
ড. মাহবুব উল্লাহ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদ। তিনি ছিলেন ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা। ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান, সংবিধান সংস্কার, রাজনীতি ও বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎসহ আরও কিছু বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন খবরের কাগজ-এর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সিনিয়র সহসম্পাদক সানজিদুল ইসলাম সকাল
আমি মনে করি, এখন যে সংবিধান আছে সেই সংবিধান কিন্তু নানা স্বৈরতান্ত্রিক হস্তক্ষেপে কালিমালিপ্ত। পার্লামেন্ট থাকা অবস্থায় নির্বাচন করা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার তুলে নেওয়া, বিচারপতি নিয়োগসহ অনেক বিষয় আছে যা সম্পূর্ণ গণতন্ত্রবিরোধী। সংবিধান কোনো ঐশী বাণী নয়, কোরআনও নয়, বাইবেলও নয় যে, পরিবর্তন করা যাবে না। সংবিধান পরিবর্তন করা যাবে না বা নতুন কোনো কিছু সংযুক্ত করা যাবে না, এটা মনে করি না।…
খবরের কাগজ: বাংলাদেশে গণতন্ত্র কেন বারবার হোঁচট খাচ্ছে? এ ব্যাপারে আপনার অভিমত জানতে চাই।
ড. মাহবুব উল্লাহ: গণতন্ত্র আশা করা যেতে পারে ডেভেলপড ক্যাপিটালিস্ট দেশে। যেসব দেশ আধা সামন্ততান্ত্রিক বা আধা ঔপনিবেশিক অবস্থায় রয়েছে, সেখানে গণতন্ত্র সেভাবে গড়ে উঠতে পারে না। গণতন্ত্র গড়ে ওঠার চেষ্টা করলেও তা বারবার হোঁচট খায়। হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বেরিংটন ম্যুর জুনিয়র তার ‘সোশ্যাল অরিজিনস অব ডিক্টেটরশিপ অ্যান্ড ডেমোক্র্যাসি’ গ্রন্থে আলোচনা করেছেন, ‘কোনো মাটিতে বা কোনো সমাজে স্বৈরতন্ত্র বা একত্ববাদ পুষ্ট হয় আর কোনো মাটিতে গণতন্ত্র জোরদার হয়’। তিনি বলছেন, ‘নো বুর্জোয়া, নো ডেমোক্র্যাসি’। একটি সমাজে যদি সত্যিকারে ভালো বুর্জোয়া না থাকে, তাহলে সেই দেশে গণতন্ত্র থাকে না। বাংলাদেশে অনেক ধনী লোক আছেন, সমস্যা হলো এই ধনীরা সত্যিকার অর্থে তাদের ধন সৃষ্টি করছেন না। উৎপাদনের মাধ্যমে ধন সৃষ্টি করছেন না। শ্রমিক নিয়োগ করে, কারখানা পরিচালনা করে ধনী হচ্ছেন না। উৎপাদিত পণ্য বাজারে বিক্রি করে তারা তাদের মুনাফা অর্জন করছেন না। সেই মুনাফাকে পুঁজিতে রূপান্তর করে তা আবার বিনিয়োগ করে ধনী হচ্ছেন না।
বাংলাদেশে প্রকৃত বুর্জোয়া নেই বললেই চলে। গার্মেন্টশিল্পে বাইরের কাঁচামাল ব্যবহার করে আমাদের মেয়েরা শ্রম দিয়ে পোশাকসামগ্রী উৎপাদন করেন। গ্রামগঞ্জ থেকে শুরু করে সারা দেশে লুণ্ঠন চলছে। লুণ্ঠন করলে দেশের উৎপাদিত শক্তির বিকাশ হয় না। লুণ্ঠনের মাধ্যমে একজনের সম্পদ আরেকজনের হাতে শুধু বিলিবণ্টন হয়। ব্যাংক থেকে যারা হাজার হাজার কোটি টাকা নিলেন, এই টাকা কার? এই টাকাগুলো দেশের সাধারণ মানুষের। এই টাকা দিয়েই তারা বড়লোক। এই টাকা দিয়েই তারা বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। এর মাধ্যমেই তারা হেলিকপ্টার কেনেন এবং চড়ে বেড়ান। এই দেশের সমাজব্যবস্থায় যেখানে বিকৃত, রুচিহীন এবং জনগণের সম্পদ লুণ্ঠনকারী বাস করে, সেখানে আপনি তেমন কিছু আশা করতে পারেন না। লুণ্ঠনকারীরা সমাজের মধ্যে কায়েমি স্বার্থ প্রতিষ্ঠা করে। তাদের লুণ্ঠনবৃত্তি চালিয়ে যাওয়ার জন্য তারা রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, আমলাদের টাকা দিয়ে কিনে ফেলেন। শেষ পর্যন্ত এদের স্বার্থে আঘাত করা সম্ভব হয় না। এই স্বার্থ ধরে রাখার জন্য এসব দেশে স্বৈরশাসন চলে আসে।
