ঢাকা ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে ১৪ দলকে পাশে চান ড. মোমেন

প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:০৮ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:০৩ এএম
অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে ১৪ দলকে পাশে চান ড. মোমেন
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে ১৪ দলকে পাশে চান সিলেট-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। খবরের কাগজ

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলকে পাশে চান সিলেট-১ (মহানগর-সদর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। 

সিলেটে ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘এখনো দেশে-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। নির্বাচনে অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। তাই আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ১৪ দলীয় জোট শুধু নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট নয়, এটি একটি আদর্শ, দেশপ্রেম, জাতীয় চেতনার প্ল্যাটফর্ম। তাই ঐক্যবদ্ধ থেকে সব অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে সিলেটের ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বৈঠক হয়। 

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিক ধারাকে টিকিয়ে রাখতে চাই। সেজন্য একটি অবাধ সুষ্ঠু আদর্শ নির্বাচন আয়োজনে আমরা বদ্ধপরিকর। নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেজন্য একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। নির্বাচনের সময় তারাই সর্বেসর্বা। কাজেই এখানে জাল ভোট, ভোট কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। আমরা গণতন্ত্র চাই। তবে নির্বাচনবিরোধী বিএনপি-জামায়াত অবাস্তব দাবি তুলে নির্বাচন নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র করছে।’

সংঘাতহীন শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সরকারের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা সেই উত্তরাধিকারী যারা উনসত্তরের নির্বাচনে জয়লাভের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র, আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের জন্য লড়াই করে ৩০ লাখ শহিদের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আওয়ামী লীগ জনগণের সমর্থন ও রায়কে বিশ্বাস করে। তাই যারা দেশের সম্পদ ধ্বংস করে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় যেতে চায়, তাদের ভোটের জাগরণ জোয়ার তুলে উচিত শিক্ষা দিতে হবে।’

১৪ দলের বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। 

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ফয়জুল আনোয়ার ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ বক্তব্য দেন।

বৈঠকে সিলেটের প্রবীণ বাম রাজনীতিবিদ জাসদ সিলেট জেলার সভাপতি লোকমান আহমদ, ওয়ার্কার্স পার্টি সিলেট জেলার সভাপতি মো. সিকন্দর আলী, গণতন্ত্রী পার্টি সিলেট জেলা সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গুলজার আহমদ, সাম্যবাদী দল সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক ব্রজগোপাল চৌধুরী, জাতীয় পার্টি (জেপি) সভাপতি ইফতেখার আহমদ লিমন, জাসদ সিলেট মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. ফারুক আহমদ, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. জুনেদুর রহমান চৌধুরী, মহানগরের সভাপতি অধ্যক্ষ প্রাণকান্ত দাস, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র কাপালি, দপ্তর সম্পাদক আজিজুর রহমান খোকন, জাতীয় যুব জোট জাসদের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদ চৌধুরী, সাম্যবাদী দল সিলেটের মো. আজাদ মিয়া, সদস্য সজল রায়, জাতীয় পার্টি জেপির সিলেটের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক, ওয়াকার্স পার্টি সিলেটের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক দীনবন্ধু পাল উপস্থিত হয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

শাকিলা ববি/সাদিয়া/অমিয়/

নোয়াখালীতে হান্নান মাসউদের মোটরসাইকেল র‍্যালিতে হামলা

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৫, ০৮:৫৩ এএম
আপডেট: ১০ জুন ২০২৫, ০৯:৩৮ এএম
নোয়াখালীতে হান্নান মাসউদের মোটরসাইকেল র‍্যালিতে হামলা
ছবি: খবরের কাগজ

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় নদীভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদের মোটরসাইকেল র‍্যালিতে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় একজন আহত হয়ে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।

