ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনে উপদেষ্টা আসিফ

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৫, ০৪:২৪ পিএম
আপডেট: ০৭ জুন ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম
বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনে উপদেষ্টা আসিফ
ছবি: খবরের কাগজ

কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণ কার্যক্রম দেখতে কলাবাগান শিশু পার্ক সংলগ্ন সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

শনিবার (৭ জুন) দুপুর থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৭৫টি ওয়ার্ডে একযোগে কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শুরু হয়।

এ সময় উপদেষ্টা বলেন, শহরে কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সময়মতো বর্জ্য অপসারণ না হলে দুর্গন্ধ ছড়ায়, এমনকি রোগ-জীবাণু সৃষ্টি হতে পারে। 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ১২ ঘণ্টা সময়ের মধ্যেই সব বর্জ্য অপসারণ করতে পারবে আশা করে উপদেষ্টা বলেন, এই বছর কোরবানির বর্জ্যের কারণে নগরবাসীর ঈদ আনন্দ বাধাগ্রস্ত হবে না।

কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রায় ১০ হাজারের অধিক জনবল মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। ২০৭টি ডাম্পট্রাক, ৪৪টি কম্পেক্টর, ৩৯টি কন্টেইনার ক্যারিয়ার, ১৬টি পে-লোডারসহ বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে ৭৫টি ওয়ার্ডে মোট দুই হাজার ৭৯টি যানবাহন নিয়োজিত রয়েছে।

কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম ব্যবস্থাপনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জরুরি পরিচালন কেন্দ্রে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপিত হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে।

এ সময় উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. আবুল হাসান, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. মাহাবুবুর রহমান তালুকদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জয়ন্ত সাহা/অমিয়/

গুলি চালানোর নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা, ফাঁস হওয়া ফোনালাপ নিশ্চিত করল বিবিসি

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:০৮ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:১৪ পিএম
গুলি চালানোর নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা, ফাঁস হওয়া ফোনালাপ নিশ্চিত করল বিবিসি

জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতি অস্ত্র ব্যবহার ও নির্বিচারে গুলি চালাতে নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা - এমনটাই উঠে এসেছে তার একটি ফাঁস হওয়া ফোনালাপে। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছে বিবিসি।

গত মার্চে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া এই অডিও রেকর্ডিংয়ে হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, গত ১৮ জুলাই তিনি বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ‘প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের’ নির্দেশ দেন এবং বলেন, ‘যেখানেই পাবে, গুলি করবে’।

এই ফোনালাপটি ২০২৫ সালের মার্চ মাসে অনলাইনে ফাঁস হয় এবং পরে তা যাচাই করে বিবিসি ও বাংলাদেশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

তদন্তকারীরা বলছেন, এই রেকর্ডিং-ই এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রমাণ, যা তাকে সরাসরি গণহত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে তুলে ধরে।

হাসিনার কথোপকথনের রেকর্ড ফাঁস
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথোপকথনের একটি ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডিং থেকে জানা যায়, গত গ্রীষ্মে প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের অনুমতি তিনি নিজেই দিয়েছিলেন।

বিবিসি'র যাচাই করা ওই রেকর্ডিং অনুসারে, শেখ হাসিনা তার নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে "প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার" করার অনুমতি দিয়েছেন এবং "তারা (এসব বাহিনীর সদস্যরা) যেখানেই তাদের (আন্দোলনকারী) পাবে, তারা গুলি করবে"।

অজ্ঞাত একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে শেখ হাসিনার কথোপকথনের ফাঁস হওয়া অডিওটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ যে তিনি সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের গুলি করার জন্য সরাসরি অনুমতি দিয়েছিলেন।

ফাঁস হওয়া অডিওটি সম্পর্কে জানেন এমন একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, গত ১৮ই জুলাই নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে শেখ হাসিনা ওই ফোনালাপটি করেন।

চলতি বছরের মার্চের শুরুতে ফোনালাপের অডিওটি কে ফাঁস করেছে তা স্পষ্ট নয়। বিক্ষোভের পর থেকে হাসিনার কলের অসংখ্য ক্লিপ অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে যার অনেকগুলোই যাচাই করা হয়নি।

