
আমাদের দেশে এখন যে যতটা বিত্তবান তার ভেতর দেশপ্রেম ততটা কম; এ ক্ষেত্রে তারা যতই ওপরে ওঠে ততই নিচে নেমে যায়। যে বাঙালি শ্রমিক বিদেশে অমানুষিক মেহনত করে, সে নিদ্রায় ও জাগরণে সর্বদাই দেশের কথা ভাবে; কিন্ত এখানকার ধনীরা যখন
দেশে থাকে তখনো থাকে পরবাসী হয়েই।...
পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদীরা যা করেছিল, বিত্তবান বাঙালি জাতীয়তাবাদীরাও ঠিক তা-ই করল। তারা শাসক হয়ে বসল, অন্য জোরে নয়, বিত্তের জোরেই। তারপরের ইতিহাস তো তাদের ক্ষমতা ও ধন বৃদ্ধির নিরবচ্ছিন্ন ইতিহাসই। বিদেশি সাহায্য, ঋণ, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা ও জায়গাজমি দখল, ব্যাংকে গচ্ছিত ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারীদের অর্থ লুণ্ঠন, দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করা, দেশের বাজার বিদেশিদের জন্য খুলে দেওয়া, দেশবাসীর দারিদ্র্য বিদেশিদের কাছে বিক্রি করা, বেসরকারি সাহায্য সংস্থা খোলা, ক্ষুদ্র ঋণ চালু করা, ঘুষ, দুর্নীতি, কল্পনীয়-অকল্পনীয় সব পথে ওই শ্রেণি স্ফীত হয়েছে।
বাংলাদেশের শাসকশ্রেণিকে চেনার উপায় কী? অতীতের ইতিহাস তো আছেই, সেটা মোটেই উজ্জ্বল নয়। বর্তমান দেখেও চেনা যায়। একটা পরিচয় হচ্ছে দেশপ্রেমের অভাব এবং অপরটি দুর্নীতি; এই দুই গুণ আবার পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। আমাদের দেশে এখন যে যতটা বিত্তবান তার ভেতর দেশপ্রেম ততটা কম; এ ক্ষেত্রে তারা যতই ওপরে ওঠে ততই নিচে নেমে যায়। যে বাঙালি শ্রমিক বিদেশে অমানুষিক মেহনত করে, সে নিদ্রায় ও জাগরণে সর্বদাই দেশের কথা ভাবে; কিন্তু এখানকার ধনীরা যখন দেশে থাকে তখনো থাকে পরবাসী হয়েই। আর দুর্নীতিতে আজ যে আমরা বিশ্বের সব দুর্নীতিবাজ দেশকে লজ্জায় ফেলে দিয়েছি, তার কারণও ওই শাসকশ্রেণিই। লুণ্ঠনই যাদের প্রধান কাজ তারা নীতি মানবে কেন, তারা যেভাবে পারবে নিজেদের কাজ চালিয়ে যাবে। আর সেটাই ঘটছে। যে জন্য দেশের কোথাও আজ কোনো আইন নেই, নিয়ম নেই, নেই শৃঙ্খলা। রয়েছে কেবল দুষ্কর্মের প্রতিযোগিতা এবং দুষ্কর্মে যে যত পারঙ্গম তাকেই দেখা যাচ্ছে তত প্রত্যক্ষ ও ক্ষমতাদৃপ্ত রূপে। শাসকশ্রেণি যা করে অন্যরা তারই অনুসরণ করে। বাধ্য হয় করতে। সাধারণ মানুষ এসব বীর ও নেতাকে দেখেই শিখছে যা শিখবার। ভালো দৃষ্টান্ত বড়ই বিরল, খারাপ দৃষ্টান্তগুলো ভালোদের ক্রমাগত দুর্বল ও অপ্রাসঙ্গিক করে তুলেছে।
চেনার আরও একটি উপায় আছে বৈকি। সেটা হলো রুচি। এই শ্রেণিটির নিজস্ব রুচি বলতে কিছুই নেই। যেখানে যা পায় আত্মসাৎ করে; এই ব্যাপারটা এদের বস্তুগত জীবনে যেমন সত্য, অবিকল সত্য তেমনি মানসিক জগতেও। কেবলই গোঁজে, শুধুই গোঁজামিল দেয়।