সোমবার (৯ জুন) রাতে, চরঈশ্বর ইউনিয়নের পর্যটনকেন্দ্র কমলার দিঘির পাড় থেকে ফেরার পথে মোটরসাইকেল বহরটি চৌমুহনী বাজারের পশ্চিম পাশে একটি অন্ধকার এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ রাস্তার পাশে লুকিয়ে থাকা একদল দুর্বৃত্ত ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে বহরের সদস্য মো. সাহেদ আহত হয়েছেন।

এর আগেও চৌমুহনী খাদ্যগুদামের সামনে একই ধরনের হামলার শিকার হন হান্নান মাসউদের প্রতিনিধিরা।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) হাতিয়া প্রতিনিধি মো. ইউসুফ রেজা বলেন, 'বহরে থাকা মোটরসাইকেলটিতে তিনজন ছিলেন, সাহেদ, হাসান ও সোহেল। তাদের মধ্যে পেছনে বসা সাহেদ সবচেয়ে বেশি ইটের আঘাতে আহত হন। এ হামলার পেছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ভুক্তভোগীরা।'

এ বিষয়ে আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, 'আমাদের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম এবং রাজনৈতিক অবস্থান অনেকের গাত্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনের কাছে দাবি, দ্রুত হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক।'

হাতিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা বলেন, 'হামলার বিষয়টি আমার জানা নাই অথবা কোনো লিখিত অভিযোগ নাই। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

হানিফ/রিফাত/

‘শিশু’ উপদেষ্টাদের অপকর্মের দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে: কায়কোবাদ

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৫, ০৮:১০ এএম
আপডেট: ১০ জুন ২০২৫, ০৮:১২ এএম
‘শিশু’ উপদেষ্টাদের অপকর্মের দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে: কায়কোবাদ
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের অনেক সদস্যকে ‘শিশু’ আখ্যায়িত করে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ বলেছেন, ‘এই শিশু উপদেষ্টাদের কথা আমি বলতে চাই না। শুধু এটুকু বলব, কোন শিশুকে যদি তার অভিভাবক হাতে ছুরি ধরিয়ে দেয় এবং সেই শিশু যদি ছুরি দিয়ে কাউকে হত্যা করে এইজন্য কি শিশু দায়ী থাকবে? তেমনি করে শিশু উপদেষ্টাদের হাতে ছুরি দিয়ে; ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারা যত অপকর্ম করবে এর জন্য দায়ী থাকবে এই সরকার। ভবিষ্যতে তাদের অপকর্মের বিচার করতে যেয়ে এই সরকারও আসামি হতে পারে।’

সোমবার (৯ জুন) বিকেলে কুমিল্লার মুরাদনগরের ১৬নং ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা এখন থেকে নির্বাচনের কাজে নেমে পড়ুন। নির্বাচন ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় নেই। আপনারা সবাই দোয়া করেন বিএনপি যেন নির্বাচনের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে সরকার গঠন করতে পারে। ইনশাআল্লাহ বিএনপি সরকার গঠন করবে।’ 

স্থানীয় পরমতলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এ জনসভায় সভাপতিত্ব করেন মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন। 

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুস্তাক মিয়া, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান সরকার, সদস্যসচিব এফএম তারেক মুন্সী, যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান সরকার, বিএনপি নেতা সৈয়দ তৌফিক আহমেদ, কাজী জুম্মন বকশী প্রমুখ। 

জনসভা পরিচালনা করেন মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া। 

জহির শান্ত/অমিয়/

খালেদা জিয়ার হস্তক্ষেপে প্রধান উপদেষ্টার বিষয়ে বিএনপির অবস্থান বদল

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৫, ০১:১১ এএম
আপডেট: ১০ জুন ২০২৫, ১১:৩৩ এএম
খালেদা জিয়ার হস্তক্ষেপে প্রধান উপদেষ্টার বিষয়ে  বিএনপির অবস্থান বদল
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। ফাইল ছবি

অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিলেও দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হস্তক্ষেপে সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে বিএনপি। 