১৮ জুলাইয়ের ফাঁস হওয়া রেকর্ডিংয়ের কণ্ঠের সঙ্গে শেখ হাসিনার কণ্ঠস্বরের মিল শনাক্ত করেছে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ।

বিবিসি আলাদাভাবে ইয়ারশটের অডিও ফরেনসিক এক্সপার্টদের দিয়ে এই রেকর্ডিংয়ের সত্যতা যাচাই করেছে এবং তারা এটিতে এডিট করার বা কোনো রকম পরিবর্তন করার কোনো প্রমাণ পায়নি। অডিওটি কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে এমন সম্ভাবনাও খুবই কম বলে তারা জানিয়েছে।

মানবাধিকার বা পরিবেশ রক্ষার ইস্যুতে অডিও সংক্রান্ত তদন্তের কাজ করে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইয়ারশট। তারা বলছে, ফাঁস হওয়া রেকর্ডিংটি সম্ভবত এমন একটি ঘরে ধারণ করা হয়েছিল যেখানে ফোন কলটি স্পিকারে বাজানো হয়েছিল। কারণ এতে স্বতন্ত্র টেলিফোনিক ফ্রিকোয়েন্সি এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে কিছু শব্দ ছিল।

ইয়ারশটের বিশেষজ্ঞরা রেকর্ডিংজুড়ে ইলেকট্রিক নেটওয়ার্ক ফ্রিকোয়েন্সি বা ইএনএফ শনাক্ত করেছে, যে ফ্রিকোয়েন্সি অন্য একটি ডিভাইস থেকে অডিও রেকর্ডিংয়ের ক্ষেত্রে প্রায়ই উপস্থিত থাকে। এটি এমন এক সূচক যার মানে হলো অডিওটিতে হেরফের করা হয়নি।

তারা শেখ হাসিনার বক্তব্যে ছন্দ, স্বর এবং শ্বাসের শব্দ বিশ্লেষণ করেছে এবং ধারাবাহিক নয়েজের স্তরও শনাক্ত করেছে। অডিওতে কৃত্রিম কোনো পরিবর্তন আনার প্রমাণও খুঁজে পায়নি।

ব্রিটিশ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান বিবিসিকে বলেছেন, "রেকর্ডিংগুলো তার (শেখ হাসিনার) ভূমিকা প্রমাণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এগুলো স্পষ্ট এবং সঠিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে এবং অন্যান্য প্রমাণ দ্বারা সমর্থিত।"

এছাড়া ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট ঢাকার অন্যতম ব্যস্ত এলাকা যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের নির্বিচার গুলিতে কমপক্ষে ৫২ জন নিহত হন বলে বিবিসি আই এর একটি অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। ঘটনাটিকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ পুলিশি সহিংসতাগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

এই হত্যাকাণ্ড সেদিন ঘটেছিল, যেদিন শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে টানা ৩৬ দিন ধরে চলা বিক্ষোভের মুখে দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন এবং ভারতে পালিয়ে যান।

গত বছর সরকারবিরোধী বিক্ষোভের শেষ দিনে ভয়াবহ ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছিল, সেটি বের করার জন্য তখনকার শত শত ভিডিও, ছবি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য গ্রহণ এবং সেগুলো বিশ্লেষণের পাশাপাশি সরেজমিনে বেশ কয়েকবার যাত্রাবাড়ীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিবিসি।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে নানান খবর প্রকাশিত হলেও নির্বিচারে হত্যার ঘটনাটি কীভাবে শুরু ও শেষ হয়েছিল এবং তাতে কত মানুষ হতাহত হয়েছিল, সে সম্পর্কে বিবিসি'র অনুসন্ধানে এমন কিছু তথ্য ও বিবরণ উঠে এসেছে, যা আগে সেভাবে সামনে আসেনি।

