ঢাকা ১ শ্রাবণ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
English

ইসির হালনাগাদ তালিকায় যুক্ত হবে ৬০ লাখ নতুন ভোটার

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ০৯:৪৬ পিএম
আপডেট: ২৩ জুন ২০২৫, ০৯:৫৪ পিএম
ইসির হালনাগাদ তালিকায় যুক্ত হবে ৬০ লাখ নতুন ভোটার
ছবি: খবরের কাগজ

বর্তমানে দেশে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভোটার হালনাগাদ কর্মসূচি ২০২৫ এর মাধ্যমে এবার তালিকায় যুক্ত হবে ৬০ লাখের মতো নতুন ভোটার। আর তালিকা থেকে মৃত ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে ১৬ লাখেরও বেশি বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর।

সোমবার (২৩ জুন) তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, গত ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। তথ্য সংগ্রহ শেষে তা নির্ভুল করতে ভোটার তালিকার আদর্শ পরিচালনা পদ্ধতি অনুযায়ী পুনরায় সংশোধন কার্যক্রম শেষ হবে আগামী ৩০ জুন। চলতি হালনাগাদ ভোটার তালিকায় যে কোনো ধরনের ভুল এড়াতে মাঠ কর্মকর্তাদের বাড়তি সতর্কতা জারি করে পুনরায় প্রুফ রিডিংয়ের নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি। এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা ইসির সব আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।

এদিকে গত বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন কমিশনে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য ৩ লাখ ৭৮ হাজার আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ছিল। এর পর গত ছয় মাসে ইসিতে নতুন করে আবেদন জমা পড়ে ৫ লাখ ৭২ হাজার।

এ বিষয়ের সব শেষ অবস্থা জানতে চাইলে ইসির এনআইডি বিভাগের মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর জানান, এ কাজ গতিশীল করতে ইসির তিন মাসের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালিয়েছে। এর ফলে ১৬ মার্চ পর্যন্ত তারা ২ লাখ ৭৮ হাজার আবেদন নিষ্পত্তি করেন। গত রবিবার (২২ জুন) পর্যন্ত হিসেব অনুযায়ী ইসিতে ১ লাখ ৯০ হাজার আবেদন অবশিষ্ট আছে। এর আগে সংশোধনের জন্য জমা পড়া মোট সাড়ে ৯ লাখ আবেদনের মধ্যে ক্র্যাশ প্রোগ্রামে ৭ লাখ ৬০ হাজার আবেদন ইসি নিষ্পত্তি করতে পেরেছে। এনআইডি মহাপরিচালকের আশা, আগামী এক মাসের মধ্যেই এসব আবেদন পুরোপুরি নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে।

এলিস/মেহেদী/

গুরুতর অসুস্থ হয়ে আইসিইউতে ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৬ পিএম
গুরুতর অসুস্থ হয়ে আইসিইউতে ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান
ভাস্কর অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খান। ছবি: সংগৃহীত

দেশের প্রবীণতম ভাস্কর অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খান গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার বন্ধু ও অনুসারীরা জানিয়েছেন, তিনি নিউমোনিয়া ও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার (১৬ জুলাই) তাকে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিউ) নেওয়া হয়েছে।

১৯৭০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। ফর্ম, বিষয়ভিত্তিক ও নিরীক্ষাধর্মী ভাস্কর্যের জন্য সুপরিচিত ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান। ১৯৭৬ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণায় তিনি নির্মাণ করেন ‘একাত্তর স্মরণে’ ভাস্কর্য। ১৯৮৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজধানী সিউলে অলিম্পিক ভাস্কর্য পার্কে ‘স্টেপস’ ভাস্কর্য স্থাপন করেন। এরপর আন্তর্জাতিক পরিসরেও তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। ক্যানভাসে হামিদুজ্জামান খান জলরঙ ও অ্যাক্রেলিকে বিমূর্ত ধারায় ফুটিয়ে তুলেন নিসর্গ ও মানবশরীর।

সিলেট ক্যান্টনমেন্টে ‘হামলা’, বঙ্গভবনে ‘পাখি পরিবার’, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সংশপ্তক’ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ‘শান্তির পায়রা’- তার উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্য। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ‘হামিদুজ্জামান খান ১৯৬৪-২০১৭’ শিরোনামে তার রেট্রোস্পেকটিভ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খান ২০০৬ সালে একুশে পদক লাভ করেন। ২০২৩ সালে বাংলা একাডেমি তাকে ফেলোশিপ দিয়েছে।

দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদক প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপ তার ভাস্কর্য সংগ্রহ দিয়ে বড় এক ভাস্কর্য বাগান নির্মাণ করেছে গাজীপুরের কড্ডায়। পাঁচ দশকেরও অধিক সময়ের কর্মজীবনে তার শিল্পকর্ম বাংলাদেশ, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, বুলগেরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রদর্শিত বা স্থাপিত হয়েছে।

জয়ন্ত সাহা/

নতুন করে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করা যাবে না: অন্তর্বর্তী সরকারকে বাম জোটের নেতারা

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৩ পিএম
নতুন করে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করা যাবে না: অন্তর্বর্তী সরকারকে বাম জোটের নেতারা
ছবি: সংগৃহীত

নতুন করে কোনো ভয়ের রাজত্ব তৈরি করা চলবে না বলে অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেছেন বাম জোটের নেতারা।

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের এক বছরে অন্তর্বর্তী সরকারের নানা ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটেরা। দেশে কোনো কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী ধারার উত্থান হলে জনগণ তা রুখে দেবেও বিশ্বাস বাম নেতাদের।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে সিপিবি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের শহিদ আবু সাঈদসহ সব শহিদদের স্মরণে স্মরণ সভার আয়োজন করে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। বক্তব্য রাখেন সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাসদ (মার্কসবাদী)-এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ডা. জয়দ্বীপ ভট্টাচার্য, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী।

সভার শুরুতে সিপিবি কার্যালয়ে শহিদদের স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় বাম জোট নেতারা এক মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে নীরবতা পালন করেন। 

সভায় সরকারের উদ্দেশে বাম নেতারা বলেন, ‘কোনোভাবেই জনগণের গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার খর্ব করা চলবে না। নতুনভাবে কোনো ভয়ের রাজত্ব তৈরি করা চলবে না। যেকোনো কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী ধারার উত্থানকে মোকাবিলা করতে জনগণকে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে।’

বাম জোট নেতারা বলেন, ‘আমরা জানি দুর্বৃত্তায়িত অর্থনীতির ধারা পরিবর্তন না করতে পারলে, দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি বন্ধ করা যাবে না। মানুষের মুক্তি আসবে না। এজন্য আমরা ব্যবস্থা বদলে কথা বলেছি। গণতন্ত্র ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়াই ছিল গণঅভ্যুত্থানের সাধারণ আকাঙ্ক্ষা। দলীয় ও ব্যক্তি স্বার্থ প্রাধাণ্য না দিয়ে সেই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে পথেই আমাদের হাঁটতে হবে। এই কাজ সম্পন্ন করতে বিলম্ব হলে অপশক্তি দেশকে নানা ভাবে অস্থিতিশীল করতে চাইবে। এজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দল নিরপেক্ষভাবে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।’ 

সভায় গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানানো হয়। বাম নেতারা বলেন, ‘সরকারের এ ধরনের দায়িত্বহীন আচরণ আগামী দিনের গণতন্ত্রের পথ চলাকে ব্যহত করতে পারে।’

দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে তারা বলেন, ‘কোনোভাবেই যেন পতিত স্বৈরাচার, দেশের অভ্যন্তরে থাকা অপশক্তি এবং আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তি যেন দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে, সেজন্য গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠনকে সজাগ থাকতে হবে।’ 

জয়ন্ত সাহা/সুৃমন/

গোপালগঞ্জে হামলাকারীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না: রিজওয়ানা হাসান

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩৪ পিএম
গোপালগঞ্জে হামলাকারীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না: রিজওয়ানা হাসান
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও সৈয়দা রিজওয়ান হাসান বলেছেন, গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে হামলার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা তদন্ত করে দায়িত্বহীনতার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টায় তারা রংপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার প্রাক্কালে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে পৌঁছালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাদের মুখোমুখি হলে তাদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। 

