
গাজা সব ফিলিস্তিনির এবং বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে যে তারা সম্পূর্ণ যুদ্ধ সহ্য করতে পারে। ফিলিস্তিনিরা যে ভূমির ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তা থেকে তারা নড়বে না। এটি বিশ্বকে জানান দেয় যে দখলদাররা তাদের যা কিছু ছিল তাই আমাদের দিকে ছুড়ে ফেলেছে। এটি কোনো নাকবা ছিল না। গাজা ইসরায়েলকে জানান দিয়েছে যে ফিলিস্তিনিরা বিদ্যমান রয়েছে। যতক্ষণ না ইসরায়েলিরা তাদের সঙ্গে সমান অধিকারের বিষয়ে সমান শর্তে কথা না বলে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা শান্ত হবে না।...
কয়েক মাস ধরে নেতানিয়াহু গাজা যুদ্ধবিরতির প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, যার ফলে তার নিজস্ব আলোচকদের মধ্যেও হতাশার সৃষ্টি হয়েছিল। দুই মাসেরও বেশি সময় আগে তার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টের বিদায়ের মাধ্যমে এ বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ১৫ মাসব্যাপী যুদ্ধের প্রধান স্থপতি গ্যালান্ট স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে গাজায় সেনাবাহিনীর করার মতো আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।
তবুও নেতানিয়াহু জেদ ধরে রেখেছিলেন। গত বসন্তে তিনি সিআইএ পরিচালক উইলিয়াম বার্নসের উপস্থিতিতে রাফাহর ওপর আক্রমণের পক্ষে হামাসের স্বাক্ষরিত চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। শরৎকালে নেতানিয়াহু জেনারেলদের পরিকল্পনার দিকে মনোনিবেশ করেন, যার লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলিদের পুনর্বাসনের প্রস্তুতির জন্য উত্তর গাজা খালি করা। পরিকল্পনাটি ছিল উত্তর গাজার জনগণকে অনাহারে মারা এবং বোমা হামলা চালিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া। কেউ স্বেচ্ছায় চলে না গেলে তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে গণ্য করা হবে। এটি এতটাই চরম ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধের নিয়মের পরিপন্থি ছিল যে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোশে ইয়ালন এটিকে যুদ্ধাপরাধ এবং জাতিগত নির্মূল বলে নিন্দা করেছিলেন। এই পরিকল্পনার মূল চাবিকাঠি ছিল গাজা উপত্যকার কেন্দ্রস্থলে ইসরায়েল সীমান্ত থেকে সমুদ্র পর্যন্ত একটি সামরিক রাস্তা ও ফাঁড়ি দিয়ে একটা করিডর করা। নেটজারিম করিডর কার্যকরভাবে অঞ্চলটির স্থলভাগ প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনে এবং নতুন উত্তর সীমান্তে পরিণত হয়। উত্তর গাজা থেকে বিতাড়িত কোনো ফিলিস্তিনিকে ফিরে আসতে দেওয়া হতো না।
বাইডেন প্রশাসনের কেউ নেতানিয়াহুকে এই পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেও নন। তিনি একজন সহজাত ইহুদিবাদী, যিনি তার সব বক্তৃতার মাধ্যমে গাজায় গণহত্যা চালানোর জন্য ইসরায়েলকে সহযোগিতা করেছেন। তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও এই অঞ্চলের সবচেয়ে কম বিশ্বস্ত কূটনীতিক হিসেবে পরিগণিত হয়েছিলেন।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির চূড়ান্ত সময়ে ব্লিঙ্কেন এক সংবাদ সম্মেলনে হামাসকে পূর্ববর্তী প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার জন্য দোষারোপ করেন। নীতিগতভাবে সত্যটি ছিল বিপরীত। আলোচনা কভার করা প্রত্যেক ইসরায়েলি সাংবাদিক রিপোর্ট করেছেন যে নেতানিয়াহু পূর্ববর্তী সব চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং এই চুক্তিতে বিলম্বের জন্য তিনিই দায়ী।
নেতানিয়াহুর ১৫ মাসের যুদ্ধের বিষয়ে সময় নির্ধারণের জন্য নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠকে এটি শেষ হয়েছিল। এক বৈঠকের পর নেতানিয়াহু ১৫ মাস ধরে যে রেড লাইনগুলো এঁকেছিলেন, সেগুলো মুছে ফেলা হয়েছে। ইসরায়েলি পণ্ডিত এরেল সেগাল যেমন বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের নির্বাচনের জন্য আমরাই প্রথম মূল্য দিতে যাচ্ছি। (চুক্তিটি) আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে... আমরা ভেবেছিলাম আমরা উত্তর গাজার নিয়ন্ত্রণ নেব, যাতে মানবিক সাহায্যে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।’
