওয়াসহ তিনটি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। 

বুধবার (১৬ জুলাই) পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাসুমা আফরীন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

নির্দেশনাগুলো হলো: 

১. সকাল ৮ থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে পরীক্ষার্থীদের শুধুমাত্র প্রবেশপত্র ও কালো কালির বলপেন নিয়ে হলে প্রবেশ করতে হবে। সাড়ে ৯টায় হলের মূল গেট বন্ধ করা হবে। এরপর কোনো পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশ করতে পারবেন না। 

২. পরীক্ষার হলে আসার সময় প্রবেশপত্র ও কালো কালির বলপেন ছাড়া অন্য কোনো নিষিদ্ধ সামগ্রী আনা যাবে না। আনলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৩. প্রবেশপত্রে হলের নাম দেখে নিশ্চিত হয়ে হলে যাবেন। 

৩ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের জন্য আগামী ১৮ জুলাই ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ) অনুষ্ঠিত হবে। এই বিসিএসের মাধ্যমে ২ হাজার ৭০০ জন সহকারী সার্জন এবং ৩০০ জন সহকারী ডেন্টাল সার্জন নিয়োগের সুপারিশ করবে পিএসসি।

কবির/সালমান/