খবরের কাগজ: সংবিধান সংস্কার নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। এ প্রসঙ্গে আপনার অভিমত জানতে চাই।
ড. মাহবুব উল্লাহ: দেশে যে অস্থিরতা তা হলো গণতন্ত্রের অস্থিরতা। সংবিধান নিয়ে আদর্শ কিছু করলেও শেষ পর্যন্ত টিকবে কিনা সন্দেহ। এই মুহূর্তে সংবিধান নিয়ে যে বিতর্ক তা হচ্ছে এক পক্ষ বলছে, ১৯৭২ সালের সংবিধান বজায় রাখতে হবে। আরেক পক্ষ বলছে, নতুন করে সংবিধান লিখতে হবে। আমি মনে করি, এখন যে সংবিধান আছে সেই সংবিধান কিন্তু নানা স্বৈরতান্ত্রিক হস্তক্ষেপে কালিমালিপ্ত। পার্লামেন্ট থাকা অবস্থায় নির্বাচন করা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার তুলে নেওয়া, বিচারপতি নিয়োগসহ অনেক বিষয় আছে যা সম্পূর্ণ গণতন্ত্রবিরোধী। সংবিধান কোনো ঐশী বাণী নয়, কোরআনও নয়, বাইবেলও নয় যে, পরিবর্তন করা যাবে না। সংবিধান পরিবর্তন করা যাবে না বা নতুন কোনো কিছু সংযুক্ত করা যাবে না, এটা মনে করি না। সংবিধান পরিবর্তন করলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এটাও মনে করি না। ১৯৭২ সালে যখন সংবিধান প্রণয়ন করা হয়, তখন মওলানা ভাসানীসহ বিরোধী দলের নেতারা বলেছিলেন যে, আজকে যে সংসদে সংবিধান রচনা হচ্ছে সেই সংসদে যারা আছেন তারা কিন্তু সংবিধান প্রণয়নের জন্য ম্যান্ডেডপ্রাপ্ত নন।
১৯৭০ সালে পাকিস্তানের জন্য যে নির্বাচন হয়েছিল, সেই নির্বাচনের ফসল হিসেবেই এই সংসদ গঠন করা হয়েছে। কাজেই এটা কিন্তু স্বাধীন দেশের সংসদ নয়। স্বাধীন দেশের জন্য করণীয় যেসব ম্যান্ডেড সে ম্যান্ডেডও এই সংসদ পায়নি। সুতরাং এই সংসদ স্বাধীন দেশের জন্য সংবিধান রচনা করতে পারে না। এখন বাংলাদেশের যে অবস্থা তাতে সংবিধান সংস্কার করা ঠিক হবে না। নতুন করে নির্বাচন দিয়ে বা গণপরিষদ গঠন করে তার মাধ্যমে সংবিধান প্রণয়ন হলে তা হবে যথার্থ। অনেকেই মনে করেন এই সংবিধান প্রণয়ন করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে সামনে রেখে। তিনি হলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তার ছিল অপ্রতিরোধ্য জনপ্রিয়তা। তার হাতেই সব ক্ষমতা ন্যস্ত করতে এই সংবিধান প্রণয়ন করা হয়েছিল। মানুষের মধ্যে একটা বিশ্বাস কাজ করেছিল যে, তিনি কোনো ভুল করতে পারেন না। শেখ মুজিবুর রহমানও একজন মানুষ ছিলেন। মানুষ ভুল করতেই পারেন। তিনি সংবিধানের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় সংশোধনী করে অবশেষে নিয়ে এলেন বাকশাল। বাকশালের সঙ্গে গণতন্ত্রের কোনো সম্পর্ক নেই। তার পরও সংবিধানের যত পরিবর্তন হয়েছে সবই গণতন্ত্রবিরোধী। শেখ হাসিনার আমলে এসে সংবিধানের যে পরিবর্তন হয়েছে তা ছিল মারাত্মক বিচ্যুতি। আমার মনে হয়, বর্তমান