ঢাকা ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নজরুলের লেখনী নির্যাতিত মানুষকে প্রেরণা জোগাবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৪, ০৯:২৫ পিএম
নজরুলের লেখনী নির্যাতিত মানুষকে প্রেরণা জোগাবে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “জাগরণের কবি কাজী নজরুল উপমহাদেশের স্বাধীনতার প্রথম বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। তিনি আমাদের জাতীয় কবি। তার কবিতা ও গান আমাদের মুক্তিসংগ্রাম এবং পরবর্তী সময়ে সব স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে সাহস জুগিয়েছে। তার ‘চল্ চল্ চল্’ গানটি আমাদের জাতীয় রণসংগীত হিসেবে পেয়ে আমরা গর্বিত। আমি বিশ্বাস করি, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল ছিন্ন করে দেশ থেকে নিপীড়ন-নির্যাতন ও বৈষম্য নির্মূল করতে তার লেখনীর আবেদন চিরদিন নির্যাতিত মানুষকে প্রেরণা জোগাবে। পাশাপাশি সংগীতে তার অবদান চিরকালীন ও চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে।”

শুক্রবার (২৪ মে) এক বিবৃতিতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী (২৫ মে) উপলক্ষে তার প্রতি শ্রদ্ধা এবং আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।

তিনি আরও বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যের এক অবিসংবাদিত কিংবদন্তি। তিনি একাধারে সাহিত্যিক, কবি, সংগীতজ্ঞ, সুরকার, সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদ এবং সৈনিক। তিনি অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে সর্বদা ছিলেন উচ্চকণ্ঠ। তার লেখা স্বাধীনতা, মানবতা ও বিপ্লবের কবিতা পাঠে মানুষের হৃদয়ে স্পন্দন জাগে, রক্তে শিহরণ তোলে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, পারিবারিক জীবনের নানা অভিঘাতের মধ্যেও তিনি নিরলসভাবে সাহিত্যচর্চা করেছেন। তার ক্ষুরধার লেখনীতে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মন্ত্র উচ্চারিত হয়। তিনি দেশের স্বাধীনতা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ঔপনিবেশিক শাসক গোষ্ঠীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলমকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে কারাগারে নির্যাতন সহ্য করতেও দ্বিধা করেননি। তার কবিতা ও গানে ভালোবাসা, মানবতা ও সাম্যের বাণী বিধৃত হয়েছে। তার কবিতার মূল উপজীব্য ছিল, মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার, সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ।

খালেদা জিয়ার হাতে বাড়ির কাগজ তুলে দিলেন গণপূর্ত উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৮:১০ এএম
আপডেট: ০৫ জুন ২০২৫, ০৮:১১ এএম
খালেদা জিয়ার হাতে বাড়ির কাগজ তুলে দিলেন গণপূর্ত উপদেষ্টা
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের বাড়ির নামজারির কাগজ পৌঁছে দিয়েছে সরকার। 

বুধবার (৪ জুন) রাত ৯টার দিকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান খালেদা জিয়ার হাতে নামজারির কাগজ তুলে দেন। 

এ সময় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার বলেন, উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এসেছিলেন। আধা ঘণ্টার মতো তারা ছিলেন। এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল।

বাড়ির নামজারির কাগজ হস্তান্তরের বিষয়ে তিনি বলেন, উপদেষ্টা কিছু কাগজ নিয়ে এসেছিলেন। সেগুলো দিয়েছেন। তবে এটা কীসের কাগজ, তা তিনি জানেন না।

সূত্র জানায়, গুলশানের বাড়িটি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিয়ন্ত্রণেই আছে। তবে তার নামে নামজারি করা ছিল না। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর খালেদা জিয়ার নামে বাড়িটি নামজারি করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে নামজারির কাগজটি খালেদা জিয়ার হাতে তুলে দিতে চেয়েছে সরকার। কিন্তু খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থার কারণে এই আনুষ্ঠানিকতা দেরি হয়।

১৯৮১ সালের ৩১ মে রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী খালেদা জিয়াকে রাজধানীর গুলশান এলাকায় দেড় বিঘা জমির ওপর অবস্থিত ওই বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়। বাড়িটি খালেদা জিয়া গুলশানে ‘ফিরোজা’ নামের যে বাড়িতে থাকেন, সেটির কাছেই। এর বাইরে ঢাকা সেনানিবাসের ভেতরও আরেকটি বাড়ি খালেদা জিয়াকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তবে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সেনানিবাসের বাড়িটির বরাদ্দ বাতিল করে।

