ঢাকা ১ শ্রাবণ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
English

শাহবাগ অবরোধ করেছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ০১:৫৮ পিএম
আপডেট: ২৩ জুন ২০২৫, ০২:৪৩ পিএম
শাহবাগ অবরোধ করেছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা
ছবি: খবরের কাগজ

রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ করেছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। চাকরিতে পুনর্বহালসহ তিন দফা দাবিতে তারা এই অবরোধ করেছেন।

সোমবার (২৩ জুন) দুপুরের দিকে তারা শাহবাগ মোড়ে জড়ো হলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে শাহবাগে জড়ো হয়। এ সময় পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।

চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের দাবিগুলো হলো- (১) পিলখানাসহ দেশের সব বিডিআর ইউনিটগুলোয় বিশেষ আদালত এবং মহাপরিচালক ও অধিনায়কের সামারি কোর্টের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত (৭৬ ব্যাচসহ) সব বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। সেইসঙ্গে তাদের রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাসহ পূর্ণ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে। (২) পিলখানা হত্যাকাণ্ডে গঠিত শর্তযুক্ত তদন্ত কমিশনকে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন তদন্ত কমিশনে রূপান্তরের লক্ষ্যে এর সার্বিক পূর্ণ কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত করছে এমন সব বিধিনিষেধ, বিশেষ করে এর প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত ‘ব্যতীত’ শব্দ এবং কার্যপরিধি ২ এর (ঙ) ধারাটি বাতিল করে কমিশনকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি মিথ্যা সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে দণ্ডিত হয়ে প্রায় ১৬ বছর ধরে কারাবন্দি নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। (৩) যেসব ন্যায়পরায়ণ ও দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাদের ২০০৯ সালে পিলখানায় সৃষ্ট ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে, তাদের সবাইকে পুনর্বাসন করতে হবে। সেই সঙ্গে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী ‘বাংলাদেশ রাইফেলস’ তথা ‘বিডিআর’ নাম পুনরায় স্থাপন করতে হবে।

অমিয়/

দলগুলোকে ঐক্যে আনার নীতিগত দিক পর্যালোচনা করছে ঐকমত্য কমিশন

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৭ পিএম
দলগুলোকে ঐক্যে আনার নীতিগত দিক পর্যালোচনা করছে ঐকমত্য কমিশন
ছবি: সংগৃহীত

তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান নিয়োগ ও দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠনসহ রাষ্ট্র সংস্কারের মৌলিক ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মতপার্থক্য দূর করতে সম্ভাব্য প্রস্তাব ও নীতিগত দিক পর্যালোচনা সভা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। 

বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনস্থ কমিশন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

সভার শুরুতে ‘জুলাই শহিদ দিবস’ উপলক্ষ্যে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সভায় গত ১৪ দিন ধরে কমিশনের সঙ্গে ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের অনুষ্ঠিত ধারাবাহিক আলোচনার বিভিন্ন দিক ও অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় কমিশনের সদস্যরা বৈঠকে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোকে কমিশনের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্ত এবং গঠনমূলক আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। 

একই সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান নিয়োগ এবং দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার মতপার্থক্য, সেগুলো দূর করার সম্ভাব্য প্রস্তাব ও নীতিগত দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

এলিস/সুমন/

গুরুতর অসুস্থ হয়ে আইসিইউতে ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৬ পিএম
গুরুতর অসুস্থ হয়ে আইসিইউতে ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান
ভাস্কর অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খান। ছবি: সংগৃহীত

দেশের প্রবীণতম ভাস্কর অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খান গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার বন্ধু ও অনুসারীরা জানিয়েছেন, তিনি নিউমোনিয়া ও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার (১৬ জুলাই) তাকে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিউ) নেওয়া হয়েছে।

১৯৭০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। ফর্ম, বিষয়ভিত্তিক ও নিরীক্ষাধর্মী ভাস্কর্যের জন্য সুপরিচিত ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান। ১৯৭৬ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণায় তিনি নির্মাণ করেন ‘একাত্তর স্মরণে’ ভাস্কর্য। ১৯৮৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজধানী সিউলে অলিম্পিক ভাস্কর্য পার্কে ‘স্টেপস’ ভাস্কর্য স্থাপন করেন। এরপর আন্তর্জাতিক পরিসরেও তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। ক্যানভাসে হামিদুজ্জামান খান জলরঙ ও অ্যাক্রেলিকে বিমূর্ত ধারায় ফুটিয়ে তুলেন নিসর্গ ও মানবশরীর।

