ঢাকা ২০ কার্তিক ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪

ভারতের দাসত্ব দেশের জনগণ মেনে নেবে না: চরমোনাই পীর

প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২৪, ১১:০৩ পিএম
আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৪, ১১:০৪ পিএম
ভারতের দাসত্ব দেশের জনগণ মেনে নেবে না: চরমোনাই পীর
ছবি : সংগৃহীত

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের খবরদারি স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপের শামিল। একটি স্বাধীন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে পার্শ্ববর্তী বন্ধুপ্রতীম দেশের হস্তক্ষেপ আমাদেরকে নতুনভাবে ভাবিয়ে তুলছে। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে ভারত আমাদের ওপর গুলি ছুঁড়ে মানুষ হত্যা করে কী বুঝাতে চায়? আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই। পাকবাহিনী থেকে দেশ স্বাধীন করেছি ভারতের দাসত্ব মেনে নেওয়ার জন্য নয়। প্রয়োজনে আবার লড়াই করবো, তবু ভারতের দাসত্ব দেশের জনগণ মেনে নেবে না। 

এক বুক প্রত্যাশা লাখো শহীদের রক্ত ও জীবনের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশে কেউ হস্তক্ষেপ করতে চাইলে তাদের রাঙাচোখে জনগণ আঙুল দিতে বাধ্য হবে।

শনিবার (৩০ মার্চ) বিকাল ৪টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগ বদরের শিক্ষা আমাদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা, ইফতার মাহফিল ও বদরী সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল হক আজাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন।

সংগঠনের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মজিবুর রহমান হামিদী, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মোস্তফা তারেকুল হাসান, ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজিলিশ ঢাকা মহানগর সভাপতি নূর মোহাম্মদ আজিজি, জমিতে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, ঢাকা মহানগরীর সেক্রটারি আতাউর রহমান খান, সভাপতি এ্যাড. নাজিম উদ্দীন, গণ অধিকারে পরিষদ ঢাকা মহানগর সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দীন, আলহাজ আলতাফ হোসেন, আলহাজ আবদুল আউয়াল মজুমদার, ডা. শহীদুল ইসলাম, মওলানা আবদুর রাজ্জাক, নুরুজ্জামান সরকার, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, মাওলনা নাজির আহমাদ, এম জসিম খাঁ প্রমুখ। 

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, ডামি সরকার দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বের জন্য চরম হুমকি। এ সরকারের ওপর ভর করে ভারত আমাদের দেশে নগ্ন হস্তক্ষেপ করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। আজ দেশের মানুষ ভালো নেই। দ্রব্যমূল্যের বাজারের আগুনে সাধারণ মানুষ পুড়ে ছাই হচ্ছে। বদর দিবসের শিক্ষা কাজে লাগিয়ে ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশগঠনের অঙ্গীকার নিতে হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকতে একমত

প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৯ পিএম
আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৯ পিএম
রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকতে একমত
বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠকে গণ অধিকার পরিষদের নেতারা। ছবি : সংগৃহীত

রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণ ও রাষ্ট্র সংস্কারে গণ অধিকার পরিষদের মতামত নিয়েছে বিএনপি।

বৈঠক গণঅধিকার পরিষদের নেতারা বলেছেন, রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করে কোনো সাংবিধানিক সংকট তৈরি করার মতো কোনো প্রকার হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাদের এসব প্রশ্নে বিএনপিও একমত পোষণ করেছেন।

সোমবার (৪ নভেম্বর) সোয়া ৪টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে গণ অধিকার পরিষদের বৈঠক শুরু হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে বিএনপির পক্ষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও লিয়াজোঁ কমিটির প্রধান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ও লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য বরকত উল্লাহ বুলু অংশ নেন।  

অপরদিকে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে বৈঠকে অংশ নেন দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন, উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালিদ হাসান।  

বৈঠকে অংশ নেওয়া গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন খবরের কাগজকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি অপসারণ ইস্যু নিয়ে মূলত বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি, রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে সাংবিধানিক সংকট তৈরি করা যাবে না। কারণ তার অধীনে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নিয়েছে। রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করলে তো এই সরকারের কার্যক্রম আর থাকে না। তাই এই সংকট উত্তরণে সব রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন এখনো শেষ হয়ে যায়নি। তাই বিপ্লবের অসমাপ্ত কাজ শেষ করার দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিতে হবে। যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর মধ্যে আগের ঐক্য ধরে রাখতে হবে। আগামী দিনে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। বৈঠকে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।’   

উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ খবরের কাগজকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি পদে শূন্যতা হলে দেশে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে। এতে কোনো গোষ্ঠী বা ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের সুযোগ পাবে।’

শফিকুল/সালমান/

 

ফরিদপুরের সেই বিধবাকে বিএনপির অর্থ সহায়তা

প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১০ পিএম
ফরিদপুরের সেই বিধবাকে বিএনপির অর্থ সহায়তা
আসমা বেগমকে অর্থ সহায়তা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি : খবরের কাগজ

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় বসতঘর ভেঙে দেওয়া আসমা বেগম নামের সেই বিধবাকে নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছে বিএনপি। 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই অর্থ সহায়তা দেন। আসমা বেগম উপজেলার রসুলপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বিধবা নারীর ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও তাকে জায়গা থেকে উচ্ছেদের সঙ্গে বিএনপির কোনো নেতা কিংবা কর্মী জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন জানান, ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা, সসদ্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপনসহ জেলা বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন, জেলা বিএনপি নেতা রশিদুল ইসলাম লিটন, অ্যাডভোকেট আলী আশরাফুল নান্নুসহ অন্যরা।

আসমা বেগম রসুলপুর বাজারের পাশে কুমার নদের পাড়ে সরকারি জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলেন। কয়েক দিন আগে বিএনপির নাম ব্যবহার করে সালাউদ্দিন চৌধুরী নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বিধবার বসতঘর ভেঙে তাকে উচ্ছেদের চেষ্টা করেন। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার নজরে আসে।

ঢাবিতে শেখ হাসিনাসহ ৫ নেতার প্রতীকী ফাঁসি

প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৯ পিএম
ঢাবিতে শেখ হাসিনাসহ ৫ নেতার প্রতীকী ফাঁসি
শেখ হাসিনাসহ ৫ নেতাকে প্রতীকী ফাঁসি দিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। ছবি : খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পাঁচজন নেতাকে প্রতীকী ফাঁসি দিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ।

সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পায়রা চত্বরে ‘ছাত্র-জনতার ফাঁসির মঞ্চে’ এই প্রতীকী ফাঁসি দেওয়া হয়।

প্রতীকী ফাঁসির মঞ্চে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও জাতীয় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের কুশপুতুল ঝোলানো হয়।

ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘যারা গুম-খুন ও গণহত্যাসহ গণতন্ত্রকে হত্যা করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, সেই আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টিকে নিষিদ্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে এই দোসরদের এমপি-মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। যারা গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড তাদের প্রতীকী ফাঁসির কর্মসূচি দিয়েছি। আমরা এই ফাঁসির মঞ্চ থেকে বার্তা দিতে চাইছি, এটি ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা। সবার প্রতি আহ্বান থাকবে যেন কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদী শক্তি ফিরে না আসতে পারে। একই সঙ্গে তারা যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে।’

রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালনের আহ্বান ন্যাপের

প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৪ পিএম
রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালনের আহ্বান ন্যাপের
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের উদ্যোগ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)।

আগামী ১৭ নভেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী।

রবিবার (৩ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

তারা বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে দেখা যাবে, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই স্বায়ত্তশাসন থেকে স্বাধীনতার স্বপ্নের বীজ বপন করেছিলেন মনের গহনে। ভাসানী আর স্বাধীন বাংলাদেশ বাঙালি চেতনার এক অভিন্ন নাম। রাষ্ট্রের সব অর্জনের কৃতিত্ব কোনো এক ব্যক্তি বা দলের নয়। বৃহৎ রাজনৈতিক দলের সুবিধাভোগী তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ক্ষমতাসীনদের সব কৃতিত্ব দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয় সব সময়েই। ফলে বার বার ইতিহাস বিকৃতি হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান মজলুম জননেতা ভাসানীকে বাদ দিয়ে দেশের ইতিহাস নির্মিত হবে না।’

