বাংলাদেশ এখন একটা যুগসন্ধিক্ষণে পৌঁছেছে। আমরা ৫২ বছরের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের দুটি মাইলফলকে পৌঁছেছি। একটা হলো উন্নয়নশীল দেশের কাতারে গিয়েছি আমরা, আরেকটা হলো নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি। এটা খুব একটা ছোট অর্জন নয়। কিন্তু এটাকে সুসংহত করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য যে প্রচেষ্টাগুলো লক্ষ্য করছি, গত কয়েক বছরের মধ্যে আমরা যেটা অবলোকন করছি সেটা কিন্তু আমাদের জন্য খুব সন্তুষ্টির একটা কারণ হয়ে দাঁড়ায়নি।
প্রথমত, নীতিনির্ধারকরা দ্রুত বিচার-বিবেচনা করে নীতিগুলো নেবেন এবং তার কৌশলগুলো নির্ধারণ করবেন। কৌশলগুলো হবে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি। সর্বোপরি এগুলোর বাস্তবায়ন। বাস্তবায়নের জন্য যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, সেটা হলো সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করতে হবে; দ্বিতীয়ত, যারা এই সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আছে সেই জনবল; তৃতীয়ত, তাদের সক্ষমতা; চতুর্থত তাদের নিষ্ঠা এবং পঞ্চমত তাদের সততা- এগুলো থাকলেই আমাদের অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো সমাধান করা যাবে।
একটা জিনিস লক্ষ্য করা গেছে, যারা নিজেদের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান থেকে দেশের অর্থনীতি সম্বন্ধে চিন্তা-ভাবনা করছে, বলে যাচ্ছে অনবরত, কিন্তু সরকার ও সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সেগুলো আমলে নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। বাংলাদেশের একটা দুঃখজনক ব্যাপার হলো সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা সাধারণত বাইরের কারও পরামর্শ এমনকি ভেতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরামর্শগুলো বিবেচনা করার কোনো তাগিদ অনুভব করেন না। তারা সবসময় প্রতিক্রিয়া (reaction) দেখান, কিন্তু এখানে হতে হবে proactive (সক্রিয়) মানসিকতার- মানে সমস্যাগুলো বিবেচনা করার জন্য ইচ্ছা এবং সেগুলো সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া- এই proactive জিনিসটা কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি না।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যখনই কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা চুপ করে থাকেন অথবা বলেন আমরা দেখছি, দেখব, এগুলো আমরা জানি, এটা চলবে, অনেক দেশেই এটা আছে। যেমন মূল্যস্ফীতির ব্যাপারে নীতিনির্ধারকরা অনেকে বলেন, ১০ শতাংশের বেশি মূল্যস্ফীতি অনেক দেশেই হয়েছে আগে। এটা কোনো কথা নয়। কয়টা দেশে এমন হচ্ছে? যাদের দেশে হয়েছে তারা তো এটা কমিয়ে এনেছে। আপনি অন্যান্য দেশে দেখুন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে দেখুন, শ্রীলঙ্কায় এটা বিরাট একটা চ্যালেঞ্জ ছিল, তারা এটা কমিয়ে এনেছে। তাহলে আমরা কেন পারব না।
অর্থাৎ এটা নিয়ে চেষ্টা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, যেমন জ্বালানি নীতির ব্যাপারে, তেলের দাম বৃদ্ধি হলো, বাড়ানো হলো পেট্রল-অকটেনের দাম, তখন অনেক মন্ত্রী-নীতিনির্ধারকরা বলেছেন, অন্যান্য দেশে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি দামে জ্বালানি বিক্রি করা হচ্ছে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করবেন কেন? বাংলাদেশের জনগণের যে আর্থিক সক্ষমতা আছে, তার ওপর জ্বালানির দাম বাড়লে তো বিরাট চাপে পড়বে সাধারণ জনগণ।