সিলেট ক্যান্টনমেন্টে ‘হামলা’, বঙ্গভবনে ‘পাখি পরিবার’, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সংশপ্তক’ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ‘শান্তির পায়রা’- তার উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্য। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ‘হামিদুজ্জামান খান ১৯৬৪-২০১৭’ শিরোনামে তার রেট্রোস্পেকটিভ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খান ২০০৬ সালে একুশে পদক লাভ করেন। ২০২৩ সালে বাংলা একাডেমি তাকে ফেলোশিপ দিয়েছে।

দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদক প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপ তার ভাস্কর্য সংগ্রহ দিয়ে বড় এক ভাস্কর্য বাগান নির্মাণ করেছে গাজীপুরের কড্ডায়। পাঁচ দশকেরও অধিক সময়ের কর্মজীবনে তার শিল্পকর্ম বাংলাদেশ, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, বুলগেরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রদর্শিত বা স্থাপিত হয়েছে।

জয়ন্ত সাহা/

নতুন করে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করা যাবে না: অন্তর্বর্তী সরকারকে বাম জোটের নেতারা

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৩ পিএম
নতুন করে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করা যাবে না: অন্তর্বর্তী সরকারকে বাম জোটের নেতারা
ছবি: সংগৃহীত

নতুন করে কোনো ভয়ের রাজত্ব তৈরি করা চলবে না বলে অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেছেন বাম জোটের নেতারা।

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের এক বছরে অন্তর্বর্তী সরকারের নানা ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটেরা। দেশে কোনো কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী ধারার উত্থান হলে জনগণ তা রুখে দেবেও বিশ্বাস বাম নেতাদের।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে সিপিবি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের শহিদ আবু সাঈদসহ সব শহিদদের স্মরণে স্মরণ সভার আয়োজন করে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। বক্তব্য রাখেন সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাসদ (মার্কসবাদী)-এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ডা. জয়দ্বীপ ভট্টাচার্য, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী।

সভার শুরুতে সিপিবি কার্যালয়ে শহিদদের স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় বাম জোট নেতারা এক মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে নীরবতা পালন করেন। 

সভায় সরকারের উদ্দেশে বাম নেতারা বলেন, ‘কোনোভাবেই জনগণের গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার খর্ব করা চলবে না। নতুনভাবে কোনো ভয়ের রাজত্ব তৈরি করা চলবে না। যেকোনো কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী ধারার উত্থানকে মোকাবিলা করতে জনগণকে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে।’

বাম জোট নেতারা বলেন, ‘আমরা জানি দুর্বৃত্তায়িত অর্থনীতির ধারা পরিবর্তন না করতে পারলে, দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি বন্ধ করা যাবে না। মানুষের মুক্তি আসবে না। এজন্য আমরা ব্যবস্থা বদলে কথা বলেছি। গণতন্ত্র ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়াই ছিল গণঅভ্যুত্থানের সাধারণ আকাঙ্ক্ষা। দলীয় ও ব্যক্তি স্বার্থ প্রাধাণ্য না দিয়ে সেই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে পথেই আমাদের হাঁটতে হবে। এই কাজ সম্পন্ন করতে বিলম্ব হলে অপশক্তি দেশকে নানা ভাবে অস্থিতিশীল করতে চাইবে। এজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দল নিরপেক্ষভাবে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।’ 

সভায় গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানানো হয়। বাম নেতারা বলেন, ‘সরকারের এ ধরনের দায়িত্বহীন আচরণ আগামী দিনের গণতন্ত্রের পথ চলাকে ব্যহত করতে পারে।’

দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে তারা বলেন, ‘কোনোভাবেই যেন পতিত স্বৈরাচার, দেশের অভ্যন্তরে থাকা অপশক্তি এবং আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তি যেন দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে, সেজন্য গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠনকে সজাগ থাকতে হবে।’ 

