দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে কি যাবে না, সরকার সে কথা বলারও সুযোগ দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, ‘এই যে আজ হত্যাকাণ্ড এবং ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে মিটিং পণ্ড করে দেওয়া হয়েছিল, এটা খুব পরিকল্পিত। মূলত বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই এমনটা করা হয়েছে।’
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন।
পরে যুবদলের উদ্যোগে ‘মুগদা থানা যুবদলের নেতা শামীম মোল্লা এবং আদাবর থানা যুবদল নেতা আবদুর রশিদের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান’ করেন মির্জা আব্বাস। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না এবং শামীম মোল্লা ও আবদুর রশিদের পরিবারের সদস্যসহ সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, নির্বাচনে যাওয়ার জন্য পরিবেশ তৈরি করতে হবে। কিন্তু তারা (সরকার) তা করেনি। ক্ষমতায় টিকে থাকতে হাজারও পরিবারকে শেষ করা হয়েছে। ৪০ বছর পরে যদি কোনো নেতার বিচার হতে পারে, এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে। এই সরকার কখনোই টিকে থাকতে পারবে না। জনরোষে তাদের বিদায় নিতে হবে।’
এবারের জেলের তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমি ১৯৭৮ সাল থেকে কারাগারে আসা-যাওয়ার কারণে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এবার জেলখানায় একজন মানুষ ঢোকা মানে হলো তার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে ঢোকা। আমাকে একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা স্পষ্টভাবে বললেন, আপনাদের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া নিষেধ।’
নিহত রশিদের পরিবারের পাশে বিএনপি
এক দফার আন্দোলনে নিহত বিএনপি নেতা আবদুর রশিদের পরিবার ও দুই সন্তানের লেখাপড়াসহ অন্যান্য খরচের দায়িত্ব নিয়েছে বিএনপি। মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে পরিবারের হাতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান তুলে দেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক।
আমিনুল হক জানান, আন্দোলনের মধ্যে সারা দেশে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতেই আবদুর রশিদকে পরিকল্পিতভাবে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। এর যাতে কোনো প্রমাণ না থাকে সে জন্য আশপাশে সব সিসিটিভি ফুটেজও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে কোনো না কোনো প্রমাণ ঠিকই থাকবে। এই হত্যার বিচার এক দিন হবেই।
প্রসঙ্গ, গত বছরের ২৯ অক্টোবর রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ছাদ থেকে ফেলে রশিদকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি দলটির।