কলামিস্ট ইয়োসি ইয়েহোশুয়া ওয়াইনেটে লিখেছেন, ‘এটি একটি ঐকমত্য হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। ইসরায়েলের বিজয়ের মনোভাব নিয়ে পুরোপুরি সন্দেহ রয়েছে। বাস্তবতাকে আড়াল করার কোনো প্রয়োজন নেই। যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তি ইসরায়েলের জন্য খারাপ হবে। তবে এটি মেনে নেওয়া ছাড়া এর আর কোনো উপায় নেই।’
যুদ্ধবিরতি চুক্তির খসড়ায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই ফিলাডেলফি ও নেটজারিম করিডর উভয় থেকে ইসরায়েল সরে আসবে। নেতানিয়াহু আগেও এ রকম অনেক শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এমনকি এটি ছাড়াও খসড়া চুক্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে ফিলিস্তিনিরা যাতে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারে। এর মধ্যে উত্তর গাজাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখান থেকে গাজা বাসিন্দাদের উচ্ছেদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এটি ইসরায়েলের স্থল আক্রমণের সবচেয়ে বড় একক ব্যর্থতা।
ইসরায়েল কেবল গ্লোবাল সাউথকেই হারাচ্ছে না, তারা আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকায় এই ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়েছিল এবং জনমত হারিয়েছে। বরং পশ্চিমাদের এমন একটি প্রজন্মের সমর্থনও হারিয়েছে।
কথাটা আমার নয়। জ্যাক লিউ খুব ভালোভাবেই তুলে ধরেছেন। হামাসের হামলার এক মাস আগে বাইডেন যাকে ইসরায়েলে রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি মানুষকে যা বলেছি, এই যুদ্ধ শেষ হলে তাদের চিন্তা করতে হবে। প্রজন্ম তাদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, ছয় দিনের যুদ্ধ, ইয়োম কিপ্পুর যুদ্ধ, এমনকি ইন্তিফাদার সঙ্গে যুদ্ধও স্মৃতি থেকে ভুলে যাবে।’ তার বিদায়ী সাক্ষাৎকারে একজন অর্থোডক্স ইহুদি হিসেবে লিউ টাইমস অব ইসরায়েলকে বলেছিলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে জনমত এখনো মূলত ইসরায়েলপন্থি, কিন্তু তা পরিবর্তন হচ্ছে।
আমি এখানকার লোকদের যা বলেছি যে এই যুদ্ধ শেষ হলে তাদের চিন্তা করতে হবে তা হলো প্রজন্মের স্মৃতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, ছয় দিনের যুদ্ধ, ইয়োম কিপ্পুর যুদ্ধ, এমনকি ইন্তিফাদার সঙ্গেও ফিরে যায় না। এটি এই যুদ্ধ দিয়ে শুরু হয় এবং আপনি ভবিষ্যতের নীতিনির্ধারকদের ওপর এই যুদ্ধের প্রভাব উপেক্ষা করতে পারবেন না। আজ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী ব্যক্তিদের ওপর নয়, বরং আজ ২৫, ৩৫, ৪৫ বছর বয়সী এবং যারা পরবর্তী ৩০, ৪০ বছরের জন্য নেতা হবেন।’
নেতানিয়াহুর প্রতি লিউর আক্রমণ সাম্প্রতিক জরিপে ব্যাপকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি আমেরিকান ইহুদি কিশোর হামাসের প্রতি সহানুভূতিশীল দেখিয়েছে। ৪২ শতাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করে যে ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে এবং ৬৬ শতাংশ গোটা ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সহানুভূতিশীল।
এটি কোনো নতুন ঘটনা নয়। যুদ্ধের দুই বছর আগে করা জরিপে দেখা গেছে , আমেরিকান ইহুদিদের এক-চতুর্থাংশ একমত যে ইসরায়েল একটি বর্ণবাদী রাষ্ট্র। জরিপে উত্তরদাতাদের একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ এই বক্তব্যকে ইহুদিবিরোধী বলে মনে করেননি।
গাজার যুদ্ধ ভবিষ্যতের নতুন প্রজন্মের নেতাদের জন্য ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত দেখার বিষয় হয়ে উঠেছে। ২০২৩ সালের ৬ অক্টোবর ভেবেছিল যে তারা ফিলিস্তিনের বিষয়টি বন্ধ করে দিয়েছে এবং বিশ্ব জনমত তাদের নিয়ন্ত্রণে।
যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ, যা পশ্চিমা সরকারগুলো প্রথমে ইহুদিবিদ্বেষী এবং পরে সন্ত্রাসবাদ হিসেবে আইন প্রণয়ন করে ফিলিস্তিনের মুক্তির জন্য বিশ্বব্যাপী ফ্রন্ট তৈরি করেছে। ইসরায়েলকে বয়কট করার আন্দোলন এখন আগের চেয়েও অনেক শক্তিশালী।
ইসরায়েল এখন আন্তর্জাতিক বিচারের কাঠগড়ায়, যা আগে কখনো হয়নি। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে কেবল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়নি, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলাও অব্যাহত রয়েছে।