জয়ন্ত সাহা/সুৃমন/

গোপালগঞ্জে হামলাকারীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না: রিজওয়ানা হাসান

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩৪ পিএম
গোপালগঞ্জে হামলাকারীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না: রিজওয়ানা হাসান
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও সৈয়দা রিজওয়ান হাসান বলেছেন, গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে হামলার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা তদন্ত করে দায়িত্বহীনতার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টায় তারা রংপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার প্রাক্কালে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে পৌঁছালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাদের মুখোমুখি হলে তাদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। 

সৈয়দা রিজওয়ান হাসান আরও বলেন, প্রথমত এই হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবশ্যই এর দ্রুত একশন নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টাও নিন্দা জানিয়েছেন এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু এনসিপি নয়, যেকোনো দলের ওপর যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই বরদাস্ত করব না।

তিনি বলেন, এতবড় একটা গণঅভ্যুত্থানের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যতটা অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল তা হয়নি। সারাদেশে সার্বিকভাবে স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। এনসিপি বেশ কয়েক জেলায় তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। এমন ঘটনা কোথাও ঘটেনি। যারাই এই অনাকাঙ্ক্ষিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের অবশ্যই উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

তিনি বলেন, ইতোপূর্বেও আওয়ামী লীগ গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীকে অবরুদ্ধ করে নৈরাজ্য করার অপচেষ্টা চালায়। আসলে আওয়ামী লীগ এখনো প্রশাসনের সর্বস্তরে রয়ে গেছে। গোপালগঞ্জে সন্ত্রাসীরা ঘাঁটি গেড়েছে। এদের কর্মকাণ্ড স্থগিত করা হয়েছে। বিচার কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। দ্রুত আমরা বিচার সম্পন্ন হতে দেখতে পাব। 

জুলাই সনদ সম্পর্কে তিনি বলেন, জুলাই সনদ আমাদেরই বেশি প্রয়োজন। কারণ আমরা থাকব না। এটা মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নির্ভর করছে। সনদের অনেকগুলো বিষয় আছে। এ ব্যাপারে দলগুলোকে ডেকে মতামত নেওয়া হয়েছে। সবার খসড়া একত্রে নিয়ে আমরা খসড়া তৈরি করার চেষ্টা করছি। যত দ্রুত সম্ভব এটা করা হবে। 

আসিফ নজরুল বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে একটা ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে গেছে। সেখান থেকে নতুন করে গড়ার কাজ করছি আমরা। প্রশাসনের সকল ক্ষেত্রে তাদের লোক। তাই বেগ পেতে হচ্ছে। পুলিশকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা চলছে। সে পর্যন্ত গোপালগঞ্জের মত ঘটনার মোকাবিলা করতে হবে। 

আজ এনসিপির সঙ্গে যা করা হয়েছে তা মূলত নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে চরম প্রতিবন্ধকতা। আমরা এহেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই বরদাস্ত করব না। পুলিশসহ যাদেরই এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। 

মমিনুর আজাদ/মাহফুজ

 

গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত ৩

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:১৮ পিএম
গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত ৩
ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সাংবাদিক-পুলিশসহ অনেকেই আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন- জেলা শহরের উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে যুবদলকর্মী দীপ্ত সাহা (২৫), শহরের থানাপাড়ার কামরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী (২৪), সদর উপজেলার আড়পাড়া এলাকার আজাদ তালুকদারের ছেলে ইমন তালুকদার (১৮)।

বুধবার (১৬ জুলাই) গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শেখ মো. নাবিল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, তারা সবাই গুলিবিদ্ধ ছিলেন।

এর আগে, আজ দুপুর আড়াইটার দিকে সমাবেশ থেকে ফেরার পথে এনসিপির গাড়িবহরে হামলা করে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোপালগঞ্জ। 

পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়তে দেখা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) চার প্লাটুন সদস্য।

সংঘর্ষের ঘটনায় বিকেলে ১৪৪ ধারা জারি করেন জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।  

এদিকে সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, বুধবার রাত ৮টা থেকে পরবর্তী দিন (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করা হয়েছে। 

বাদল/সালমান/