ঢাকা ২৮ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
English

প্রস্তাবিত বাজেট জনবান্ধব নয়: সিপিডি

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ১০:৩৩ এএম
প্রস্তাবিত বাজেট জনবান্ধব নয়: সিপিডি
ছবি: খবরের কাগজ

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট জনবান্ধব নয় বলে মন্তব্য করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটির মতে, এবারের বাজেটে অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিতে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে, সে ক্ষেত্রে পদক্ষেপগুলো যথাযথভাবে নেওয়া হয়নি। সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার ছিল। শুধু বরাদ্দ বাড়িয়ে বা কমিয়ে সেটা সম্ভব নয়। বাজেটের যে মূল বিষয় অর্থাৎ বৈষম্যবিরোধী এবং জনবান্ধব করার কথা বলা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে যথাযথ উদ্যোগ দেখা যায়নি। আমরা আশা করি, অর্থ উপদেষ্টা সেই জায়গাগুলো পুনর্বিবেচনা করে বাজেটকে জনবান্ধব করে তুলবেন। বিশেষ করে কালোটাকা সাদা করার মতো নেতিবাচক পদক্ষেপগুলো পুনর্বিবেচনা করবেন।

মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর এক হোটেলে জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬ সিপিডির পর্যালোচনায় এসব কথা বলেছে সংস্থাটি। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সিপিডি অর্থ উপদেষ্টার উপস্থাপিত ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। এ সময় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সংস্থাটির সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেমসহ সংশ্লিষ্টরা। 

ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘বাজেটে অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হলেও বৈষম্যবিহীন স্পিরিটের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কালোটাকা সাদা করাসহ অনেক সুযোগও রাখা হয়েছে, যেগুলো স্পিরিটের বিপরীত। আমরা আশা করব, অর্থ উপদেষ্টা এগুলো পুনর্বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’ ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘এই সরকার এসেছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর। সব খাতে বিশেষ করে আর্থিক খাতে বৈষম্য দূর করার কথা বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়েছে। আমরা দেখতে পাই, বাস্তবায়ন কৌশলে তার সঙ্গে সাযুজ্য নেই।’ সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, বৈষম্য দূর করতে হলে রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের সংস্কার লাগবে। তিনি বলেন, ‘রাজস্ব আদায় কখনোই প্রক্ষেপণ অনুযায়ী হয় না। সব সময় রাজস্ব আদায় একই ধারায় রয়েছে। এবারও উচ্চ আকাঙ্ক্ষার রাজস্ব আহরণ বাজেটের বড় চিন্তার বিষয়। ১০ বছর ধরেই আমরা দেখছি, লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয় না। রাজস্ব আহরণ বাড়াতে না পারলে ঘাটতি বেড়েই যাবে, যা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ব্যাহত করতে পারে।’ 

বাজেটে প্রস্তাবিত শুল্ক কমানোর বিষয়েও মন্তব্য করেছে সিপিডি। এর মধ্যে ১১০টি পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, ৯টি পণ্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক বাতিল এবং আরও ৫০৭টি পণ্যের ওপর শুল্ক হ্রাসের কথা রয়েছে। সিপিডির মতে, এসব পরিবর্তন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আনা হয়েছে। যদিও কৌশলগতভাবে এগোনোর জন্য এসবের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে সিপিডি সতর্ক করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো নির্দিষ্ট কোনো দেশকে অগ্রাধিকার দিলে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ‘সর্বাধিক সুবিধাপ্রাপ্ত দেশ’ (এমএফএন) নীতির লঙ্ঘন হতে পারে এবং ভবিষ্যতের বাণিজ্য আলোচনায় বাংলাদেশের অবস্থান দুর্বল হতে পারে।

ড. ফাহমিদা বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্রকে শুল্কে ছাড় দেওয়া হয়, তাহলে অন্য দেশকেও দিতে হবে। নইলে ডব্লিউটিওর নিয়ম লঙ্ঘন হবে। পাশাপাশি এনবিআরের রাজস্ব আয়েও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তিনি সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে আগেভাগেই শুল্ক ছাড় দেওয়া হলে সম্ভাব্য মুক্তবাণিজ্য চুক্তিতে (এফটিএ) বাংলাদেশের দর-কষাকষির ক্ষমতাও হ্রাস পাবে।

এবারের বাজেটেও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার সমালোচনা করে ফাহমিদা খাতুন বলেন, এটা বৈষম্যবিরোধী কথার সঙ্গে চরমভাবে সাংঘর্ষিক। সিপিডি সব সময়ই বলে এসেছে, অপ্রদর্শিত অর্থ অর্থাৎ কালোটাকা বৈধ করার সুযোগ পুরোপুরি বন্ধ করা উচিত। এটি নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং সৎ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করার শামিল।