ব্রিটেন, কাতার এমনকি ভারতের সঙ্গে তুলনা করলে তো হবে না, সেখানে মানুষের হয়তো সে রকম ক্রয়ক্ষমতা আছে, তাই সেখানে জ্বালানি মূল্য বাড়তেই পারে। এটা তো সক্রিয় ভূমিকা হলো না। মানে এখানে সমস্যাগুলোকে অনেকটা আড়াল করে দেওয়া হয়, আমরা যেটাকে বলি sweeping under the carpet এবং এভাবে সমস্যাগুলোকে আড়াল করার উদ্দেশ্য হলো বর্তমান ও ভবিষ্যতে সেগুলোর দায়ভার এড়ানোর। এই পরিপ্রেক্ষিতে এই নিবন্ধে আমি কয়েকটা বিষয় তুলে ধরব।
প্রথমত, আমি বলব আমাদের যে attitude, মনোভাব/মনন ও চিন্তার বৈশিষ্ট্য- এটা যথেষ্ট পরিবর্তন করতে হবে। চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে প্রথমেই বলতে হবে সরকারি ঋণের কথা। বাংলাদেশের বাজেটে ঘাটতি সব সময়ই থাকে, কারণ বাংলাদেশের মতো দেশে উন্নয়নমূলক কাজ করতে হলে বাজেট ঘাটতি থাকবেই। যেহেতু আমাদের রাজস্ব আয় সার্বিক ব্যয়ের চেয়ে অনেক কম। সরকারি ঋণ আমরা দেশ ও বিদেশ থেকে নিয়ে থাকি। দেশি ঋণ এখন জিডিপি বা মোট দেশজ আয়ের ২১ শতাংশ, বিদেশি ঋণ ১৬ শতাংশ এবং সার্বিকভাগে মোটাদাগে এটা ৪০ শতাংশের মতো।
অতএব, এটা খুব বেশি না অন্যান্য দেশের তুলনায়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এবং শ্রীলঙ্কায় এর থেকে অনেক বেশি এবং উন্নত দেশে ঋণের হার আরও বেশি। কিন্তু তাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা আছে, কিছু সমস্যা হলেও তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেমে নেই। কিন্তু বাংলাদেশে এখন দেখুন, এই যে ৪০-৪২ শতাংশ ঋণ, এই ঋণ শোধ করার সক্ষমতা আমাদের আছে কি, বা আমরা সেই সক্ষমতা তৈরি করছি কি? বিদেশি ঋণ শোধ করতে আমাদের ফরেন রিজার্ভ লাগবে।
দেশি ঋণ শোধ করতে দেশীয় আয় লাগবে। সরকার তো দেশীয় উৎস থেকে অনবরত ঋণ নিয়েই যাচ্ছে, ব্যাংকিং সেক্টর থেকে, ট্রেজারি বিল, ট্রেজারি বন্ড থেকে, সঞ্চয়পত্র থেকে। আবার ওদিকে বিদেশ থেকে আমরা ঋণ আনছি বহুজাতিক উৎস (বিশ্ব ব্যাংক, এডিবি, আইএমএফ) থেকে, আবার দ্বিপক্ষীয় ঋণও নিচ্ছি। বেশির ভাগ বিদেশি ঋণের মেয়াদ হয়তো একটু বেশি, কিন্তু দেশি ঋণের মেয়াদ কম- তিন থেকে চার বছরের মতো, এগুলো শোধ দেওয়ার সময় চলে আসছে।
আর বিদেশি ঋণের ক্ষেত্রে সব কটির মেয়াদ এগারো বা বারো বছর না, কতগুলো আছে চার-পাঁচ বছর মেয়াদের। যেমন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণ, মেট্রোরেলের ঋণ- এগুলো কিন্তু শোধ করার সময় চলে এসেছে, ২০২৫-এ প্রায় ৪.২ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ শোধ করার জন্য, ২০২৬-এ গিয়ে সুদ ও আসল মিলিয়ে এটা হবে প্রায় ৪.৭ বিলিয়ন ডলার। গত ১০ বছরে আমাদের ঋণ অনেক বেশি বেড়ে গেছে, বিশেষ করে বিদেশি ঋণ প্রায় ৩০০ কোটি ডলার বেড়েছে।
