
ভবিষ্যতে কোনো সরকারের আমলেই যেন দেশে এ ধরনের কোনো আয়নাঘরের জন্ম না হয়, তা সুনিশ্চিত করার এখনই উপযুক্ত সময়। আর তা সুনিশ্চিত করতে হবে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই। পাশাপাশি বিনা বিচারে আয়নাঘর বা গুমখানায় আটক রাখার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করাও অত্যাবশ্যক। মানবাধিকার রক্ষার বৃহত্তর স্বার্থেই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গুম-খুনের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করার যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করবে- এমনটাই সবার প্রত্যাশা।
‘আইয়াম’ শব্দের অর্থ সময় বা যুগ এবং ‘জাহেলিয়া’ শব্দের অর্থ অজ্ঞতা। সুতরাং আইয়ামে জাহেলিয়া বলতে অজ্ঞতার যুগকে বোঝায়। ইসলামের ইতিহাসের ভাষায়, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নবুওয়াত লাভের আগে আরবের লোকেরা ঐশী বাণীর অভাবে অজ্ঞতার অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। তখন আরবদের মধ্যে নানা ধরনের ধর্মীয় অনাচার ও কুসংস্কার বিরাজ করছিল, তারা নানা পাপাচারে আসক্ত ছিল। যা আইয়ামে জাহেলিয়া বা অন্ধকার যুগ নামে পরিচিত। পি কে হিট্টি ইসলাম আবির্ভাবের পূর্ববর্তী এক শতাব্দীকালকে আইয়ামে জাহেলিয়া বলে উল্লেখ করেছেন। এ সময় আরব দেশে দুর্নীতি ও কুসংস্কার প্রচলিত ছিল। আর এ যুগেই তাদের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় জীবন অধঃপতনের পর্যায়ে উপনীত হয়েছিল বলে একে আইয়ামে জাহেলিয়া (অন্ধকার যুগ) বলা হয়। তবে বর্তমান সময়ে আরবে আইয়ামে জাহেলিয়া না থাকলেও ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় তিনটি ‘আয়নাঘর’ (গোপন বন্দিশালা) পরিদর্শন শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বন্দিশালাকে বীভৎসতা ও নৃশংসতার উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করার পাশাপাশি আয়নাঘর প্রতিষ্ঠা করাকে শেখ হাসিনা সরকারের এক আইয়ামে জাহেলিয়া প্রতিষ্ঠা করার সঙ্গে তুলনা করেছেন। গত ৬ ও ৭ আগস্ট ব্যারিস্টার আহমেদ বিন কাসেম আরমান, সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী এবং ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতা মাইকেল চাকমা কথিত বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্তি পাওয়ার পর আয়নাঘরসহ গুম-খুনের বিষয়টি দেশে চাউর হয়।
রাষ্ট্রীয় গুমের শিকার হওয়া ইউপিডিএফের সংগঠক মাইকেল চাকমা দীর্ঘ পাঁচ বছর তিন মাস এবং ব্যারিস্টার আহমেদ বিন কাসেম আরমান ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী দীর্ঘ আট বছর পর অবরুদ্ধ দশা থেকে মুক্তি পান। ‘মানবতাবিরোধী’, ‘সরকার’ ও ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ কার্যকলাপে ‘জড়িত’- এই ধরনের অজুহাত তুলে শেখ হাসিনা সরকার তাদের বিনা বিচারে তথাকথিত আয়নাঘর বা বন্দিশালায় আটক রাখে। আটকরা বিনা বিচারে কদর্য অবস্থায় বন্দিদশা কাটিয়েছেন বলে তাদের বক্তব্যে উঠে আসে। আর এভাবে কাউকে বিনা বিচারে দীর্ঘদিন ধরে আটক রাখা একই সঙ্গে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক আইনসহ মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং মানবতার পরিপন্থি। অভিযোগ রয়েছে, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে তৈরি এ ধরনের তথাকথিত আয়নাঘরে রাখা হতো গুম করে রাখা মানুষদের। আলো-বাতাসহীন কক্ষ, সেখানে সারাক্ষণ ঘড়ঘড়িয়ে ফ্যান চলে, যার নেপথ্যে যেন থমকে থাকছে অবিমিশ্র ঘৃণা এবং আতঙ্ক।
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বলপূর্বক গুমের শিকার সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান এবং শেখ মোহাম্মদ সেলিমের অন দ্য রেকর্ড অ্যাকাউন্টের ওপর ভিত্তি করে সম্প্রতি সুইডেনভিত্তিক নিউজ পোর্টাল নেত্র নিউজের একটি অনুসন্ধানী হুইসেলব্লোয়ার প্রতিবেদন প্রকাশ করে। আটকরা সেখানে বলেছেন, তাদের ঢাকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত কারাগারের ভেতরে রাখা হয়েছিল। ধারণা করা হয়, এখানে কমপক্ষে ১৬টি কক্ষ রয়েছে, যেখানে একসঙ্গে ৩০ বন্দি রাখার সক্ষমতা রয়েছে বলে ভারতের জি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে এ রকম আরও বেশ কিছু নির্যাতন ও আটক স্থান থাকতে পারে বলে অনেকের ধারণা।