জুলাই আন্দোলনের মূল স্পিরিটের সঙ্গেও এটা সাংঘর্ষিক। এই প্রস্তাবটি বাজেট থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এই প্রস্তাব বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা তৈরি করে, ‘বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের’ বাজেট ঘোষণার মূল অঙ্গীকারের সঙ্গে তা সাংঘর্ষিক। সিপিডি মনে করে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনার প্রতি সম্মান জানাতে হলে বাজেট থেকে এই বিতর্কিত প্রস্তাব প্রত্যাহার করা জরুরি।

এ ছাড়া বাজেটে প্রবৃদ্ধির বদলে সামগ্রিক উন্নয়ন ও অবকাঠামোর বদলে মানুষের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার যে কথা বলা হয়েছে, কিছু কিছু উদ্যোগ তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মনে করে সিপিডি। করকাঠামো বিন্যাস করতে গিয়ে ছয়টি শ্রেণি করা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, নিম্নবিত্ত মানুষের করহার বেশি হবে, কিন্তু উচ্চবিত্তদের কম পড়বে। এটা বৈষম্যমূলক।

উন্নয়ন বাজেটের আকার নিয়ে ফাহমিদা খাতুন বলেন, উন্নয়ন বাজেটের আকার এবার ছোট করা হয়েছে। তবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিতে উন্নয়ন ব্যয় কমানো উদ্বেগজনক।

সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে, সিপিডি নৈতিকভাবে তা সমর্থন করে না। অথচ বাজেটে পাচার করা অর্থ সম্পর্কে স্পষ্ট খতিয়ান উপস্থাপন করা হয়নি। একদিকে কালোটাকা বৈধ করার প্রস্তাব, অন্যদিকে অর্থ পাচার নিয়ে নীরবতা- সরকারের ঘোষিত নীতির সঙ্গে এর বৈপরীত্য আছে বলে তিনি মনে করেন।

মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, বাজেটের মূল দর্শন হওয়া উচিত ছিল রাজস্বনীতির মাধ্যমে আয় বৈষম্য হ্রাস। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনেও এটি প্রধান দাবি হিসেবে উঠে এসেছে। বাজেটে কর ও অন্যান্য নীতির মাধ্যমে বৈষম্য কমানোর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ফলে নীতিগত দিক থেকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত মেলে না।

তিনি বলেন, সংস্কার কমিটিগুলো যে পরামর্শ দিয়েছিল, সেটাকে বিচার-বিশ্লেষণ করে বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করতে পারত, কিন্তু বাজেটে তার কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি। সামগ্রিকভাবে বাজেট অনুমানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, প্রত্যাশার সঙ্গে কিছুটা হতাশাজনক। 

করমুক্ত আয়ের সীমা সামান্য বাড়ানো হয়েছে, যা প্রযোজ্য হবে আগামী ২০২৬-২৭ এবং ২০২৭-২৮ অর্থবছরে। সেখানে ৩ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার যেটা করা হয়েছে, সেটা খুবই সামান্য বাড়ানো হয়েছে। অথচ মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৬ শতাংশ। ফলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার সঙ্গে মূল্যস্ফীতির পদক্ষেপের সাযুজ্য নেই। সেই সঙ্গে করের যে স্তরগুলো করা হয়েছে, সেখানে উচ্চবিত্তদের তুলনায় মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তদের করের হার বেশি। 

এলডিসি উত্তরণ এবং ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কহারকে সামনে রেখে আমদানি শুল্কে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতে আমাদের দেশীয় শিল্পের প্রতিরক্ষা কিছুটা কমে গেছে। সামগ্রিকভাবে অভ্যন্তরীণ শিল্পে যে সংরক্ষণ ছিল, তা অনেকটা কমে গেছে। এলডিসি উত্তরণের স্বার্থে এটা মেনে নিতে হবে। কিন্তু প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে গেলে অন্যান্য জায়গায় যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া দরকার ছিল, সেটা দেখা যায়নি। এর মধ্যে টার্নওভার ট্যাক্স, ঋণের সুদহার, প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে খুব বেশি মনোযোগ দেখা যায়নি। অর্থাৎ দেশীয় শিল্পের বিকাশে যে সংরক্ষণ আরোপ করা হয়েছে, সেটা কী দিয়ে পোষানো হবে সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো পদক্ষেপ নেই। 