ঋণ নিতে আপত্তি নেই, কিন্তু ঋণের প্রথম শর্ত হলো ঋণ সঠিক কাজে ব্যবহার হচ্ছে কি না এবং ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা তৈরি হচ্ছে কি না। আপনি যদি দিনের পর দিন ঋণ নিয়ে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে যান, ৫ কোটি টাকার প্রকল্প ১০ কোটি টাকা হয়ে গেলে, ৫০ কোটি টাকার প্রকল্প ২০০ কোটি টাকা হয়ে গেলে শোধ দেবেন কীভাবে। এটা অনেকটা যারা ব্যাংক থেকে খেলাপি ঋণ নেয় তাদের মতো। ঋণ নিয়ে তারা সেই অর্থ অন্য দিকে যায়, কাজে ব্যবহার করে না, এ কারণে ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা তৈরি হয় না। এটা বাংলাদেশের সরকারের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
আমার যেটা সুপারিশ- দেশি ঋণ (সঞ্চয়পত্র) বাড়াতে হবে, ব্যাংকিং খাত থেকে নেওয়া ঠিক হবে না। আর বিদেশ থেকে ঋণ নিতে হলে আপনি বহুজাতিক উৎস (বিশ্ব ব্যাংক, এডিবি) থেকে ঋণ নেন, দ্বিপক্ষীয় ঋণ যতটা সম্ভব পরিহার করতে হবে, বিশেষ করে supplier’s credit নেওয়া বন্ধ করতে হবে, কারণ এতে সুদ বেশি, grace period কম এবং মেয়াদটাও কম থাকে। দ্বিতীয়ত, মূল্যস্ফীতির কথা আগেও বললাম। দ্রব্যমূল্য বাড়ছেই, ১০ শতাংশের বেশি, খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২-এর বেশি, অনেকে বলে আরও বেশি, এটা তো দু-এক দিনের ব্যাপার না, এটা প্রায় ৬-৭ মাস ধরে চলছে। জনগণ কতটা সহ্য করবে? যদি কর্মসংস্থান করা যেত, জনগণের আয়ের ক্ষমতা ও ক্রয়ক্ষমতা বাড়ত, তাহলে এটা কিছুটা সহ্য করা যেত। সেটা তো হচ্ছে না।
আর মূল্যস্ফীতির সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো- শুধু চাহিদা কমানোর চেষ্টা না করে বরং সরবরাহ বৃদ্ধির দিকে নজর দেওয়া উচিত। এমন ঋণব্যবস্থা প্রয়োজন যা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলোকে সহায়তা করে এবং পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে। শুধু সেবা, পরিবহন, অবকাঠামো খাতের দিকে মনোযোগ দিলে এগুলো ভবিষ্যতে কাজে লাগতে পারে কিন্তু অবিলম্বে আমাদের পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ খাতের দিকে নজর দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আমার মনে হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরবর্তী মুদ্রানীতিতে এ বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ দিতে হবে।
তৃতীয়ত, অর্থনীতির গতি কমেছে, মানে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি কমে গেছে। যেমন অতি সম্প্রতি purchasing managers index (PMI)-এ চারটি খাতের (কৃষি ব্যবসা, পণ্য উৎপাদন, নির্মাণকাজ, সেবা) সূচকই মে মাসের তুলনায় জুন মাসে কমে গেছে। মে মাসে কৃষি ব্যবসা সূচক ছিল ৭৯.৩, জুন মাসে এটা ছিল ৭০.২, তার মানে কৃষিপণ্য উৎপাদন বা কৃষিজাত পণ্যের ব্যবসা কমে গেছে।
পণ্য উৎপাদন, যেটা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার, মে মাসে এটার সূচক ছিল ৭৬.৩, জুন মাসে ৬৭.৭, তার মানে প্রায় ১৫ শতাংশের মতো কমে গেছে। নির্মাণ খাত- মে মাসে ৭৪.৩, জুন এসে ৬৫.১। সেবা খাত- মে মাসে ছিল ৬৪.৩, জুন মাসে ৬৩.৫। এটা কম হ্রাস পেয়েছে। নির্মাণ খাতে সূচক কমার কারণ হিসেবে অনেকে বলে ঈদের জন্য নির্মাণশ্রমিকরা বাড়িতে গিয়েছিল এ কারণে কমেছে, তারা ফিরে এলে বাড়বে। এই ধরনের যুক্তি দিয়ে তো ব্যাখ্যা করা যাবে না। কেন নির্মাণ কমে গেছে? স্টিল রডের দাম বেড়ে গেছে, ঋণ পাচ্ছে না, লোকজনের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে, ফ্ল্যাট বাসার চাহিদা কমে গেছে, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের মধ্যে।
