ঢাকা ৩০ কার্তিক ১৪৩১, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হওয়ায় আন্দোলন ব্যর্থ হচ্ছে: রাশেদ খান

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:২১ এএম
রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হওয়ায় আন্দোলন ব্যর্থ হচ্ছে: রাশেদ খান
ছবি : সংগৃহীত

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হওয়ায় আন্দোলন ব্যর্থ হচ্ছে। ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে জনগণ যে ঐক্যবদ্ধ, এর প্রমাণ তারা দিয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হওয়ায় জনগণ সম্পৃক্ত হচ্ছে না। এ কারণেই আন্দোলন বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। 

কারাবন্দি নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত এক প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।

রাশেদ খান বলেন, নির্বাচন কমিশন একেক সময় একেক বক্তব্য দিয়েছে, ভোটের হার নিয়ে তারা জালিয়াতি করেছে। শোনা যাচ্ছে, রাতেই নাকি ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। যাতে জনগণ ভোটকেন্দ্রে না গেলেও ভোটের হার কিছুটা বেশি দেখানো যায়। জালিয়াতির পর সরকার এখন বলে বেড়াচ্ছে তাদের নাকি যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, জাতিসংঘ স্বীকৃতি দিয়েছে, অভিনন্দন জানিয়েছে। গতকাল জাতিসংঘ বলেছে, তারা তাদের আগের অবস্থান থেকে সরে যায়নি, রীতি অনুযায়ী অভিনন্দন জানিয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্র আবারও বলেছে, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। কিছু কিছু দেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের জায়গা থেকে অভিনন্দন জানাতে পারে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, সবাই অবৈধ নির্বাচন মেনে নিয়েছে।

আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেক জায়গায় বিএনপিসহ আমাদের আন্দোলনের ব্যর্থতা খুঁজে বেড়ানো হচ্ছে। কিন্তু আমরা কি আসলেই ব্যর্থ? সরকার কীভাবে নির্বাচন করেছে, সেটা তো সরকারের সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকই বলে দিয়েছেন। বিএনপির মহাসচিব থেকে শুরু করে ৩০ হাজার নেতা-কর্মী জেলে, গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সাজা দেওয়া হয়েছে, জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে বাংলাদেশকেই ওরা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।

তিনি আরও বলেন, শুধু ঘরে বসে ফেসবুকে প্রতিবাদ জানালেই আন্দোলন তৈরি হবে না। আর যদি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপ ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে, সেটি ভুল। তারা হয়তো গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলবে, কিন্তু রাজপথে আন্দোলন আমাদেরই করতে হবে।

প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন। ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফাতিমা তাসনিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, মশিউর রহমান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জাল হোসেন, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোবারক হোসেন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।

সবুজ/সালমান/

বিএনপি ক্ষমতায় এলে আহতদের পুনর্বাসন করা হবে: সালাহউদ্দিন আহম্মেদ

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ পিএম
আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ পিএম
বিএনপি ক্ষমতায় এলে আহতদের পুনর্বাসন করা হবে: সালাহউদ্দিন আহম্মেদ
সাংবাদিকদের উদ্দেশে কথা বলছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত

আগামী দিনে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে সব আহতকে পুনর্বাসন করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ। 

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। এ সময় তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আহতদের ৫ লাখ টাকা সহায়তা দেন।

সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন আহতদের পাশে থাকতে। গত রাতে তিনি ৫ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। সেটা পৌঁছে দিতে এসেছি এখানে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে এখনো ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী কীভাবে মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়ায়। কীভাবে দেশে রাজনীতি করার কথা বলে আমরা বুঝি না!’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

সংবিধানে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের সংস্কার চান তারেক রহমান

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১০ পিএম
সংবিধানে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের সংস্কার চান তারেক রহমান
ছবি: সংগৃহীত

মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে, সংবিধানে এমন সংস্কার চান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এক সেমিনারে তিনি বলেন, ‘সংস্কারের উদ্দেশ্য বলতে সেটিই বুঝি, যে সংস্কারের মাধ্যমে সংবিধানের কয়েকটি বাক্য নয় বরং মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। অর্থাৎ একজন মানুষের রোজগারের ব্যবস্থা হবে, তার ও পরিবারের আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা এবং সঞ্চয় নিশ্চিত হবে।’

বৃহষ্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা: ৩১ দফার আলোকে সংস্কার’ প্রস্তাব নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করে বিএনপি। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ, ভারত, চীন, রাশিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, নরওয়ের রাষ্ট্রদুত এবং পাকিস্তান, সৌদি আরবসহ ৩৮ দেশের কূটনীতিক, সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

