বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ও বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদ বৈশ্বিকভাবে সৃষ্টি হলেও বাংলাদেশ বিশ্বের জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যথাক্রমে সপ্তম ও পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে, যা বাংলাদেশের ব-দ্বীপ অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সব কিছু সরকার ও ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কোনোমতেই তা ভালো হবে না। বাস্তবে দেখা যায়, জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যৎ নিয়ে এ বিশ্ব এখন দ্বিধাবিভক্ত। একদিকে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর বাণিজ্যিক স্বার্থ আর অন্যদিকে ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর জোট অ্যালায়েন্স অব স্মল আইল্যান্ডের (এওএসআইএস) জলবায়ুর ঝুঁকি থেকে বেঁচে থাকার লড়াই।...
আজারবাইজানের বাকুতে শুরু হয়েছে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন (১১-২২ নভেম্বর)। জলবায়ু অর্থায়ন, অভিযোজন ও প্রশমন কৌশলগুলো ন্যায়সঙ্গত হতে হবে এবং সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দিতে হবে। আন্তর্জাতিক অর্থায়নসংকট মোকাবিলায় যে ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল তা বাড়াতে হবে। উন্নত দেশগুলোর অর্থ সাহায্য কিছু আর্থিক সমস্যার সমাধান করলেও এর দ্বারা প্রকৃত জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে না। বাংলাদেশ বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখার বিষয়ে দৃঢ় অবস্থানে থাকবে সব সময়। অভিযোজন পদক্ষেপের ওপর গুরুত্বারোপ এবং তরুণদেরও এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে হবে।
এ ছাড়া, আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরা এবং উচ্চাভিলাষী প্রশমন উদ্যোগ নিয়ে কথা বলতে হবে। কপ-২৯ সম্মেলনে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। কপ-২৯ সম্মেলনে জোরালো অ্যাডভোকেসির প্রয়োজন রয়েছে, যাতে বৈশ্বিক জলবায়ু আলোচনায় বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর কণ্ঠস্বর শোনা যায়। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং সহনশীলতা গঠনে বাংলাদেশ উদাহরণ সৃষ্টি করবে।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ও বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদ বৈশ্বিকভাবে সৃষ্টি হলেও বাংলাদেশ বিশ্বের জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যথাক্রমে সপ্তম ও পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে, যা বাংলাদেশের ব-দ্বীপ অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
পৃথিবীর উষ্ণতম বছর ছিল ২০২৩ সাল। বছরটি উষ্ণতার দিক থেকে আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এতে বিজ্ঞানীদের পূর্বাভাস সত্য প্রমাণ করে নিশ্চিত হওয়া গেল ২০২৩ ছিল এ গ্রহের এ যাবৎকালের উষ্ণতম বছর। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়ে আরও বলেছেন, পৃথিবীর এ অবস্থা মানুষেরই সৃষ্টি। এ গ্রহ গরম হয়ে ওঠার পেছনে জীবাশ্ম জ্বালানির বহুল ব্যবহারই দায়ী। তাই আর সময়ক্ষেপণ নয়, দ্রুত নবায়নযোগ্য জ্বালানির পথে আমাদের হাঁটতে হবে। তা না হলে বর্তমান পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে বলে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এর ফলে ইতোমধ্যেই বন্যা, ঘূর্ণিঝড় এবং ভূমিক্ষয়জনিত ঝুঁকির মাধ্যমে বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগর বরাবর উপকূলীয় তটরেখার ৭১০ বর্গকিলোমিটারের বেশি এলাকাজুড়ে বসবাসরত প্রায় ১ কোটি পরিবারের রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো ও পরিষেবায় প্রবেশ ও অন্তর্ভুক্তি পরস্থিতি খুব সংকটে রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ৬৯ শতাংশ উপকূলীয় উপজেলায় সবচেয়ে দরিদ্র পরিবারগুলো গুরুতর ঝুঁকিতে পড়েছে, যা বাংলাদেশের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা ৩, ৪, ৭, ৮ ও ১৩ নম্বর সূচক অর্জনকে বড় ধরনের প্রশ্নের মুখে ফেলছে।