অনুসন্ধান চলাকালে ঘটনার এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও বিবিসি'র হাতে আসে, যেখানে পাঁচই অগাস্ট বিকেলে যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিবর্ষণ শুরুর কিছু মুহূর্ত দেখা যায়।

ভিডিওটি এমন একজন আন্দোলনকারীর মোবাইল ফোন থেকে বিবিসি সংগ্রহ করেছে, যিনি নিজেও সেদিন পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান।

নিহত ওই আন্দোলনকারীর নাম মিরাজ হোসেন।

পুলিশ যখন বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে, সেই সময়ের ভিডিও ধারণ করেছেন মিরাজ হোসেন। মর্মান্তিকভাবে মোবাইল ক্যামেরায় ওই ভিডিওতে তার জীবনের শেষ মুহূর্তও ধরা পড়েছে।

মিরাজ হোসেনের মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা তার মোবাইলটি খুঁজে পান এবং ফোনে সংরক্ষিত ভিডিওটি বিবিসিকে দেন।

ভিডিও'র মেটাডেটা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সেদিন নির্বিচারে গুলিবর্ষণের ঘটনাটি শুরু হয়েছিল দুপুর দুইটা ৪৩ মিনিটে।

ভিডিওটিতে যাত্রাবাড়ী থানার মূল ফটকে বিক্ষোভকারীদের সামনে সেনাবাহিনীর একটি দলকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর হঠাৎ করেই তারা ওই এলাকা থেকে সরে যান।

এ ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই যাত্রাবাড়ী থানার ভেতরের পুলিশ সদস্যরা ফটকের সামনে অবস্থানরত বিক্ষোভকারী জনতার ওপর আকস্মিকভাবে গুলিবর্ষণ শুরু করেন।

পাঁচই অগাস্ট বিকেলে পুলিশের নির্বিচার গুলির ঘটনার পর আহতদেরকে আশেপাশের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা বহু ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন।

সেদিন যাত্রাবাড়ীতে অন্তত ৩০ জন বিক্ষোভকারী নিহত হন বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছিলো।

কিন্তু গণমাধ্যমে প্রকাশিত তখনকার খবর, নিহতদের পরিবারের সাক্ষাৎকার, হাসপাতালের নথি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন পোস্টের সত্যতা যাচাই করার পর বিবিসি দেখেছে, পাঁচই অগাস্ট যাত্রাবাড়ীতে কমপক্ষে ৫২ জন সাধারণ মানুষ নিহত হন।

এর বাইরে সেদিন আরও অন্তত ছয়জন পুলিশ নিহত হন

মেট্রোরেলের পিলারে ‘ফিরে দেখা ফ্যাসিস্ট রেজিম’

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১১:৫৯ এএম
মেট্রোরেলের পিলারে ‘ফিরে দেখা ফ্যাসিস্ট রেজিম’
রাজধানীর কারওয়ানবাজারে মেট্রোরেল পিলারে চলছে গ্রাফিতি অঙ্কন। ছবি: খবরের কাগজ

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর। এই দিন সকালে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে খুন হন দর্জি দোকানদার বিশ্বজিৎ দাস। বিরোধী দলের কর্মী ভেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী রামদা, কিরিচ ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চারদিক থেকে তাকে ঘিরে একের পর এক আক্রমণ করেন। মুহূর্তেই রক্তে লাল হয়ে যায় পুরো শার্ট। নির্মম নির্যাতনে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। তৎকালীন আওয়ামী সরকারের শাসনামলে এ ঘটনাটি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। সেই দিনের ঘটনার প্রতীকী চিত্রায়ণ করা হয়েছে মেট্রোরেলের কারওয়ান বাজার স্টেশন থেকে ফার্মগেটমুখী পিলারে।