জানা গেছে, খালেদা জিয়া ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে সংঘাতে না যাওয়ার জন্য দলটির সিনিয়র নেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন। 

গত শনিবার (৭ জুন) ঈদের দিন রাতে স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সিনিয়র নেতারা খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে গেলে তিনি এই পরামর্শ দেন। 

বিএনপি চেয়ারপারসন নেতাদের বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে সংঘাতে গেলে বিএনপির কোনো লাভ নেই।’

নির্ভরযোগ্য সূত্রের দাবি, বিএনপি চেয়ারপারসনের এই পরামর্শের পর সোমবার (৯ জুন) রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডাকা হয়। এই বৈঠকে খালেদা জিয়ার মতামতের ওপর বিশদ আলোচনা করা হয়। এ বিষয়ে আলোচনার পর কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসার পাশাপাশি ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের বিষয়টিও নিয়ে আলোচনা হয়। 

মঙ্গলবার (১০ জুন) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বৈঠকের এ বিষয়টি জানানো হবে।

সূত্র জানায়, লন্ডনে আগামী শুক্রবার (১৩ জুন) ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। লন্ডনের ডরচেষ্টার হোটেলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এ বৈঠকটি নির্ধারণ করা হয়েছে। 

ঈদের আগের দিন ৬ জুন সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধের যে কোনো দিন অনুষ্ঠিত হবে।’ 

এর পরপরই ওই রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকে আলোচনার পর কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বিএনপি।

দলটি বলছে, এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন হলে আবহাওয়ার সংকট থাকবে। এ ছাড়া রমজানের মধ্যে নির্বাচনি চারণা ও কার্যক্রম এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে, যা নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার কারণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তাছাড়া ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান কেন সম্ভব নয়, এর কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে উল্লেখ করা হয়নি। 

এর পর রাজনৈতিক অঙ্গনে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা সমালোচনা তৈরি হয়। এমন পরিস্থিতির মধ্যে সরকার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার মাধ্যমে লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এবং তারেক রহমানও এই বৈঠকের বিষয়ে সম্মতি জানায়। এরপরই সোমবার রাতে বিএনপি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নির্ধারণ করা হয়। 

ধারণা করা হচ্ছে, আগের কঠোর অবস্থান থেকে সরে এসেছে বিএনপি। 

সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের এই বৈঠককে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। নির্বাচনের রোডম্যাপ, একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচনের আগে প্রধান উপদেষ্টা এবং বিরোধী দলের একজন শীর্ষ নেতার মধ্যে এই ধরনের উচ্চপর্যায়ের আলোচনা দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছে। 

এই আলোচনার ফলাফল দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা কমাতে এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করতে সহায়ক হবে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে সোমবার (৯জুন) সন্ধ্যায় ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। 

সফরকালে সময় বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধান উপদেষ্টা। 

এ সময় তিনি রাজা চার্লসের হাত থেকে গ্রহণ করবেন ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। 

পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যের নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউস আয়োজিত এক সংলাপে অংশ নেবেন। 

আগামী ১৪ জুন দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।

শফিকুল/পপি/

সরকার নিরপেক্ষ হলেও ছাত্র-জনতার ঐক্য রক্ষায় ব্যর্থ: মঞ্জু

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৫, ১২:৩৭ এএম
সরকার নিরপেক্ষ হলেও ছাত্র-জনতার ঐক্য রক্ষায় ব্যর্থ: মঞ্জু
এবি পার্টি আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে দলটির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।

সরকার এখনও নিরপেক্ষ হলেও ছাত্র-জনতার ঐক্য রক্ষায় তারা ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।

তিনি বলেন, ‘এই সরকারের প্রধান সমালোচনা হলো- রাজনৈতিক দল ও ছাত্রদের মাঝে ঐক্য গড়তে তারা ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে, নির্বাচনের সময় ঘোষণায় মিশ্রপ্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে সরকার এখনও নিরপেক্ষ।’