চতুর্থত, তথ্যের অসংগতি। এটা একটা বিরাট ব্যাপার। তথ্য-উপাত্ত যদি ঠিক না থাকে আপনি সঠিক নীতিনির্ধারণ করতে পারবেন না, নীতিনির্ধারণ করলেও সেটা ভুল হবে। সম্প্রতি রপ্তানি প্রায় ১৩.৮ বিলিয়ন কমে গেল, ইপিবির হিসাবে বাড়িয়ে বলা হতো, এর পর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সঠিক হিসাব দেওয়া হলো। এটা কিন্তু বেশ কয়েক মাস ধরে হচ্ছে। আমাদের ফরেন রিজার্ভ ও ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট যে নেগেটিভ, এটা একটা কারণ। এবং আমার মনে হয় এটা অন্যান্য সূচক যেমন মূল্যস্ফীতি, labor force survey-এর যে কর্মসংস্থানের হিসাব, census for manufacturing industry, CMI- সব কটি হিসাবেই অসংগতি।
আরেকটা সমস্যা হলো periodicity, তথ্য-উপাত্তগুলো সময়মতো আসে না। এক মাসের তথ্য চার মাস পরে আসে, population census-এর তথ্য অনেক দিন পরে আসে, household expenditure survey-এর তথ্য অনেক দিন পরে প্রকাশ করে। আরেকটা সূচক নিয়ে বলব, তথ্য-প্রযুক্তির অগ্রগতির সূচক। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব, সেখানে দেখেন কিছুদিন আগের প্রকাশিত তথ্য-প্রযুক্তির সূচকে বাংলাদেশ পেয়েছে ৬২ পয়েন্ট, যা একদম নিচের দিকে। ভিয়েতনামের পয়েন্ট ৮৫, ভুটানের ৮৫.৯, বৈশ্বিক গড় ৭৪.৮, নিম্ন আয়ের দেশের গড় হলো ৬৪.৮ পয়েন্ট অর্থাৎ বাংলাদেশের পয়েন্ট নিম্ন আয়ের দেশের গড় পর্যায়ের নিচে। এখানে ইন্টারনেট গতি কম, ব্যান্ডউইথ কম, নানা রকম সমস্যা আছে, সরকারের যতটুকু সহযোগিতা করা দরকার তা করছে কি না, প্রাইভেট সেক্টর ঠিকমতো সেবা দিচ্ছে কি না।
সর্বশেষ কথা বলি, আমাদের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির সূচক নিয়ে। ২০২৩ World Intellectual Property Organization (WIPO) একটি প্রতিবেদন ১৩২টি দেশের Global Innovation Index প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান হলো ১০৫তম, যেখানে আমরা বলছি জ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ব। প্রথম অবস্থানে আছে সুইজারল্যান্ড, দ্বিতীয় সুইডেন, তৃতীয় যুক্তরাষ্ট্র। এখানে ভারতের অবস্থান ৪০, নিশ্চিতভাবেই ভারত প্রযুক্তির দিক থেকে অনেক এগিয়ে গেছে, সেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি। ভিয়েতনাম ৪৬, সিঙ্গাপুর ৫, শ্রীলঙ্কা ৯০। আর শেষের দিকে যে দেশগুলো আছে যেমন একেবারে শেষে অ্যাঙ্গোলা, তার সঙ্গে কাছাকাছি আছে নাইজার।
বাংলাদেশ তো অন্যান্য সূচকে সার্বিকভাবে অনেক এগিয়ে গেছে। অতএব, এই সমস্যাগুলো এই অসংগতিগুলো, এই যে আমরা পিছিয়ে পড়েছি, এর কারণগুলো দেখুন এবং কারণগুলো নির্ণয় করে অতিসত্বর অ্যাকশন নিন। সরকারকে কিন্তু এ ব্যাপারে অতিদ্রুত সক্রিয় অ্যাকশন নিতে হবে। এখানে প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করতে হবে, সক্ষমতাগুলো জোরদার করতে হবে, সঙ্গে সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। না হলে আমরা কোনো কিছুতেই সামনে এগিয়ে যেতে পারব না।
লেখক: সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক ও
অধ্যাপক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]