ঢাকা ২১ কার্তিক ১৪৩১, বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

গণমুখী শ্রম আইন প্রণয়ণের দাবি সিপিবির

প্রকাশ: ০১ মে ২০২৪, ০২:১৮ পিএম
আপডেট: ০১ মে ২০২৪, ০৫:০৮ পিএম
গণমুখী শ্রম আইন প্রণয়ণের দাবি সিপিবির
মে দিবসে সিপিবির র‌্যালি । ছবি : খবরের কাগজ

শ্রমিক স্বার্থ ও উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করতে গণমুখী শ্রম আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতারা।

মহান মে দিবস উপলক্ষে বুধবার (১ মে) সকাল ৯টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনের সামনে সিপিবি আয়োজিত সমাবেশে তারা এ দাবি জানান।

নেতারা বলেন, দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮০ শতাংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করে। সেখানে মানুষের শোষণ সবচেয়ে বেশি।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শাহ আলম। এ সময় সব ক্ষেত্রে শ্রমজীবী মানুষের জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা ও বাস্তবায়ন, সারা দেশে সর্বজনীন রেশন ব্যবস্থা ও ন্যায্যমূল্যের দোকান প্রতিষ্ঠার দাবি জানান তিনি।

পাশাপাশি কলকারখানাসহ শহর-গ্রামের মজুরদের কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ, বিনামূল্যে চিকিৎসা বাসস্থান ও সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার প্রণয়নের দাবিও জানান এ নেতা।

পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘প্রস্তাবিত শ্রম আইনের অগণতান্ত্রিক ধারাগুলো বাতিল করে শ্রমিক স্বার্থ ও উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করতে গণমুখী শ্রম আইন প্রণয়ন করতে হবে। যে পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় দেশ চলছে তাতে দিন দিন শ্রমজীবী মানুষের ওপর শোষণ-নির্যাতন বেড়েই চলছে। শ্রমিকদের ন্যূনতম অধিকারের স্বীকৃতি দেওয়া হয় নাই অথচ ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে এবং কাজের ক্ষেত্রে নির্যাতন বন্ধ হয়নি।’

মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই প্রতিবছর শ্রমিক কর্মচারীদের মজুরি বৃদ্ধি, গ্রাচুইটি পাওয়ার নিশ্চয়তা বিধানের দাবি জানান তিনি।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, কন্ট্রোল কমিশনের চেয়ারম্যান শ্রমিক নেতা মাহবুব আলম।

এ সময় সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. দিবালোক সিংহ, জলি তালুকদারসহ বিভিন্ন থানা ও শাখার নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশের শুরুতে গণসংগীত পরিবেশন করেন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্যরা। সমাবেশ শেষে লাল পতাকার এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি প্রেসক্লাব, তোপখানা মোড় পার্টি কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

মে দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এবং সারা দেশে সিপিবির উদ্যোগে সভা সমাবেশ ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পপি/

স্থায়ী কমিটির বৈঠক নির্বাচনের বিষয় পরিষ্কার না করায় ক্ষুব্ধ বিএনপি

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০০ এএম
নির্বাচনের বিষয় পরিষ্কার না করায় ক্ষুব্ধ বিএনপি
বিএনপি (লোগো)

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ তিন মাস শেষ হতে চললেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য দিনক্ষণ বা রোডম্যাপ প্রকাশ না করায় ক্ষুব্ধ বিএনপি। তবে নির্বাচনি রোডম্যাপের জন্য আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। 

গত সোমবার (৪ নভেম্বর) বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে, বৈঠকে কেউ কেউ বলেন, উপদেষ্টারা ইতোমধ্যে বলা শুরু করেছেন যে, রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য উশখুশ করছেন। তারা নানা বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে চলেছেন। তখন উপস্থিত দু-একজন সদস্য বলেন, মনে হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার তাড়াতাড়ি নির্বাচন দেবে না। তাদের বক্তব্যও সুবিধাজনক মনে হচ্ছে না। মনে হচ্ছে, ওয়ান-ইলেভেন সরকারের মতোই বিরাজনীতিকরণের ‘মাইনাস টু’ পথে হাঁটতে চাইছে সরকার। নানা ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। 

নির্ভরযোগ্য ওই সূত্র আরও জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে রোডম্যাপ থাকা উচিত বলে বৈঠকে উপস্থিত কেউ কেউ মনে করেন। তারা বলেন, কিন্তু নির্বাচনের রোডম্যাপ কবে দেবে এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। তখন স্থায়ী কমিটির দুইজন সদস্য বলেন, এর জন্য আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করা যেতে পারে। এরপর পরবর্তী করণীয় ঠিক করা যাবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য গত রবিবার এক স্মরণ সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপিকে বাদ দিয়ে আবারও চক্রান্ত করে কিছু করার চেষ্টা করতে যাবেন না। এটা বাংলাদেশের মানুষ কখনোই মেনে নেবে না। একবার বিরাজনীতিকরণ মাইনাস টু করার খুব চেষ্টা করা হয়েছিল। আবারও ওই রাস্তায় (বিরাজনীতিকরণ) যাওয়ার কথা কেউ চিন্তা করবেন না। 

