২০২৪-এর ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপট ছিল ব্যক্তি ও সামষ্টিক পর্যায়ে আয়-উপার্জন ও ব্যয় নির্বাহের ক্ষেত্রে, রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধার অধিকারপ্রাপ্তিতে বিদ্যমান প্রচণ্ড বৈষম্যের বিরোধিতা; বিরোধিতা ছিল মানবসম্পদ উন্নয়নে ও নিয়োগে মেধা অবমূল্যায়নের প্রয়াস-প্রচেষ্টাকে রুখে দেওয়া; ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের মধ্যগগনে অবস্থানকারী তাজা তরুণ জনগোষ্ঠীকে ডিজাস্টারে পরিণত করার কূটকৌশলের মর্মমূলে আঘাত হানা, যাতে শিক্ষিত বেকারের ভারে ন্যুব্জ দেশ, সমাজ ও অর্থনীতিকে একটি স্বনির্ভর অবয়বে গড়ে তোলা যায়। সে নিরিখে শিক্ষা খাতে সংস্কারকে অন্যতম এবং অগ্রগণ্য বিষয় হিসেবে বিবেচনা এবং চিন্তাচেতনার চৌহদ্দিতে আনা আবশ্যক।
এই মুহূর্তে করণীয়: শিক্ষায় সবাইকে সর্বজনীন সক্ষমতা ও দক্ষতার পথে পেতে হলে এই মুহূর্তেও (১) প্রথম ও প্রধান করণীয় হলো সবাইকে পাঠকক্ষে ফিরতে হবে, ফেরাতে হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালনের পর এখন শিক্ষা প্রশাসন, শিক্ষকসমাজ এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই দায়িত্ববোধ জেগে ওঠা দরকার হবে যে, যার যার পাঠক্রম ভালোভাবে শেষ করতে হবে। বকেয়া কোনো পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার যৌক্তিক দাবি থেকে সবার সার্বিক স্বার্থে সরে আসতে হবে।
কিছুটা বাড়তি সময় নিয়ে হলেও সব পরীক্ষায় সবাইকে অংশ নিতে হবে এ জন্য যে, ভবিষ্যতের দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে অসম্পূর্ণ পরীক্ষার সনদ দেশে কিংবা বিদেশে উচ্চশিক্ষা, এমনকি মধ্যপর্যায়ে চাকরি-বাকরি লাভের ক্ষেত্রে অকার্যকর হয়ে দাঁড়াবে। তীব্র প্রতিযোগিতার বিশ্বে দুর্বল সনদ নিয়ে টিকে থাকা যাবে না। আমরা টিকতে না পারলে সে চাকরি ছোঁ মেরে নিয়ে যাবে বিদেশিরা। বৈষম্য নিরসনের আন্দোলনের সফলতা ভণ্ডুল ও ভঙ্গুর করার ক্ষেত্রে পাঠবিমুখ হয়ে থাকার চেয়ে আত্মবঞ্চনা ও বৈষম্য বৃদ্ধি আর কোনো কিছু হতে পারে না।
(২) শিক্ষককে, শিক্ষা প্রশাসনকে সম্মান ও সমীহ করতে হবে। যার যা দোষত্রুটি আছে তার প্রতিবিধান হবেই হবে, তবে এর জন্য ধৈর্য ধরতে হবে। নিজেরা সজাগ, নিজেরা আইন ও ব্যবস্থাপনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকলে, ঐক্যবদ্ধ থাকলে অপশক্তি পলায়ন করতে বাধ্য হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাম্প্রতিক সাফল্য তো তারই সাক্ষ্য দিচ্ছে।
স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি পদক্ষেপসমূহ: বাংলাদেশে ইতোমধ্যে নানান শিল্পোদ্যোগে এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে এর অর্থনীতির ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। দেশটি কৃষি এবং ট্রেডিং-নির্ভরতা থেকে ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পে অগ্রসরমাণ। বাংলাদেশ জনসংখ্যার ভারে ন্যুব্জ একটি দেশ। সে কারণে স্বাভাবিকভাবেই দেশের কর্মক্ষম জনগণকে কর্মকুশল-দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার অনিবার্যতা মাহেন্দ্রক্ষণে উপনীত।
কেননা ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশ সৃজনশীল কর্মক্ষম জনসমষ্টির আওতায় চলে এসেছে, যা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড নামে পরিচিত। সনাতন শর্তানুযায়ী, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড মূলত তিন দশক পর্যন্ত সৃজনশীল এবং উন্নয়ন অভিসারী অভিযাত্রায় থাকে। ইতোমধ্যে তার এক দশকের বেশি সময় চলে গেছে; সামনে আরও দেড়-দুই দশক বাকি আছে।