ইংরেজি-বাংলা মিশিয়ে কথা বলে; ইংরেজি উচ্চারণ যে উৎকট হবে সেটা অপ্রত্যাশিত নয়, কিন্তু বাংলাও বলে গ্রাম্য চালে, যেন পরোয়া করে না, স্বেচ্ছাচারী; যা বলে তা-ই ঠিক, কেননা তারা হচ্ছে ক্ষমতাবান, তারা জমিদার। আসলে রুচি দিয়েই মানুষ চেনা সহজ। চেনা যায় এদেরও। ঘর ভরে ফেলে আসবাবে, বিলাসের উপকরণে। দেশি-বিদেশি সামগ্রীর প্রদর্শনী গড়ে তোলে আপন বাসগৃহে। বোঝা যায় সবকিছুই খেয়েছে। খাবে, হজম করার কথা ভাববে না। ছেলেমেয়েদের বিয়েতে গায়েহলুদের আয়োজন করবে যতটা পারা যায় গ্রামীণ প্রথায় ও উৎসাহে, কিন্তু সমান বেগে, একই অনুষ্ঠানে ব্যবস্থা রাখবে ব্যান্ড মিউজিকের, যেখানে তরুণরা তো বটেই, এমনকি বয়স্করাও অত্যন্ত উদ্বেল হয়ে উঠবে নৃত্যপরতায়।
চেনা যায় অবশ্য জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক দেখেও। সম্পর্কটি পুরোনো এবং মোটামুটি অপরিবর্তিত। সেটা হচ্ছে শোষণের। শাসকশ্রেণি ক্ষমতায় আরোহণের প্রচেষ্টায় জনগণকে সঙ্গে নেয়, আন্দোলনে ডাকে, বৈধতা নেওয়ার জন্য কিংবা বিরোধী দলকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ভোট চায়, এবং সমর্থন আদায় করে নেয়; কিন্তু ক্ষমতায় যে-ই আসুক সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে যেকোনো মৌলিক পরিবর্তন ঘটে তা মোটেই নয়। আগে যেমন ছিল এখনো তা-ই, দেশের ভেতরে মূল দ্বন্দ্বটা থাকে শাসকশ্রেণির সঙ্গে জনগণেরই। শাসকশ্রেণির নাম-ঠিকানায় একটা পরিবর্তন এসেছে ঠিকই, পাকিস্তানি শাসকরা চলে গেছে, তাদের জায়গাতে বাঙালি শাসকরা বসেছে, তাতে জনগণের ভাগ্যে যেকোনো পরিবর্তনই আসেনি এমনটাও নয়। উন্নতির ছিটেফোঁটা ছুঁয়ে ও উপচে পড়েছে বৈকি, কিন্তু তাতে সমাজ কাঠামোতে তেমন কোনো রদবদল ঘটেনি, শাসক ও শাসিতের সম্পর্ক সেই আগের মতোই রয়ে গেছে।
ইতোমধ্যে আবার রয়েছে মৌলবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের উৎপাত। কেউ কি অস্বীকার করবেন যে, মৌলবাদ ক্রমশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে না? মৌলবাদীরা জঙ্গি আকার ধারণ করছে? মোটেই অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু মৌলবাদীদের যে এমন বাড়বাড়ন্ত তার কারণ কী, রহস্যটা কোথায় সেটা দেখতে হবে। কোনো সন্দেহ নেই যে, মৌলবাদ তথা ধর্মীয় ফ্যাসিবাদ চাঙ্গা হচ্ছে শাসকশ্রেণির কার্যকর আশ্রয়ে ও প্রশ্রয়ে। সত্য কেবল এটা নয় যে, শাসকশ্রেণি এদের ব্যবহার করে, নিজেদের স্ফীত করার লক্ষ্যে। সত্য এটাও যে, ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের যে সামাজিক ভূমি সেটা তৈরি এবং তাতে বারিসিঞ্চনের কাজটিও শাসকশ্রেণিই করে, কখনো কখনো হয়তো বা করে থাকে ইচ্ছা-নিরপেক্ষভাবেই। ওই দুই কর্ম তারা সম্পন্ন করে দুই পন্থায়- এক. বৈষম্য বৃদ্ধি; দুই. দারিদ্র্য সৃষ্টি। বৈষম্য ও দারিদ্র্য আবার পরস্পর নির্ভরশীল, বৈষম্য যত বাড়ে সমষ্টিগত দারিদ্র্যও তত বাড়ে এবং দারিদ্র্য বৃদ্ধিও বৈষম্য বৃদ্ধির কারণ হয় বৈকি।