এ ছাড়া ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সম্প্রতি গাজা অভিযানে অংশগ্রহণকারী সব সৈন্যের পরিচয় গোপন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ তাদের ভয় ছিল, বিদেশ ভ্রমণের সময় তাদের অনুসরণ করা হতে পারে।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের হাতে নিহত ছয় বছর বয়সী শিশু হিন্দ রজব নামে একটি ক্ষুদ্র কর্মী গোষ্ঠী এই বড় পদক্ষেপ নেয়। বেলজিয়ামভিত্তিক এই গোষ্ঠীটি ভিডিও, অডিও, ফরেনসিক রিপোর্ট এবং অন্যান্য নথিসহ ১ হাজার ইসরায়েলি ব্যক্তির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ দাখিল করেছে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি মানেই ফিলিস্তিনের দুঃস্বপ্নের শেষ হওয়া নয়। বরং ইসরায়েলের শুরু। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজায় যা ঘটেছিল তার সত্যতা উন্মোচিত এবং নথিভুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আইনি পদক্ষেপগুলো গতি ফিরে পাবে।
নেতানিয়াহু যুদ্ধ থেকে এমন একটি দেশে ফিরে আসবেন, যেখানে অভ্যন্তরীণভাবে আগের চেয়েও বেশি বিভক্ত হবে। সেনাবাহিনী এবং সেবা করতে অস্বীকৃতি জানানো হারেদিমদের মধ্যে সংগ্রাম চলছে। ধর্মনিরপেক্ষ এবং জাতীয় ধর্মীয় ইহুদিবাদীদের মধ্যে সংগ্রাম চলছে। গাজায় নেতানিয়াহুর পশ্চাদপসরণের সঙ্গে বসতি স্থাপনকারী অতি-ডানপন্থিরা বুঝতে পারছেন যে বৃহত্তর ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার সুযোগ খুবই কম। এই সময়ে ইসরায়েল থেকে ইহুদিদের অভূতপূর্ব যাত্রা শুরু হয়েছে। আঞ্চলিকভাবে লেবানন ও সিরিয়ায় এখনো ইসরায়েলের সৈন্য রয়েছে। চলমান অভিযানগুলোকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণে ইসরায়েলের হারানো প্রতিরোধক্ষমতা পুনরুদ্ধার হিসেবে ভাবা বোকামি হবে।
হিজবুল্লাহর নেতৃত্ব নিশ্চিহ্ন হওয়ার পর এবং সিরিয়ায় নিজেদের ব্যাপকভাবে বিস্তৃত দেখতে পাওয়ার পর ইরানের প্রতিরোধ অক্ষটি হয়তো কিছুটা আঘাতের সম্মুখীন হয়েছিল। কিন্তু হামাসের মতো হিজবুল্লাহও যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজিত হয়নি। সুন্নি ও আরববিশ্ব গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে চলমান দমন-পীড়নের কারণে আগের মতো ক্ষুব্ধ হয়েছে।
সিরিয়াকে ক্যানটনে বিভক্ত করার ইসরায়েলের স্পষ্ট প্রচেষ্টা সব সম্প্রদায় এবং জাতিগত সিরীয়দের জন্য ততটাই উসকানিমূলক, যতটা পশ্চিম তীরের এলাকা ‘বি’ ও ‘সি’ জর্ডানের সঙ্গে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা জর্ডানের জন্য অস্তিত্বগত হুমকি। আম্মানে সংযুক্তি যুদ্ধের জন্য একটি পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে। সংঘাত নিরসন হবে কয়েক দশক ধরে পুনর্গঠনের ধৈর্যশীল কাজ। ট্রাম্প ধৈর্যশীল মানুষ নন। হামাস ও গাজা এখন পিছিয়ে পড়বে। বিপুল প্রাণহানির কারণে প্রতিটি পরিবার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। কিন্তু গত ১৫ মাসে গাজা যা অর্জন করেছে তা সংঘাতকে বদলে দিতে পারে।
গাজা সব ফিলিস্তিনির এবং বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে যে তারা সম্পূর্ণ যুদ্ধ সহ্য করতে পারে। ফিলিস্তিনিরা যে ভূমির ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তা থেকে তারা নড়বে না। এটি বিশ্বকে জানান দেয় যে দখলদাররা তাদের যা কিছু ছিল তাই আমাদের দিকে ছুড়ে ফেলেছে। এটি কোনো নাকবা ছিল না। গাজা ইসরায়েলকে জানান দিয়েছে যে ফিলিস্তিনিরা বিদ্যমান রয়েছে। যতক্ষণ না ইসরায়েলিরা তাদের সঙ্গে সমান অধিকারের বিষয়ে সমান শর্তে কথা না বলে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা শান্ত হবে না।
এই উপলব্ধি বুঝতে আরও অনেক বছর লাগতে পারে। কিন্তু কেউ কেউ তা উপলব্ধি করতে পেরেছে। কলামিস্ট ইয়ার আসুলিন হারেৎজে লিখেছেন, ‘যদিও আমরা পুরো মধ্যপ্রাচ্য জয় করি এবং সবাই যদি আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে, তবু আমরা এই যুদ্ধে জিততে পারব না।’ কিন্তু গাজায় যারা বসবাস করছেন, তারা যা অর্জন করেছেন, তা ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।
লেখক: মিডল ইস্ট আইয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান সম্পাদক।
মিডল ইস্ট আই থেকে সংক্ষেপিত অনুবাদ: সানজিদুল ইসলাম সকাল