এ সময়ের মধ্যে বিদ্যমান কর্মোপযোগীদের উৎপাদনশীল কাজে নিয়োজিত করতে না পারলে বা তাদের উপযুক্ত কর্মসম্পাদনে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে না পারলে কিংবা তাদের জন্য উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারলে তারা অলসতায় শয়তানের কর্মশালায় যোগ দিতে পারে কিংবা অকর্মণ্যতায়-হতাশায় নিমজ্জিত হতে পারে; যে পরিস্থিতিতে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড ডিজাস্টারে পরিণত হতে পারে।
কেননা সমাজে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়ে গেলে উৎপাদনশীলতায় বা জিডিপিতে তাদের অবদান বঞ্চিত হয় দেশ এবং তারা নিজেরাই নিজেদের, পরিবারের ও দেশের জন্য বোঝা বা বিপদের বা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর সেই ক্ষতির ধকল কাটিয়ে উঠতে জাতির জন্য প্রয়োজন হবে প্রচুর সময় এবং এর জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দিতে হবে বিশেষ মাশুল।
বিগত ৫৩ বছরে বাংলাদেশের বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থা এ দেশের জনগণকে বিশেষ করে যুবসমাজকে এখনো পর্যাপ্ত যথাযথ দক্ষ জনসম্পদে বা প্রশিক্ষিত লোকবল হিসেবে গড়ে তুলতে পারেনি। যার জন্য এ দেশ থেকে বিদেশে যাচ্ছে অদক্ষ শ্রমিক আর বিদেশের দক্ষ জনবল এ দেশের মধ্য ও উচ্চতর পদগুলোতে বেশি বেতনে নিয়োজিত হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রচুর বিশ্ববিদ্যালয় সমাপনকারী ডিগ্রিধারী শিক্ষিতের সংখ্যা বেড়েছে; কিন্তু তাদের দেশের উদীয়মান শিল্পে, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগযোগ্য হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে না।
বাংলাদেশি তরুণ উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপকদের মধ্যে প্রায়োগিক জ্ঞানের নিম্নগামিতা, প্রশিক্ষণ এবং অধিক শিক্ষা গ্রহণে যুগপৎভাবে সুযোগ ও আগ্রহের অভাব। বাংলাদেশের জন্য উঠতি বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ-পরিস্থিতিতে টিকে থাকা কিংবা অধিকতর যোগ্যতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার মতো উপর্যুক্ত ও দক্ষ জনবলের যেমন প্রয়োজন, তেমনি টেকসই ও লাগসই প্রযুক্তি প্রয়োগ এবং সমন্বয়ে দক্ষ জনবলের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। তার সঙ্গে প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক কর্মকুশলতা।
এই প্রয়োজনীয়তার বিপরীতে দেখা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার গুণগত মান কমে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন সম্প্রসারণমূলক কর্মকাণ্ডে নতুন নতুন যেসব চ্যালেঞ্জ দেখা যাচ্ছে, সেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়ে তা মোকাবিলা করার জন্য পর্যাপ্ত ও উপর্যুক্ত লোকবলের অভাব প্রকট হয়ে উঠেছে।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশে শিল্প, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের যে কর্মসম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে উপযুক্ত দেশীয় লোকবল সংস্থান করা যাচ্ছে না; অথচ সেগুলো বিদেশিদের দ্বারা পূরণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ গার্মেন্টস শিল্প একটি অতি সম্ভাবনাময় শ্রমিকনির্ভর শিল্প। সেখানে মধ্য পর্যায়ের অধিকাংশ ব্যবস্থাপক, পরিচালক, নকশাকার হিসেবে নিয়োজিতরা বিদেশি।