তারেক রহমান বলেন, বর্তমানে আলোচিত প্রায় সব সংস্কার প্রস্তাবই আমাদের ৩১ দফায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের এই রূপরেখা তৈরি হয়েছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা, খালেদা জিয়ার ভিশন ২০৩০, বিএনপির জনসম্পৃক্ততা ও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার আলোকে প্রথমে প্রদত্ত ২৭ দফার ওপর ভিত্তি করে।

তিনি বলেন, আমি সংস্কার বলতে বুঝি- যে সংস্কার কর্মসংস্থানের মাধ্যমে প্রতিটি নারী ও পুরুষের বেকারত্ব সমস্যার সমাধান করবে, নারীদের সম্মান, স্বাধীনতা ও ক্ষমতায়ন এবং মানুষের জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। যে সংস্কার দেশের সন্তানদের আধুনিক শিক্ষা ও নৈতিক মূল্যবোধ, মানুষকে কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম স্থিতিশীল এবং কৃষক, শ্রমিক ও সব কর্মজীবী মানুষের ন্যায্য এবং প্রাপ্য মজুরি নিশ্চিত করবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে স্বৈরাচারী ব্যবস্থা যেন ফিরে না আসতে পারে সেজন্য কেউ পরপর দু’বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না। আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য রাখতে চাই। রাষ্ট্র পরিচালনায় সমাজের জ্ঞানী-গুণীদের প্রতিনিধিত্ব এবং অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদীয় ব্যবস্থার প্রবর্তন করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য তরুণ ও বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান, আর কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত বেকার ভাতা প্রবর্তন। আমরা নিশ্চিত করতে চাই- সর্বস্তরে নারীর অংশগ্রহণ, তৃণমূলের ক্ষমতায়ন এবং আবারো ঐতিহাসিক খাল কাটা কর্মসূচির বাস্তবায়ন। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, জ্বালানি, জলবায়ু, অর্থনীতি- সব ক্ষেত্রে আনতে চাই যুগোপযোগী আমূল পরিবর্তন। যেন তৈরী হয় দক্ষ মানবসম্পদ; বৃদ্ধি পায় রপ্তানিমুখী শিল্প ও প্রবাসীদের রেমিট্যান্স, স্থাপিত হয় মেধাভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা।

তারেক রহমান আরো বলেন, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা, কৃষক ও উৎপাদনকারীদের জন্য ন্যায্য মূল্য, চাহিদাভিত্তিক শিক্ষা ও বহুভাষার প্রশিক্ষণ, বহুমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা, এবং সবার জন্য পর্যায়ক্রমিক আবাসন সুবিধা ও সামাজিক সুরক্ষা- এই পরিকল্পনাগুলোকে ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-গোষ্ঠী- সমতল-পাহাড়ি নির্বিশেষে সুষম ও সমঅধিকারের আধুনিক বাংলাদেশ নির্মাণে একটি ঐকমত্যের ভিশন বলেই আমি মনে করি।

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, দেশের প্রয়োজন এবং মানুষের চাহিদার সঙ্গে মানিয়ে নিতে ৩১ দফাকে সংযোজন, বিয়োজন, পুনর্বিন্যাস বা পরিবর্তনও করা যেতে পারে। তবে তা হবে জনমতের ঐক্যের মাধ্যমে। এই ৩১ দফাই একদিন আমাদের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য তথা সুখী ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ অর্জনের দ্বার উন্মোচন করবে- যা বিশ্ব মানচিত্রে কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ, শিল্পায়নে সাফল্যমণ্ডিত, অর্থনীতিতে গতিশীল, মানবসম্পদে সমৃদ্ধ, এবং সামাজিকভাবে ঐক্যবদ্ধ একটি প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত পাবে।

তারেক রহমান বলেন, আমাদের রাজনৈতিক দর্শনে ভিন্নতা আছে, সেটিই স্বাভাবিক। তবে ভিন্ন-ভিন্ন রাজনৈতিক ধারার মাঝেও বৃহত্তর পরিসরে আমাদের সবার মাঝে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আদর্শিক ঐকমত্য রয়েছে। আমরা সবাই এমন দেশ গড়তে চাই, যেখানে আর কখনো ফ্যাসিবাদ বা স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে না। আমরা সবাই একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ চাই, যেখানে জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতা কেউ কেড়ে নেবে না। নির্বাচিত ও জবাবদিহিমূলক সরকার নিশ্চিত করবে জনগণের মালিকানা ও অংশীদারত্ব।

শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা খুন, হামলা, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়লেও তাদের শাস্তি দেওয়া হয়নি বলে মন্তব্য করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেড় হাজারেরও বেশি গণতন্ত্রকামী মানুষকে হত্যা করার পরেও আওয়ামী লীগের কোনো নেতার অনুতাপ বা অনুশোচনা নেই। অপরদিকে বিএনপির ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা থাকার পরও কেউ বিচ্ছিন্নভাবে কোনো অপরাধে জড়িত হলে আমরা জানামাত্রই দ্রুত সাংগঠনিক পদক্ষেপ নিয়েছি।

তারেক রহমান বলেন, পতিত ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনার রাজনীতির ভিত্তি ছিল দুর্নীতি, দুঃশাসন ও দুর্বৃত্তায়ন। অন্যদিকে জনগণের ভোটে বিএনপি যদি সরকার গঠন করে তাহলে ৩১ দফার আলোকে জনগণের ক্ষমতায়ন ও অংশীদারিত্বের রাজনীতি দেখতে পারবেন। আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার ভিত্তি হবে আইনের অনুশাসন, মানবাধিকার এবং বাকস্বাধীনতা। আমরা যদি একটি রুলস-বেসড রাষ্ট্র কাঠামো নিয়ে আসতে পারি তাহলে বিশ্ব থেকে বিভিন্ন বিনিয়োগ নিজ গতিতেই বাংলাদেশে আসবে।

গত ১৬ বছরে গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তির স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে হরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে তারেক রহমান বলেন, বিএনপি সরকারের সময় মিডিয়া নির্ভয়ে সরকারের সমালোচনা করতে পারতো, কার্টুন আঁকতে পারতো। আমরা এমন একটি রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তুলবো যেখানে প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিষয়ে মন্তব্যের দায়ে কাউকে হেনস্থা করা হবে না। নাগরিক, মানবাধিকারকর্মী, সংবাদকর্মী ও সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সারদের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে ইনশাআল্লাহ।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন পরিশেষে আমি বলতে চাই, গত ১৬ বছর ধরে এবং জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে যারা ফ্যাসিবাদ-বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন তাদের সবার আত্মত্যাগের যথাযথ স্বীকৃতি দিয়ে প্রতিটি শ্রেণী-পেশার মানুষের অংশগ্রহণকে সম্মান জানিয়ে লুণ্ঠিত ভোটাধিকার ফিরিয়ে এনে এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে একটি সত্যিকার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের সবাইকে এক হয়ে এগিয়ে যেতে হবে বহু দূরে। এই অগ্রযাত্রার গতি হতে হবে দ্রুত তবে স্থির; লক্ষ্য হতে হবে সুনির্দিষ্ট।

সভাপতির বক্তব্য মির্জা ফখরুল বলেন, চলমান সময়ে চাওয়া সংস্কারগুলোর সঙ্গে আমাদের অধিকাংশ দফার মিল আছে। আমরা বিশ্বাস করি, ঐক্যবদ্ধ থেকে সফলতা অর্জন করতে পারব। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও কেন লেখা, বাক স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে হয়। ছাত্র জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ঘাড়ে বসে থাকা ফাসিবাদকে সরাতে পেরেছি।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও মিডিয়া সেলের সদস্য এডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুলের সঞ্চলনায় আরও বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম), রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এলিনা খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণফোরামের  সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনডিএম এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এহসানুল হুদা, এনপিপির চেয়ারম্যান এডভোকেট ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার সিনিয়র সহ সভাপতি রাশেদ প্রধান প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

ভাসানী এত অবহেলিত কেন, প্রশ্ন বাংলাদেশ ন্যাপের

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৭ পিএম
আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৭ পিএম
ভাসানী এত অবহেলিত কেন, প্রশ্ন বাংলাদেশ ন্যাপের
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি

‘মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর স্বপ্নের বাংলাদেশ আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ৪৭-এ ব্রিটিশবিরোধী আজাদী আন্দোলন, ৪৯’র সদ্য স্বাধীন পাকিস্তানে প্রথম বিরোধী দল গঠন, ৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৬৯’র গণ-অভ্যুত্থান, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলন, ভারতীয় পানি আগ্রাসনবিরোধী লংমার্চ- কোথায় নেই ভাসানী ? তবুও মওলানা ভাসানী এত অবহেলিত কেন ?’- শাসকগোষ্ঠীর কাছে এই প্রশ্ন রেখেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ)। 