আমাদের শাসকরা মাদরাসা শিক্ষার একনিষ্ঠ সমর্থক। ওই শিক্ষা যত বাড়ছে ততই বৈষম্য এবং দারিদ্র্য দুটোই দৃশ্যমান ও বেগবান হয়ে উঠছে। কেননা দরিদ্ররাই মাদরাসায় পড়তে যায় এবং পরে বেকার হয়। অর্থাৎ দারিদ্র্যের যে পাপচক্র তার মধ্যেই আবদ্ধ হয়ে থাকে। অথচ তত দিনে তাদের ওই শিক্ষার একটা অভিমান গড়ে উঠেছে। তারা মনে করে তারা শিক্ষিত, অথচ দেখে যে তাদের শিক্ষা তাদের না দিচ্ছে সম্মান, না সম্ভব করছে চাকরি পাওয়া। এই বেকারদের ভেতর তীব্র ক্ষোভ জেগে ওঠে, এরা হিংস্র হয়ে পড়ে। বিশেষ করে এই জন্য যে, এরা বৈষম্য দেখে। দেখে বিত্তবানদের ছেলেমেয়েরা কেমন ফুরফুর করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিত্তবানদের গায়ে যে হাত দেবে তা পারে না, সেখানে নানা রকমের পাহারা আছে। তাই এরা বৃদ্ধি করে ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দলের শক্তিকে, যোগ দেয় ক্যাডার হিসেবে। সুযোগ-সুবিধা তো কিছু পায়ই, একটা বীরত্বপূর্ণ কাজে লিপ্ত রয়েছে এ ধরনের সন্তোষও অর্জন করে। আর নিজেদের বিতৃষ্ণাকে শানিত করে তাদের বিরুদ্ধে যারা ধর্মনিরপেক্ষ, ইহজাগতিক, উদার রাজনৈতিক, সর্বোপরি যারা সমাজ পরিবর্তনে বিশ্বাসী। মেয়েদের প্রকাশ্যে চলাফেরা করতে দেখলে বলে বেশরম, বামপন্থিদের বলে নাস্তিক।
শাসকদের শোষণ প্রক্রিয়া দারিদ্র্য বৃদ্ধি করে। স্বাভাবিক নিয়ম এটা যে, যত দারিদ্র্য বাড়বে তত বাড়বে মানুষের অসহায়তা। আর মানুষ যত অসহায় হবে ততই দেখবে যে তার কোনো আশ্রয় নেই, তাকে যেতে হবে ধর্মের কাছে। দারিদ্র্য বৃদ্ধির সঙ্গে ধর্মীয় ফ্যাসিবাদ বৃদ্ধির এই অন্তরঙ্গ যোগসূত্রটি অনেকে বুঝতে চান না এবং না বুঝে ভাবেন যে কেবল বিরক্তি প্রকাশের মাধ্যমেই বাস্তবতাকে তারা পাল্টে দিতে পারবেন। সেটা হওয়ার নয়, সেটা হচ্ছে না।
ওদিকে শাসকশ্রেণির মানুষদের নিজেদের মধ্যেও প্রবণতা আছে ধর্মের কাছে আশ্রয় খোঁজার। তাদের জীবনে যে শূন্যতা রয়েছে, রয়েছে স্থূল বস্তুতান্ত্রিকতা, কারও কারও মধ্যে রয়েছে অপকর্মের স্মৃতি, তা তাদের ‘আধ্যাত্মিক’ করে তোলে। তদুপরি রয়েছে আত্মপরিচয়ের সংকটও। এমনকি ধর্মীয় অনুষ্ঠানকেও যে এরা বিনোদন লাভের উপায় করে তোলে, এমন অভিযোগও মিথ্যা নয়। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দিয়ে, মাদরাসা খুলে, প্রতিযোগিতামূলক ও আন্তরিকতাহীন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এদের অনেকেই সন্তুষ্টচিত্তে মনে করে যে পরকালের জন্য পুঁজি সঞ্চয় করছে; ইহকালের সুখটাকে পরকালেও প্রলম্বিত করবে বলে তারা ভরসা রাখে। মোট কথা, আমাদের শাসকশ্রেণিই দায়ী ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের বিকাশ ও বিস্তারের জন্য। এবং তারা যতদিন শাসন ক্ষমতায় আছে ততদিন ওই ব্যাধি থেকে নিস্তারের আশা খুবই কম। নেই বললেই চলে।