এর ফলে দেশি শিক্ষিত বেকারকে কর্মসংস্থানের চাহিদায় টানাপোড়েন সৃষ্টি হয় এবং চাকরি না পেয়ে বাংলাদেশে শিক্ষিত তরুণরা হতাশায় নিমজ্জিত। একই সময়ে দেশের টেকনিক্যাল শিক্ষার পরিবর্তে সাধারণ শিক্ষার জয়যাত্রা অব্যাহত থাকায় দক্ষ জনবল সরবরাহের পরিস্থিতি এমন একটি নেতিবাচক পর্যায়ে যাচ্ছে যে, দীর্ঘ মেয়াদে তাতে এক করুণ ও আত্মঘাতী পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
এহেন পরিস্থিতি থেকে কার্যকরভাবে পরিত্রাণ পেতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ গ্রহণ অনিবার্য হয়ে উঠেছে। গালভরা শব্দমাখা, দেশি-বিদেশি কনসালট্যান্ট ও বিদেশি সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পের মাধ্যমে অনুসন্ধান পরীক্ষা-পর্যালোচনার পথে থাকার চেয়ে একটি আত্মনির্ভরশীল পরিস্থিতি সৃজনে নিজেদের ভাবনায় বা উদ্যোগে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়-
১. দেশের জনবলকে দেশে নিয়োগ বা আত্তীকরণ নিশ্চিত করা। বাইরের বায়ারের চাপে কিংবা বাইরের কর্মীদের স্মার্টনেসের যুক্তিতে তাদের নিয়োগ করা থেকে বিরত থেকে দেশীয়দের নিয়োগে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তথা চাহিদা সৃষ্টি করতে হবে। দেশে কর্মসৃজনের সুযোগ সৃষ্টি না করে বিদেশে পুঁজি পাচার করা আত্মঘাতী অপরাধ। বিদেশে নয়, নিজেরা যদি নিজেদের দেশে লোকবল নিয়োগের জন্য পদ সৃষ্টি না করি, তা হলে দেশীয়দের চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নয়ন হবে না। দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে।
২. পেশাজীবী ও শিল্পগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠান নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী লোকবল তৈরির জন্য বিশেষায়িত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারেন। ইতোমধ্যে বিজিএমইএসহ কয়েকটি সংস্থা নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউট গড়ে তুলছে। কিন্তু সেসবের বাস্তবায়ন বড্ড ধীরগতিসম্পন্ন এবং অনেক ক্ষেত্রে দক্ষ লোকবল তৈরির কাজ এখনো শুরু হয়নি, শুরু হলেও মানসম্মত ফল পেতে দেরি হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, সময় কারও জন্য বসে থাকবে না।
৩. বিদ্যালয়, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়াশোনা করছে, তাদের ভাষা ও টেকনিক্যাল জ্ঞান বাড়াতে হবে। তাদের সৃজনশীলতার বিকাশ-ভাবনা গতানুগতিক অবয়বে না রেখে তাদের জন্য নিয়মিত পড়াশোনার পাশাপাশি বিশেষ ব্যবস্থাপনাধীনে ভাষাচর্চা ও ব্যবহারের দক্ষতা অর্জনের জন্য আলাদা ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। তা না হলে বিদ্যমান শিক্ষার্থীরা শ্রমবাজারে গতানুগতিক অদক্ষ অবস্থায় প্রবেশ করবে।
৪. অদক্ষ শ্রমিক প্রেরণের পথ পরিহার করে বিদেশে দক্ষ শ্রমিক প্রেরণের লক্ষ্যে এবং দেশে দক্ষ জনবল সৃষ্টির জন্য আলাদাভাবে বিশেষ তহবিল গঠন করে বিশেষ কার্যক্রম/উদ্যোগ নিতে হবে। বিদ্যমান সব বৃত্তিমূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রকৃতপক্ষে কি শেখানো হচ্ছে, তা কঠোর তদারকিতে এনে সেখানে গুণগত শিক্ষাদান নিশ্চিত করতে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে।