প্রবৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যের সঙ্গে বাজেটের তথ্যের মিল নেই। বিবিএস বলেছে, চলতি অর্থবছর প্রবৃদ্ধির হার হবে ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। অথচ বাজেটে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছর শেষে প্রবৃদ্ধির হার হবে ৫ শতাংশ।

গ্যাস লিকেজে বিস্ফোরণ: মা-বাবার পর চলে গেল শিশু রাফিয়াও

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ০১:০৩ পিএম
গ্যাস লিকেজে বিস্ফোরণ: মা-বাবার পর চলে গেল শিশু রাফিয়াও
ছবি: সংগৃহীত

মা ও বাবার পর এবার ছোট্ট রাফিয়াও চলে গেল না ফেরার দেশে। ঘটনার দুই দিন পর শনিবার (১২ জুলাই) ভোরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে শিশু রাফিয়া। 

এর আগে গত বুধবার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়েছিল সাড়ে তিন বছর বয়সী রাফিয়া, তার বাবা মোহাম্মদ রিপন ও মা ইতি আক্তার। পরের দিন বৃহস্পতিবার পৃথক সময়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিপন ও ইতির মৃত্যু হয়।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান, ওই বিস্ফোরণে দগ্ধ সাড়ে তিন বছরের শিশু রাফিয়া নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) শনিবার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে মারা যায়। তার শরীরে ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে  শিশুর মা ইতি ও বাবা রিপনের মৃত্যু হয়। 

আলমগীর হোসেন/অমিয়/

স্বামীর লিঙ্গ কেটে ফেলা নারীর থানায় বিষপানে মৃত্যু, ৩ পুলিশ বরখাস্ত

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ১২:৩২ পিএম
স্বামীর লিঙ্গ কেটে ফেলা নারীর থানায় বিষপানে মৃত্যু, ৩ পুলিশ বরখাস্ত
ভাটারা থানা

রাজধানীর ভাটারা থানায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার অভিযোগে পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় ‘বিষ পান করে’ মারা গেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ফিরোজা আশরাভী (২৭)। এই ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিষ পান করার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত সদস্যরা হলেন- এসআই (নিরস্ত্র) জামাল হোসেন, কনস্টেবল শারমিন এবং নাছিমা।

জানা যায়, ফিরোজা আশরাভী নামের ওই নারী ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির গ্লোবাল স্টাডিজ অ্যান্ড গভর্নেন্স বিভাগের লেকচারার ছিলেন। আর আহত ইসমাঈল সুজন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশাল সায়েন্স অ্যান্ড হিউমিন্যানিটিজ বিভাগের লেকচারার।

পুলিশ জানায়, থানা হেফাজতে আনার পর ফিরোজা বলেছেন, সুজন তার স্বামী। কিন্তু সুজনের পরিবার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

থানা হেফাজতে ফিরোজার মৃত্যুর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ঢাকার ভাটারা থানার তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করার তথ্য সংবাদমাধ্যমকে দিয়েছেন বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার এইচ এম শফিকুর রহমান।

ভাটারা থানার ওসি রাকিবুল হাসান বলে, ‘ফিরোজার বাসা ঢাকার বসুন্ধরা এলাকায়। আর ইসমাঈলের বাসা পল্লবী এলাকায়। বুধবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ইসমাঈলের বাসায় ঘটনাটি ঘটে। ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন ফিরোজা। এরপর ফিরোজা নিজেই তাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করান। তার স্বামীর পরিবারের লোকজন হাসপাতালে আসার পর বিকেলের দিকে ফিরোজার সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।’

তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে ফিরোজা নিজে ৯৯৯ এ ফোন করে জানান, তাকে আটকে রাখা হয়েছে। এ খবর পেয়ে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তাকে থানায় আনার পর পল্লবী থানা থেকে জানানো হয়, স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত শুনে ভাটারার পুলিশ ওই নারীকে থানায় এনে পল্লবী থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পল্লবী থানা থেকে তখন ফিরোজাকে আপাতত ভাটারাতেই রাখতে বলে।’

ফিরোজাকে হাসপাতাল থেকে ভাটারা থানা হেফাজতে নিয়ে আসা এসআই মো. আরিফ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে দেখি দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি চলছে। সুজনের আত্মীয়রা তখন বলতে থাকে তাকে যেন আমরা না ছাড়ি। এরপর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় ফিরোজাকে থানায় এনে ডিউটি অফিসারের পাশে নারী পুলিশের পাহারায় রাখা হয়।