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন গত ১৬ বছরের বিনা ভোটের সরকারকে মানেনি, এখন এই সরকারকেও দীর্ঘদিন মানবে না। রাষ্ট্র কাঠামোর কী কী সংস্কার করবেন, কতদিন সময় লাগবে, কোনো ছলচাতুরী ছাড়াই তা স্পষ্ট করুন। জাতিকে ধোঁয়াশা-অন্ধকারে রেখে আপনারা যা খুশি তাই করবেন, আমরা তো সেটা মেনে নেব না। অবিলম্বে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করুন।’ 

নির্ভরযোগ্য সূত্র আরও জানায়, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন এবং ৮ নভেম্বর র‌্যালি শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে শেষ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থায়ী কমিটির একজন নেতা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন বিষয়ে কোনো কিছু বলছে না। ফলে দেশে গণতন্ত্রের সংকট তৈরি হলে আবারও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে। তাদের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে, বিএনপিকে বাদ দিয়ে বিরাজনীতিকরণের পথে হাঁটতে চাইছে। বিএনপিকে বাদ দিয়ে কোনো কিছু করার ষড়যন্ত্র দেশের জনগণ মানবে না। 

রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সোমবার রাত ৮টায় এ বৈঠক শুরু হয়। এতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ (বীর বিক্রম) ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। 

সুইজারল্যান্ড রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জামায়াতের বৈঠক

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ পিএম
সুইজারল্যান্ড রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জামায়াতের বৈঠক
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ড রাষ্ট্রদূত মি. রেতো সিজফ্রিয়েড রেঙ্গলি-এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। 

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সুইজারল্যান্ড রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং বৈঠকে মিলিত হন। 

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ এবং সুইস দূতাবাসের পক্ষ থেকে ডেপুটি হেড অব মিশন মিসেস কোরিনি হেঙ্কোজ পিগনানি। 

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- বৈঠকটি অত্যন্ত হৃদ্যতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে তারা বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ড-এর অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। এ সময় বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে অর্থবহ করার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পায়।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/ 

আবারও গণতন্ত্র ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
আবারও গণতন্ত্র ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে: মির্জা ফখরুল
ছবি: সংগৃহীত

আবারও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বিপদ শেষ হয়ে যায়নি। নতুন করে বিপদ আসার আশঙ্কা আছে। বিএনপির বিরুদ্ধে সবসময় ষড়যন্ত্র হয়। গণতন্ত্রবিরোধীরা আবারও মাথা চাড়া দেওয়ার যে চেষ্টা করছে। তারা যেন সফল হতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। 

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে মহিলা দল আয়োজিত ‘ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও জাতীয় সংহতি দিবস উপলক্ষে’ এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

আয়োজক দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চলনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা প্রমুখ।  

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সবাই মিলে একটি অন্তর্বর্তী সরকার তৈরি করেছি। তাদের এই আশায় দায়িত্ব দিয়েছে যে, তারা অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দেবেন। নির্বাচিত সরকারই শ্রেষ্ঠ সরকার। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের দরজা, সে দরজা পার হয়েই গণতন্ত্রের পথে যেতে হবে।  

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর বিপ্লবের নায়ক সাধারণ সিপাহী ও জনতা। ৭ নভেম্বরের বিপ্লব নতুন করে বাংলাদেশকে বিনির্মাণের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। ৭ নভেম্বরের পর শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দায়িত্ব না নিলে এ দেশের ভাগ্যে কি হতো বলা যায় না। জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব বিভক্ত জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। তিনি অন্ধকার থেকে দেশকে আলোতে নিয়ে আসেন। 

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছর গোটা জাতিকে নির্যাতন করেছে। গণতন্ত্রের মতো দেশের রাজনীতি, অর্থনীতিও ধ্বংস করেছে। ব্যাংক ধ্বংস করেছে। সব জায়গায় দুর্নীতি। তারা আবারও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।   

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, শেখ মুজিব ’৭১ সালে পালিয়ে ছিলেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে গ্রেপ্তার হওয়ার জন্য বাসায় বসে ছিলেন। সেটি আওয়ামী লীগ নেতা তাজউদ্দিন আহমেদের মেয়ে তার বইয়ে লিখেছেন।  

নেতা-কর্মীদের সজাগ ও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বুকে চেপে থাকা দানব সরে গেছে। বিপদ শেষ হয়নি নতুন করে বিপদ আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিএনপির ওপর সবসময় আঘাত এসেছে। আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। বহু চেষ্টা করে কেউ বিএনপিকে ভাঙতে পারেনি। ১৭ বছর ধরে বিএনপি লড়াই-সংগ্রাম করেছে। অসংখ্য মামলা, জেল, গুমের ঘটনা ঘটেছে। সামনে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হতে হবে।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

