নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আপিল শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন সিলেট-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান ও সিলেট-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ও মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) তাদের আবেদন মঞ্জুর করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।
আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোকাব্বির খান ও ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল।
গতকাল সোমবার নির্বাচন ভবনে আপিল শুনানির দ্বিতীয় দিনে মোকাব্বির খানের আবেদন মঞ্জুর করা হয়। এর আগে ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।
সে সময় জানানো হয়, মনোনয়নপত্রে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি হিসেবে নিজেই স্বাক্ষর করেছেন মোকাব্বির খান। তবে তিনি যে দলটির নির্বাহী সভাপতি এবং তার স্বাক্ষরেই মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দ হবে তার পক্ষে কোনো প্রমাণ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে উপস্থাপন করতে না পারায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
আজ সকাল ১১টায় আপিল শুনানির তৃতীয় দিনে ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলালের আবেদন মঞ্জুর করা হয়। গত ৪ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের পর তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন জেলা প্রশাসক। তখন জানানো হয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি যেসব ভোটারের নাম ও স্বাক্ষর দিয়েছিলেন, সেগুলো যাচাই-বাছাই করে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
সংসদ সদস্য গণফোরাম নেতা মোকাব্বির খান বলেন, ‘অত্যন্ত তুচ্ছ কারণে আমার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল। এজন্য আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষজন মনোক্ষুণ্ন ছিল। প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে ভালো লাগছে।’
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল বলেন, ‘ভোটারের নাম ও স্বাক্ষর সঠিক নয় বলে আমার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছি। এর মাধ্যমে আমার নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষজনের চাহিদার প্রতিফলন ঘটেছে। কারণ এই সাধারণ জনগণের চাহিদার মূল্য দিতেই আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি।’
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয় ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তির সময় ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
সিলেট ব্যুরো/সালমান/