ফিরোজা থানায় বসেই আইনি সহায়তার জন্য আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে ‘লিগ্যাল এইডে’র কর্মী পরিচয় দেওয়া দুজন ট্রান্সজেন্ডার থানায় আসেন। ফিরোজা তাকে বসুন্ধরার বাসার চাবি দিয়ে মোবাইলের চার্জার ও ইনহেলার নিয়ে আসতে বলেন। কিছুক্ষণ পর ওই ট্রান্সজেন্ডার বাসা থেকে চার্জার ও ইনহেলারসহ একটি প্যাকেটে একটি বোতল নিয়ে আসে। এসব হাতে পেয়ে ফিরোজা বোতল মুখে দিয়ে পান করতে থাকলে পাশে থাকা নারী কনস্টেবল বাধা দেন। ফিরোজার সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়। গন্ধ ‘সুবিধাজনক’ মনে না হওয়ায় পরে বোতলটির গায়ে কীটনাশক লেখা দেখা যায়। তাকে তখনই কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ‘ওয়াশ করা’ হয়। পরে সেখান থেকে রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় ফিরোজা মারা যান।’’

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুরুষাঙ্গ কর্তনের ঘটনায় পল্লবী থানায় মামলা হওয়ায় চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ফিরোজাকে পল্লবী থানার হেফাজতে হস্তান্তর করা হয়। আর আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় ভাটারা থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় ট্রান্সজেন্ডার শোভা ও কণাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ বলছে, ফিরোজা কুরিয়ারের মাধ্যমে ওই বিষের বোতল কিনেছিলেন। কুরিয়ারের কাগজপত্রও ইতোমধ্যে পুলিশ সংগ্রহ করেছে।

পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ভিকটিম সুজন এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পুলিশ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, ইসমাইলের ৮০ শতাংশ লিঙ্গ কর্তন করা হয়েছে।

অমিয়/

গণঅভ্যুত্থান স্মরণে জুলাই মাসব্যাপী বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযানে ডিএসসিসি

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৩ এএম
গণঅভ্যুত্থান স্মরণে জুলাই মাসব্যাপী বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযানে ডিএসসিসি
ছবি: খবরের কাগজ

ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে জুলাই মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) শনিবার (১২ জুলাই) বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান চালনা করেছে। 

ডিএসসিসি অঞ্চল-৫ এর অভয় দাস লেন-নারিন্দা-ওয়ারী তৎসংলগ্ন এলাকায় পরিচালিত এ অভিযানে  করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার উপস্থিতিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার সকাল ৬টায় শুরু হওয়া এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগের ছয় শতাধিক কর্মী  এবং স্থানীয় জনগণ এই বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। পরিচ্ছন্নতা অভিযানের অংশ হিসেবে ড্রেন, নর্দমা ও ফুটপাতের ময়লা পরিষ্কার ও মশার ঔষধ প্রয়োগ করা হয়। এ ছাড়া, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অংশগ্রহণে জনসচেতনতামূলক একটি র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

পরিচ্ছন্নতা প্রোগ্রাম চলাকালীন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, ‘নগরের পরিচ্ছন্নতার জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন আমাদের সবার একত্রে কাজ করা। শুধু সিটি করপোরেশন বা সরকারের একার পক্ষে কাজ সাসটেইনেবল হয় না।’

বর্ষাকাল সিটি করপোরেশনের জন্য চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে সচিব বলেন,  ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে এবং ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’ 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন জুলাই মাসব্যাপী ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাবে।" নগরবাসী-ডিএসসিসি-গণমাধ্যম সবার সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রশাসক বলেন বিগত বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের ইতিবাচক ফলাফল ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হওয়া শুরু করেছে।’

পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জহিরুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামসহ সব বিভাগীয় প্রধান এবং স্থানীয় নেতারা। ছবি: খবরের কাগজ

রাজু/সুমন/

মিটফোর্ডের সামনে ব্যবসায়ী হত্যার বিচার ট্রাইব্যুনালে: আইন উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ১১:০৩ এএম
আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৫, ১১:০৪ এএম
মিটফোর্ডের সামনে ব্যবসায়ী হত্যার বিচার ট্রাইব্যুনালে: আইন উপদেষ্টা
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে অধীনে করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।

শনিবার (১২ জুলাই) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা জানান।

তিনি তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন,  ‘মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর। এই ঘটনার সাথে জড়িত ৫ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এই পাশবিক হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হবে। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন, ২০০২ এর ধারা ১০ এর অধীনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।’

