ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

দেশকে পরিকল্পিতভাবে মরুকরণ করছে সরকার: মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০০ পিএম
দেশকে পরিকল্পিতভাবে মরুকরণ করছে সরকার: মির্জা আব্বাস
ছবি : সংগৃহীত

দেশকে পরিকল্পিতভাবে ধীরে ধীরে মরুকরণের দিকে নিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, আজকে ফারাক্কায় পানি নেই। পদ্মা, যমুনা ও তিস্তায় পানি নেই। ১১শ’র বেশি নদী ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু তিনশোর মতো নদী নিখোঁজ হয়ে গেছে আওয়ামী ভূমি দস্যূদের কারণে। রাজধানীকে ইট পাথরে ভরে কৃত্রিম মরুভূমি বানানো হয়েছে। এই হল দেশের অবস্থা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীতে তীব্র গরমে সাধারণ মানুষের মধ্যে বোতলজাত সুপেয় খাবার পানি, স্যালাইন ও হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) এই কর্মসূচির আয়োজন করে। পরে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গরিব ও সাধারণ মানুষের মধ্যে উক্ত সামগ্রী বিতরণ করেন। 

মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে দেশে ঋতু নেই। এখনকার মানুষজনও বলতে পারে না বাংলাদেশে কয়টি ঋতু। ঢাকা শহরে ইট কাঠ পাথরে ভরে দেওয়া হয়েছে। গাছ দেখা যায় না। ঢাকার চারপাশে জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে গেছে। সরকারের মদদপুষ্ট ভূমি দস্যুরা তা ভরাট ও দখল করেছে। বর্তমান গণবিরোধী ও নতজানু সরকারের কারণে আমাদের ওপর গজব নাজিল হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে প্রচণ্ড গরম বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই হিটস্ট্রোকে মানুষ কোথাও না কোথাও মারা যাচ্ছে। ঢাকা শহরও এর ব্যতিক্রম নয়। এই অবস্থা কিন্তু বাংলাদেশে অতীতে ছিল না। এই অবস্থায়ও সাধারণ মানুষকে সহায়তার জন্য জেডআরএফ পানি ও স্যালাইন বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ আমরা রাজনীতি করি সমাজের কল্যাণে। 

তিনি বলেন, একজন নাকি হিট অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাকে বলব- সরকারকে বলুন ঢাকার চারপাশে খালগুলো খুলে দিতে। ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলুন। না হলে সারা দেশের জন্য পানি আনতে হবে। আজকে ঢাকা শহরসহ দেশকে মরুকরণ করা হচ্ছে। এসব নিয়ে কথা বলুন। তবেই বুঝব- আপনি দেশ ও ঢাকাকে ভালোবাসেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, তীব্র দাবদাহে মানুষ রুদ্ধশ্বাস হয়ে উঠেছে। শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে জেডআরএফ। কারণ রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য মানসেবা। 

জেডআরএফ’র নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও ড্যাবের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মো. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির শিক্ষা বিয়ষক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ। 

জেডআরএফ’র কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মো. আব্দুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন, জেডআরএফ’র ডা. এএস হায়দার পারভেজ, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, প্রকৌশলী একেএম আসাদুজ্জামান চুন্নু, প্রকৌশলী আইয়ুব হোসেন মুকুল, প্রকৌশলী আসিফ হোসেন রচি, অধ্যাপক ড. আবদুল করিম, মিসেস শামিমা রহিম, ডা. এএসএম রাকিবুল ইসলাম আকাশ, ডা. তানজিম রুবাইয়্যাত আফিফ, ছাত্রদল নেতা তরিকুল ইসলাম তারিকসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

শফিক/এমএ/

বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জিত হবে না, কমবে না মূল্যস্ফীতি: বাম জোট

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৬:৩১ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৬:৩৫ পিএম
বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জিত হবে না, কমবে না মূল্যস্ফীতি: বাম জোট
ছবি: সংগৃহীত

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের বাজেট প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে মোট দেশজ প্রবৃদ্ধির যে টার্গেট ধরা হয়েছে তা মোটেই অর্জিত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাম জোট নেতারা। 

মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে নতুন অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান তারা।

এর আগে সোমবার (২ জুন) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার এই বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন অর্থ উপদেষ্টা।