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ প্রশ্ন রাখেন।

আগামী ১৭ নভেম্বর মওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালনের আহ্বান জানিয়ে নেতারা বলেন, “স্বাধীন বাংলাদেশের এই অন্যতম রূপকারকে ‘রোল মডেল’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার সুযোগ এখনো আছে। সেই সুযোগ গ্রহণ করে ভুল সংশোধন করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। বর্তমান সরকার সেই দায়িত্ব পালন করবে বলে সমগ্র জাতি প্রত্যাশা করে।” 

তারা বলেন, ‘মওলানা ভাসানী আমৃত্যু সাম্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদবিরোধী লড়াই আর কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অবতীর্ণ ছিলেন। ভাসানীকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে। মওলানা ভাসানীর প্রদর্শিত পথে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

নেতারা বলেন, ‘রাজনীতি আর সংগ্রামের মাধ্যমে একটি জাতিকে জাগিয়ে তুলেন যিনি, তিনিই ভাসানী। ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে এক প্রবলপ্রাণ বিদ্রোহের নাম, মানবতার তূর্যবাদক এক সেনানীর নাম মওলানা ভাসানী। মজলুম জননেতা ৯৬ বছর বয়সে ১৯৭৬ সালের ১৬ মে ফারাক্কা লংমার্চের মাধ্যমে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের বীজ বপন করেছিলেন। মওলানা ভাসানীকে তাদের ধারণ করতে হবে, তাহলেই মুক্তি।’

তারা বলেন, ‘মওলানা ভাসানী রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাননি বটে, তবে তিনি রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তনের অনুঘটক ছিলেন। আজ মওলানা ভাসানীকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা জানে না, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন মওলানা ভাসানী দেশপ্রেমিক মানুষের হৃদয়ে থাকবেন।’

নেতারা বলেন, ‘বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের স্বপ্নদ্রষ্টা মওলানা ভাসানী স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অন্যতম রূপকার ও স্বপ্নদ্রষ্টা। তাকে মৃত্যুর এত বছর পরও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে অপারগতা এই রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিদের ব্যর্থতা ও সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচায়ক।’

তারা আরও বলেন, ‘মওলানা ভাসানী জীবনের শুরু থেকে শেষ অবধি দেশ, মাটি আর মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন। একটি শোষণহীন, অসাম্প্রদায়িক, সাম্য আর পালনবাদী সমাজব্যবস্থার জন্য নিজের জীবনের সর্বস্ব ত্যাগ করেছেন। মানব মুক্তির আদর্শ থেকে তিনি এক দিনের জন্যও বিচ্যুত হননি বা অবসর খোঁজেননি। জীবনের প্রায় প্রতিটি বছর, মাস, সপ্তাহ, দিন তিনি আন্দোলন, সংগ্রাম, কর্মসূচির মধ্যেই থেকেছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এত দীর্ঘকালব্যাপী ও ধারাবাহিকভাবে কেউ সক্রিয় আন্দোলন, সংগ্রাম, কর্মসূচির ভেতর থেকেছেন এমন ব্যক্তির সংখ্যা নেই বললেই চলে।’

সালমান/

কোনো সরকারই রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের প্রাপ্য সম্মান দেয়নি: জামায়াত আমির

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৪ পিএম
কোনো সরকারই রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের প্রাপ্য সম্মান দেয়নি: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ফাইল ছবি

রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের হাড়ভাঙা পরিশ্রমে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকলেও কোনো সরকারের আমলেই প্রবাসীরা তাদের প্রাপ্য সম্মান পাননি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘দেশ গঠনে প্রবাসীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জামায়াত রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে প্রবাসীদের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি দেশে প্রবাসীদের বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে।’

গতকাল বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাতে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে স্থানীয় ব্যাংকুইটিং হলে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

গত ১৬ বছরের জুলুম-নির্যাতনের কথা তুলে ধরে জামায়াতের আমির বলেন, ‘হাসিনা সরকারের প্রথম পদক্ষেপ ছিল ৫৭ জন দেশপ্রেমিক চৌকস সেনা অফিসার হত্যা করে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করা। এ ছাড়া ১১ জন শীর্ষ নেতাকে বিচারিক হত্যা করা হয়েছে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এসব হত্যাকাণ্ডের আইনানুগ বিচার হওয়া উচিত।’

