ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

বেড়েছে মুরগির দাম, মৌসুমেও নাগালের বাইরে ইলিশ

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৩:১২ পিএম
বেড়েছে মুরগির দাম, মৌসুমেও নাগালের বাইরে ইলিশ
ছবি: সংগৃহীত

দুই দিন আগেও ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা। গতকাল সোমবার তা ১৭০ টাকায় ঠেকেছে। সোনালি মুরগির দামও কেজিতে ৪০ টাকা বেড়েছে। ২৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। মৌসুম শুরু হলেও ইলিশ মাছও উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে। বোরো ধান উঠলেও বেশি দরেই কিনতে হচ্ছে চাল। মিলমালিকরা চালের দাম বাড়ানোয় ক্ষুব্ধ খুচরা বিক্রেতারা। 

সোমবার (২৩ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ সব তথ্য পাওয়া গেছে। 

ব্রয়লার মুরগি দুই দিন আগেও ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। সোমবার কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। মোহাম্মদপুরের টাউন হল বাজারের ব্রয়লার হাউসের স্বত্বাধিকারী শিবলী মাহমুদসহ অন্য খুচরা বিক্রেতারা খবরের কাগজকে বলেন, ঈদের পর মুরগির চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কম ছিল। কিন্তু গতকাল থেকে মুরগির সরবরাহ কমে গেছে। এ জন্য দামও বেড়ে গেছে। ব্রয়লার ১৭০ টাকা ও সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। হঠাৎ দাম বাড়ল কেন? এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘কখন বাড়বে, কখন কমবে বলা মুশকিল।’ তবে আগের মতোই দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০, খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি ও ডিমের ডজন ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

বাজারে আকারভেদে চাষের রুই, কাতলা মাছের কেজি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০, চিংড়ি ৫০০ থেকে ৮০০, তেলাপিয়া ও পাঙাশ ২২০ এবং কাঁচকি মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মৌসুম শুরু হলেও বাজারে ইলিশ অতি চড়া দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। ওজনে এক কেজি হলে ২ হাজার ২০০ টাকা, কম হলে ২ হাজার  টাকা পিস বিক্রি হচ্ছিল ইলিশ। ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশও ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। ফলে জাতীয় মাছটি মধ্যবিত্তের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। টাউন হল বাজারের ইলিশ মাছ বিক্রেতা রহিম আলী খবরের কাগজকে বলেন, ‘মৌসুম শুরু হলেও নদীতে আগের মতো ইলিশ পাওয়া যায় না। সরবরাহ খুবই কম। এ জন্যই দাম বেশি।’  

সবজির দামও বাড়ছে
ঈদুল আজহার ছুটি শেষে রাজধানীর চিত্র আবার আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে। সেই সঙ্গে সবজির দামও কিছুটা বেড়ে গেছে। গতকাল বাজারে দেখা যায়, বেগুন কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে লম্বা ও গোল বেগুনি রঙেরটা ১০০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ১০০, করলা, পটোল, ঝিঙে, ধুন্দল, ঢ্যাঁড়স ৫০ থেকে ৬০, শসা ৫০ থেকে ১০০, কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। কাঁকরোলের দাম কিছুটা কমে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা সবুর আলী খবরের কাগজকে বলেন, ‘বর্ষাকালে অনেক ফসলি জমি ডুবে গেছে। কাজেই আর কম দামে সবজি মিলবে না।’ 

বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, আগের মতোই পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, দেশি আদা ১২০ থেকে ১৩০, আমদানি করা আদা ১৮০ থেকে ২২০, দেশি রসুন ১৪০ থেকে ১৬০, আমদানি করা রসুন ১৮০ থেকে ২২০ ও আলুর কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হয়।  