তারা বলেন, ‘ভাসানী জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেশ, মাটি আর মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন। একটি শোষণহীন, অসাম্প্রদায়িক, সাম্য আর পালনবাদী সমাজব্যবস্থার জন্য নিজের জীবনের সর্বস্ব ত্যাগ করেছেন। মানব মুক্তির আদর্শ থেকে তিনি একদিনের জন্যও বিচ্যুত হননি বা অবসর খোঁজেননি। জীবনের প্রায় প্রতিটি বছর, মাস, সপ্তাহ, দিন তিনি আন্দোলন, সংগ্রাম, কর্মসূচির মধ্যেই থেকেছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এত দীর্ঘকাল ও ধারাবাহিকভাবে কেউ সক্রিয় আন্দোলন, সংগ্রাম, কর্মসূচির ভেতর থেকেছেন এমন ব্যক্তির সংখ্যা নেই বললেই চলে।’

ন্যাপ নেতারা বলেন, ‘বিগত দিনের সকল ক্ষমতাসীনরাই নিজেদের প্রয়োজনে মওলানা ভাসানীকে ব্যাবহার করলেও তাকে তার প্রাপ্য মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করেছেন বার বার। ভাসানীকে তার প্রাপ্ত মর্যাদা দিতে ব্যর্থ কাউকেই ইতিহাস ক্ষমা করবে না। বর্তমান সরকারও ভাসানীকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হলে ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’

তারা বলেন, ‘আজীবন সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সমগ্র জাতিকে দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন চিরবিপ্লবী ও বিদ্রোহী মওলানা ভাসানী। ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন, পাকিস্তানের শোষন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীকার ও স্বাধীনতা আন্দোলন, স্বাধীনতাপরবর্তী গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ভারতীয় আধিপত্যবাদী-আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম, প্রবীণ বয়সে ১৯৭৬ সালের ফারাক্কা লংমার্চসহ ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে তিনি আছেন।’

নেতৃদ্বয় আরও বলেন. ‘মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীসহ দেশের জাতীয় নেতাদের স্মরণ করা, নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব নয় কি? সেই দায়িত্ব কি রাষ্ট্র বা সরকার যথাযথভাবে পালন করছে? কেন মওলানার জন্ম ও মৃত্যুদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হলো না গত ৪৮ বছরেও? মওলানা ভাসানীর প্রতি রাষ্ট্রের এত দৈন্যতা, কৃপণতা, বিদ্বেষ কেন? রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে স্মরণ করার বাঁধা কোথায়? আজ সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। আমরা আশা করতেই পারি গণআন্দোলন আর গণঅভুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সব বাঁধা অতিক্রম করে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালন করে জাতিকে দায়মুক্ত করবেন।’

তারা বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাস, সাক্ষী আমরা ভুলে যাই সব কিছু। আমাদের এই বিস্মরণই আমাদের বড় শত্রু। আমরা স্বার্থপর। তাই কি আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের পতাকাটির চেহারা বিস্মৃত? কে আমাদের রাজনীতিকে গণমানুষের বলে চিহ্নিত করেছিলেন? গণমানুষের অধিকার কায়েমের সংগ্রামে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন কে? সশস্ত্র সংগ্রাম ছাড়া যে দেশের স্বাধীনতা আনা সম্ভব নয়- এই সত্যকে আমাদের শিখিয়েছিলেন? ১৯৭১ সালে বৃদ্ধ বয়সেও তিনি মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন স্বাধীনতার জন্য, আজকে তিনি জাতির নতুন প্রজন্মের কাছে প্রায় অচেনা, অজানা মানুষ।’

নেতৃদ্বয় বলেন, ‘সময়ের দাবি আজ জাতির নবপ্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে। তার রাজনৈতিক অবদান স্মরণ করে তা জানাতে হবে নবাগত মানুষদের, যারা আমাদের জাতি বিনির্মাণের শক্তি। রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে স্মরণ করার আয়োজন হোক ১৭ নভেম্বর থেকেই, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বেই। তার মৃত্যু দিনটিকে জাতির রাজনীতিকদের স্মরণ দিন হিসেবে ঘোষণা করা হোক।’

অমিয়/

১০ জেলা ও মহানগরে বিএনপির কমিটি ঘোষণা

প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৭ পিএম
আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৫ পিএম
১০ জেলা ও মহানগরে বিএনপির কমিটি ঘোষণা
বিএনপি

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপিসহ ১০ জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণা করেছে দলটি।