শফিকুল ইসলাম/অমিয়/

এনসিপির আর্থিক নীতিমালা চূড়ান্ত, ‘ক্রাউড ফান্ডিং’ শুরু

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৯:৫১ পিএম
এনসিপির আর্থিক নীতিমালা চূড়ান্ত, ‘ক্রাউড ফান্ডিং’ শুরু
বাংলামোটরে দলের কার্যালয়ে ‘এনসিপির আর্থিক নীতিমালা ঘোষণা ও ক্রাউড ফান্ডিং কার্যক্রম’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত দলের নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আর্থিক ও তহবিল পরিচালনার নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে। একই সঙ্গে দলের তহবিল সংগ্রহে অনলাইন গণচাঁদার (ক্রাউড ফান্ডিং) কার্যক্রম শুরু করেছে। বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর বাংলামোটরে ‘এনসিপির আর্থিক নীতিমালা ঘোষণা ও ক্রাউড ফান্ডিং কার্যক্রম’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘জুলাই বিপ্লবের পর থেকে দেশের আপামর জনতা এনসিপিকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করতে চেয়েছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই অনুদান গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা অনলাইন ও অফলাইনে একটা ক্রাউড ফান্ডিংয়ের দিকে যাচ্ছি যে ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে আমরা দলের কার্যালয় স্থাপনসহ নির্বাচনি তহবিল সংগ্রহ করব।’

চলতি মাসে নিবন্ধনের জন্য কমিশনে যাবেন উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক আর্থিক পলিসি করতে চায় এনসিপি। এর মধ্য দিয়ে সংগঠনের আয়, ব্যয়, বরাদ্দ, আয়ের উৎস, ব্যয়ের খাত প্রতিটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পলিসি গ্রহণ করা হয়েছে। এ মাসে নির্বাচন কমিশনে আমরা নিবন্ধনের জন্য যাব। তখন আমরা দলের সব হিসাব জমা দেব। কারণ আমাদের মূল উদ্দেশ্য জনগণের সমর্থন নিয়ে এগিয়ে যাওয়া।’ এনসিপির নামে চাঁদাবাজির চেষ্টা হলে প্রতিহত করার আহ্বান জানান তিনি।

দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন জানান, donate.ncpbd.org এই ওয়েবসাইটটির মধ্য দিয়ে ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মধ্য দিয়ে নাগরিক পার্টির সদস্য এবং সমর্থকরা আর্থিক অনুদান দিতে পারবেন।

নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে না হয়, সেজন্য ষড়যন্ত্র চলছে: জামায়াতের আমির

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৮:৫৪ পিএম
নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে না হয়, সেজন্য ষড়যন্ত্র চলছে: জামায়াতের আমির
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

দেশে যাতে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হতে পারে, সে জন্য নানাভাবে বিতর্ক এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে পতিত ফ্যাসিবাদীরা। এ মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বুধবার (৪ জুন) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে এই বিবৃতি দেয় জামায়াতে ইসলামী।  

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদীরা পালিয়ে গেলেও দেশ এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। তারা বিদেশে বসে ও দেশের ভেতর ঘাপটি মেরে থেকে নানাভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। এ অবস্থার অবসান ঘটিয়ে সরকারকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। 
 
দেশবিরোধী সব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবিক বাংলাদেশ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত দেশবাসীকে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।

জামায়াত নেতারা কে কোথায় ঈদ করবেন
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান মৌলভীবাজারে, নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে, নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে, মাওলানা শামসুল ইসলাম চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীতে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এ টি এম আজহারুল ইসলাম ঢাকায়, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম কুমিল্লার লাকসাম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়, হামিদুর রহমান আযাদ ঢাকার বসুন্ধরায়, মাওলানা আবদুল হালিম কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে, অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বরিশালে, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের সিলেটে, মাওলানা মো. শাহজাহান চট্টগ্রাম মহানগরে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন ঢাকায়, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আবদুর রব ঢাকায়, অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দিন বগুড়ায়, অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীতে, মোবারক হোসাইন ঢাকার মোহাম্মদপুর, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মো. সেলিম উদ্দিন সিলেট জেলায় নিজ গ্রামে ঈদের নামাজ আদায় করবেন।

বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আ. লীগের জন্য: রাশেদ প্রধান

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৭:৫৬ পিএম
বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আ. লীগের জন্য: রাশেদ প্রধান
ছবি: খবরের কাগজ

বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আওয়ামী লীগের জন্য দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।

বুধবার (৪ জুন) বেলা ৩ টার দিকে রাজধানীর পল্টনে শফিউল আলম প্রধান মিলনায়তনে যুব জাগপা’র সাংঠনিক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগকে আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। এ সুযোগ কাদের জন্য? দেশকে লুটপাট করে খাওয়া আওয়ামী লীগ ব্যতীত কার কাছে কালো টাকা আছে?’

