ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও খেলাফত মজলিস (লোগো)
‘ইসলামি জোট’ গঠন বিষয়ে আলোচনার অংশ হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও খেলাফত মজলিস বৈঠক করেছে।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা আড়াইটায় রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ইসলামী দলসমূহের মধ্যে কার্যকর ঐক্য সৃষ্টির লক্ষ্যে সবাইকে ময়দানে ইতিবাচক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের ব্যাপারে একমত হয়েছেন দুই দলের শীর্ষ নেতারা।
বৈঠকে অংশ নেন ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম চরমোনাই পীর, মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, আলহাজ খন্দকার গোলাম মাওলা, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রফেসর ডা. আক্কাস আলী সরকার, আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিন, অ্যাডভোকেট হাছিবুল ইসলাম।
অপরদিকে খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা অব্দুল বাছিত আজাদ, মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, যুগ্ম মহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম।
বৈঠকে নেতারা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে সুসংহত এবং পতিত স্বৈরাচারের অভ্যুত্থানবিরোধী ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে। দেশকে অস্থিতিশীল করার নানামুখী ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের ভারতীয় সেনাবাহিনীকে বাংলাদেশের ওপর নজর রাখার নির্দেশনাকে সামরিক উসকানি হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে কেউ কেউ বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদী ও অপতৎপরতার বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পুনর্বাসন কার্যক্রম জোরদার করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দুই দলের নেতারা।