সুমন/

ঢাকা-ওয়াশিংটনের দ্বিতীয় বৈঠকে কিছু বিষয়ে মতৈক্য

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ১০:৪৫ এএম
ঢাকা-ওয়াশিংটনের দ্বিতীয় বৈঠকে কিছু বিষয়ে মতৈক্য
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত বাড়তি ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক নিয়ে দেশটির সঙ্গে দ্বিতীয় দফার তিন দিনব্যাপী আলোচনা শেষ হয়েছে। 

শিডিউল অনুযায়ী শুক্রবার (১১ জুলাই) ওয়াশিংটন ডিসির স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় শুরু হয়ে দর-কষাকষির মধ্য দিয়ে শেষদিনের এ বৈঠক শেষ হয় দুপুর ১টায় (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা)। 

তবে শুক্রবার রাত ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৈঠকে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত এসেছে কি না, তা জানা সম্ভব হয়নি। 

এদিকে দ্বিতীয় দিনের বৈঠক শেষে গতকাল সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনার দ্বিতীয় দিনে দুই দেশের মধ্যে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বাণিজ্যের গতিপ্রকৃতি কেমন হবে, সেসব বিষয় উপস্থাপন ও যুক্তিতর্ক হয়েছে। বেশ কিছু বিষয়ে দুই দেশ মোটামুটিভাবে একমত হয়েছে। কিছু বিষয় অমীমাংসিত রয়ে গেছে।

এতে জানানো হয়, দ্বিতীয় দিনের আলোচনার একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো, বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দিন একান্তে ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ অ্যাম্বাসেডর জেমিসন গ্রিয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গ্রিয়ার ট্রাম্প প্রশাসনে মন্ত্রী পদমর্যাদার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তার সঙ্গে শুল্কবিষয়ক আলোচনার পাশাপাশি দুই দেশের বাণিজ্য ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় বাণিজ্য উপদেষ্টা বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির পাশাপাশি আমদানির পরিমাণও বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি এর মধ্যে শুরু হয়েছে। শুল্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ন্যায্যতা প্রত্যাশা করে। পরিবেশ যেন বাংলাদেশের জন্য প্রতিযোগিতামূলক থাকে। গ্রিয়ার সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দিন। ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। সরাসরি আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাওসার চৌধুরী। ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। এর অন্যতম কারণ এ দেশে তৈরি বেশির ভাগ পণ্যে চীনা কাঁচামাল ব্যবহার করা হয়। তাই দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র-চীনের শুল্কযুদ্ধের অংশ হিসেবে ইউএসটিআরের কর্মকর্তারা বাংলাদেশকে শিল্পের কাঁচামাল সংগ্রহের জন্য চীনের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমানোর পরামর্শ দিয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ এখনো স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) সদস্য হওয়ায় পাল্টা শুল্ক ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে। 

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে স্থানীয় শিল্প খাতে চীনা মালিকানার বৃদ্ধি, নীতিনির্ধারণ, মেধাস্বত্ব আইন এবং শ্রম অধিকারের দুর্বলতার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শর্ত অনুযায়ী দেশটি অন্য কোনো দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা বা বাড়তি শুল্ক আরোপ করলে, বাংলাদেশকেও তা অনুসরণ করতে হবে এমন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সাংঘর্ষিক বিষয়গুলোতেও মতপার্থক্য দেখা দেয়।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনা চলমান থাকা অবস্থায় বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। পণ্য রপ্তানির বড় এই বাজারের শুল্ক আলোচনায় ব্যবসায়ীদের সম্পৃক্ত করা হয়নি। ফলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। তা ছাড়া ১ আগস্ট থেকে এই বাড়তি শুল্ক আরোপ হলে বাজারটিতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, বন্দর ও রাজস্ব আদায় কার্যক্রম অধিকতর গতিশীল রাখার লক্ষ্যে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে এই উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতারা। ওয়াশিংটনে চলমান আলোচনায় আশাব্যঞ্জক ফলাফল না এলে পরবর্তী দর-কষাকষিতে আরও ১-২ জন অভিজ্ঞ উপদেষ্টাকে অংশ নিতে অনুরোধ করেন তারা। প্রয়োজনে লবিস্ট নিয়োগের পরামর্শও দেন ব্যবসায়ী নেতারা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৮৭০ কোটি ডলারের পণ্য। মোট রপ্তানির মধ্যে পোশাক ৮৫ শতাংশ। পোশাকের মোট রপ্তানির ২০ থেকে ২২ শতাংশের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র।