সোমবার (৯ জুন) বিকেলে রাণিরহাটে ফেনী সদর উপজেলার কাজীরবাগ ইউনিয়ন এবি পার্টি আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। 

মঞ্জু বলেন, ‘এতদিন আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল নির্বাচন আদৌ হবে কি না কিংবা হলেও সেটা ডিসেম্বর না জুনে! এখন সবার আলোচনা নির্বাচন ডিসেম্বরে না এপ্রিলে? অর্থাৎ যারা এতদিন নির্বাচন হবে কি হবে না তা নিয়ে দোলাচলে ছিল, এখন তাদের আলোচনা নির্দিষ্ট হয়েছে নির্বাচনকালীন সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে। এভাবে ধীরে ধীরে তর্ক-বিতর্ক ও অবিশ্বাস কমে আসবে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাসহ নতুন বন্দোবস্তের রাজনীতির জন‍্য ঐকমত‍্য প্রতিষ্ঠিত হব।’  

এবি পার্টি ফেনী জেলার সমাজকল্যান সম্পাদক এবি সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সদর উপজেলার যুগ্ম সদস্য সচিব হাফেজ কামরুল হাছানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্রগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম বাদল,জেলা আহবায়ক মাষ্টার আহছান উল্যাহ, ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম কামরুল, ফেনী পৌর আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ সেলিম, সাবেক যুব নেতা মিজান শাহ আলম, সামছুদ্দিন হায়দার মাখন, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক নোমান সাইফুল্লাহ। 

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘ভোটারেরা একসময় দল ও মার্কা দেখে ভোট দিত। কিন্তু দিনের পর দিন অধিকার বঞ্চিত হয়ে তারা চরমভাবে আশাহত। তাদের উচিত হবে এখন আর পুরাতন ছকে বাঁধা না পড়া। মনের মধ‍্যে যে দল বা মার্কার প্রতি দূর্বলতা থাকুক না কেন তাদের কর্তব্য হবে সমস‍্যা সমাধানমূলক প্রস্তাবনাকে সমর্থন করা। যে নেতা সবচেয়ে ভালো সমস‍্যার সমাধান প্রস্তাব করবে তাকেই সমর্থন দেওয়া উচিৎ।’ 

তিনি বলেন, ‘এটাই হবে গণঅভ্যুত্থান ও নতুন রাজনীতির বন্দোবস্ত। বাংলাদেশকে বদলে দিয়ে ঘুরে দাঁড়াবার এ সুযোগ কোনভাবেই নষ্ট করা যাবে না।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টিন জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহের হোসেন বাহার, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত সাজু, কোষাধ্যক্ষ মাস্টার শাহ আলম শাহীন সুলতানী, দপ্তর সম্পাদক মীর ইকবাল, প্রচার ও মিডিয়া  সম্পাদক হাবীব মিয়াজী, সদস্য কাজী জাহাঙ্গীর আলম লিটন, ফখরুল ইসলাম মুরাদ, মাজহারুল ইসলাম জয়, সদর উপজেলার সদস্য সচিব আবু সাইদ খান, যুগ্ম সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম সবুজ, এবি যুবপার্টির আহ্বায়ক শফিউল্যাহ পারভেজ, সদস্য সচিব এসএম ইব্রাহিম সোহাগ, কাজীবাগ ইউনিয়ন আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইলিয়াস, সদস্য সচিব আমান উল্যাহ সোহাগ প্রমুখ।

পপি/

নির্বাচনের প্রশ্নে তারেক রহমানের কথাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত: ফখরুল ইসলাম

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৫, ১২:০৯ এএম
নির্বাচনের প্রশ্নে তারেক রহমানের কথাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত: ফখরুল ইসলাম
কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারে ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষের সঙ্গে গণসংযোগ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন মো. ফখরুল ইসলাম। ছবি: খবরের কাগজ