অর্থ উপদেষ্টা বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ‘ইতোমধ্যে চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাময়িক হিসাবে ৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ হয়েছে, যা চূড়ান্ত হিসাবে কিছুটা বাড়তে পারে। তবে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এটি বৃদ্ধি পাবে এবং মধ্যমেয়াদে ৬ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আমরা আশা করছি।’

এতে আশঙ্কা প্রকাশ করে বাম জোট নেতারা বলেন, ‘বৈষম্য দূর করার কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ না থাকায় দেশে বেকারত্ব ও দারিদ্র্য আরও বাড়বে।’

প্রবৃদ্ধি প্রস্তাবনায় অসন্তোষ জানিয়ে বাম জোটের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম প্রবৃদ্ধির যে টার্গেট ধরা হয়েছে তা মোটেই অর্জিত হবে না। মূল্যস্ফীতি যথাযথভাবে কমানো যাবে বলে মনে হচ্ছে না।’

বাম জোট নেতারা বলেন, ‘এই বাজেটে বৈষম্যহীনতা ও টেকসই উন্নয়ন ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বলা হলেও বাস্তবে মুক্তবাজারের পুরোনো ধারাবাহিকতার পুনরাবৃত্তি ঘটানো হয়েছে, যা বৈষম্য, বেকারত্ব, মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগ সংকট কোনোটাই মোকাবিলা করতে পারবে না।’

সার্বজনীন রেশন ব্যবস্থা, জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা নিয়ে বাজেটে সুষ্পষ্ট বক্তব্য না আসায় হতাশা প্রকাশ করে তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘লুটেরা পুঁজিবাদী শাসকদের ধারাবাহিকতায় অনুপার্জিত আয়কে বৈধতা দেওয়ার জন্য সংবিধান বহির্ভূতভাবে কালো টাকাকে সাদা করার বিধান রাখা হয়েছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

এ ছাড়া বাজেট প্রস্তাবনায় শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের অর্থের ওপর বাজেটে ১০ শতাংশ কর ধার্য করার কথা বলায় বাম জোট নেতারা ক্ষোভ জানিয়েছেন। 

জয়ন্ত/মেহেদী/

প্রস্তাবিত বাজেটে প্রবৃদ্ধি নিম্নগামী: জি এম কাদের

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৬:০০ পিএম
প্রস্তাবিত বাজেটে প্রবৃদ্ধি নিম্নগামী: জি এম কাদের
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ছবি: সংগৃহীত

২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাবিত ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেটকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর ও নব্য ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দর্শনের’ প্রতিফলন বলে আখ্যা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

তিনি বলেছেন, ‘এই বাজেটের প্রবৃদ্ধি নিম্নগামী। প্রবৃদ্ধি নিম্নগামী হলে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা সম্ভব হবে না, স্বাভাবিক ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যহত হবে এবং কম রাজস্ব আদায় হবে। মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। এপ্রিল পর্যন্ত এই হার ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ পর্যন্ত আনা সম্ভব হয়েছে। সামনের দিকে মূল্যস্ফীতির হার কমবে এমন কোনো লক্ষণ আমরা দেখছি না।’

মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে ২০২৫-২০২৬ সালের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন জি এম কাদের। 

প্রবৃদ্ধির নিম্নগামী অবস্থানের কারণে কর্মসংস্থান ও ব্যবসা বাণিজ্যের মন্দাভাব দেখা দেবে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘প্রাক্কলিত মুল্যস্ফীতি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবসম্মত নয়। মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা সম্ভব হবে মনে হয় না। ফলে সাধারণ মানুষ দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর অবস্থায় পৌঁছাবে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে অর্ধভুক্ত ও অভুক্ত মানুষের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করছি।’

বর্তমান বাজেট ‘বাস্তবায়নযোগ্য নয়’ উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, ‘রাজস্ব আহরণের যে লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে তা অবাস্তব বা কাছাকাছি যাওয়াও সম্ভব নয় বর্তমান প্রেক্ষাপটে। যতদিন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না আসে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়, ততদিন বিদেশি ঋণ বা সাহায্য পাওয়া নিয়েও সংশয় আছে। ফলে বাজেট ঘাটতি আকার অনেক বড় হবে।’

বাজেট প্রস্তাবনায় কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখায় তার কড়া সমালোচনা করেন জাপা চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘কালো টাকা সাদা করতে দেয়া নীতিবহির্ভূত বা গর্হিত কাজ। বর্তমান সরকারও দুর্নীতিবাজদের উৎসাহিত করতে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রেখেছে।’

সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে অপ্রতুল বরাদ্দের সমালোচনা করেন তিনি। পরে তিনি বলেন, ‘রাজস্ব দিয়ে সরকার পরিচালনা করতে হবে, তাহলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে কিভাবে? যেসব কথা বলা হয়েছে তা কিভাবে বাস্তবায়ন করবে? বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে এই বাজেট দিয়ে সরকার কিভাবে কাজ করবে তা পরিস্কার নয়। উদ্যোক্তা তৈরির বিষয়টি আগেও ছিল, এবার বাজেট দেখে মনে হচ্ছে ছাত্ররা সবাই লেখাপড়া বাদ দিয়ে উদ্যোক্তা হবেন।’

জয়ন্ত সাহা/এমএ/

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৫:৪৫ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৫:৪৬ পিএম
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে তকিবুল হাসান চৌধুরী তকীকে সভাপতি এবং সরোয়ার হোসেন রুবেলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। 

সিনিয়র সহ-সভাপতি করা হয়েছে কাজী মো. সেলিম উদ্দিনকে। এছাড়া আরও আটজনকে সহ-সভাপতি করা হয়েছে। তারা হলেন- গিয়াস উদ্দীন, মাহবুবুর রহমান খান, মহিন উদ্দিন, নাঈম উদ্দীন মিনহাজ, গাজী আবদুল মুবিন, রেজাউল করিম চৌধুরী রকি, হোসেন মোহাম্মদ মাসুম এবং আমজাদ হোসেন জিহান। 

সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন টিটু-সহ আরও তিনজনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। তারা হলেন- নূর উদ্দিন হোসেন, বেলাল উদ্দিন মুন্না, কাউসার উদ্দিন বাবু। সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে সুজাউদ্দৌলা সজিবকে এবং নাজিম উদ্দীনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদমর্যাদা দিয়ে দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৩ জুন) কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির স্বাক্ষরিত চিঠিতে আগামী এক মাসের মধ্যে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

মাদারগঞ্জে আ. লীগের ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম
মাদারগঞ্জে আ. লীগের ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
ছবি: খবরের কাগজ

জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলায় নাশকতার মামলায় মোজাম্মেল হক বাচ্চু নামে আওয়ামী লীগের এক ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে উপজেলার কড়ইচুড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মোজাম্মেল হক কড়ইচুড়া ইউনিয়নের ঘুঘুমারী এলাকার মৃত আব্দুল জলিল মিয়ার ছেলে। তিনি কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কড়ইচুড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে তিনি কড়ইচুড়া ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেছিলেন।

মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান আল মামুন বলেন, বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা করায় নাশকতার মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও কড়ইচুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাচ্চুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার বিকেলে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আসিফ/মেহেদী/

বাজেট জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে: ফয়জুল হাকিম

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৫:২২ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৫:৩৬ পিএম
বাজেট জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে: ফয়জুল হাকিম
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম বলেছেন, জাতীয় সংসদের অনুপস্থিতিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ঘোষিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

সোমবার (২ জুন) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের ঋণনির্ভর নীতি অনুসরণ করেই করা হয়েছে। প্রস্তাবিত এই বাজেটে অতীতের সরকারের মতোই কালো টাকাকে সাদা করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। উৎপাদন খাতে দেশীয় বড় শিল্পের কাঁচামালের ওপরে ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে দেশের শিল্প বিকাশে গতি শ্লথ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান যে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে ছিল, দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে যে চরম বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা জারি রয়েছে তা অবসানের কোনো রূপরেখা প্রস্তাবিত এই বাজেটে দেখা যায় না। জনগণের কর্মসংস্থান, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প ও কৃষিখাতকে অগ্রাধিকার দিতে এসব খাতে অধিক বরাদ্দ বৃদ্ধি দরকার ছিল। মূলত: অতীতের বাজেটের ধারাবাহিকতায় এই বাজেট করা হয়েছে। এই কাঠামো অতিক্রম করতে না পারার মূল কারণ শাসকগোষ্ঠীর পরিবর্তন হলেও শাসক শ্রেণির পরিবর্তন হয়নি।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাজেট প্রস্তাবের আগে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণ করা প্রয়োজন ছিল, কেননা জাতীয় সংসদের অনুপস্থিতিতে যে বাজেট এখানে প্রস্তাব করা হয়েছে তা আরও জনস্বার্থ সম্পর্কিত হতে পারতো।