সংবিধান কেটেছিঁড়ে খুব বেশি পরিশুদ্ধ করা যাবে না। সংবিধানকে নতুন করে লিখতে হবে। তবে সেই সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধে যারা মহান ত্যাগ করেছেন, তাদের কথা সুন্দরভাবে লেখা থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অবশ্যই উল্লেখ থাকবে। রাষ্ট্রীয় মূলনীতিগুলো অবশ্যই থাকবে। নতুন করে সংবিধান প্রণয়ন করতে পারবে তারাই, যারা নির্বাচিত সংসদ। সেই সংসদ দেশ পরিচালনা করবে। সেই সংসদ হতে হবে অবাধ ও নির্বাচনের মাধ্যমে।
খবরের কাগজ: রাজনৈতিক দলের প্রতি মানুষের অনাস্থা আছে। আস্থা অর্জনের জন্য করণীয় কী।
ড. মাহবুব উল্লাহ: রাজনৈতিক দলের প্রতি মানুষের অনাস্থার বড় কারণ দুর্নীতি। যে যায় লংকায়, সেই হয় রাবণ। যারাই ক্ষমতায় যায়, তারাই দুর্নীতি করে। ক্ষমতায় গেলেই তারা নিজের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এ কারণেই সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ে। তবে দেশকে পরিশুদ্ধ করতে হলে, ভালো জায়গায় নিতে হলে রাজনীতির দরকার আছে। রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন আছে। কিন্তু সেই রাজনীতি বা রাজনৈতিক দলকে শুদ্ধ হতে হবে। তাদের দখলদারি মনোবৃত্তি ও লুণ্ঠনের চিন্তা পরিহার করতে হবে। জনগণের সামনে প্রমাণ করতে হবে যে, তারা সত্যিকার অর্থে নিষ্ঠাবান মানুষ এবং তাদের কোনো দুর্নীতি বা কলঙ্ক স্পর্শ করতে পারবে না। রাজনৈতিক দলের নেতাদের ব্যক্তিগত আচার-আচরণের ক্ষেত্রেও অনেক পরিবর্তন আনতে হবে। এমনিতেই রাষ্ট্র সংস্কার প্রয়োজন। কারণ, শেখ হাসিনা তার সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন সবকিছু শেষ করে দিয়েছেন। রাষ্ট্রের যত প্রতিষ্ঠান, যেমন- উচ্চ আদালত, বিশ্ববিদ্যালয়, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, পুলিশ বাহিনী ও আমলাতন্ত্রসহ সবকিছুকে ধ্বংস করে গেছেন। এমন ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থান থেকে দেশ পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার তা হারে হারে উপলব্ধি করছে কিন্তু বলতে পারছে না। রাজনীতি শুদ্ধ করা বেশ কঠিন কাজ। কিন্তু সেটা করতে হবে। রাজনীতিকে পরিশুদ্ধ না করলে দেশকে পৃথিবীর বুকে সভ্য জাতি ও উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।
খবরের কাগজ: অন্তর্বর্তী সরকার ছয় মাস অতিক্রম করল। এই সরকারের সফলতা-ব্যর্থতা সম্পর্কে জানতে চাই।
ড. মাহবুব উল্লাহ: অন্তর্বর্তী সরকার খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে। এই সরকারকে আরও বলিষ্ঠ হওয়া দরকার। যে সাহস নিয়ে দেশে অভ্যুত্থান হয়েছে, সেই অভ্যুত্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যশীল হওয়া উচিত।
খবরের কাগজ: শেখ হাসিনার পতনের পর বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে এক ধরনের মতবিরোধ দেখা দিচ্ছে। আগে তাদের মধ্যে এক ধরনের ঐকমত্য ছিল, বর্তমানে তারা স্বাতন্ত্র্যভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। উভয় দলের দ্বন্দ্ব নিয়ে আপনার অভিমত কী?