শুধু বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড নয়, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলের নানা অনিয়মের চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে পিলারগুলোতে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেলে দেখা যায়, পিলারগুলোতে গ্রাফিতি আঁকছেন শিল্পীরা। ২০০৯ সাল দিয়ে শুরু। প্রতিটি পিলারের মধ্যভাগে সালগুলো ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। তার নিচেই লেখা ‘ফিরে দেখা ফ্যাসিস্ট রেজিম’। পিলারের বাকি তিন দিকে সেই বছরের আলোচিত তিন অনিয়মের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ক্যাঙ্গারু কোর্ট, খালেদা জিয়াকে উচ্ছেদ, ফেলানী হত্যাকাণ্ড, শেয়ারবাজারের পতন, ইলিয়াস আলীকে গুম, শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচন, সন্ত্রাস, ব্লগার হত্যাকাণ্ড, রিজার্ভ চুরি, হোলি আর্টিজানে হামলা, তনু ধর্ষণসহ ঘটনাগুলো ধারাবাহিকভাবে চিত্রিত করা হচ্ছে। 

গ্রাফিতি আঁকার কাজটি তদারকি করছেন শিল্পী সোহাগ খান। তিনি দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন সবাইকে। কোন চিত্রের পর কোনটা আঁকা হবে বলে দিচ্ছেন। খবরের কাগজকে তিনি বলেন, ‘সরকার যে জুলাই আন্দোলনের বর্ষপূর্তি পালন করবে, তার আগেই গ্রাফিতি আঁকা শেষ হবে। জুলাই উপলক্ষে এটি করা হচ্ছে। আশা করছি আমরা ২০ থেকে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে এটা সম্পন্ন করতে পারব। ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে প্রতিবছরের আলোচিত হৃদয়বিদারক ঘটনাগুলো আঁকা হবে। সর্বমোট ৭০ পিলারে এই গ্রাফিতি অঙ্কন করা হবে।’

এই গ্রাফিতি অঙ্কনের পরিকল্পনা এবং বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি একটি লিখিত বক্তব্য দেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ‘জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে মূলত এখানে দুটি কার্যক্রম আমরা হাতে নিয়েছি। ১. যেখানে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সব গণহত্যা, দুর্নীতি, অনিয়মগুলোকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য সেগুলোর গ্রাফিক আর্টওয়ার্ক করা হচ্ছে। ২. জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ৩৬ দিনের সব কর্মসূচি ও কার্যক্রমকে আমরা এখানে চিত্রায়িত করব, যাতে করে জুলাইয়ের কার্যক্রমকে আমরা স্মরণীয় করতে পারি। এ কার্যক্রম পরিচালনায় উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের যথাযথ অনুমতি গ্রহণ করা হয়েছে এবং তারাও সহযোগিতা করছে। অন্যদিকে এই কার্যক্রমের ব্যয়ভার বহনের জন্য বিভিন্ন দাতা সংস্থা থেকে সহায়তা (স্পন্সর) নিয়েছি। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা পাওয়ার চেষ্টা চলছে।’

আরেক শিল্পী শহীদুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা ৩০-৪০ জন কাজ করছি। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যে অন্যায়গুলো হয়েছে, সেগুলো তুলে ধরা হচ্ছে। মানুষ যেন সেসব দিনের কথা স্মরণ করতে পারে।’

মিরসরাই জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পানির বাড়তি দাম নিয়ে দুশ্চিন্তা

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১১:২৪ এএম
পানির বাড়তি দাম নিয়ে দুশ্চিন্তা
ক্যাপশন: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অবস্থিত জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে/ খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অবস্থিত জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের ‘গার্মেন্টস ভিলেজে’ কারখানা গড়ার আগেই উদ্যোক্তারা পানি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। 

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ওয়াসা বর্তমানে যে দামে পানি সরবরাহ করছে তার চেয়ে বেশি দাম দিতে তারা রাজি নন। অন‌্যদিকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) বলছে, মেঘনা নদী থেকে পানি এনে সরবরাহ করতে গেলে প্রতি এক হাজার লিটারের দাম ১২০ টাকার বেশি পড়বে। যা ওয়াসার বর্তমানের দরের চেয়ে প্রায় সোয়া তিনগুন বেশি।
 