সোমবার (৪ নভেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কমিটি ঘোষণা করা হয়।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি এবং চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুষ্টিয়া, ময়ময়নসিংহ দক্ষিণ জেলা এবং শেরপুর জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে দলটি।

ঢাকা মহানগর উত্তর

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক করা হয়েছে আমিনুল হককে। তিনি আগের দুই কমিটির সদস্যসচিব ছিলেন। আর সদস্যসচিব করা হয়েছে মোস্তফা জামানকে।

যুগ্ম আহ্বায়করা হলেন- মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, আব্দুর রাজ্জাক। 

এর আগে দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করে দলটি। 

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ৫৩ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরশাদ উল্লাহকে আহ্বায়ক ও নাজিমুর রহমানকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। 

১৬ জন যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন- মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এম এ আজিজ, অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দীন, সফিকুর রহমান স্বপন, হারুন জামান, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, শাহ আলম, আর ইউ চৌধুরী শাহিন, শওকত আলম খাজা (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত), ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহম্মেদুল আলম চৌধুরী (রাসেল), শিহাব উদ্দীন মুবিন (প্রচারের দায়িত্বপ্রাপ্ত), মনজুরুল আলম মঞ্জু। 

আর ৩৪ জন সদস্য হলেন- ডা. শাহাদাত হোসেন, আবুল হাশেম বক্কর, অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভূঁইয়া, ইকবাল চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন জিয়া, এম এ হান্নান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আবুল হাসেম, ইসকান্দর মির্জা, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, মুজিবুল হক, মো. মহসিন, মো. খোরশেদ আলম, মো. সালাউদ্দিন, গাজী সিরাজ উল্লাহ, কামরুল ইসলাম, সৈয়দ শিহাব উদ্দীন আলম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মশিউল আলম স্বপন, মোশাররফ হোসেন ডিপটি, মো. জাফর আহম্মদ, এ কে খান, গাজী আইয়ুব, মাহবুব রানা, এম এ সবুর, নুরু উদ্দিন হোসেন নুরু, মোহাম্মদ আবু মুসা, হানিফ সওদাগর, সরফরাজ কাদের চৌধুরী রাসেল, মোহাম্মদ আজম, মো. ইসমাইল বালি, মো. আশ্রাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইউসুফ। 

বরিশাল মহানগর বিএনপি

মনিরুজ্জামান খান ফারুককে আহ্বায়ক ও মো. জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়াকে সদস্যসচিব করে বরিশাল মহানগর বিএনপির ৪২ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ৯ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৩১ জনকে সদস্য করা হয়েছে। মনিরুজ্জামান খান ফারুক আগের কমিটিতে আহ্বায়ক ছিলেন। আগের কমিটির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জিয়াউদ্দিন সিকদার হয়েছেন সদস্যসচিব।

কমিটির যুগ্ম আহ্বায়করা হলেন- আফরোজা খানম নাসরীন, মো. জসিম উদ্দিন খান, মো. আল আমিন, আবু মুসা কাজল, আব্দুল হালিম মৃধা, মো. সাজ্জাদ হোসেন, জহিরুল ইসলাম লিটু, মাহফুজুর রহমান মাফুজ, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ। 

সদস্যরা হলেন- ওয়ায়ের ইবনে গোলাম কাদির (স্বপন), বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম ফরিদ, আল মাসুম, মঞ্জুরুল আহসান জিসান, সাইফুল আনাম বিপু, বদিউজ্জামান টলন, রফিকুল ইসলাম মঈন, কামরুল হাসান রতন, আহম্মেদ জেকি অনুপম, জুলহাস উদ্দিন মাসুদ, জাহিদুর রহমান রিপন, খসরুল আলম তপন, আব্দুল হক মাস্টার, আরিফুর রহমান বাবু, আসাদুজ্জামান মারুফ, মো. সোহেল সিকদার, অ্যাডভোকেট কাজী বসির, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ ইমন, অ্যাডভোকেট সরোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট শেখ হুমায়ুন কবির মাসুদ, অ্যাডভোকেট মো. তসলিম, অ্যাডভোকেট সুফিয়া আক্তার, অ্যাডভোকেট সাঈদ খোকন, শামীমা আকবর, একেএম মিজানুর রহমান (ইঞ্জিনিয়ার), নওশদ আহম্মেদ নান্টু, মো. দুলাল গাজী, মাসুদ হাওলাদার, আব্দুর রহমান হাওলাদার, হাসিনা কামাল এবং নুরুল ইসলাম পনির। 

