
সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ডকে নিয়ে পদ্মা সেতু এলাকায় ভাঙন ঠেকাতে অবৈধ ড্রেজার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন, সেতু ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
বুধবার (১১ জুন) দুপুর ১২টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা সেতুর কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডের কাছে তিন কিলোমিটারের মধ্যে পদ্মা সেতু রক্ষা বাঁধের ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে একথা বলেন তিনি।
এ সময় উপদেষ্টা বলেন, নদী ভাঙনের কারণ; নদীর গতিপথ পরিবর্তন ও অবৈধ বালু উত্তোলন। ড্রেজার চালানোর ফলে পদ্মা নদীর আশেপাশের এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছি। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ডকে সঙ্গে নিয়ে অবৈধ ড্রেজার জব্দ করার পাশাপাশি মালিকদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এ সময় উপদেষ্টা অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে জেলা প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ড্রেজার মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এদিকে ভাঙনের স্থানে জিওব্যাগ ডাম্পিং করে প্রাথমিকভাবে ভাঙন ঠেকানোর পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সেতু বিভাগের সমীক্ষার পর ফলাফল ও নকশা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের কথা জানান অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন।
স্থানীয়রা জানান, তারা দ্রুত টেকসই স্থায়ী বেড়িবাঁধ চান। এছাড়া ভাঙন কবলিত মানুষের সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মাদ তারেক হাসান জানান, ভাঙন রোধে জরুরি জিও ব্যাগ ডাম্পিং-সহ দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে। আশা করি ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ করতে পারব।
পদ্মা সেতুর কনষ্ট্রাকশন ইয়ার্ড সহ আশেপাশের এলাকা রক্ষায় ২০১০-১১ অর্থবছরে ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধটি নির্মাণ করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. এনায়েত উল্লাহ, ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহজাহান সিরাজ, জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
রাজিব হোসেন/অমিয়/