বলা বাহুল্য, দেশত্যাগী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে বিরুদ্ধ মত সহ্য করার খুব একটা রেকর্ড পাওয়া যায় না। তাই তার নির্দেশে রাজনৈতিক বন্দিদের জন্য তৈরি করেছিলেন এ ধরনের আয়নাঘর, যা ছিল রাজনৈতিক বন্দিদের কাছে ত্রাস বা বিভীষিকাময় এক জায়গা। আর এটি ছিল মূলত প্রতিবাদীদের কণ্ঠরোধ করার একটি উপায়। অস্বীকার করার উপায় নেই, শেখ হাসিনার শাসনামলে বিরোধী দলের বহু নেতা-কর্মী নিখোঁজ হন, কোথাও তাদের খোঁজখবর পর্যন্ত ছিল না। নিখোঁজের ওই তালিকা থেকে সেনাবাহিনীর লোকজনও বাদ পড়েনি। এ ধরনের আয়নাঘরে বা গুমখানায় শেখ হাসিনার শাসনকালে (২০০৯ থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) মোট ৬০৫ জনকে গোপনে বন্দি করে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছে খোদ ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের তথ্যমতে, ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনা সরকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদে নিখোঁজ হন ৪০২ জন। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত দেশে গুমের শিকার হন ৩৪৪ জন, তাদের মধ্যে ৪০ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আর ৬৬ জনকে সরকারি হেফাজতে গ্রেপ্তার অবস্থায় পাওয়া গেছে। আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যমতে, ২০৩ জন এখনো গুম রয়েছেন। যারা দীর্ঘদিন গুম থাকার পর ফিরে আসেন, তারা গুমের ব্যাপারে মৌন অবলম্বন করেন। ধারণা করা হয়, এসব মানুষের গুম করে রাখা হতো তথাকথিত সেই আয়নাঘরে। গণমাধ্যম মারফত জানা যায়, মীর আহমদ বিন কাসেম, আবদুল্লাহিল আমান, মাইকেল চাকমা ছাড়াও এ ধরনের আয়নাঘরে যারা বন্দি থেকেছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও শিক্ষাবিদ মোবাশার হাসান, সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান, ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ কুমার রায় প্রমুখ। দেশে গুম হয়ে যাওয়া পরিবারের সদস্যরা একটা সময় ‘মায়ের ডাক’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেন।
এখানে যাদের পরিবারের সদস্যরা শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে সরকারি সংস্থা কর্তৃক বলপূর্বক গুমের শিকার হয়েছেন, সেসব ঘটনাকে সামনে আনার জন্য সৃষ্টি করা হয় এ সংগঠনের। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এ সংগঠনের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের সব গুম-খুন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশদ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি এসব ঘটনায় জড়িত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ অভিযুক্ত রাজনীতিবিদ এবং সংশ্লিষ্টদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।
২০২৪ সালের হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্ট অনুযায়ী, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার বছর (২০০৯ সাল থেকে তার পতন হওয়া পতন পর্যন্ত) বাংলাদেশে ৬০০টিরও বেশি গুম হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, এ ধরনের গুমশালা থেকে খুব কমসংখ্যক বন্দিই মুক্তি পেয়েছে। তবে কিছু বন্দিকে দীর্ঘ বিচার-প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুক্তি দেওয়া হয়। অনেকেই আবার এনকাউন্টারের শিকার হয়েছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, এ ধরনের ঘটনার তদন্ত প্রায় হয়নি বললেই চলে। আবার আয়নাঘরে রাখা অনেকেই দিনের পর দিন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে একপর্যায়ে মারা গেছেন, তারপর লাশ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাদের গ্রেপ্তার করা হয় তাদের খাতা-কলমে কোনো তথ্যও রাখা হয় না। আর যারা শেখ হাসিনার আস্থাভাজন ছিলেন, তারাই মূলত এ ধরনের আয়নাঘরের দায়িত্ব পেতেন। আর এখানে বন্দিদের সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যদের দেখা করা বা যোগাযোগের কোনো উপায়ও ছিল না। এ যেন হিটলারের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের চিত্রকেও হার মানায়।