বেজার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে এই শিল্প অঞ্চলে দৈনিক পানির চাহিদা হওয়ার কথা ৪৬ কোটি লিটার। ৩০ সালে ৫৯ কোটি, ৩৫ সালে ৬৫ কোটি এবং ৪০ সালে ৭০ কোটি লিটার। বর্তমানে এই শিল্প অঞ্চলে যে কয়টি কারখানা উৎপাদনে গেছে তাদেরকে গভীর নলকূপ থেকে বেজা পানি সরবরাহ করছে। যার প্রতি এক হাজার লিটারের দাম পড়ছে ৩২ টাকা। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম শহরে বর্তমানে আবাসিক সংযোগে ওয়াসা প্রতি এক হাজার লিটার পানির দাম নেয় ১৮ টাকা। বাণিজ্যিক সংযোগের ক্ষেত্রে ৩৭ টাকা। 

বিজিএমইএ’র পরিচালক ও চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় গার্মেন্ট শিল্প গ্রুপ ক্লিপটন’র সিইও মহিউদ্দিন চৌধুরী খবরের কাগজকে বলেন, ‘গার্মেন্টস শিল্পের অন্যতম উপকরণ পানি। বিশেষ করে ডাইং কারখানাগুলোতে বিপুল পরিমাণ পানি লাগবে। অথচ এখানে পানি নেই। বেজা পানির যে দাম বলছে তাতে পানিনির্ভর কোনো কারখানা এখানে নির্মাণ করা সম্ভব হবে না। তারা পানির দাম চাইছে চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির চেয়ে কয়েকগুন বেশি। গ্যাস কখন আসবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।’ 

তিনি বলেন, ‘সরকার বিভিন্ন জায়গায় যে দামে পানি সরবরাহ করে এখানেও সেই দামে সরবরাহ করুক। ওয়াসার চেয়ে বেশি দামে পানি কেনার সুযোগ কারখানা মালিকদের নেই। ওয়াসার পানির দাম এমনিতেই বেশি। ব্যবসায়ীরা এর চেয়ে এক টাকাও বেশি দিতে রাজি নন। কারণ উৎপাদন খরচ বেড়ে গেলে ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে।’

জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ফারুক বলেছেন, ‘মেঘনা নদী থেকে আনলে প্রতি এক হাজার লিটার পানির দাম ১২০ টাকার উপরে পড়বে। সরকার যদি ভর্তুকি দিতে চায় দেবে। তাতে বেজার বলার কিছু নেই।’  

চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল আমিন এ বিষয়ে বলেন, ‘মেঘনা থেকে অর্থনৈতিক অঞ্চলে পানির সরবরাহ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই এখনো শেষ হয়নি। সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্পের মেয়াদ আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। দৈনিক ৫০ কোটি লিটার পানি উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন পানি শোধনাগার নির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে।’ 

পানি সরবরাহ খরচ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রতি হাজার লিটারে ১২০ টাকার কাছাকাছি দাম পড়বে। তবে বাস্তবে পানির দাম কত নির্ধারণ করা হবে তা ঠিক করবে সরকার। এনিয়ে বেজা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে একটি সভার আয়োজন করতে যাচ্ছে। সেখানেই পানির দর নির্ধারণ করা হবে।’

বেজার তথ্যমতে, বিজিএমইএ গার্মেন্ট ভিলেজে মোট বিনিয়োগ হবে ১১শ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখানে চার লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু সময়মতো প্লট বুঝে না পাওয়ায় উদ্যোক্তারা কারখানার নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারেনি। দীর্ঘসূত্রতার কারণে কারখানার জন্য যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগে আগ্রহী ছিল তারাও পিছু হটছে। একারণে বিপাকে পড়ছেন উদ্যোক্তারা।

বিজিএমইএ’র পরিচালক মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আশার জায়গা যেমন আছে, হতাশারও রয়েছে। ২০১৯ সালে প্রথম ধাপে প্লট পাওয়ার কথা অথচ এখনো কিছুই হয়নি। সবেমাত্র সড়কের কাজ চলছে। নালা নির্মাণ হয়নি। গার্মেন্টস ভিলেজের জন্য যে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে তার চেয়ে কিছু প্লট প্রায় পাঁচ ফুট উঁচু। বিষয়টি বেজাকে বলা হয়েছে। তারা সদুত্তর দিতে পারেনি। বেজা বলছে আগামী বছরের শুরু থেকে প্লট দৃশ্যমান হবে। আমরা অপেক্ষায় আছি।’  

জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ফারুক বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্লট বুঝিয়ে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। সড়ক, নালার কাজ চলছে। ডিসেম্বরের মধ্যে কোনো কাজ বাকি থাকলে তা হয়তো জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি লাগতে পারে। এরচেয়ে বেশি সময় লাগবে না। 

উঁচু প্লটের বিষয়ে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক জোনে ৬ দশমিক ৫ মিটার ভরাট করা হয়েছে। কোনো কোম্পানি যদি নিজ খরচে কোথাও অতিরিক্ত মাটি দিয়ে তাদের প্লট ভরাট করে তাতে বেজার কিছু করার নেই। তবে যেটুকু প্রয়োজন বেজা তা ভরাট করে দিয়েছে।

 

বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত, অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি হবে

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৭ এএম
বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত, অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি হবে
ছবি: খবরের কাগজ

চারটি সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত লঘুচাপটি একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর  ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টির পূর্বাভাস
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

অমিয়/

ক্ষমা চাইলেন এনবিআরের দুই শতাধিক কর্মকর্তা

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:২৪ এএম
ক্ষমা চাইলেন এনবিআরের দুই শতাধিক কর্মকর্তা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড

আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দুই শতাধিক কর্মকর্তা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন।

বিসিএস (কর) ক্যাডারের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার (৮ জুলাই) আগারগাঁও রাজস্ব ভবনে চেয়ারম্যানের সঙ্গে ব্যাচভিত্তিক দেখা করে এই ক্ষমা চান। 

এনবিআরের একটি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। ক্ষমা চাওয়া কর্মকর্তারা এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

সূত্র জানায়, প্রায় দুশর মতো আয়কর ক্যাডার কর্মকর্তা চেয়ারম্যানের কাছে ব‍্যাচভিত্তিক ক্ষমা চেয়েছেন। এদের মধ‍্যে ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩৩, ৩৮ ও ৪০ ব‍্যাচের কর্মকর্তারা বেশি ছিলেন। এর ফলে মাঠের কাজে সুষ্ঠু পরিবেশ ও শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে মনে করেন কর্মকর্তারা। এর আগে গত সোমবার কর্মকর্তারা এনবিআরের আরও কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানা গেছে।

একজন কর্মকর্তা জানান, চেয়ারম্যান কর্মকর্তাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে এবং রাজস্ব আদায়ে মনোযোগী হতে পরামর্শ দিয়েছেন।

সরকার গত ১২ মে এনবিআরকে দুই ভাগ করার অধ্যাদেশ জারি করে। এর বিরোধিতা করে গত ২৮ জুন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন কর্মকর্তারা। অন্যদিকে সরকারও কঠোর অবস্থান নেয়। ঘুষের বিনিময়ে করদাতাদের কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ দেওয়া, সরকার নির্ধারিত করের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এনবিআরের সদস্য (আয়কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলমসহ বেশ কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

আন্দোলনের এই পর্যায়ে এনবিআরের চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এতে এনবিআরের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মবিরতি বা আন্দোলন করলে শাস্তিযোগ্য বলে বিবেচিত হয়। 

একপর্যায়ে ব্যবসায়ীরা জরুরিভাবে এ সংকট নিরসনে সরকার ও এনবিআরের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গেই বৈঠকে বসেন। ২৮ জুন রাতে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে গঠিত সংস্কার ঐক্য পরিষদ ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। এরপর বেশ কিছু কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আন্দোলনে যুক্ত থাকার কারণে আরও অনেককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে বলেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে কিছু কর্মকর্তার মধ্যস্থতায় গতকাল দুই শতাধিক কর্মকর্তা এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা খবরের কাগজকে বলেন, ক্ষমা চাওয়ার মধ্য দিয়ে এনবিআরের স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে, যা রাজস্ব আদায়ের গতি বাড়াবে।