আপনারাই ক্ষমতায় থাকতে পাগল: অন্তর্বর্তী সরকারকে আব্বাস

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ এএম
আপনারাই ক্ষমতায় থাকতে পাগল: অন্তর্বর্তী সরকারকে আব্বাস

বিএনপি ক্ষমতায় যেতে নয়, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় থাকতে পাগল হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

‘বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে’ সরকারের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা যদি বলি আপনারা নির্বাচনের কথা না বলে ক্ষমতায় থাকার জন্য পাগল হয়ে গেছেন’।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বীর মুক্তিযোদ্ধা মেসবাহ উদ্দিন আহম্মেদ এর ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম ও প্রজন্ম একাডেমি।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কোনো রকম ছলচাতুরি করার প্রয়োজন নেই। জাতিকে সুস্পষ্ট করে জানান কবে নির্বাচন দিতে চান। জাতি জানতে চায়। জাতিকে একটি অনিশ্চয়তার মধ্যে রেখে দেবেন আর জাতি বসে বসে তামাশা দেখবেন? এটা ভাবার কোন কারণ নেই।’
 
তিনি বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি কিন্তু একটু ঘোলাটে। আমার ধারণা, এ পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে যাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, আজকের এই সরকার জাতিকে আশার আলো দেখাবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘এমন কিছু করবেন না, যাতে জাতি আপনার প্রতি বিশ্বাস হারায়। সরকার সংস্কারের কথা বললেও এর কোনো লাইন দেখতেছি না। নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলে না!’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, জাতিকে বিভক্ত রেখে কোনো উন্নয়ন হয় না। আমরাও বলছি, জাতিকে বিভক্ত করে দেশে উন্নয়ন সম্ভব না।’ 

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘দেশে বর্তমানে একটা ধোয়াশাচ্ছন্ন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এই সরকার বেশি সময় থাকবে, না যথাসময়ে দায়িত্ব পালন করে চলে যাবে- বুঝতে পারছি না। আপনারা আমাদের সহযোগিতা চান কিনা, সেটাও বুঝতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল, তাদের রক্তের ফসল। এই সরকারের কাছে দেশবাসীর প্রত্যাশা, তারা নির্বাচনমুখী প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুততম সময়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। সরকার এই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে, ইতিহাসে তারা উজ্জ্বল হয়ে থাকবেন, জ্বলজ্বল করবে তাদের নাম। এর ব্যত্যয় ঘটলে দেশটা ধ্বংসের দিকে যেতে পারে। তাই এই সরকারকে ব্যর্থ হওয়া যাবে না।’ 

অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি জহিরুল ইসলামের কলিমের সভাপতিত্বে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শফিকুল ইসলাম/অমিয়/

গণতন্ত্র নস্যাৎ না করতে পারার সংস্কার করবেন: ফারুক

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৫ পিএম
আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫০ পিএম
গণতন্ত্র নস্যাৎ না করতে পারার সংস্কার করবেন: ফারুক
সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক

গণতন্ত্র কেউ নস্যাৎ করার পরিকল্পনা যেন করতে না পারে এমন সংস্কার করার করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।

তিনি বলেন, ‘এমন সংস্কার করে যাবেন, যাতে গণতন্ত্রকে কেউ নস্যাৎ করার পরিকল্পনা করতে না পারে। সংস্কার করুন কিন্তু এমন সংস্কারে হাত দেবেন না যে সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্বিত হবে।’

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র ও প্রশাসনের সব পর্যায় থেকে ফ্যাসিস্ট দোসরদের সমূলে উৎখাতের’ দাবিতে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। 

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘আমাদের দাবি স্পষ্ট। আমরা নির্বাচন চাই। ১৬ বছর আওয়ামী লীগ দেশ শাসন করে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, কত মায়ের বুক খালি করেছে, আয়নাঘর তৈরি করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।’

শেখ হাসিনার দোসররা মন্ত্রাণালয়সহ নানা জায়গায় এখনো কাজ করছে। তাদের কেন পদায়ন করে রেখেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এ প্রশ্ন রাখেন তিনি। 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ আবার অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এই অস্থিরতা করার সুযোগ দেওয়া যাবে না। অবিলম্বে এদের পদায়ন বাতিল ও অপসারণ করার দাবি জানান তিনি। 

ফারুক আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সময় দরকার। তবে তা যেন মঈন, ফখরুদ্দিনের মতো সময় না হয়।’

তিনি তারেক রহমানের ও বিএনপির ৪০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। 

দ্রুত রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফারুক বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শক্তি বাংলাদেশের মানুষ যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে, ১৬ বছর আওয়ামী লীগের অত্যাচার সহ্য করেছে, তাদের নির্বাচনমুখী করতে হবে। নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গেছে, তা রুখে দিতে হবে বলেও জানান তিনি।  

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মঞ্জুর হোসেন ঈসার সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা নেসারুল হক, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরী প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/অমিয়/