৫. অদক্ষের পরিবর্তে দক্ষ জনবল প্রেরণ করতে পারলে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব। দেশে দক্ষ জনবল পাওয়া গেলে, বিদেশিদের নিয়োগ বন্ধ হলে ব্যাপক বিদেশি মুদ্রার সাশ্রয় ঘটবে। সরকারকে সম্পদ ব্যবস্থাপনায় এই লাভ-লোকসানের সমীকরণটি যথাবিবেচনায় নিয়ে সাধারণ শিক্ষার পরিবর্তে বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রতি মনোযোগী এবং যেখানে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের গুণগত মান বজায় রাখার ব্যাপারে কড়া তদারকি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান যেসব প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করবে, তাকে সুলভ করতে কর রেয়াত কিংবা প্রণোদনা দেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে।
৬. কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রমে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ভাষা শিক্ষাসহ বিশেষ প্রায়োগিক জ্ঞানের পাঠ্যসূচি কার্যক্রম সংযুক্তকরণ। উচ্চ মাধ্যমিকে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রাক্কালে দেশি-বিদেশি ভাষায় দখল ও দক্ষতা যাচাই করতে হবে। প্রয়োজনে ২-৩ মাসের একটা কোর্স করিয়ে ভর্তিতে উপযুক্ততা যাচাই করার পদ্ধতি চালু করা যেতে পারে।
৭. বিদেশে দক্ষ শ্রমিক প্রেরণে সচেষ্ট থাকা। অদক্ষ শ্রমিক প্রেরণের ক্ষেত্রে তাদের প্রেরণ-ব্যয় যাতে সীমিত থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখা। কেননা অদক্ষ শ্রমিকরা বিদেশে বেশি বেতন পায় না, অথচ তাদের যেতে যদি বেশি অর্থ ব্যয় হয়, তা হলে তাদের প্রত্যাবসনের দ্বারা প্রকৃতভাবে অর্থনীতি কোনোভাবে উপকৃত হবে না।
৮. সাধারণ শিক্ষা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত রেখে সাধারণ শিক্ষা এবং পরবর্তী পর্যায়ে প্রায়োগিক বা বৃত্তিমূলক টেকনিক্যাল শিক্ষার দিকে অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে ধাবিত করা। শুধু উচ্চ মেধাসম্পন্ন ও গবেষণা-ইচ্ছুকরা উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে যেতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সাধারণ শিক্ষা পর্যায়ক্রমে নিরুৎসাহিত করা।
৯. শিক্ষা পাঠ্যক্রমে নীতি-নৈতিকতা, মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ এবং বিভাজন ও বৈষম্য
বৃদ্ধির বিরুদ্ধে সোচ্চার ও সজ্ঞান প্রতীতি ও প্রত্যয় জাগাতে হবে।
জনসম্পদ উন্নয়নে বিদ্যমান এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা এবং উন্নত পর্যায়ে উত্তরণ শুধু জরুরি নয়, অনিবার্যও বটে। এখনই যদি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নের দিকে নজর না দেওয়া হয়, তা হলে আগামী ১৫ বছরের আগে সেই দক্ষ জনবলের সাক্ষাৎ মিলবে না।
ততদিনে বর্তমানে বিদ্যমান বেকার ও অদক্ষ শিক্ষিত জনসম্পদ ওপরে ও নিচের জন্য জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে থাকবে। ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধান পর্যায়ে বিদেশিদের নিয়োগ অব্যাহত থাকলে বা রাখলে দেশের চাকরির বাজার দেশীয়দের জন্য আরও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। এ বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় নিতে হবে।
লেখক: সরকারের সাবেক সচিব ও এনবিআরের চেয়ারম্যান