আগামী নির্বাচনের প্রশ্নে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কথাই দলের নেতা-কর্মীদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও মেট্রো হোমসের চেয়ারম্যান মো. ফখরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘বিগত ১৬-১৭ বছরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোতে জনগণ ভোট দিতে না পেরে এখন স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য তারা উদগ্রীব হয়ে আছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রশ্নে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কথাই দলের নেতা-কর্মীদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’

সোমবার (৯ জুন) দুপুরে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারে ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষের সঙ্গে গণসংযোগ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত আওয়ামী সরকার আমলে ওবায়দুল কাদের ও তার ভাই সন্ত্রাসের গডফাদার মির্জা কাদেরের লালিত সন্ত্রাসী হেলমেট বাহিনীর প্রতিরোধের কারণে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেননি। এখন আর সেই সন্ত্রাস নেই। এখন জনগণ নির্ভয়ে কেন্দ্রে যাবেন। তাই ডিসেম্বরের মধ্য নির্বাচন দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সময়ে কবিরহাট-কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাধারণ ভোটাররা ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন। এ জনপদে আর কখনও সন্ত্রাসের গডফাদার মির্জার মত সন্ত্রাসীর জন্ম হতে দেওয়া হবে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সে নিরিখে আমিও প্রস্তুতি নিচ্ছি। দল যদি আমাকে উপযুক্ত মনে করে মনোনয়ন দেয়, তাহলে আমারও নির্বাচন করার পরিপূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা ন্যায়ের পক্ষে এবং জনগনের পক্ষে কথা বলে যাব। আমরা সব অনিয়ম, অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, লুটতরাজ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলে যাব। তবে এক্ষেত্রে কাউকে কোনো আঘাত দিয়ে নয়, ন্যায়সঙ্গত এবং যৌক্তিকভাবে বলব।’
ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘যারা অতীতে সন্ত্রাস-লুটপাট-অনিয়ম করেছে, তারা ছাড়া দেশের সব মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। তারা একটি গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরা বর্তমান সরকারসহ সবাইকে বলব, আপনারা নিরপেক্ষ থাকুন। জনগন বা ভোটাররা যেন স্বাধীনভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থী ও প্রতীকে ভোট দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করুন। সন্ত্রাসী ও লুটেরা সংখ্যায় অল্প কয়েকজন। জনগণ যেহেতু ঐক্যবদ্ধ, সেহেতু এ গোষ্ঠী কিছুই করতে পারবে না। একটি শান্তিপূর্ণ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমেই এখানে শান্তি ফেরানো সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমানের দলীয় নির্দেশনা মোতাবেক আমরা এগিয়ে যাব। তার ঘোষণা, আগামী নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিযোগীতা ও প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ হবে। সেখানে সহজ উপায়ে নির্বাচিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এখানে এখন সন্ত্রাসী ওবায়দুল কাদের, কাদের মির্জা বা তাদের লালিতপালিত কোন সন্ত্রাসী নেই। তাদের পুনরুত্থানের কোনো সম্ভবনাও নেই। এ গোষ্ঠীর আবির্ভাবের সম্ভাবনা যেখানেই দেখা যাবে সেখানেই এদের প্রতিহত করা হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আফতাব আহমেদ বাচ্চু, আনিসুল হক, সদস্য একরামুল হক মিলন, হারুনুর রশীদ ভূঁইয়া, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান টিপু, গোলাম হায়দার শাহীন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিন উদ্দিন ছোটন, বসুরহাট পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নুর উদ্দিন ফাহাদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম চৌধুরী স্বপন, যুগ্ম আহ্বায়ক নাছের মেম্বার, সদস্য সচিব আবুল বাশার, চরপার্বতী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক মাইন উদ্দিন, চরফকিরা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা হাজী শাহজাহান, যুবদল নেতা শিহাব উদ্দিন রিপন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজ আজমীরসহ সহস্ত্রাধীক স্থানীয় নেতরা।

মজনু/পপি/