সৈয়দা রিজওয়ান হাসান আরও বলেন, প্রথমত এই হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবশ্যই এর দ্রুত একশন নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টাও নিন্দা জানিয়েছেন এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু এনসিপি নয়, যেকোনো দলের ওপর যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই বরদাস্ত করব না।

তিনি বলেন, এতবড় একটা গণঅভ্যুত্থানের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যতটা অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল তা হয়নি। সারাদেশে সার্বিকভাবে স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। এনসিপি বেশ কয়েক জেলায় তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। এমন ঘটনা কোথাও ঘটেনি। যারাই এই অনাকাঙ্ক্ষিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের অবশ্যই উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

তিনি বলেন, ইতোপূর্বেও আওয়ামী লীগ গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীকে অবরুদ্ধ করে নৈরাজ্য করার অপচেষ্টা চালায়। আসলে আওয়ামী লীগ এখনো প্রশাসনের সর্বস্তরে রয়ে গেছে। গোপালগঞ্জে সন্ত্রাসীরা ঘাঁটি গেড়েছে। এদের কর্মকাণ্ড স্থগিত করা হয়েছে। বিচার কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। দ্রুত আমরা বিচার সম্পন্ন হতে দেখতে পাব। 

জুলাই সনদ সম্পর্কে তিনি বলেন, জুলাই সনদ আমাদেরই বেশি প্রয়োজন। কারণ আমরা থাকব না। এটা মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নির্ভর করছে। সনদের অনেকগুলো বিষয় আছে। এ ব্যাপারে দলগুলোকে ডেকে মতামত নেওয়া হয়েছে। সবার খসড়া একত্রে নিয়ে আমরা খসড়া তৈরি করার চেষ্টা করছি। যত দ্রুত সম্ভব এটা করা হবে। 

আসিফ নজরুল বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে একটা ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে গেছে। সেখান থেকে নতুন করে গড়ার কাজ করছি আমরা। প্রশাসনের সকল ক্ষেত্রে তাদের লোক। তাই বেগ পেতে হচ্ছে। পুলিশকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা চলছে। সে পর্যন্ত গোপালগঞ্জের মত ঘটনার মোকাবিলা করতে হবে। 

আজ এনসিপির সঙ্গে যা করা হয়েছে তা মূলত নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে চরম প্রতিবন্ধকতা। আমরা এহেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই বরদাস্ত করব না। পুলিশসহ যাদেরই এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। 

মমিনুর আজাদ/মাহফুজ

 

গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত ৩

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:১৮ পিএম
গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত ৩
ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সাংবাদিক-পুলিশসহ অনেকেই আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন- জেলা শহরের উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে যুবদলকর্মী দীপ্ত সাহা (২৫), শহরের থানাপাড়ার কামরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী (২৪), সদর উপজেলার আড়পাড়া এলাকার আজাদ তালুকদারের ছেলে ইমন তালুকদার (১৮)।

বুধবার (১৬ জুলাই) গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শেখ মো. নাবিল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, তারা সবাই গুলিবিদ্ধ ছিলেন।

এর আগে, আজ দুপুর আড়াইটার দিকে সমাবেশ থেকে ফেরার পথে এনসিপির গাড়িবহরে হামলা করে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোপালগঞ্জ। 

পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়তে দেখা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) চার প্লাটুন সদস্য।

সংঘর্ষের ঘটনায় বিকেলে ১৪৪ ধারা জারি করেন জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।  

এদিকে সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, বুধবার রাত ৮টা থেকে পরবর্তী দিন (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করা হয়েছে। 

বাদল/সালমান/

গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪৯ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে সংঘটিত সংঘর্ষ ও হামলা-পাল্টা হামলার পর জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। 

বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বুধবার রাত ৮টা থেকে পরবর্তী দিন (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। 

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া অস্থিরতা ও সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কারফিউ চলাকালীন জনসাধারণের চলাচল সীমিত থাকবে এবং বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হতে পারবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকবে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে।

এর আগে, বিকেলে ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। এ ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) চার প্লাটুন সদস্য।

এনসিপির সমাবেশস্থল এবং পরে পদযাত্রা ও গাড়িবহরে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোপালগঞ্জ। 

এদিন বিকেল ৫টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাহারায় গোপালগঞ্জ ছাড়েন নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলমসহ দলের শীর্ষ নেতারা।

সালমান/