ড. মাহবুব উল্লাহ: রাজনীতি হলো দ্বন্দ্বকে কীভাবে হ্যান্ডেল করা যায়। দ্বন্দ্বমুক্ত কোনো সমাজ নেই। দ্বন্দ্বমুক্ত কোনো দেশ নেই। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রধান দ্বন্দ্ব হচ্ছে বাংলাদেশের ওপর ভারতীয় আধিপত্যবাদের নানা ধরনের প্রচেষ্টা। ভারত বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের হস্তক্ষেপ, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত পরিচালনার চেষ্টা করছে। এটাকে প্রতিরোধ করতে হলে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক শক্তি দরকার। আমাদের দেশে যে রাজনৈতিক দল আছে, তারা যদি কলহে লিপ্ত হয়, দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয় তাহলে মূল যে জাতি ও দেশের সঙ্গে প্রধান দ্বন্দ্ব, সেটা নিরসন করা সম্ভব হবে না। সে ক্ষেত্রে তাদের যে দুরাশা, হঠকারিতা আছে তা দূর করা যাবে না। এভাবে চলতে থাকলে দেশের সমূহ ক্ষতি হবে।
খবরের কাগজ: ক্ষমতার পালাবদলের কারণে দেশে উগ্রবাদী বা দক্ষিণপন্থিদের উত্থানের যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, এটাকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
ড. মাহবুব উল্লাহ: এবারের গণ-ভ্যুত্থানের বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সমাজের যত রকম পলিটিক্যাল ফোর্সেস ও আইডিও লজিক্যাল ফোর্সেস আছে, সেসব ফোর্সের ঢাকনা খুলে গেছে। এখন তারা বাইরে চলে এসেছে। এদের মধ্যে উগ্র ডানপন্থিরাও আছে। এরা কিন্তু বহুকাল ধরেই সমাজে ছিল। দেশে একটা বিশেষ মুহূর্তে বিশেষ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তারা সমাজে বের হয়ে এসেছে। সমাজ থেকে এদের তো আর ছুড়ে ফেলে দেওয়া যায় না। এদের বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করতে পারবেন না। এরাও এ দেশের সন্তান। কাজেই এদের কথাও শুনতে হবে। তারা কী বলতে চায়। বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ের যে বৈশিষ্ট্য তাতে এই ধরনের চরমপন্থার সঙ্গে যায় না। ফলে এ দেশের বেশির ভাগ মানুষই তাদের পরিহার করবে। তাদের জনগণ ওইভাবে রাষ্ট্রীয় আসন দেবে না। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। ভালো নেতার আবির্ভাব ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সবকিছুই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
খবরের কাগজ: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ২০২৫ সালের শেষে বা ২০২৬ সালের শুরুর দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে মত দিয়েছেন। এ বক্তব্যকে আপনি কি সমর্থন করেন?
ড. মাহবুব উল্লাহ: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা একটা সময় বলেছেন, বিএনপি এবং তার মিত্ররা সময়টাকে এগিয়ে আনার পক্ষে। ব্যবধানটা হলো ছয় মাসের। আমার ধারণা, বিএনপি ও তার মিত্ররা ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সন্তুষ্ট হবে। সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। ভবনে প্লাস্টার করলে যেমন চুলের মতো ফাটল থাকে, ঠিক তেমন ফাটল অনুভব করছি রাজনীতিতে। রাজনীতিতে এই ধরনের ছোট ফাটলকে বড় করে দেখার সুযোগ নেই। সবার যেন শুভবুদ্ধির উদয় হয় এবং জাতির কল্যাণে সবাই সমঝোতার মাধ্যমে একযোগে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
খবরের কাগজ: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ড. মাহবুব উল্লাহ: আপনাকেও ধন্যবাদ।