রাশেদ প্রধান বলেন, ‘বৈষম্য দূরীকরণের আন্দোলন থেকেই গণঅভ্যুত্থান রচিত হয়। আমরা আশা করেছিলাম গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সরকার কর্মসংস্থান নিয়ে বিশদ পরিকল্পনা প্রকাশ করবে। কিন্তু সেই হাজারও চাকরি প্রত্যাশী ও ২৭ লাখ শিক্ষিত বেকার যুব সমাজের জন্য আলাদা কোনো ঘোষণা নাই।’ 

তিনি বলেন, ‘মানুষের আয় ও ব্যয়ের তারতম্য কমানো, বেকারত্ব-দারিদ্র্য দূরীকরণ নিয়ে বাজেটে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এবারের বাজেটে বেশকিছু ভালো উদ্যোগ বা প্রত্যাশার কথা বলা হলেও যে কাঠামোতে বাজেট দেওয়া হয়েছে, সেটি গতানুগতিক এবং পুরাতন। এই সরকারের সামনে ভিন্নধর্মী একটা বাজেট উপস্থাপনের সুযোগ ছিল, যা তারা কাজে লাগায় নাই। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর বিপরীতে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি ও সামাজিক বৈষম্য দূর করা এবারের বাজেটের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বরাবরের মতো এবারও ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি বাজেট। যা ব্যাংক ঋণ ও বৈদেশিক অনুদান থেকে পূরণ করা হবে। অর্থাৎ এবারের বাজেটেও বিদেশ নির্ভরতা কমানো হয়নি।’ 

রাশেদ প্রধান বলেন, ‘নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে ১০০ কোটি টাকার তহবিল এবং কিছু নিত্যপণ্যের দাম কমানো ইতিবাচক। জুলাই বিপ্লবে শহিদ ও আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি টাকা বরাদ্দকে স্বাগত জানাই। তবে তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। বিগত ১০ মাসে যোদ্ধাদের সুচিকিৎসা আমরা দেখি নাই।’ 

যুব জাগপা সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর জাগপা আহ্বায়ক শ্যামল চন্দ্র সরকার, শ্রমিক জাগপা সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, যুব জাগপা সাংগঠনিক সম্পাদক ওলিউল আনোয়ার, যুব নেতা আশিক মোল্লা, আসাদুজ্জামান নূর ও জনি নন্দী প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সুমন/

মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা পরিবর্তন জরুরি কাজ নয়: রব

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৭:১১ পিএম
আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫, ০৭:১৫ পিএম
মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা পরিবর্তন জরুরি কাজ নয়: রব
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি-এর সভাপতি আ স ম আবদুর রব। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা পরিবর্তন অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বা জরুরি কোনো কাজ নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি-এর সভাপতি আ স ম আবদুর রব।

বুধবার (৪ জুন) এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।  

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে এ ধরনের পরিবর্তন কার্যকর করাও সমীচীন বা প্রয়োজনীয় নয়। বরং প্রকৃত প্রয়োজন ছিল- দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে যারা মিথ্যা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে, তাদেরকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া।’ 

আ স ম রব বলেন, ‘বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স তথা মুজিববাহিনী এবং দেশের অভ্যন্তরে গড়ে ওঠা সশস্ত্র ও প্রত্যক্ষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন বাহিনীর যেসব প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সংকীর্ণ রাজনৈতিক কারণে গত ৫৩ বছর ধরে অবহেলা করা হয়েছে, তাদেরকে স্বীকৃতি ও অন্তর্ভুক্তি করাই ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব।’

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক অভ্যন্তরীণ উপনিবেশমুক্ত রাষ্ট্র তথা ঔপনিবেশিক কাঠামো এবং আইন কানুনের পরিবর্তে স্বাধীন দেশের উপযোগী গণমুখী রাষ্ট্র বিনির্মাণের মৌলিক সংস্কারকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। জনবিচ্ছিন্নতা হতে পারে এমন অনাবশ্যক ও অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক তৈরি না করে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত রাষ্ট্র পুনর্গঠনে কার্যকর ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা।’

শফিকুল ইসলাম/সুমন/