বলার অপেক্ষা রাখে না, বাংলাদেশে মানবাধিকারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে গুম, বিনা বিচারে আটক, নির্বিচারে অবৈধভাবে আটক, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও নির্যাতন, খুন, সন্ত্রাস, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা ইত্যাদি। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ এসব ঘটনার জন্য জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার রক্ষাকারী সংস্থা যেমন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারকে নিন্দা প্রস্তাব জানালেও তাতে শেখ হাসিনার কর্ণপাত করেননি, যা দুঃখজনক। বলা বাহুল্য, বিনা বিচারে কাউকে আটক বা বন্দি রাখা বা গুম করা সম্পূর্ণরূপে বেআইনি। একই সঙ্গে তা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইনসহ মানবতা ও মানবাধিকারের পরিপন্থি। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এটিকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক আইন, বিশেষ করে মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন বলে বিবেচনা করে। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৩ অনুচ্ছেদে গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘গ্রেপ্তারকৃত কোন ব্যক্তিকে যথাসম্ভব শীঘ্র গ্রেপ্তারের কারণ জ্ঞাপন না করিয়া প্রহরায় আটক রাখা যাইবে না এবং উক্ত ব্যক্তিকে তাঁহার মনোনীত আইনজীবীর সহিত পরামর্শের ও তাঁহার দ্বারা আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার হইতে বঞ্চিত করা যাইবে না।’ সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদে আরও বলা হয়, ‘গ্রেপ্তারকৃত ও প্রহরায় আটক প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিকটতম ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে গ্রেপ্তারের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে (গ্রেপ্তারের স্থান হইতে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আনয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সময় ব্যতিরেকে) হাজির করা হইবে এবং ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ব্যতীত তাঁহাকে তদতিরিক্ত কাল প্রহরায় আটক রাখা যাইবে না।’ সংবিধান ছাড়াও জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র, ১৯৪৮-এর ৫ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কাউকে নির্যাতন করা যাবে না কিংবা কারও প্রতি নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ করা যাবে না অথবা কাউকে এহেন শাস্তি দেওয়া যাবে না।
মানবাধিকারের সর্বজনীন ওই ঘোষণাপত্রের ৯ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ‘কাউকেই খেয়ালখুশিমতো গ্রেপ্তার বা অন্তরীণ করা কিংবা নির্বাসন দেওয়া যাবে না।’ দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানে এবং জাতিসংঘের মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রে বিনা বিচারে আটক, গ্রেপ্তার সম্পর্কে উপরিউক্ত বিষয় বলা হলেও শেখ হাসিনার সরকারের আমলে তা মোটেও মানা হয়নি। আর এই কারণেই দেশে তৈরি হয়েছিল অসংখ্য গুমখানা বা আয়নাঘর। যেখানে প্রতিনিয়ত ভূলুণ্ঠিত হয়েছে মানবাধিকার, করা হয়েছে মানব অধিকারের প্রতি চরম অবজ্ঞা এবং ঘৃণা। বর্তমান সময়ে জাতির সামনে আয়নাঘরকে ফোকাস করার পাশাপাশি যারা আয়নাঘর বানিয়েছে এবং আয়নাঘরের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের দেশের সামনে, দশের সামনে, জাতির সামনে, বিশ্ববাসীর সামনে বেশি মাত্রায় ফোকাস করা প্রয়োজন।
বর্তমানসহ ভবিষ্যতে কোনো সরকারের আমলেই যেন দেশে এ ধরনের কোনো আয়নাঘরের জন্ম না হয়, তা সুনিশ্চিত করার এখনই উপযুক্ত সময়। আর তা সুনিশ্চিত করতে হবে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই। পাশাপাশি বিনা বিচারে আয়নাঘর বা গুমখানায় আটক রাখার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করাও অত্যাবশ্যক। মানবাধিকার রক্ষার বৃহত্তর স্বার্থেই (প্রয়োজন হলে পলিটিক্যাল অ্যাক্ট প্রণয়ন করে হলেও) বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গুম-খুনের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করার যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করবে- এমনটাই সবার প্রত্যাশা। কারণ, স্মরণে রাখা প্রয়োজন, শুধু মানব পরিবারের সব সদস্যের সমান ও অবিচ্ছেদ্য অধিকারগুলো এবং সহজাত মর্যাদার স্বীকৃতিই পারে সমাজে শান্তি, স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচারের ভিত্তি গড়তে তুলতে, কোনো আয়নাঘর নয়।
লেখক: অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
[email protected]