বাংলাদেশের কৃষিতথ্য সার্ভিসের তথ্যানুযায়ী, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় দেশে ধানের উৎপাদন দিন দিন কমে যাচ্ছে। ধান চাষের ক্ষেত্রে ১৮-৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন হয়। শীতের সময় তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রির অনেক নিচে নেমে যায় এবং গরমের সময় ৩৫ ডিগ্রির ওপরে উঠে যায়। এতে ধানের পরাগায়নে অনেক সমস্যা হয় এবং উৎপাদন ব্যাহত হয়। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে মেরু অঞ্চলে বরফ গলার কারণে সমুদ্রস্তরের উচ্চতা বৃদ্ধি হচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলে কৃষিজমির মাটির লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। লবণাক্ততার তীব্রতায় আবাদি জমি হয়ে পড়ছে অনাবাদি, ফলন কমছে ক্রমাগত। এতে করে উপকূলীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে দিন দিন। মৃত্তিকা সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (এসআরডিআই) এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, শুধু লবণাক্ততার কারণেই প্রতিবছর উপকূলীয় জেলাগুলো ৩০ লাখ টনেরও বেশি খাদ্যশস্য উৎপাদন থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে।
কৃষিজমির লবণাক্ততা বাড়তে থাকলে কৃষি থেকে আয় বছরে ২১ শতাংশ কমে যাবে এবং উপকূলীয় অঞ্চলের অর্ধেকের বেশি কৃষিজমি উৎপাদনবঞ্চিত হবে। ফলে, বিপুলসংখ্যক অধিবাসী বাস্তুচ্যুত হবে। প্রধান খাদ্যশস্য ধান ছাড়াও বাংলাদেশের অন্য শস্য যেমন- পাট, গম, ভুট্টা, মটর, ছোলা উৎপাদনও ক্রমশই হ্রাস পাচ্ছে; যার প্রধান কারণ শিলাবৃষ্টি, ঝড়, আকস্মিক বন্যা, খরা পরিস্থিতি প্রভৃতি। ফলে, উপকূলীয় মানুষের মাথাপিছু আয় হ্রাস পাচ্ছে, স্বাস্থ্য-শিক্ষা-পুষ্টির ঘাটতি সৃষ্টি হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন শুধু কৃষিই নয়, বাংলাদেশের অর্থনীতির সব খাত সংকটে পড়েছে। যেমন- দেশে প্রায় ১ লাখ ৪৭ হাজার হেক্টর পুকুর, ৫ হাজার ৪৮৮ হেক্টর বাঁওড় এবং ১১ কোটি হেক্টর চিংড়ি ঘেরে মাছ চাষ হয়। এ ছাড়া ৪৪ লাখ ৭০ হাজার হেক্টর মুক্ত জলাশয়, যেমন- নদী, হাওর, বিল, খালে প্রায় ২৫০ প্রজাতির মাছ বাস করে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও জলবায়ুর বিভিন্ন পরিবর্তনের প্রভাবে এই মৎস্য উৎপাদনও হুমকির মুখে পড়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে পানি গরম হয়ে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। এতে মাছের পোনা উৎপাদন অনেকাংশে হ্রাস পায়। এ কারণে মৎস্য খাত থেকে আয় কমে যাচ্ছে, যা প্রভাব পড়ছে মৎস্যজীবীদের ওপর, যাদের জীবিকা মূলত মাছ ধরার ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বর্তমান সময়ে ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেওয়ায় মানুষ তাদের সব হারিয়ে সহায়-সম্বলহীন হয়ে পড়ছে, যাদের পুনর্বাসন করতে সরকারকে বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। ফলে, বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি অনেক মানুষ কাজের সন্ধানে নিজ এলাকা ছেড়ে বড় শহরে বিশেষ করে ঢাকায় পাড়ি জমাচ্ছে এবং বাধ্য হয়ে অপরিকল্পিতভাবে বিকাশমান শিল্পকারখানা ও শ্রম ব্যবস্থায় জড়িত হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) হিসাব মতে, বাংলাদেশের উৎপাদন খাত তাপমাত্রাজনিত অস্বস্তি বা হিট স্ট্রেসের কারণে বর্তমানে ২ দশমিক ৫৯ শতাংশ কর্মঘণ্টা হারাচ্ছে, যা ২০৩০ সালে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। যদি পোশাক কারখানাগুলো তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য ভবিষ্যতে এয়ার কন্ডিশনের ওপর বেশি নির্ভর করে, তাহলে তা বাংলাদেশের গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন আরও বাড়িয়ে দেবে, যেখানে আবার আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত প্রায় পুরোপুরি জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ক্লাইমেট সার্ভিসের তথ্যমতে, জীবাশ্ম জ্বালানির বহুল ব্যবহার শুরুর দীর্ঘ সময়ের গড় উষ্ণতা বাড়ার তুলনায় গত বছর পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ১ দশমিক ৪৮ ডিগ্রি। গেল বছরের জুলাই মাস থেকে প্রতিদিনই বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ার রেকর্ড সৃষ্টি হয়। অথচ বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এখন সত্যিই ব্যর্থতার দ্বারপ্রান্তে গিয়ে পৌঁছেছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে তাই দরকার গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ও জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের রাশ শক্ত হাতে টেনে ধরা। কিন্তু কাজটি করা সম্ভব হয়নি বলে গত বছরটি বিশ্বের উষ্ণতম বছরে পরিণত হয়।
এটি বিশ্ববাসীর জন্য আসলেই দুশ্চিন্তার কারণ। ইউরোপভিত্তিক জলবায়ুবিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সারভিসের (সিথ্রিএস) এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। সেখানে আরও বলা হয়, শিল্পপূর্ব অক্টোবর মাসের গড় তাপমাত্রার চেয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস ছিল অনেক বেশি উষ্ণ। এর তাপমাত্রা ছিল ১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কোপারনিকাস সারভিসের উপপ্রধান সামান্তা বারগেসের মতে, ২০২৩ সালের ছয়টি মাস এবং দুটি মৌসুম উষ্ণতার বেলায় নতুন রেকর্ড গড়ে। তাই ২০২৩ সাল হলো স্মরণকালের উষ্ণতম বছর। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে জোরদার হয় বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রেখে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার দাবি।
সব কিছু সরকার ও ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কোনোমতেই তা ভালো হবে না। ব্যক্তিপর্যায়ে বেশি করে শাকসবজি, ফলমূল, শস্য, লেবু, বাদাম ও বীজ এবং কম মাংস এবং দুগ্ধজাত খাবার খেলেও পরিবেশগত প্রভাব কমিয়ে আনতে উল্লেখযোগ্যভাবে ভূমিকা রাখা যায়; উদ্ভিদভিত্তিক খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে কম গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন করা যায় এবং কম শক্তি, জমি এবং জলের প্রয়োজন হয়। এমনকি ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যদি বিদেশে অনুষ্ঠিত সভা সেমিনারগুলো সম্পন্ন করা যায়, তাহলে বিপুল জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো উড়োজাহাজে ওড়া এড়ানো যায়। এ রকম ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হাজারো ব্যক্তিপ্রচেষ্টা মানবসভ্যতাকে টিকিয়ে রাখতে পারে।
বাস্তবে দেখা যায়, জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যৎ নিয়ে এ বিশ্ব এখন দ্বিধাবিভক্ত। একদিকে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর বাণিজ্যিক স্বার্থ আর অন্যদিকে ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর জোট অ্যালায়েন্স অব স্মল আইল্যান্ডের (এওএসআইএস) জলবায়ুর ঝুঁকি থেকে বেঁচে থাকার লড়াই। কপ-২৮ সম্মেলনের শেষ দিকেও তার লক্ষণ পরিষ্কার হয়ে ওঠে। ঘড়ির কাঁটা ধরে ঝুলতে থাকা এ বিভেদ রীতিমতো বড় হয়ে উঠেছিল। নানামুখী চাপ ছিল ঠিকই, তার পরও জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনের শেষ দিকে বিষয়টি অমীমাংসিত থেকে যায়।
কপ-২৮ সম্মেলন চলাকালীন আরও একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ‘জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধের দাবির কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।’ এ মন্তব্যের পর তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। শেষে পিছু হটে এসে তিনি বলতে বাধ্য হন, ‘জলবায়ুবিষয়ক বিজ্ঞানের প্রতি তার শ্রদ্ধা আছে। এমন একটা বিরূপ অবস্থা জিইয়ে থাকার পরও ২৮ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম জলবায়ুবিষয়ক সম্মেলন কপের (কনফারেন্স অব পার্টিস) ২৮-এর সদস্য দেশগুলো (১৯৮ দেশ) একমত হয়ে সিদ্ধান্ত নেয়, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে তারা পর্যায়ক্রমে সরে আসবে। ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ুর চুক্তির পর শেষ অবধি দুবাই জলবায়ু চুক্তিও সফল হয়।
লেখক: প্রাবন্ধিক ও গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