বেশি দরে চাল বিক্রি
সারা দেশে বোরো ধান ওঠায় ঈদের আগে চিকন তথা মিনিকেট চালের দাম কমে। কিন্তু ঈদের পর মনজুর, রশিদ, সাগর কোম্পানি মিনিকেটের বস্তায় ৩০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এর ফলে আগে ৭৫ টাকা কেজি বিক্রি হলেও কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন বাজারে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। মোজাম্মেল কোম্পানির চাল আরও বেশি ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আটাশ চালের দামও বেড়ে ৬২ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মোটা চাল আগের মতোই ৫২ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কৃষি মার্কেটের খুচরা চাল বিক্রেতা মো. শওকত আলী, টাউন হল বাজারের নোয়াখালী স্টোরের ইউসুফসহ অন্য খুচরা চাল বিক্রেতারা বলেন, ‘ঈদের পর মিলমালিকরা চিকন চালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা বাড়িয়েছেন। এ জন্য আমাদেরও বেশি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। আমরা লাভ বেশি না করলেও বদনাম হচ্ছে। এটা সরকারকে দেখা দরকার।’

সাবেক সচিব, বিচারক ও সরকারি কর্মকর্তাদের ১২ ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪৩ পিএম
সাবেক সচিব, বিচারক ও সরকারি কর্মকর্তাদের ১২ ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ঢাকার ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন পরিত্যক্ত বাড়িতে আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (গৃহায়ন ধানমন্ডি) (১ম পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় সাবেক সচিব, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ১২টি ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল করে আদেশ জারি করেছে সরকার।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। 

আদেশে বলা হয়েছে, ‘ঢাকার ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন পরিত্যক্ত বাড়িতে আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (গৃহায়ন ধানমন্ডি) (১ম পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার সড়ক নং-১৩ (নতুন-৬/এ)-এর বাড়ি নং-৭১১ (নতুন-৬৩)-তে নির্মাণাধীন ভবনে বরাদ্দ করা এসব ফ্লাটের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে।’

সাবেক অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. জহুরুল হক (ফ্ল্যাটের আয়তন ৪১০৫.০৫ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান (ফ্ল্যাটের আয়তন ৪৩০৮.৬৮ বর্গফুট), সাবেক সচিব এম এ কাদের সরকার (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব ড. এম আসলাম আলম (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সচিব আকতারী মমতাজ (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সচিব মো. সিরাজুল হক খান (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট), সাবেক রেজিস্ট্রার জেনারেল ও সাবেক সিনিয়র জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট), সাবেক সিনিয়র সচিব ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান (ফ্ল্যাটের আয়তন ২৩১৫.৮৩ বর্গফুট) এবং সাবেক সিনিয়র সচিব এস. এম. গোলাম ফারুকের (ফ্ল্যাটের আয়তন ২০৪৯.১৩ বর্গফুট) নামে এসব ফ্ল্যাট বরাদ্দ দিয়েছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার।  

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের গঠিত কমিটির প্রতিবেদন এবং জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ২৭৪তম বোর্ড সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের আলোকে এসব ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে।

বৃক্ষরোপণ অভিযান উদ্বোধন করলেন সেনাপ্রধান

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৮:২২ পিএম
বৃক্ষরোপণ অভিযান উদ্বোধন করলেন সেনাপ্রধান
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বৃক্ষরোপণ অভিযান উদ্বোধন করেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বৃক্ষরোপণ অভিযান-২০২৫ উদ্বোধন করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। 

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ঢাকা সেনানিবাসের নির্ঝর আবাসিক এলাকায় চারা রোপণের মাধ্যমে তিনি ঢাকাসহ দেশের সব সেনানিবাস, ডিওএইচএস ও জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্পে একযোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ‘পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বৃক্ষরোপণ অভিযানে সব সেনানিবাসের প্রশিক্ষণ ও ফায়ারিং রেঞ্জ এলাকা, ডিওএইচএস এবং জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্পে ফলজ, বনজ ও ঔষধি প্রজাতির বৃক্ষসহ সৌন্দর্যবর্ধক গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি একযোগে বাস্তবায়ন করা হবে, যা আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলমান থাকবে। দেশের বনজ সম্পদ বৃদ্ধি ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার লক্ষ্যে সবাইকে স্বপ্রণোদিত হয়ে বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করাই এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য।

অনুষ্ঠানে সেনাসদর ও লজিস্টিকস এরিয়ার ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা এবং জেসিওসহ অন্য পদবির সেনাসদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আলমগীর/সালমান/

বিমান পেল ৫ পদক, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে উজ্জ্বল বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম
বিমান পেল ৫ পদক, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে উজ্জ্বল বাংলাদেশ
ছবি: সংগৃহীত