আর ওই যে সাম্রাজ্যবাদীরা, যারা নিজেদের ভাবে অত্যন্ত আধুনিক ও প্রগতিশীল, তারাও কিন্তু ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের পৃষ্ঠপোষক। সাম্রাজ্যবাদীরা যে পুঁজিবাদী ব্যবস্থার রক্ষক, সেই ব্যবস্থা চরিত্রগতভাবেই বৈষম্য ও দারিদ্র্য সৃষ্টিতে বিশ্বাসী। সেটা হচ্ছে পরোক্ষ পৃষ্ঠপোষকতা; প্রত্যক্ষভাবেও যে এরা মৌলবাদীদের প্রশ্রয় দেয় সেটা তো জ্ঞাত সত্য। এখন যেসব তালেবানকে মানব-ইতিহাসের নিকৃষ্টতম সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে তারা তো মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীদেরই সৃষ্টি। উদ্দেশ্য ছিল আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নকে হটানো; সোভিয়েত ইউনিয়ন আজ নেই, তাই তালেবানদের পিতা-পুত্রে এখন ভীষণ সংঘাত। সন্দেহ নেই যে সমাজতন্ত্রীদের যদি পুনরুত্থান ঘটে তাহলে এই দুই পক্ষ আবার এক হয়ে যাবে। এখন এক পক্ষ বলে ক্রুসেডের কথা, অন্য পক্ষ ডাক দেয় জিহাদের; বোঝা যায় ধর্মীয় ফ্যাসিবাদী চেতনা উভয়ের ভেতরই কার্যকর। তা ছাড়া আমেরিকার তো ‘শত্রু’ দরকার, নইলে অস্ত্র বিক্রি ও ব্যবহার করবে কোথায়, এককালে শত্রু ছিল কমিউনিস্টরা, এখন শত্রু হয়েছে ইসলামি সন্ত্রাসীরা।
আমাদের শাসকশ্রেণি নিজেদের বলে জাতীয়তাবাদী; তাদের এই জাতীয়তাবাদ মোটেই সাম্রাজ্যবাদবিরোধী নয়; উল্টোটাই বরঞ্চ সত্য, এই জাতীয়তাবাদীরা সবাই সাম্রাজ্যবাদের অনুগ্রহলোভী ও অত্যন্ত অনুরক্ত।
মুরুব্বিকে কে কতটা তোয়াজ করতে পারবে এ নিয়ে তাদের ভেতর ভীষণ প্রতিযোগিতা। কারণ একই, এরা মনে করে যে ক্ষমতায় যেতে হলে তো বটেই, গিয়ে টিকে থাকতে হলেও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের তুষ্টিসাধন প্রয়োজন হবে; জনগণের রায়ের চেয়েও মুরুব্বির কৃপাদৃষ্টিকে এরা অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে, কেননা এই যে জনগণের রায় সেটি নিজেও এই কৃপাদৃষ্টি পাওয়া-না পাওয়া দ্বারা প্রভাবিত হবে বলে তাদের ধারণা। পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদীরা মার্কিন কৃপার আকাঙ্ক্ষী ছিল; বাঙালি জাতীয়তাবাদীরাও ওই জায়গাতেই আটকা পড়েছে।
এ যুগে যে জাতীয়তাবাদী সব সাম্রাজ্যবাদবিরোধী হতে অসম্মত বা অসমর্থ হবে, তাদের অনিবার্য বিধিলিপি এটাই। সেজন্যই এ কথাটা বলতে হয় যে, সাম্রাজ্যবাদীরা যে আমাদের স্বাধীনতা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে সেটা ঠিক নয়, আমাদের শাসকশ্রেণিই বরং আগ বাড়িয়ে নিজেদের সাম্রাজ্যবাদের বলয়ের ভেতর সবেগে নিক্ষেপ করেছে। এই আত্মসমর্পণ তাদের চরিত্রের ভেতরেই প্রোথিত। সাম্রাজ্যবাদীরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেনি, উল্টোটাই করেছে, বিরোধিতা করেছে; কিন্তু যুদ্ধের পরে যারা রাষ্ট্রক্ষমতা পেয়েছে তারা ভাবতেই পারেনি সাম্রাজ্যবাদের সমর্থন ছাড়া কেমন করে টিকে থাকবে। শেখ মুজিবুর রহমান যে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছিলেন তা নয়, কিন্তু পরিস্থিতির কারণে তিনি সমাজতন্ত্রের কথা বলছিলেন; সেজন্য তাকে সরে যেতে হয়েছে, পরে যারা এসেছে তারা সবাই সাম্রাজ্যবাদের নিরাভরণ মুখাপেক্ষী।
লেখক: ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়