সিলেট মহানগর বিএনপি

রেজাউল হাসান কয়েছ লোদীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ইমদাদ হোসেন চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৭০ সদস্যবিশিষ্ট সিলেট মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হয়েছে। কমিটিতে ২০ জন সহ-সভাপতি, ১৪ জন যুগ্ম আহ্বায়ক, ৫ জন করে সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ৫২ জনকে সদস্য করা হয়েছে।

সহ-সভাপতি হলেন যথাক্রমে ডা. নাজমুল ইসলাম, জিয়াউল গনি আরিফিন জিল্লুর, সৈয়দ মিসবাহ্ উদ্দিন, সৈয়দ মইন উদ্দিন সুহেল, জিয়াউল হক জিয়া, সুদিপ রঞ্জন সেন বাপ্পু, মাহবুব কাদির শাহী, আমির হোসেন, অ্যাডভোকেট শাহ্ আশরাফুল ইসলাম, সাদিকুর রহমান সাদিক, নিগার সুলতানা ডেইজী, ডা. আশরাফ আলী, নুরুল মুমিন খোকন, আব্দুল হাকিম,  আফজাল হোসেন, ব্যারিস্টার রিয়াসত আজিম হক আদনান, রহিম মল্লিক, মুফতি নেহাল, জাহাঙ্গীর আলম, মোতাহির আলী মাখন।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকরা হলেন- নজিবুর রহমান নজিব, মুর্শেদ আহমদ মুকুল, শামীম মজুমদার, মির্জা বেলায়াত হোসেন লিটন, নেওয়াজ বক্ত চৌধুরী তারেক, মাহবুবুল হক চৌধুরী, শুয়াইব আহমদ শোয়েব, আব্দুল ওযাহিদ সুহেল, রেজাউল করিম আলো, আক্তার রশিদ চৌধুরী, আহমদ মনজুরুল হাসান মনজু, মতিউল বারী খোরশেদ, ফাতেমা জামান রোজী, নাদির খান, আবুল কালাম।

সাংগঠনিক সম্পাদকরা হলেন- সৈয়দ সাফেক মাহবুব, জাকির হোসেন মজুমদার, রফিকুল ইসলাম রফিক, দেওয়ান জাকির, খসরুজ্জামান খসরু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রহিম আলী রাসু, রেজাউর রহমান রুজন, সাব্বির আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম জীবন, সফিক নূর। অর্থ সম্পাদক এনামুল কুদ্দুস, সহঅর্থ সম্পাদক আলমগীর হোসে, প্রচার সম্পাদক বেলায়েত হোসেন মোহন, সহপ্রচার সম্পাদক আলী হায়দান মজনু, দপ্তর সম্পাদক তারেক আহমদ খান, সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মালেক প্রমুখ।

মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি

মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়কের পদ পেয়েছেন ফয়জুর রহমান ময়ুন। ৩২ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির সদস্যরা হলেন- নাসের রহমান, মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, মিজানুর রহমান, আব্দুর রহিম রিপন, মোশারফ হোসেন বাদশা, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, হাজী মুজিবুর রহমান, আব্দুল ওয়ালি সিদ্দিকি, নাছির উদ্দিন মিঠু, আশিক মোশারফ, আব্দুল মুকিত, ফখরুল ইসলাম, মুহিতুর রহমান হেলাল, আব্দুল হাফিজ, মাহামুদুর রহমান, হেলু মিয়া, মনোয়ার আহমেদ রহমান, বকশী মিছবাউর রহমান, মতিন বক্স, মাহাবুব ইজদানী ইমরান, বকশী জুবায়ের আহমেদ, আবুল কালাম বেলাল, জিতু মিয়া, স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী, গাজী মারুফ আহমেদ, আব্দুল হক, দুরুদ আহম্মদ, আশরাফুজ্জামান খান নাহাজ, সেলিম মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, আনিসুজ্জামান বায়েস, মহসিন মিয়া মধু। 