দেশের পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এক অনন্য সাফল্য অর্জন করেছে। ‘এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার-২০২৪’-এ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস মোট পাঁচটি পদক অর্জন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি স্বর্ণ, একটি রৌপ্য এবং একটি ব্রোঞ্জ পদক। 

শেয়ারট্রিপ ও মনিটরের যৌথ আয়োজন ‘এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার-২০২৪’-এ এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি পায় প্রতিষ্ঠানটি।

বিমান যেসব ক্যাটাগরিতে স্বর্ণপদক পেয়েছে সেগুলো হলো, দীর্ঘ দূরত্বের আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনায় শ্রেষ্ঠত্ব, ইকোনমি ক্লাসে ইনফ্লাইট খাবারের মানে সেরা এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এয়ারলাইনস ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি। এই অর্জন প্রতিষ্ঠানটির আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সেবা, যাত্রী সন্তুষ্টি এবং ব্র্যান্ড গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এ ছাড়াও ‘বেস্ট ইমপ্রুভড এয়ারলাইনস’ ক্যাটাগরিতে রৌপ্য পদক এবং অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনায় ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করে বিমান। এসব স্বীকৃতি বিমানের সামগ্রিক সেবার মানোন্নয়নের প্রতি প্রতিষ্ঠানটির দৃঢ় অঙ্গীকার এবং ক্রমাগত অগ্রগতিকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই অর্জন শুধু প্রতিষ্ঠানটির মর্যাদা বৃদ্ধি করবে না, বরং বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন খাতকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও সুদৃঢ় অবস্থানে নিয়ে যাবে। বিমান কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই সাফল্য ভবিষ্যতে আরও উন্নত যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে ও দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখবে।

ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪২৫

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫৬ পিএম
ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪২৫
ছবি: সংগৃহীত

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪২৫ জন।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১২০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৮ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৬ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩৮ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৫৫ জন, খুলনা বিভাগে ১৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১১ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪৮ জন, সিলেট বিভাগে একজন রয়েছেন। এ সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৭৭ জন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ১৩ হাজার ১৮৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৫৯ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৭ শতাংশ নারী। চলতি বছর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন মোট ১১ হাজার ৭৮৬ জন। একই সময়ে মারা গেছেন ৫১ জন।

২০২৪ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মারা যান ৫৭৫ জন।

সালমান/

অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক হলেন জাহাঙ্গীর কবির

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩০ পিএম
অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক হলেন জাহাঙ্গীর কবির
মো. জাহাঙ্গীর কবির

ঢাকা বিভাগের কারা উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) মো. জাহাঙ্গীর কবিরকে কারা সদর দপ্তরের অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক (এডিশনাল আইজি প্রিজন্স) হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৭ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির সুপারিশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. হাফিজ-আল-আসাদের স্বাক্ষরে পদোন্নতির এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। গত ১৮ আগস্ট ২০২৪ তাকে ঢাকা বিভাগের ডিআইজি প্রিজন্স হিসেবে পদায়ন করা হয়েছিল। এর আগে তিনি ময়মনসিংহ বিভাগ ও বরিশাল বিভাগে ডিআইজি প্রিজন্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৮ সালে মুন্সিগঞ্জ জেলা কারাগারে জেল সুপার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন জাহাঙ্গীর কবির। সিনিয়র জেল সুপার হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন ২০১৩ সালে। তিনি কারা সদর দপ্তরে এআইজি উন্নয়ন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১, কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে সিনিয়র জেল সুপার হিসেবে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে তাকে কারা উপ মহাপরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়। সেখান থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তাকে বরিশাল বিভাগে বদলি করা হয়।

জাহাঙ্গীর কবির ২৪ ডিসেম্বর ১৯৭৬ সালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ২নং মধুহাটি ইউনিয়নের বাজার গোপালপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। জাহাঙ্গীর কবির পরিবারের পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তৃতীয়। তার স্ত্রী নাজনীন নাহার। ছেলে রাদ শারার ও রাদ শাহামাত।

জাহাঙ্গীর কবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে বিএসএস (অনার্স), এমএসএস (১ম শ্রেণি) সম্পন্ন করেন।