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আপনারা আমাদের মধ্যে কোনো ভুল দেখলে শুধরে দেবেন। আপনারা সহযোগিতা করলে আমাদের জন্য দীনের পথে চলা অনেক সহজ হবে।’

এতে আরও বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ ইসমাঈল, মাওলানা এ টি এম মুকাররম হুসাইন, মাওলানা সাইফুদ্দীন প্রমুখ। বক্তারা জুলাই-আগস্টে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে শহিদদের স্মরণ করেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করেন। 

ভারতের ইউটিউব চ্যানেলের বক্তব্যের প্রতিবাদ

ভারতের ইউটিউব চ্যানেল রিপাবলিক বাংলা টিভির উপস্থাপকের ‘চট্টগ্রামকে ভারতের অংশ করার’ উসকানিমূলক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। 

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ভারতীয়দের এই ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপের শামিল। ভারতীয়দের এই ধরনের অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানানো ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

আ.লীগের ষড়যন্ত্র দৃঢ় হাতে দমন করতে হবে: আমিনুল হক

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৫ পিএম
আ.লীগের ষড়যন্ত্র দৃঢ় হাতে দমন করতে হবে: আমিনুল হক
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে পল্লবী রূপনগরে ফ্রি হেলথ স্ক্রিনিং কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। ছবি: সংগৃহীত

যে দলের প্রধান নেতা (শেখ হাসিনা) তার কর্মী-নেতাদের রেখে পালিয়ে যায় সে দলকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নাই  বলেছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।

তিনি বলেন, ওরা (আওয়ামী লীগ) নিজেরাই ভীত, কারণ ওরা অন্যায়কারী, ওরা অত্যাচারী, ওরা স্বৈরাচার, তবে ওরা পালিয়ে গেলেও দেশের ভিতরে বাহিরে আবারও ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে, তাদের কোন ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া যাবে না। দৃঢ় হাতে এদেরকে দমন করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে পল্লবী রুপনগরের ৭টি ওয়ার্ডে ফ্রি হেলথ স্ক্রিনিং কর্মসূচি উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসর ও তাদের প্রেতাত্মারা এখনো দেশের পাড়া মহল্লার আনাচে কানাচে রয়ে গেছে। তারা সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করার চক্রান্ত করছে। বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বানও জানান তিনি।

বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগ যা করেছে বিএনপি ঠিক তার বিপরীত কাজ করবে; আওয়ামী লীগ এদেশের জনগণের ওপরে যেভাবে জুলুম অত্যাচার নির্যাতন ও নিপীড়ন চালিয়েছে; কিন্তু আমরা এদেশের জনগণের পাশে থেকে জনগণের জন্য শতভাগ কাজ করে একটা সুন্দর সমাজ গড়তে চাই।

আমিনুল হক বলেন, ১/১১ এর পরে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসেছে, তখন তারা নিজেদের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে ধরে রাখার জন্য সংবিধান থেকে তত্বাবধায়ক সরকারের বিলটি বাতিল করে দিয়েছে। কারণ জনগণের ভোট পাবে না বলেই তারা (আওয়ামী লীগ) তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। ফলশ্রুতিতেই গত ১৫ বছরে কেউ ভোট দিতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, ক্ষমতায় গেলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে প্রত্যেক এলাকায় খেলার মাঠসহ হাঁটা-চলার জন্য ওয়ার্কিং পথ তৈরি এবং পার্কের ভিতরে পার্কিং ব্যবস্হা ও করে দিবো আমরা। একটা সুন্দর সমাজ গড়ার লক্ষ্যে যা যা করণীয় সবই করবে বিএনপি।

এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য মাহাবুব আলম মন্টু, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী রনি, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন, মহানগর উত্তর মহিলাদল যুগ্ম আহ্বায়ক লাইলী বেগম, পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কামাল হুসাইন খান,সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ আলী গাজী, আনিছুর রহমান,রুপনগর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ হাবিবুর রহমান হাবিব, অলিউল হাসানাত তুহিন মাস্টার, পল্লবী থানা যুবদলের আহ্বায়ক নূর সালাম সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, জাসাস মহানগর উত্তর যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আসরাফ লিটন, ছাত্রদল পল্লবী থানা সভাপতি জুয়েল খন্দকার, ছাত্রদল রূপনগর থানা সভাপতি  মনিরুজ্জামান রনি, মহিলাদল পল্লবীর সভাপতি লাকী রহমান সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা দিলারা পলি প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।