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি

কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনকে আহ্বায়ক করে ৩২ সদস্যবিশিষ্ট সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্য সদস্যরা হলেন- মিজানুর রহমান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মল্লিক মইন উদ্দিন সোহেল, অ্যাডভোকেট শেরে নূর আলী, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুল, নাদের আহমেদ, আকবর আলী, অ্যাডভোকেট মাসুক আলম, আনিসুল হক, আব্দুল মোতালেব খাঁন, রেজাউল হক, আনছার উদ্দিন, শামসুল হক নমু, আ ত ম মিছবাহ, ব্যারিস্টার আবিদুল হক, ফারুক আহমেদ (দক্ষিণ সুনামগঞ্জ), সেলিম উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, ফারুক আহমেদ (ছাতক), আব্দুর রহমান, নজরুল ইসলাম (সুনামগঞ্জ), কামরুল ইসলাম কামরুল, নাসিম উদ্দিন লালা, মো. মুনাজ্জির হোসেন সুজন, অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান শাহিন, নজরুল ইসলাম (ছাতক), আব্দুল মুকিত, মো. শফিকুল ইসলাম, আব্দুল বারি, সিরাজ মিয়া, নূর আলী, মো. আব্দুর রশিদ। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি

অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নানকে আহ্বায়ক ও সিরাজুল ইসলামকে সদস্যসচিব করে ৩২ সদস্য বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্যরা হলেন- ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন শ্যামল, হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জহিরুল হক খোকন, নুরে আলম সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম রুমা, বেলাল উদ্দিন সরকার তুহিন, আবু শামীম মো. আরিফ, মো. আসাদুজ্জামান শাহীন, অ্যাডভোকেট একেএম কামরুজ্জামান মামুন, কাউছার কমিশনার, আলহাজ মো. আজিম, মাসুদুল ইসলাম মাসুদ, অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান চৌধুরী কানন, মাইনুল হোসেন চপল, এইচ এম বাশার, শফিকুল ইসলাম, কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, আহসান উদ্দিন খান শিপন, তরুণ দে, মো. আল আমিন লিটন, মো. সালাহ উদ্দিন, তানিম সাহেদ রিপন, আরমান উদ্দিন পলাশ, আলহাজ মো. মাহিন, আশরাফুল করিম রিপন, মজিবুর রহমান মন্টু, আবুল কালাম, নাছির আহমেদ, অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন এবং কবীর আহমেদ ভূঁইয়া।  

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়কের পদ পেয়েছেন কুতুব উদ্দীন আহমেদ এবং সদস্যসচিব করা হয়েছে ইঞ্জিনিয়ার মো. জাকির হোসেন সরকারকে। সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম আলম, শেখ সাদী, নুরুল ইসলাম আনছার প্রামাণিক।

কমিটির ২৫ সদস্য হলেন- অ্যাডভোকেট গোলাম মোহাম্মদ, মো. আলাউদ্দিন খান, মো. বশিরুল আলম চাঁদ, মুন্সি জেড জি রশিদ রেজা বাজু, মো. আবু দাউদ, শহীদ সরকার মঙ্গল, সৈয়দ আমজাদ আলী, মো. আব্দুল আজিজ মিলন, আলহাজ শওকত হাসান বুলবুল, এ কে বিশ্বাস বাবু, খন্দকার ওমর ফারুক কুদ্দুস, জাহিদুল ইসলাম বিপ্লব, মো. আব্দুর রশীদ, ইসমাইল হোসেন মুরাদ, অ্যাডভোকেট খাদেমুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শামীম উল হাসান অপু, আল আমিন রানা কানাই, শহীদুজ্জামান খোকন, মহিউদ্দিন চৌধুরী মিলন, আব্দুল মঈদ বাবুল, কামাল উদ্দিন, আব্দুল মাজেদ, মো. আব্দুল হাকিম মাসুদ, মো. আবু তালেব এবং মো শাজাহান আলী।

ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা 

মো. জাকির হোসেন বাবলুকে আহ্বায়ক ও মো. রোকনুজ্জামান সরকার রোকনকে সদস্যসচিব করে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির ৩ সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটির একমাত্র যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন আলমগীর মাহমুদ আলম। 

শেরপুর জেলা বিএনপি

মো. হযরত আলীকে আহ্বায়ক ও অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলামকে সদস্যসচিব করে শেরপুর জেলা বিএনপির তিন সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন হয়েছে। কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন আওয়াল চৌধুরী।

শফিকুল/সালমান/